প্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে দেশের ১০টি জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, এসব অঞ্চলের লোকজনকে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে অন্তত ১৫ লাখ লোককে নেয়ার টার্গেট করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি।
এনামুর রহমান বলেন, ‘আগের ঘূর্ণিঝড়ের মতো আমরা এটিও ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারব। আমরা আম্ফানের সময় সর্বোচ্চ ২৪ লাখ লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসেছিলাম। তখন ১৯টি জেলাকে দুর্গত জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আশা করছি, এবার ১৫ লাখ লোককে সরিয়ে আনতে পারলে বিপদমুক্ত থাকা যাবে।’
কোন ১০টি জেলা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি। এসব জেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে মেডিকেল টিমও গঠন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত জরুরি ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে তারা প্রস্তুত রয়েছে। গবাদিপশু সরিয়ে আনতেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কখন ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) রাত ১০টা থেকে আগামীকাল (বুধবার) সকাল ১০টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় হামুন উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের আওতা একদিকে চট্টগ্রাম, অন্যদিকে বরিশালকে স্পর্শ করবে। ঘূর্ণিঝড়ের চোখটি বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রামের মধ্য দিয়েও যাবে।’
এ ১০ জেলায় কতগুলো আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে - এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনও কোনো তথ্য আসেনি। কিছুক্ষণের মধ্যে আসা শুরু করবে। তখন বলতে পারবো। অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আজ রাত ৮টার মধ্যে সব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে সক্ষম হবো বলে আশা করি।’
প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যুর হার আমরা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পেরেছি। এর পেছনে মূল কারণ হলো, লোকজনকে সঠিক সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে আসা। এক সময় ছিল, আশ্রয়কেন্দ্র সুখকর ছিল না, পরিবেশ ভালো ছিল না। কিন্তু এখন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে।’