আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

গিনেস বুকের স্বীকৃতি পেয়ে প্রকাশ্যে আসলো চারু

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সাভার থেকে আসাদুজ্জামান খাইরুল

সাভারের  শিকড় অ্যাগ্রো ইন্ড্রাস্ট্রিজের আলোরন করা বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে রানীর মৃত্যুর পর ওয়ার্ল্ড বুক অফ গিনেস এর স্বীকৃতি নিয়ে এবার প্রকাশ্যে আসলো শিকড় এগ্রোর অন্য আরেকটি গরু চারু। বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে গিনেস বুকে জায়গা করে নিয়েছে চারু নামের এই খর্বাকৃতির গরুটি।

শেখর অ্যাগ্রো কর্তৃপক্ষ গিনেসের স্বীকৃতি পাওয়ার আগ পর্যন্ত গোপনীয়তায় রাখেন খর্বাকৃতি বামন জাতের এই গরুটির বিষয়ে।

গত মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) গিনেস কর্তৃপক্ষ চারুকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট জীবিত গরুর স্বীকৃতি দিয়ে ইমেইল পাঠায়।

এর আগে,২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বরে  ২০ ইঞ্চি, লম্বা ২৪ ইঞ্চি ও ২৬ কেজ ওজনের রানী গিনেস বুকে মৃত গরু হিসেবে রেকর্ড গড়ে। গত ১৯ আগস্ট দুই বছর বয়সে অসুস্থ হয়ে মারা যায় রানী।

এর পরপরই ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর গিনেস বুকে শেকড়  অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ খর্বাকৃতি গরু চারুর জন্য  ইমেইলের মাধ্যমে আবেদন করে।

খামার কর্তৃপক্ষ জানায় উচ্চতায় ২৩.৫০ ইঞ্চি, লম্বা ২৭ ইঞ্চি ও ৩৯ কেজি ওজনের, চারুর জন্ম ২০১৯ সালের জুলাই মাসে। চার দাঁতের গরুটির এখন আড়াই বছর বয়স চলছে।

দেখভালের দায়িত্বে থাকা খামারের কর্মচারীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে চারুর সেবা যত্নে।

শিখর এগ্রো লিমিটেডের কর্মচারী মো. মামুন বলেন, আমাদের শিকড় অ্যাগ্রো ইন্ড্রাস্ট্রিজের অনেক রকমের পশু-পাখি পালন করি। রাণী মারা যাওয়ার পর প্রায় ছয় মাস আগে চারুকে আমরা সিলেট থেকে সংগ্রহ করেছিরাম। যেভাবে রাণীকে সংগ্রহ করা হয়েছে, সেভাবেই চারুকে আনা হয়। এরপর থেকে এই খামারে চারুকে প্রাকৃতিক খোলামেলা পরিবেশে পালন করছি।

তিনি বলেন, আগে যেহেতু রাণী মারা গেছে, তাই চারুর প্রতি একটু বেশি যত্ন নেই। কর্মকর্তারা এখানে আনার পর ওর নাম চারু দিয়েছে। গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী একাধিকবার চারুর মাপের ছবি এবং ভিডিও পাঠানো হয়েছে। শিকড় অ্যাগ্রোর পশু চিকিৎসক প্রতি দুসপ্তাহ পরপর চারুকে দেখতে আসেন এবং ওজন, শরীর চকচকে আছে কি না, গঠন বাড়ছে কি না এসব পরীক্ষা করেন।

খামারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও কাজী সুফিয়ান বলেন, রানীর জীবদ্দশায়ই আমাদের সংগ্রহশালায় নতুন চমক হিসেবে যোগ হয় ৪ দাঁতের প্রাপ্তবয়স্ক দেশীয় প্রজাতির বামন গরু চারু। যার উচ্চতা ২৩.৫‘’, লম্বা ২৭’’ এবং ওজন ৩৯ কেজি। যাকে বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে জীবিত ছোট গরু হিসেবে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ স্বীকৃতি দিয়েছে।

অল্প কয়েকদিনেই রাণীর উল্লেখযোগ্য ভক্ত তৈরি হয়েছিল। আর তাই বেশিরভাগ মানুষই রাণীর মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি। আমরা অনেক টাকায় বিক্রির অফার পেয়েও কেন বিক্রি করিনি সেটা নিয়ে অনেকে বিদ্রূপ করেছে। কেউ কেউ গাফেলতির কথা বলে আমাদের বকাও দিয়েছেন। তখন ভীষণ খারাপ লাগলেও আমরা পরিস্থিতি মেনে নিয়েছিলাম। আসলে রাণীর প্রতি সবার ভালবাসাটা আমরা বুঝতাম। তাই চারুর ক্ষেত্রে আমরা প্রথম থেকেই গোপনীয়তা অবলম্বন করি।

তিনি আরও বলেন, রাণীর মৃত্যুর পর গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ শোক প্রকাশ করে আমাদের ইমেইল পাঠায়। তারা জানায়, এবং আমাদের কাছে প্রতিযোগিতা করার মত কিছু থাকলে ইচ্ছা করলে আবার অংশ নিতে পারব। আর তখনই রানীর মৃত্যুর পরপরই খর্বাকৃতি গরু চারুর বিষয়টি নিয়ে আমরা আবেদন করি। যারা শিকড় অ্যাগ্রো সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখেন, তারা নিশ্চয়ই জানেন, আমাদের সুদক্ষ এবং নির্ভরশীল কর্মীরা প্রতিদিনই দেশের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়ায়।  মঙ্গলবার গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ মেইলের মাধ্যমে  চারুকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট জীবিত গরু হিসেবে আমাদেরকে নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



মুক্তির মহানায়কের জন্মদিন আজ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী আজ রোববার (১৭ মার্চ)। সারাদেশে দিনটি জাতীয় শিশু কিশোর দিবস হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

দিবসটি উদযাপনে এদিন দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু কিশোর দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধীসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে পৃথক বাণী দিয়েছেন তারা।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। তাছাড়া সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় নেতারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। একইসঙ্গে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং শিশু সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন তারা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান শাখার যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের টিকেটে ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ এসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আজীবন সোচ্চার অবিসংবাদিত নেতাকে রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবরণ করতে হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬-দফা ও পরবর্তীতে ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি। সেই সুবাদে বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ করেন।

তার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ধাপে ধাপে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হলেও তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালি জাতির ওপর নানা নির্যাতন শুরু করে। বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। যা ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়াল্ড রেজিস্ট্রারে অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

অন্যদিকে, ২৬ মাচর্ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন তিনি। তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালির বহু কাঙ্ক্ষিত বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জিত হয়। সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিরামহীন সংগ্রামে অবদান রাখার জন্য তিনি বিশ্বশান্তি পরিষদ প্রদত্ত জুলিও কুরি পদকে ভূষিত হন। বিবিসির এক জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হন।

যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে বঙ্গবন্ধু যখন বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করতে শুরু করেন, ঠিক সেই মুহূর্তে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তি ও কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহল তার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করে। ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় সেনা কর্মকর্তার হাতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন।

বিশ্ব গণমাধ্যমের চোখে বঙ্গবন্ধু ছিলেন ক্ষণজন্মা পুরুষ। অনন্য সাধারণ নেতাকে স্বাধীনতার প্রতীক বা রাজনীতির ছন্দকার খেতাবেও আখ্যা দেয়া হয়। বিদেশি ভক্ত, কট্টর সমালোচক এমনকি শত্রুরাও তাদের নিজ নিজ ভাষায় তার উচ্চকিত প্রশংসা করেন। বিংশ শতাব্দীর কিংবদন্তি কিউবার বিপ্লবী নেতা প্রয়াত ফিদেল ক্যাস্ট্রো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।

শ্রীলংকার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষ্মণ কাদির গামা বাংলাদেশের মহান নেতা সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেছিলেন, দক্ষিণ এশিয়া গত কয়েক শতকে বিশ্বকে অনেক শিক্ষক, দার্শনিক, দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক, রাজনৈতিক নেতা ও যোদ্ধা উপহার দিয়েছে। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান সবকিছুকে ছাপিয়ে যান। তার স্থান নির্ধারিত হয়ে আছে সর্বকালের সর্বোচ্চ আসনে।

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ২০১৩ সালের ৪ মার্চ নগরীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন শেষে মন্তব্য বইয়ে লিখেছিলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন জনগণের নেতা এবং তাদের সেবায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাকে দেয়া বঙ্গবন্ধু খেতাবে এই দেশপ্রেমিক নেতার প্রতি দেশের মানুষের গভীর ভালোবাসা প্রতিফলিত হয়।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মন্তব্য বইয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্মোহনী এবং অসীম সাহসী নেতৃত্বের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে জনগণের নেতৃত্বদান করেছিলেন। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা সোনিয়া গান্ধী বলেন, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন নেতা এবং রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি স্বাধীনতার জন্য প্রতিকূলতা ও বিরূপ পরিস্থিতি উপেক্ষা করে অটল সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছেন।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ সফরের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এসময় মন্তব্য বইয়ে তিনি লেখেন, উপ-মহাদেশের প্রতিটি মুক্তিকামী, মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানুষের মনে বঙ্গবন্ধু এক জ্বলন্ত অনুপ্রেরণা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি, স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্থপতি এবং পিতা। বাংলা ভাষাকে বিশ্বের মঞ্চে অন্যতম শ্রেষ্ঠত্বে মর্যাদা এনে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। তিনি সেই বিরল নেতা, যার প্রতি ধর্মমত নির্বিশেষে সব মানুষ প্রণাম জানিয়ে ধন্য হয়।

তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধুকে দেশদ্রোহী হিসেবে চিত্রিত করলেও ইতিহাসই প্রকৃত অবস্থান নিশ্চিত করে, যখন তাঁর এককালীন ঘোরতর শত্রু তাকে মহান দেশপ্রেমিক হিসেবে অভিহিত করে।১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি (বেলুচিস্তান) অফিসার মেজর জেনারেল তোজাম্মেল হোসেন মালিক পরে তার স্মৃতিকথায় লিখেছেন, বস্তুত মুজিব দেশদ্রোহী ছিলেন না (পাকিস্তানে তাকে সেভাবে চিত্রিত করা হলেও)। নিজ জনগণের জন্য তিনি ছিলেন এক মহান দেশপ্রেমিক।

আরেকজন সেনা কর্মকর্তা তৎকালীন পাকিস্তানি জান্তার মুখপাত্র মেজর সিদ্দিক সালিক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী ৭ মার্চের ভাষণের কথা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। সালিক তার গ্রন্থে লিখেছেন, রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে। তাদের দেখে মনে হচ্ছিল আশাব্যঞ্জক বাণী শ্রবণ শেষে মসজিদ অথবা গির্জা থেকে তারা বেরিয়ে আসছেন।


আরও খবর



গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩০ জন দগ্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুর কালিয়াকৈরে একটি টিনসেড বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ অন্তত ৩৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। গুরুতর দগ্ধ এসব রোগীদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে কালিয়াকৈর টপস্টার নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মনোয়ারা বেগম জানান, টপস্টার এলাকায় টিনসেড বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে। দুই পাশে সারি করে লম্বা আকৃতির টিনসেড বাড়ি সেখানে। সেখানে ছোট ছোট ঘরে আলাদা আলাদা পরিবার থাকে। একেকজন একেক পেশার। সেখানকার একটি ঘরের ভাড়াটিয়া শফিক নামে একজন বিকেলে রান্নার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনেন। এরপর সেটি সংযোগ দেওয়ার সময় সেখান থেকে লিক হয়ে প্রচুর গ্যাস বের হতে থাকলে তিনি সিলিন্ডারটি ঘরের সামনে ফেলে দেন। আর পাশেই মাটির চুলায় রান্না করছিলেন আরেক পরিবার। তখন সেখান থেকে আগুনের সংস্পর্ষে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে আশপাশে থাকা নারী, শিশুসহ বহু মানুষ দগ্ধ হন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানান, সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক। তাদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



কোনো মেজরের বাঁশির ফু-তে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো মেজরের বাঁশির ফু-তে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করায় বিএনপির বড়াই করার কিছু নেই। কারণ জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করেছি। ৫৩ বছরের মধ্যে ২৯টা বছর এই জাতির দুর্ভাগ্যের বছর। এ দেশের মানুষ ছিল শোষিত বঞ্চিত। সেই জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে, মুক্তিযুদ্ধ করে, স্বাধীনতার বিজয় এনে দেওয়া একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানকারীর জন্য সম্ভব।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল তখন পাকিস্তানি সেনাদের পক্ষে চট্টগ্রামে মুক্তিকামী বাঙালির ওপর গুলি চালিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের বিরোধিতা করে বিএনপি নেতারা চাদর পোড়ায়। তাহলে বিএনপি নেতাদের বাসায় স্ত্রীদের যে শাড়িগুলো রয়েছে সেগুলো কেন পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে না।

বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে পাল্টা প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা যদি পালিয়ে যায় তাহলে যুদ্ধটা করেছিল কে? সরকার গঠন এবং সেক্টর গঠন করে দায়িত্ব দিয়েছিল কে? আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে জিয়াউর রহমান ছিল বেতনভুক্ত কর্মচারী।


আরও খবর



মিলারসহ ২২৭ মার্কিনির ওপর মস্কোর নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারসহ ২২৭ মার্কিন নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া।

রাশিয়ার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশেষ সামরিক অভিযান সমর্থন করার জন্য রুশ নাগরিকদের ওপর মার্কিন কর্তৃপক্ষ যে ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তার প্রতিক্রিয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা করেছে, সরাসরি রাশিয়াবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে মার্কিন নাগরিকদের দেশটিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ তালিকায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন সুলিভান, সাবেক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যান ও সাবেক মার্কিন অর্থমন্ত্রী ল্যারি সামার্স রয়েছেন।

লকহিড মার্টিনের আর্থিক পরিকল্পনার ভাইস প্রেসিডেন্ট শামালা লিটলফিল্ড এবং সামরিক ঠিকাদার ব্ল্যাকওয়াটারের প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড ক্লার্কসহ মার্কিন প্রতিরক্ষা খাতের নির্বাহীদেরও এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়ার স্টপ লিস্ট’ সম্প্রসারণের বর্তমান উদ্দেশ্য হলো, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ওয়াশিংটনের এই সহজ সত্য সম্পর্কে সচেতনতা সুসংহত করা, যে কোনও আগ্রাসী প্রচেষ্টা বিনা শাস্তিতে ছেড়ে দেওয়া হবে না, প্রত্যেকটির প্রতিক্রিয়া পাবে।

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিকসহ শিক্ষাবিদদেরও টার্গেট করা হয়েছে।

২০২২ সালে ইউক্রেন সংঘাত বৃদ্ধির পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক নজিরবিহীন তলানিতে নেমে গেছে। ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা মস্কোর ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং রাশিয়াও এর জবাব দিয়েছে।


আরও খবর



নয়াপল্টনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের অনুমতি পেল বিএনপি

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশটি সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়ার কথা। তবে সকাল থেকে নয়াপল্টনের রাস্তায় সমাবেশের মঞ্চ নির্মাণ করতে বাঁধা দিচ্ছিল পুলিশ। অবশেষে রাস্তায় মঞ্চ নির্মাণ এবং যান চলাচল রাখার শর্তে দলীয় অফিসের সামনে এ সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত বলেন, মতিঝিল বিভাগের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাবেশের অনুমতি পাওয়া গেছে। রাস্তায় মঞ্চ নির্মাণ ছাড়া অফিসের নিচে সমাবেশ করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে মতিঝিল জোনের এডিসি মো. রওশান উল হক সৈকত সিপিএম বলেন, রাস্তায় কোনো বাধা বিঘ্ন না করে তারা তাদের অফিসের সামনে সমাবেশ করতে পারবে।

অনুমতি পাওয়ার পরেই মাইকে ঘোষণার মাধ্যমে সমাবেশের কাজ শুরু করেছে বিএনপি। অফিসের ফুটপাতে অস্থায়ীভাবে চেয়ার বসিয়ে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


আরও খবর