আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

ঘূর্ণিঝড়ের সময় আল্লাহর রাসূল সা: যেসব দোয়া করতেন

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

প্রাকৃতিক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছারই বহিঃপ্রকাশ। এসব মানুষের জীবনে বিপদ ঢেকে আনে। তাই অতিবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস এবং বন্যা ও অন্যান্য দুর্যোগের ক্ষয়-ক্ষতি থেকে বাঁচতে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা চাই। পাশাপাশি সম্ভবপর ব্যবস্থা ও আশ্রয় নেওয়া আবশ্যক।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, 'আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টিতে, তার নির্দেশে বায়ুর দিক পরিবর্তনে এবং তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত মেঘমালাতে জ্ঞানবান জাতির জন্য নিদর্শন রয়েছে।' (সুরা আল-বাকারা, আয়াত নং- ১৬৪)।

তবে মানুষের গুনাহ ও কৃতকর্মের কারণেই এ ধরনের বিপর্যয় ঘটে থাকে। সমাজে অন্যায়-অনাচার বেড়ে গেলেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের বেশি আশঙ্কা থাকে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, 'জল-স্থলে বিপর্যয় মানুষের কৃতকর্মের ফল।' ( সুরা রুম, আয়াত নং- ৪১)।

আরও পড়ুন: দেনমোহর নির্ধারণে রাসূলুল্লাহ সা. যা বলেছেন

কোনো বিপদ দেখেই হতাশ হওয়া যাবে না। আশা রাখতে হবে- মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবরকমের বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করবেন।

ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে আল্লাহর রাসূল সা: বিশেষ কিছু দোয়া পড়তেন। এ জন্য ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আগমনে আমাদেরও ওই দোয়াগুলোর প্রতি যত্মবান হওয়া উচিৎ।

ঘূর্ণিঝড়ের সময় যেসব আমল করবেন

এ জন্য অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের সময় বেশ ‍কিছু আমলগুলোর প্রতি যত্মবান হওয়া কর্তব্য। বিশেষত অতীতের সব গুনাহ ও ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কয়েকটি দোয়া শিখিয়েছেন।

জোরে বাতাস প্রবাহিত হলে যে দোয়া পড়তে হবে

ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺧَﻴْﺮَﻫَﺎ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّﻫَﺎ

উচ্চারণ: 'আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা।'

অর্থ: 'হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এর কল্যাণটাই কামনাকরি। এবং আপনার নিকট এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই।' (সুনানে আবু দাউদ ও সুনানে ইবনে মাজাহ্)।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেছেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেঘের গর্জন শুনলে বা বিদ্যুতের চমক দেখলে সঙ্গে সঙ্গে এই দোয়া করতেন-

اللَّهُمَّ لا تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ ، وَلا تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ ، وَعَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ

উচ্চারণ: 'আল্লাহুম্মা লা- তাক্বতুলনা- বিগযাবিকা ওয়া লা-তুহলিকনা- বিআজা-বিকা, ওয়া আ-ফিনা- ক্বাবলা যা-লিকা।'

অর্থ: 'হে আমাদের প্রভু! আমাদেরকে তোমার ক্রোধের কারণে মেরে ফেলো না আর তোমার আযাব দিয়ে আমাদের ধ্বংস করো না। বরং এর আগেই আমাদেরকে ক্ষমা ও নিরাপত্তার চাদরে আবৃত করে নাও।' (জামে তিরমিজি)।

ঝড় বা বাতাস থেকে বাঁচতে যে দোয়া পড়তে হবে-

ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺧَﻴْﺮَﻫَﺎ، ﻭَﺧَﻴْﺮَ ﻣَﺎ ﻓِﻴﻬَﺎ، ﻭَﺧَﻴْﺮَ ﻣَﺎ ﺃُﺭْﺳِﻠَﺖْ ﺑِﻪِ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّﻫَﺎ، ﻭَﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﻓِﻴﻬَﺎ، ﻭَﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺃُﺭْﺳِﻠَﺖْ ﺑِﻪِ

উচ্চারণ: 'আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরি হাজিহির রিহি ওয়া খাইরা মা ফিহা ওয়া খাইরা মা উরসিলাত বিহি, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহি।'

আরও পড়ুন: ইসলামে নারীর অধিকার ও মর্যাদা

অর্থ: 'হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করি এর কল্যাণ, এর মধ্যকার কল্যাণ এবং যা এর সাথে প্রেরিত হয়েছে তার কল্যাণ। আর আমি আপনার আশ্রয় চাই এর অনিষ্ট থেকে, এর ভেতরে নিহিত অনিষ্ট থেকে এবং যা এর সঙ্গে প্রেরিত হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে।' (সহিহ বুখারি)।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সব গুনাহ ক্ষমা করে ঘূর্ণিঝড় মোখাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করুন। আমিন!

নিউজ ট্যাগ: ঘূর্ণিঝড় দোয়া

আরও খবর
দুর্গা পূজায় তিন দিনের সরকারি ছুটির দাবি

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




চুয়াডাঙ্গায় ডাকাতি মামলায় ১২ জনের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় ডাকাতি মামলায় ১২ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ সময় বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে চারজনকে। 

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মাসুদ আলী এ রায় দেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জীবননগর উপজেলার নিধিকুণ্ডু গ্রামের ছোট আলীর ছেলে কবির হোসেন, একই উপজেলার করচাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে সোলেমান হক, একই গ্রামের মেহের আলীর ছেলে বকুল মিয়া, মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার খাঁ পুরন্দপুর গ্রামের মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা, জীবননগর উপজেলার করচাডাঙ্গা গ্রামের মেহের আলীর ছেলে রহম আলী, একই গ্রামের হযরত আলীর ছেলে আরজ আলী, আখের আলীর ছেলে ফারুক হোসেন, খালেক মিয়ার ছেলে বকুল মিয়া, সীর মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী, আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল হান্নান, একই উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের জুলফিকার আলীর ছেলে তবি মিয়া। এদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন আব্দুল হান্নান নামে এক আসামি। 

বেকসুর খালাস পেয়েছেন- জীবননগর উপজেলার করচাডাঙ্গা গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে আখের আলী, একই গ্রামের মৃত হাজারী মণ্ডলের ছেলে আব্দুল খালেক, মৃত রহিম মণ্ডলের ছেলে হায়দার আলী ও ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার গ্রামের এলাহী বক্সের ছেলে সোহেল রানা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৭ এপ্রিল গভীর রাতে জীবননগর উপজেলার নিধিকুণ্ডু গ্রামের চান মিয়া ব্যাপারীর ছেলে নুরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাণ্ডব চালায় অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জন মুখোশধারী ডাকাত দল। এসময় তার ঘরে থাকা স্টিলের বাক্স থেকে নগদ ২৩ হাজার টাকা, বিছানার নিচ থেকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা,  তার স্ত্রীর কানে থাকা ১০ হাজার টাকা মূল্যের পাঁচ আনা ওজনের একজোড়া স্বর্ণের দুল এবং তার চাচাতো ভাই কবির হোসেনের বাড়ির শো-কেজ থেকে নগদ ৭ হাজার ৩০০ টাকা ডাকাতি করে তারা।

পরে নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে জীবননগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন । মামলাটি অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১৬ এপ্রিল ১৭ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মহব্বত আলী। পরে ১৭ জনের মধ্যে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ দুপুরে ওই রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন জানান, পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ফজলে রাব্বী বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।


আরও খবর



রমনা বিভাগ থেকে এডিসি হারুন প্রত্যাহার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে থানায় ধরে নিয়ে বেধড়ক পিটুনির ঘটনায় পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এডিসি হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) সংযুক্ত করা হয়েছে।

জানতে চাইলে ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, এডিসি হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে পিওএমে সংযুক্ত করা হবে। তাকে বদলির বিষয়ে দ্রুত আদেশ জারি হবে। পরবর্তীতে একটি তদন্ত কমিটি হবে। সেখানে কে দোষী, কে নির্দোষ প্রমাণিত হবে।

জানা গেছে, শনিবার রাতে এডিসি হারুন এক নারীর সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেসময় ওই নারীর স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান এবং তাদের দুজনকে একসঙ্গে পান। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা এবং হাতাহাতি হয়। পরে পুলিশ ফোর্স নিয়ে এসে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে গিয়ে বেদম মারধর করা হয়।

এ ঘটনার জেরে রাতেই শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে ঘটনা মীমাংসা করেন।


আরও খবর
ঢাকা ওয়াসার যৌথ ওয়ার্কশপ সম্পন্ন

রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩

ঢাকার বায়ু আজ সহনীয়

রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩




সুন্দরগঞ্জে ১৬০ লিটার চোলাই মদসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল রানা, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ১৬০ লিটার চোলাই মদসহ ২ জন মাদক কারবারি গ্রেফতার করেছেন থানা পুলিশ।

শুক্রবার সন্ধায় উপজেলা শান্তিরাম ইউনিয়নের খামার ধুবনী(মজুমদার হাট) নামক গ্রামে হিরালাল রবিদাসের বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে চোলাই মদসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, খামার ধুবনী(মজুমদার হাট) নামক গ্রামের মৃত সুমারু রবিদাসেরর পুত্র হিরালাল রবিদাস (৫২) ও পূর্ব বেলকা নামক গ্রামের মৃত আব্দুল জোব্বারে পুত্র ফজলুল হক(৪৫)।

থানা অফিসার ইনচার্জ কে এম আজমিরুজ্জামানের নেতৃত্বে এস আই আরিফুল ইসলাম এসআই সাইদুর রহমান এসআই ইমরান হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হিরালাল রবিদাস এর বসতবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ঘরের ভিতরে থাকা ০১টি চোলাই মদের ড্রামে এবং খাটের নিচে থাকা ০৩টি প্লাস্টিকের জারিকেন ও বিভিন্ন সাইজের ৩০টি প্লাস্টিকের বোতলে রক্ষিত অবস্থায় সর্বমোট ১৬০ লিটার দেশীয় চোলাই মদসহ ২ জন মাদক কারবারিকে আটক করেন।

এবিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ কে এম আজমিরুজ্জামান জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ১৬০ লিটার চোলাই মদসহ ২জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ রুজু করে কারাগারে প্রেরণ করি।


আরও খবর



হবিগঞ্জে চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী জেরিন হত্যা, ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জে চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী মদিনাতুল কুবরা জেরিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক সুদীপ্ত রায় এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে জাকির হোসেন ও নুর হোসেন নামে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

রায় প্রদানকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাকির হোসেন (২৫) আদলতে উপস্থিত ছিল। সে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধল গ্রামের দিদার হোসেনের পুত্র। অন্য আসামি নুর আলম (২২) একই উপজেলার পাটলি গ্রামের আব্দুল হাইয়ের পুত্র। রায় ঘোষণা পর জাকির হোসেনকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারী সকাল ৮টায় নূর আলম নামে একজনের অটোরিক্সার উঠে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধল গ্রামের আব্দুল হাইয়ের কন্যা মদিনাতুল কুবরা জেরিন। এর আগেই অটোরিক্সাতে ছিলেন জাকির ও তার সহযোগী। অটোরিক্সাটি জেরিনের স্কুল পেরিয়ে গেলেও তাকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছিল না। জেরিন নামার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি শুরু হয় অপহরণকারীদের। এক পর্যায়ে সে অটোরিক্সা থেকে লাফ দিলে পরে গেলে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায়।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ জানুয়ারী সকালে মারা যায় জেরিন।

ওইদিন রাতেই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন জেরিনের বাবা। এ ঘটনায় নুর হোসেন ও জাকিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতে ১৬৪ ধারায় তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয় তারা। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সিএনজি অটোরিকশা থেকে ফেলে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয় জেরিনকে।

পরে এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ সদর থানার তৎকালীন ওসি মাসুক আলী ২০২১ সালের ১৮ মার্চ জাকির ও নুর হোসেন ও রুবেল মিয়া নামে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। রুবেল অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় অন্য আদালতে তার বিচার কার্যক্রম চলছে।

মামলায় ২৩ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক অপহরণ এর অপরাধে উভয় আসামিকে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং হত্যার অপরাধে উভয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ প্রদান করেন।


আরও খবর



শাহজালালে কাস্টমস কর্মকর্তাদের মোবাইল ব্যবহারে কড়াকড়ি

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে সম্প্রতি ৫৫ দশমিক ৫১ কেজি সোনা চুরির ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে সংস্থাটি। এবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম-কমিশনার (হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত) মিনহাজ উদ্দিনের সই করা এক অফিস আদেশে এ বিষয় বলা হয়। এতে বিমানবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বকালীন অফিসিয়াল ওয়াকিটকি ও শিফট ইনচার্জের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বিভিন্ন শিফটে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সময়ে মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। ফলে বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের যাত্রীসেবায় বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে এবং দাপ্তরিক শৃঙ্খলা বিনষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায়, যাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রীসেবা দিতে বিভিন্ন শিফটে দায়িত্ব পালনরত বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তঃযোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে মোবাইল ফোনের পরিবর্তে অফিসিয়াল ওয়াকিটকি ব্যবহার করতে বলা হলো।

এতে আরও বলা হয়েছে, তবে শিফট ইনচার্জ ও প্রটোকলের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা (মাইক ১৪) তাদের অফিসিয়াল মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অপরদিকে, দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কেবলমাত্র অতি জরুরি প্রয়োজনে প্রটোকল অফিসার এবং শিফট ইনচার্জের অফিসিয়াল মোবাইল ফোন থেকে যোগাযোগ করতে পারবেন।


আরও খবর