আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

গভীর নিম্নচাপ রূপ নিলো ঘূর্ণিঝড়ে

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এবারের ঘূর্ণিঝড়টির নাম মিগজাউমরোববার (৩ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি সকাল ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে। 

আরও পড়ুন>> জামালপুরে পুলিশ ভ্যানে ট্রেনের ধাক্কা, কনস্টেবল নিহত

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এর আগে, গভীর নিম্নচাপ থাকা অবস্থায় এটি শনিবার (২ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার।


আরও খবর



মৌলভীবাজারে গ্রামের পর গ্রাম বন্যার পানির নিচে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে সবকটি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আজ শুক্রবার বিকাল থেকেই একের পর এক এলাকায় নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভাঙার খবর আসে। ৩য় দফা আকস্মিক বন্যায় নাকাল এ জেলার নদী ও হাওর তীরের বাসিন্দারা। নদীর বাঁধ ভেঙে ও উপচে কুলাউড়া, কমলগঞ্জ, রাজনগর, জুড়ী, মৌলভীবাজার সদরসহ সবকটি উপজেলার প্রায় আড়াই শতাধিক গ্রামের অন্তত সাড়ে ৩ লক্ষাধিক মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই কেবলই বাড়ছে বন্যায় দুর্গতদের এই পরিসংখ্যান।

জানাযায়, মনু, ধলাই ও ফানাই নদীর প্রায় ২০টি স্পটে বাঁধ ভেঙে ও উপচে বানের পানি তীরবর্তী গ্রাম এলাকায় প্রবেশ করে দ্রুত সময়েই সবকিছুই তলিয়ে দেয়। এ ছাড়াও চরম ঝুঁকিতে রয়েছে ওই সকল নদীর আরও একাধিক স্পট। মনু নদীর বাঁধ ভাঙনে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কুলাউড়া, রাজনগর ও  মৌলভীবাজার সদর উপজেলার অধিকাংশ মানুষ। কুশিয়ারা ও জুড়ী নদীর বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করায় তীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, কৃষি ক্ষেত সবকিছুই গ্রাস করে বানের পানি। এখন সময় যত যাচ্ছে ততই ভয়াবহ হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি।

জেলার হাকালুকি, কাউয়াদীঘি ও হাইল হাওরের তীরবর্তী এলাকারও বন্যা পরিস্থিতি চরম অবনতির দিকে। ৩য় বারের মতো তারাও বন্যায় কবলিত হচ্ছেন। এখন জেলার ৭ উপজেলার বাসিন্দারা কমবেশি বন্যা আক্রান্ত হচ্ছেন। জেলার নদী ও হাওর তীরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীরা বুধবার বিকাল থেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য অন্যত্র ছুটছেন। জেলা শহরের মনু নদী তীরবর্তী এম সাইফুর রহমান সড়ক এলাকায় বাঁধ ভাঙার ঝুঁকি থাকায় মৌলভীবাজার এম সাইফুর রহমান রোড বাটার মোড় হতে পোস্ট অফিস পর্যন্ত  শুক্রবার এবং শনিবার  ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। গভীর রাত পর্যন্ত ব্যবসায়ী নিজেদের মালামাল নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে দেখা যায়। সারা রাত জেগে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে প্রতিরক্ষা বাঁধ শক্তিশালী করতে  বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা নিরলস কাজ করেন। ওই সড়কটিতে যান চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে। 

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ০৭ চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের ০১ ওয়াড ডেউপাশা আশরাফ মিয়ার বাড়ির সম্মুখে নদীর বাধ বেশ  ঝুকিপূর্ণ রয়েছে এ ছাড়াও মৌলভীবাজার-কুলাউড়া সড়কের কদমহাটা এলাকায় সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। মৌলভীবাজার-কমলগঞ্জ সড়কের মাতারকাপন এলাকায়ও সড়কে পানি উঠে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। বন্যার সার্বিক পরিস্থিতিতে জেলা জুড়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়ছেই। প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে নদী ও হাওরের পানি। স্থানীয় বাসিন্দারা অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন। নিজেদের খাবার ও নিরাপদ আশ্রয়ের সঙ্গে গৃহপালিত গবাদিপশুদের নিয়েও চরম দুশ্চিন্তায়।

একাধিক আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে। কদমহাটা উচ্চ বিদ্যালয় ও  কদমহাট সরকারি প্রাথমিক আশ্রয়কেন্দ্রের মাসুক মিয়া (৬৫), কামাল মিয়া (৪৬), ছফিয়া বেগম (৩৮) ও মো. হাসান মিয়া (৩৬) জানান, গত বুধবার বিকাল থেকেই ওখানে তারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। সঙ্গে গবাদিপশুও। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তারা কোনো ধরনের সহায়তা পাননি। নিজের ও গবাদিপশুগুলোর খাবার নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায়। আশ্রয়কেন্দ্রের সকলেই তাদের এই চরম দুর্দিনে সরকারের পাশাপাশি প্রবাসী ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আকুল আহ্বান জানান।

জানা যায়, মনু নদীর (রেলওয়ে ব্রিজ) পানি বিপদসীমার ৭৫ সে. মি. উপর দিয়ে  ও মনু নদীর (চাঁদনী ঘাট) পানি বিপদসীমার ১১৯ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলাই নদীর (রেলওয়ে ব্রিজ) ২৮ সে. মি. উপর দিয়ে, কুশিয়ারা নদীর (শেরপুর) বিপদসীমার ১০ সে. মি. উপর দিয়ে ও জুড়ী নদী বিপদসীমার ১৯৪ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত জেলার কুলাউড়ায় ১টি, রাজনগরে ৭টি ও সদর উপজেলায় ৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।  অন্যান্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত রয়েছে। এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকসংখ্যা ৪৩২৫ জন। ২৫টি মেডিকেল টিম কর্মরত রয়েছে।

ইতোমধ্যে ২৮৫ টন চাল ও ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা জিআর খাত হতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সরকারি সহায়তা ছাড়াও জেলা জুড়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা বন্যার্তদের উদ্ধার, আশ্রয়কেন্দ্রে খাদ্য বিতরণসহ সার্বিক সহযোগিতায় মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।

নিউজ ট্যাগ: মৌলভীবাজার

আরও খবর



সিদ্ধেশ্বরী স্কুলের সভাপতি-প্রধান শিক্ষ‌কের পদত্যাগ দাবিতে বি‌ক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবার সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপ‌তি, প্রধান শিক্ষ‌ক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক দেলোয়ারের পদত‌্যা‌গের দা‌বি‌তে বিক্ষোভ মিছিল করছেন ছাত্রীরা।

সোমবার (১৯ আগস্ট) সকালে সাড়ে ১০টায় শান্তিনগর মোড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

এসময় ছাত্রীরা জানান, রবিবার (১৮ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করতে গেলে সহকারী প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার তাদেরকে বাধা প্রদান করেন। একইসঙ্গে ছাত্রলীগের নেতারা ওই সময়ে ছাত্রীদেরকে লাঞ্ছিত করেন।

এদিকে দোকান ভাড়া কমানোর দাবিতে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সামনে সড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছে দোকানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এসময় রাস্তার সব যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরপরই তার দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা আত্মগোপনে চলে যেতে শুরু করেন। প্রশাসনে আসে ব্যাপক রদবদল। অনেক সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মতই বিভিন্ন স্কুল, কলেজের প্রধান ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও পদত্যাগ করতে শুরু করেন।


আরও খবর
রাজধানীতে গরম-যানজটে দুর্বিষহ জনজীবন

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এবার গোলাপশাহ মাজার ভাঙার হুঁশিয়ারি

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ইসরায়েলে ৩২০টি রকেট ছোড়ার দাবি হিজবুল্লাহর

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েল ও ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে তুমুল পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, গত কয়েক ঘণ্টায় ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ৩২০টির বেশি রকেট ছোড়া হয়েছে।

এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি দাবি করেছে, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চএল ১১টি সামরিক ঘাঁটিকে হামলা চালানো হয়েছে। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা গতমাসে তাদের কমান্ডার ফুয়াদ শুকরের হত্যার বদলা নিতে ইসরায়েলের ওপর হামলা শুরু করেছে।

এরই মধ্যে আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট।

আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন বাজানো হয়েছে। তেল আবিব থেকে সকল ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু করবেন।


আরও খবর
উত্তরপ্রদেশে ভবন ধসে নিহত ৮, আহত ২৮

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি ও গুম তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের আদালত গঠন সেনাবাহিনীর

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি ও গুমের ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের আদালত গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সেনাবাহিনীর একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিষয়ে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তাতে দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সেনাপ্রধান তখন বলেন, প্রমাণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। তদন্ত প্রক্রিয়াটি একটু ধীর গতিতে চলছে। এখানে বেশকিছু বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পর একে একে বেরিয়ে আসে জোরপূর্বক অন্তর্ধান বা গুমের নানা তথ্য।

বৃহস্পতিবার জোরপূর্বক গুম সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশনে সই করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গুমের ঘটনা তদন্তে একটি কমিশনও গঠন করা হয়েছে। গুমের শিকার পরিবার ও মানবাধিকারকর্মীরা এসব গুমের ঘটনায় র‍্যাব ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইকে অভিযুক্ত করে বিচার দাবি করে আসছে।


আরও খবর
ইনু ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

জালিয়াতির মাধ্যমে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নগরীর আন্দরকিল্লার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মোহাম্মদ ফোরকানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মোহাম্মদ ফোরকান চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পুঁইছড়ি গ্রামের মৃত মাস্টার মাহমুদুর রহমানের ছেলে।

এতে অন্য তিন আসামি হলেন- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকার মিরপুরের মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের মালিক গোপালগঞ্জের বাসিন্দা মুন্সী ফররুখ হোসাইন মিন্টু, তার ভাই মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক স্টাফ রংপুরের বাসিন্দা মুকিত মন্ডল। গত রোববার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারি পরিচালক এনামুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

তিনি বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে মাধ্যমে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ টাকা বিল ছাড় করানোর চেষ্টার অভিযোগে মামলাটি দায়ের হয়। আসামিরা দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের একটি ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। মামলা তদন্তে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মামলায় দন্ডবিধির ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯/৫১১ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

মামলার এজহারে বলা হয়, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জন্য এমআরআই ইক্যুইপমেন্ট (আইসিউ ভেন্টিলেটর, আইসিউ বেড ও কার্ডিয়াক পেশেন্ট মনিটর উইথ আইভিপি এবং ক্যাপনোগ্রাফি) ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে ৬টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজ নির্বাচিত হয় এবং প্রতিষ্ঠানটিকে ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল যন্ত্রপাতি সরবরাহের জন্য কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। এতে ৮টি আইসিইউ ভেন্টিলেটর, ৮টি আইসিইউ বেড এবং ১টি কার্ডিয়াক পেশেন্ট মনিটর বাবদ মোট ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার মালামাল সরবরাহ করে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে যন্ত্রপাতির ত্রুটি থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেগুলো গ্রহণ করেনি।

এজাহারে বলা হয়, মালামাল সামগ্রীর ত্রুটি ও টেন্ডার প্রক্রিয়ার অনিয়ম নিয়ে ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর দুদক একটি মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি যন্ত্রপাতিসমূহ হাসপাতালে রেখে চলে যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিলের অর্থ বরাদ্দ প্রদান করলেও ব্যয় মঞ্জুরী প্রদান করা হয়নি। ব্যয় মঞ্জুরীপত্র প্রদান না করায় জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাধায়ক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি ব্যয় মঞ্জুরীপত্র চেয়ে ২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি দেন। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে কোনো ব্যয় মঞ্জুরীপত্র প্রদান করা হয়নি।

একই বছরের ২৬ জুন মুন্সি ফররুখের ভাই মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন তার হোয়াটসঅ্যাপ মোবাইল নম্বর থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সুশীল কুমার পাল স্বাক্ষরিত চিফ একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার, সেগুনবাগিচা বরাবর প্রেরিত একটি ভুয়া ব্যয় মঞ্জুরীপত্র চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ ফোরকানের মোবাইল নম্বরে পাঠান।

এতে ভুয়া জালিয়াতির মাধ্যমে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ ফজলে রাব্বির মোবাইলে ফরোয়ার্ড করে দেন। ২০২২ সালের ২৮ জুন আহমেদ এন্টারপ্রাইজের অফিস সহকারী মুকিত মন্ডল জেনারেল হাসপাতালে আসেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মুন্সী ফররুখ, তার ভাই সাজ্জাদ, অফিস সহকারী মুকিত মন্ডল চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফোরকান পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া জালিয়াতির মাধ্যমে ডা. শেখ ফজলে রাব্বির একক স্বাক্ষরে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার টাকার একটি বিল প্রস্তুত করেন।

বিলটি পাশ করার জন্য একই দিনে চট্টগ্রামের বিভাগী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার অফিস বরাবর পাঠানো হয়। বিলটি অনুস্বাক্ষর (হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার স্বাক্ষর বিহীন) বিহীন ছিল। তবে বিলের অফিস কপি ও বিল রেজিস্ট্রারে তার স্বাক্ষর রয়েছে। 

চট্টগ্রাম বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ অফিস সেই বিলটি যাচাই-বাছাইকালে অর্থ বরাদ্দ পত্রের পৃষ্ঠাঙ্কন না থাকা, পত্রটি চট্টগ্রামের হিসাবরক্ষণ অফিস বরাবর না হয়ে হিসাবরক্ষণ অফিস, সেগুনবাগিচা বরাবর হওয়াসহ সার্বিক পর্যালোচনায় জিও ভুয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি এবং বিলটি বাতিলপূর্বক ফেরত পাঠানো হয়। এতে উক্ত চেক উত্তোলন করতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর