আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ঘুরে আসুন সিলেটের বাঁশতলা স্মৃতিসৌধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

সিলেটের দোয়ারাবাজার উপজেলার উত্তরে ভারতের চেরাপুঞ্জি ও মেঘালয় রাজ্য। পূর্বে ছাতক উপজেলা, দক্ষিণ ও পশ্চিমে সুনামগঞ্জ জেলা। সুনামগঞ্জ থেকে দোয়ারাবাজারের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। সিলেট থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তরে দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ। দোয়ারাবাজার সুরমা নদীর উত্তরপাড়ে হওয়ায় সড়ক পথে সরাসরি যোগাযোগ নেই। ভারত সীমান্তের কাছে হওয়ায় খুব শীতও পড়ে এখানে। ১৯৮৪ সালে উপজেলা পরিষদ গঠনের পর সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয়েছিল এই দোয়ারাবাজার উপজেলা। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এ উপজেলায় রয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। জেলার সর্বাধিক মুক্তিযোদ্ধার বসবাসও এ উপজেলায়। এখানে রয়েছে বাঁশতলা শহীদ স্মৃতিসৌধ এবং বাঁশতলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থান।

দিনের শুরু হচ্ছে, সাথে শুরু হচ্ছে মানব কোলাহল। সেসব কোলাহল পেরিয়ে অচেনা, নিস্তব্ধ-নিঝুম পথে চলতে সময় লাগে না। আমরা এগিয়ে চলছি, গন্তব্য বাঁশতলা শহীদ স্মৃতিসৌধ। দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছে আমাদের চার চাকার গাড়ি। মেঘ আর পাহাড়ের হাতছানি বাড়ছে। এখানে পথের দুই পাশের সৌন্দর্য অসাধারণ, সাথে আছে নানা পাখির ডাক। এক ঘণ্টায় পৌঁছে যাই ছাতক বাজার। ছাতক পাবলিক খেয়াঘাট থেকে বাঁশতলা যাওয়ার পথটির প্রাকৃতিক শোভা ভারি সুন্দর। বাঁশতলা পৌঁছে মন আনন্দে ভরে উঠল। ভারত সীমান্তঘেরা বাঁশতলা স্মৃতিসৌধ এখন আমাদের একেবারে চোখের সামনে। শীতের দিন হলেও আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন নয়, আকাশে সূর্য উঠেছে। ঝকঝকে নীলাকাশ যাকে বলে ঠিক তাই। আর হাত বাড়ানো দূরত্বে পাহাড়। স্মৃতিসৌধে পৌঁছানোর আগেই মুগ্ধ হতে হয়। সে মুগ্ধতা এনে দেয় এখানকার স্লুইস গেট। চেলাই খালের ওপর নির্মিত সে স্লুইস গেটের সৌন্দর্য অসাধারণ। সামনের দিকে এগিয়ে যাই।

ডাউক সড়ক থেকে সুনামগঞ্জ এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ সীমান্তবর্তী অঞ্চল নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পাঁচ নম্বর সেক্টর। ৫ নম্বর সেক্টরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর মীর শওকত আলী। ৫ নম্বর সেক্টরের সাবসেক্টর ছিল সুনামগঞ্জ জেলার বাঁশতলা। এখানকার সেক্টর কমান্ডার ছিলেন ক্যাপ্টেন হেলাল উদ্দিন। পাহাড়বেষ্টিত বাঁশতলা এলাকায় এবং তার আশপাশে মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হন, তাদের সমাহিত করা হয় বাঁশতলার এ নির্জনে। সেই স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য নির্মাণ করা হয় বাঁশতলা স্মৃতিসৌধ।

আমরা দাঁড়িয়ে আছি বাঁশতলার স্মৃতিসৌধ। চারপাশের গাছগাছালি আর পাখির কিচির-মিচির আওয়াজ এক অন্য রকম পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। স্মৃতিসৌধের চারপাশের সৌন্দর্য পলকহীন চোখে উপভোগ করছি। স্মৃতিসৌধের পেছনে তাকালে বোঝা যায় দূরে পাহাড়গুলো আকাশ ছুঁয়েছে। যেন পাহাড়ে উঠতে পারলেই আকাশ হাতের মুঠোয়। ওপরে নীল আকাশ, নিচে থই থই জলরাশি স্বচ্ছ আর নীল। স্মৃতিসৌধের বামপাশের রাস্তা দিয়ে কিছুটা হেঁটে দেখতে পেলাম সবুজ ছায়ায় মুক্তিযুদ্ধে নাম না জানা ১৪ জন শহীদের সারি সারি সমাধি। কোলাহল মুক্ত পরিবেশে আমাদের প্রিয়জনরা ঘুমিয়ে আছেন। দূর থেকে দেখলে মনে হয় আকাশছোঁয়া বৃক্ষ যেন এক একটি প্রহরী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চারদিকে সবুজ পাহাড়ের গায়ে শত শত বছরের পাথরের কারুকাজ।

পাহাড়ের একপাশে ঘন কালো মেঘের অন্ধকার। অন্য পাশে কাঠফাটা রোদ। এ যেন প্রকৃতির এক অনন্য খেলা। স্মৃতিসৌধ আর পাহাড়কে বিদায় জানিয়ে আমরা ১০ মিনিট হেঁটে টিলার ওপর পাহাড়ি গ্রামে চলে এলাম। এখানে প্রায় ৩৬ ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী পরিবারের বসবাস। যে দিকে চোখ যায় শুধু পাহাড় আর পাহাড়। এর পর আমরা গেলাম চেলাই খালের ওপর স্লুইস গেট বা পানির ব্যারাজ দেখতে। আকাশের সাথে মিতালী করেছে জলের ধারা, আর তা দূর থেকে দেখতে অসাধারণ লাগছিল। কিন্তু ঘড়ির কাঁটার সাথে পাল্লা দিয়ে সময় এগিয়ে চলছে আর আমাদের শহর পানে ফিরে যাওয়ার সময় হয়ে এলো। নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলাম। আমাদের গাড়ি ছুটছে শোঁ শোঁ করে। পেছনে ফেলে আসছি একরাশ স্মৃতি। আমরা শহীদদের ভুলিনি। আমাদের চিন্তায় ও প্রতিজ্ঞায় তারা বেঁচে থাকবেন চিরকাল।

জেনে নিন কিভাবে যাবেন: বাঁশতলা স্মৃতিসৌধ যেতে হলে আপনাকে যেতে হবে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাঁশতলায়। সুনামগঞ্জ জেলা সদর থেকে বাঁশতলা যাওয়া যাবে। আবার ছাতক উপজেলা থেকেও বাঁশতলা যাওয়া যাবে। দিনরাত ঢাকা-সিলেট-সুনামগঞ্জ বাস চলাচল করে। সুবিধামতো সময়ে হানিফ, ইউনিক কিংবা শ্যামলী পরিবহনের বাসে চেপে বসলেই হবে। আমরা সিলেট-ছাতক-দোয়ারা বাজার হয়ে বাঁশতলা গিয়েছিলাম। সন্ধ্যার বাসে সিলেট যাত্রা করলে রাত ১২টার মধ্যে সিলেট পৌঁছে রাতটুকু বিশ্রাম নিয়ে পরদিন বাঁশতলা। সকালে আম্বরখানা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আপনাকে ছাতক আসতে হবে। এবার ছাতক বাজার থেকে সুরমা নদী পার হয়ে আবার সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চেপে সরাসরি বাঁশতলা। তা ছাড়া মাইক্রোবাস করেও যেতে পাড়বেন বাঁশতলা স্মৃতিসৌধে।


আরও খবর



পাথরঘাটায় দু’টি চিত্রা হরিণ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনা পাথরঘাটায় লোকালয়ে আসা দুইটি চিত্রা হরিণ উদ্ধার করা করেছে বন বিভাগ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৯ টার সময় পাথরঘাটা উপজেলা চরদুয়ানী ইউনিয়নের বান্দাকাটা নামক এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে লোকালয় ঢুকে পড়া হরিণ দুটি উদ্ধার করা হয়।

বন বিভাগের জ্ঞানপাড়া বিশেষ শহর টিমের ভারপ্রাপ্ত অফিসার্স ইনচার্জ ওবায়দুল রহমান আজকের দর্পণকে বলেন, হঠাৎ করে সকালে দুইটি চিত্রা হরিণ সুন্দরবন থেকে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। মানুষ দেখে হরিণ দুটি ভয়ে দৌড়াদৌড়ি করে। এক পর্যায়ে বেরিবাদের পাশে থাকা জালে একটি হরিণ বেঁধে যায়। কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয় হরিণটিও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উদ্ধার করে ফরেস্ট ক্যাম্পের নিয়ে যাওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে সুন্দরবন একেবারেই কাছাকাছি হওয়ায় হয়তো হরিণ দুটি ভুল করে খাবারের সন্ধানে এই এলাকায় এসেছে।

হরিণ দুটি দ্রুতই সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি কারণ চিত্রা হরিণ বেশি মানুষ দেখলে স্টক করে মারা যায়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এই এলাকায় কয়েকটি সক্রিয় হরিণ চোরা কারবারি গ্রুপ আছে হয়তো তারাও এই হরিণ দুটি লোকালয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসতে পারে। তাই হরিণ রক্ষায় বন বিভাগের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন বলে দাবি করেন তারা।


আরও খবর



ঘূর্ণিঝড়ে আলফাডাঙ্গার ২২ গ্রাম লণ্ডভণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

ঘূর্ণিঝড়ে আলফাডাঙ্গার দুইটি ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০-২২টি গ্রাম বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার পাচুড়িয়া ও বানা ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে পড়ে। অনেক জায়গায় সড়কের ওপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। সেই সঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে তার ছিঁড়ে অন্ধকারে ঢেকে যায় ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম।

বানা ইউনিয়নের শিরগ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য খোকন শেখ বলেন, বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, পাকুড়িয়া, টাবনী, টোনাপাড়া, শিয়ালদি চরপাড়া, জয়দেবপুর, আউশির হাট, কঠুরাকান্দি, মাজপাড়া, আড়পাড়াসহ কমপক্ষে ১৪টি গ্রামে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।

ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে কাঁচা-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, পেঁয়াজ, রসুন, মসুরি, ধনিয়া, ধান, গমসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আমিনুর রহমান বলেন, ঝড়ে আমার ঘরবাড়ি, ফসলি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া যুগীবরাট, ভাটপাড়া, চাদড়া, পাচুড়িয়া, দেউলি, চরনারানদিয়া, ধুলজুড়ি, চরভাটপাড়াসহ ১০ গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমার পাচুড়িয়া ইউনিয়ন ও পাশের বানা ইউনিয়নে ঝড়ে বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে, কয়েকটি খুঁটি ভেঙে আঁকাবাঁকা হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎসংযোগ চালু করতে কাজ চলমান রয়েছে।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, বুধবার রাত ১টার পর ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের কমপক্ষে ২২টি গ্রামের শতাধিক কাঁচাপাকা বাড়িঘর ও কয়েকশ গাছপালা উপড়ে পড়ে। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় গাজীপুরের চন্দ্রায় গাড়ির জটলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

প্রিয়জনের সাথে ঈদ উদযাপনে শেষ সময়ে ঘরে ফিরছে মানুষ। ভোর থেকে রাজধানী ছাড়ার বিভিন্ন পয়েন্টে তৈরি হয়েছে গাড়ির জটলা। চালক-যাত্রীদের অভিযোগ ঢাকায় ঢুকতে বা বের হতে লম্বা সময় ধরে সিগন্যালে আটকে থাকতে হচ্ছে, যাত্রাবাড়ী, দোলাইপাড়সহ বিভিন্ন জায়গায়। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায়ও আছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। সোমবার দুপুরের পর গাজীপুরের বিভিন্ন পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ায় বিকেলের দিকে শ্রমিকদের স্রোত নামে মহাসড়কে। যাত্রীদের পাশাপাশি সড়কে বাসের সংখ্যাও বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে যানজটও।

এরপর থেকেই অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে শুরু হয়েছে যানজট। চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে নবীনগর ও সফিপুর সড়কে দুই কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। চন্দ্রা থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে। ফলে গাড়ি চলছে ধীরগতিতে।

এদিকে যাত্রীদের কাছ থেকে মিলছে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগও। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও টাঙ্গাইল অংশেও রয়েছে যানবাহনের চাপ। আজ সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাস‌ড়কের টাঙ্গাইল সদরের আশেকপুর বাইপাস থেকে সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃ‌ষ্টি হয়েছে। এর আগে ভোরে সেতুর উপর ২২ নম্বর পিলারের কাছে এক‌টি ডাবল ডেকার বাস বিকল হয়ে যাওয়ার পর সে‌টি উদ্ধারে ৫‌ মি‌নিট টোল আদায় বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কে প‌রিবহনের চাপ আরও বেড়ে যায়।


আরও খবর



ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলার কথা স্বীকার করলেন নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের হামলায় সাত ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনার দায়স্বীকার করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, ভুল করে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

আজ মঙ্গলবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক হামলায় দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) এর সাত ত্রাণকর্মী নিহত হন। তাদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ফিলিস্তিনের নাগরিক ছিলেন। এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।

নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল ভুলবশত গাজায় নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় আমাদের বাহিনীর ভুলবশত করা হামলায় গাজা উপত্যকায় নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

যুদ্ধে এমন ভুল হয় দাবি করে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবো। আমরা সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর সঙ্গে আলোচনা করব। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে সে বিষয়ে আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি।


আরও খবর



এবার কুষ্টিয়ায় ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

বান্দারবানে একাধিক ব্যাংকে চুরি-ডাকাতির পর এবার কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একটি ব্যাংকে চুরির খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার আলাউদ্দিন নগরে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকের শাখা অফিসে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্যাংকের ভল্ড ভেঙে পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৬৬৮ টাকা চুরি হয়েছে। ব্যাংকের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে চোর।

বুধবার (৩ মার্চ) সকালে অফিস খোলার পর বিষয়টি নজরে আসে কর্মকর্তাদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।

এজেন্ট ব্যাংক ইনচার্জ শামসুল আলমের দাবি, এ সময় পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৬৬৮টাকা, কম্পিউটার, সিসিটিভি, ডিভাইস সহ মালামাল চুরি হয়েছে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, পুরো বিষয়টি প্রাথমিকভাবে আমার কাছে নাটকীয় এবং সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।

উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করেছে অস্ত্রধারীরা। এর আগে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে প্রায় ২ কোটি টাকা লুট করে অস্ত্রধারীরা।


আরও খবর