আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ঘুরে আসুন মরমি সাধকের দেশে

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

লোকে বলে বলেরে, ঘরবাড়ি ভালা নায় আমার

কী ঘর বানাইমু আমি, শূন্যের-ই মাঝার

ভালা করি ঘর বানাইয়া, কয় দিন থাকমু আর

অয়না দিয়া চাইয় দেখি, পাকনা চুল আমার।

পরিচিত গানের কথাগুলো মরমি সাধক কবি দেওয়ান হাসন রাজার। গানের এ কথাগুলোর সঙ্গে হাসন রাজার জীবনবোধ যে একেবারে মিলেমিশে একাকার। বেশ মিল রয়েছে তাঁর সর্বশেষ স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটির। যেখানে একটি জাদুঘরে সংরক্ষিত হচ্ছে তাঁর স্মৃতিচিহ্নগুলো। এখনো বাংলার লোকগানে ফিরে আসেন হাসন রাজা তাঁর লেখা অসাধারণ জীবনবোধের কবিতা ও গান নিয়ে। আজ থেকে বহু বছর আগে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর ধারে প্রতাপশালী দাপুটে এ জমিদার বৈরাগ্য সাধনে মুক্তির পথ বেছে নিয়েছিলেন। প্রজাদের ওপর বিনা কারণে অত্যাচারী এবং ভোগবিলাসে মত্ত ছিলেন জমিদার হাসন রাজা। পরে এক আধ্যাত্মিক স্বপ্ন-দর্শন তাঁর জীবনকে আমূল পাল্টে দেয়। মন হয়ে ওঠে প্রসারিত, জীবন হয়ে ওঠে সহজ, সরল ও সাদাসিধে। বিলাসপ্রিয় জীবন ছেড়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছাড়লেন জমকালো পোশাক। চরিত্রে এলো এক সৌম্যভাব; পরনে এলো সুফি পোশাক। জীবনের যত ভুলত্রুটি, শোধরাতে শুরু করলেন একে একে।

এতক্ষণে নিশ্চয় ভাবছেন, একদিন ঘুরে এলেই তো হয় হাসন রাজার বাড়ি। কেমন ছিলেন তিনি জানার প্রয়োজন। সাধারণ এক বাড়িতে সাধক এ রাজার যে স্মৃতিচিহ্ন এখনো অবশিষ্ট আছে, তা দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে সুনামগঞ্জ শহরের আরফিন নগরে। খুব সাদামাটা এক বাড়িতে সংরক্ষিত শেষ স্মৃতিচিহ্নগুলো নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি জাদুঘর, যা আপনাকে নিয়ে যাবে উনিশ শতকের শুরুর দিকের সেই সময়টাতে। ছোটখাটো কিন্তু সংরক্ষণের জন্য অনন্য সব জিনিস আপনাকে মুগ্ধ করবে নিশ্চিত। রাজার আয়েসি জীবন থেকে শুরু করে আপনি দেখতে পাবেন কবি জীবনের সব সংগ্রহ। বাদক যন্ত্র থেকে রাজার জমিদারি ম্যাপকী নেই সেই সংগ্রহে! আছে রাজার খড়মসহ ব্যবহার্য জিনিসপত্র। ঘরের এবং ঘরের বাইরের সব সংগ্রহের পাশাপাশি অবস্থান পেয়েছে বিশিষ্টজনের সঙ্গে রাজার সাক্ষাৎ ও দর্শনার্থীদের ভ্রমণের বিশেষ কিছু ছবি। এসব দেখতে দেখতে আপনি রাজার সেই আমলে ফিরে যাবেন; কল্পনার তুলিতে আঁকতে চাইবেন রাজার জীবন দর্শন। কীভাবে একজন রাজা একাধারে এত বড় রাজ্য শাসনের পাশাপাশি কবিতা ও গানের সঙ্গে নিজের জীবনবোধকে সাধনার রাজ্যে নিবিষ্ট করেছিলেন। কী ছিল তাঁর জীবন দর্শন?

এই মরমি সাধককে নিয়ে আজ দেশ-বিদেশে চলছে বিস্তর গবেষণা, তাঁর জীবনের বোধ কি এত সহজেই আবিষ্কার করা সম্ভব? না, তবে যেটুকু দেখে ফিরলেন তাতে হাসন রাজা সম্পর্কে জানার আগ্রহটা আরো বাড়িয়ে দেবে আপনার। সুনামগঞ্জের এই জাদুঘরের পাশাপাশি আপনি হাসন রাজা সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে অন্য একটা মিউজিয়ামও ঘুরে আসতে পারেন। সিলেট শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই মিউজিয়ামের নাম রাজাস মিউজিয়াম। এটা শহরের জিন্দাবাজার এলাকায় অবস্থিত।

সুনামগঞ্জে এসেছেন আর কী দেখবেন? রাজার বাড়ি দেখার পর শহরটা ঘুরে দেখতে চাইলে বিকেলের শেষ দিকে আপনি ঘুরে আসতে পারেন অনিন্দ্য সুরমা নদীর ওপর নবনির্মিত আবদুজ জহুর সেতু থেকে। সুনামগঞ্জের যোগাযোগব্যবস্থার বিপ্লব বললেও ভুল হবে এই সেতুকে। সুরমা নদীর দুই পাড়ের জনপদের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপনকারী এই সেতুতে বিকেলের নিরিবিলি সময়টা কাটাতে পারলে আপনার অন্যতম একটি বিকেল হবে সেটি। বিশম্ভরপুর, তাহিরপুর আর জামালগঞ্জের সঙ্গে যোগ হওয়া এই সেতু থেকে পানিবেষ্টিত সুনামগঞ্জ শহর আর এর আশপাশের সবুজ প্রকৃতি আপনাকে বিমোহিত করবে। এর পর সন্ধ্যার আগে আগে রিকশা নিয়ে চলে যান শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সরকারি জুবিলী স্কুল দেখতে। অনেক জ্ঞানী-গুণীর বিদ্যাপীঠ এটি। জুবিলী স্কুলের পাশে রিভারভিউ পর্যটন কেন্দ্রটি আপনাকে দেবে অন্যরকম ভালোলাগা। সন্ধ্যার পর এখানে বসে কাটিয়ে দিতে পারেন কিছুটা সময়। বোনাস হিসেবে পাবেন দূরের পাহাড়ে মিটমিট আলো জ্বালানো ভারতের বেশ কিছু শহরের জেগে থাকার মনোরম দৃশ্য। নিশ্চিতভাবে আপনার ভ্রমণান্দ বাড়িয়ে দেবে অলস বসে থাকা এই সময়টা।

একদিনের জন্য সুনামগঞ্জ এলে এর বাইরে শহরের এদিক-সেদিক একটু ঘুরতেই আপনার দিন শেষ হবে। ভ্রমণ লম্বা করতে চাইলে দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান টাঙ্গুয়া দেখতে পারেন। দেখতে যেতে পারেন নারায়ণ তলা বর্ডার হাট। তবে হাট বসে মাত্র মঙ্গলবার। যেতে হলে লাগবে জেলা প্রশাসনের অনুমতি। টাঙ্গুয়া দেখতে শীত আর বর্ষা মৌসুম সবচেয়ে ভালো সময়। এর পাশাপাশি সময় থাকলে যাদুকাটা আর টেংরাটিলাও ঘোরা যেতে পারে। তবে সব কটি স্থানে যেতে আপনাকে ব্যয় করতে হবে বেশ সময়। সঙ্গে গুনতে হবে বেশকিছু খরচাপাতি। শহরের বাইরে যেখানেই যেতে চান, আপনাকে সময় জেনে আসতে হবে। তবে পানি ঘেরা সবুজে আচ্ছাদিত সুনামগঞ্জ শহর ঘুরতে চাইলে সময়ের বাধা নেই। তবে বর্ষা মৌসুমে সুনামগঞ্জ গেলে আপনি বোনাস হিসেবে পাবেন যাওয়ার পথে দুই পাশে পানিবেষ্টিত গ্রাম আর মাতাল হাওয়ার মতো ঢলানো স্মৃতি। যেতে যেতেই আপনার কাছে অনেকটাই আবিষ্কৃত হয়ে যাবে এখানের সৌন্দর্য। দূরের পথ পাড়ি দেওয়ার ক্লান্তিটা ঝেড়ে ফেলেই আপনি প্রবেশ করবেন ছোট ছোট দালানকোঠা আর জাঁকজমকহীন এ শহরে।

কীভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে সুনামগঞ্জ যেতে হবে। মাঝপথে সিলেটে নেমে ক্লান্তি দূর আর খাওয়া-দাওয়া সেরে নিতে পারেন রেস্তোরাঁসমৃদ্ধ সিলেট নগরীতে। এখান থেকে সুনামগঞ্জ যেতে বাস ও কার দুটোই পাবেন। বাসের জন্য যেতে হবে কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে আর কারে চড়তে চাইলে শাহজালাল (রহ.) মাজার গেটের পাশ থেকে যেতে পারবেন সুনামগঞ্জ শহরে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত পরিবহন ব্যবহার করতে পারেন। রাস্তা বেশ ভালো। বাসে গেলে সময় লাগবে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা, আর কারে যেতে লাগবে এক ঘণ্টার কমবেশ। শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নামিয়ে দিলে রিকশা কিংবা বিদ্যুৎ চালিত অটোরিকশা মিলবে সহজেই। শহরের অন্য যেকোনো জায়গায় যেতেও মিলবে এসব যানবাহন।

থাকা-খাওয়া: সার্কিট হাউস বা সরকারি ডাকবাংলোর পাশাপাশি আপনি থাকার জন্য হোটেল পাবেন বটে, তবে রাজার দেশে নেই কোনো রাজকীয় হোটেল-মোটেল! দেখেশুনে থাকতে পারবেন। তবে আয়েশ করে থাকাটা হবে না। তাই বলে একেবারে বাসের অযোগ্য নয়। ছোট-বড় হোটেলে দিন কয়েক অনায়াসে কাটিয়ে দিতে পারবেন। তেমন অসুবিধা হবে না। খাবারের জন্য আছে নদীর পাড়ে মাছে ভরা খাবারের দোকান। চাইলে তাজা মাছের স্বাদ পাবেন এখানে। থাকা আর খাওয়ার জন্য দামি হোটেল না থাকলেও বিলাসহীন পরিশুদ্ধ সব আতিথেয়তা আপনাকে মুগ্ধ করবে।


আরও খবর
সময় এখন ক্যাম্পিংয়ের

বুধবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩




টেকনাফ সীমান্তে থেমে থেমে গোলাগুলি, আতঙ্ক

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে টানা কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত থেকে  শনিবার দুপুর পর্যন্ত গোলাগুলির আওয়াজ অনেকটা বেশি শুনা যায়। ফলে এ পাড়ের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল ও উনচিপ্রাং এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নাফ নদে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, টানা কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। কিন্তু আজ মধ্যরাতের পর থেকে শব্দ অনেকটা বেড়ে যায়। মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সহিংস ঘটনায় নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। এতে টেকনাফের হোয়াইক্যং উত্তরপাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কাঞ্জরপাড়া, হ্নীলা মৌলভিপাড়া, ওয়াব্রাং, ফুলের ডেইল, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া এলাকায় সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গুলি ও মর্টার শেলের শব্দ শোনা যায়। হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের ওপারের মিয়ানমারের কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা গ্রামগুলোতে যুদ্ধ চলছে।

উনছিপ্রাং এলাকার বাসিন্দা দিলদার আহমেদ বলেন, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে উনছিপ্রাং সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ হয়। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে হলেও মনে হচ্ছে- এগুলো আমাদের ঘরে পড়ছে। গুলি-মর্টার শেলের আওয়াজে ঘুম ভাঙে আমাদের।

লম্বাবিল এলাকার বাসিন্দা হামিদুর রহমান বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। ভোর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত টানা মর্টার শেল বিস্ফোরণ হয়। এতে আমাদের সীমান্তে বাসিন্দাদের ঘুম ভাঙে। আমরা অনেক আতঙ্কে আছি।

হোয়াইক্ষং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, টানা কয়েকদিন ধরে ভারী অস্ত্রের শব্দ শোনা যাচ্ছে। সীমান্তের কাছাকাছি বাসিন্দাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। বেশিরভাগ জেলেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এদিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা টহল বৃদ্ধি করেছে।


আরও খবর



বিআরটি প্রকল্পের ৭ ফ্লাইওভার খুলে দেওয়া হলো

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) অংশের সাতটি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে।

আজ রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভিডিও কানফারেন্সের মাধ্যমে ফ্লাইওভারগুলোর উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ফ্লাইওভারগুলোর মধ্যে আছে- এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (বাম পার্শ্ব), এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (ডান পার্শ্ব), জসীমউদ্দিন ফ্লাইওভার, ইউ-টার্ন-১ গাজীপুর ফ্লাইওভার, ইউ-টার্ন-২ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফ্লাইওভার, ভোগড়া ফ্লাইওভার ও চৌরাস্তা ফ্লাইওভার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‌এই সাতটি ফ্লাইওভার দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে। ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের জন্য এই সাতটি ফ্লাইওভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার।

তিনি বলেন, নানা ঝামেলায় এই প্রজেক্টের সম্পূর্ণ কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এখন এটি শেষের পর্যায়ে। আশা করি, এ বছরেই এটি পুরোপুরি খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। এ সময় এই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হতে জুন পর্যন্ত সময় লাগবে বলেও জানান মন্ত্রী।

প্রকল্পের ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (আরএইচডি) কাজ ১৬ কিলোমিটার, যার মধ্যে সাতটি ফ্লাইওভার রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতায় রয়েছে ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ।

সেতু কর্তৃপক্ষ উত্তরা হাউজ বিল্ডিং হতে টঙ্গী চেরাগ আলী মার্কেট পর্যন্ত এলাকার সড়কের কাজ করছে। বাকিটা হচ্ছে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে। এ ছাড়া সড়কের প্রধান করিডোরের সঙ্গে সংযোগের জন্য বিভিন্ন অংশে ১১৩টি সংযোগ সড়ক, ২৫টি বিআরটি স্টেশন, ঢাকা বিমানবন্দর ও গাজীপুরের শিববাড়ি এলাকায় দুটি বাস টার্মিনাল থাকছে প্রকল্পে।

বাস স্টপেজে প্রবেশ ও বের হওয়া এবং পথচারী পারাপারের জন্য থাকছে ৩০টি আন্ডারপাস, নতুন সড়কের দুপাশে উচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪১ কিলোমিটার ড্রেন ও ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাতও থাকছে এ প্রকল্পের অধীনে।

২০১১ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক প্রকল্পের প্রাথমিক সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করে। ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর একনেক বিআরটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। শুরুতে ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। এরপর কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়।

প্রকল্পের সবশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। শুরুতে প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ছিল চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত। কিন্তু পরে সময় বৃদ্ধি করে প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো হলেও পথ ছোট করে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে কেরানীগঞ্জের পরিবর্তে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত করা হয়।


আরও খবর



রমজানে আল-আকসায় নামাজ পড়তে পারবেন মুসল্লিরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রতি বছরের মতো এবারও রমজান মাসের প্রথম সপ্তাহে আল-আকসা মসজিদে নামাজ পড়তে পারবেন মুসল্লিরা। মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিগত বছরগুলোতে রমজানের প্রথম সপ্তাহে যত সংখ্যক মুসল্লি টেম্পল মাউন্টে (আল-আকসা) আসতেন, এ বছরও তাতে কোনো ব্যতিক্রম হবে না। তবে প্রতি সপ্তাহে জেরুজালেম ও টেম্পল মাউন্ট এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

প্রতি বছর রমজান মাসে হাজার হাজার মুসলিম আল-আকসায় নামাজ আদায় করেন। গত বছর অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ফলে ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলিদের মাঝে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এদিকে মুসলিমদের আল-আকসায় নামাজ পড়তে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, পশ্চিম তীরে উত্তেজনা বাড়ানোটা ইসরায়েলের নিজের নিরাপত্তার জন্যই ক্ষতিকর।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এরপর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান সেই অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ।


আরও খবর



আমেরিকায় নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে অভিনব কৌশল টিকটকের

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আমেরিকায় টিকটক নিষিদ্ধ করতে একটি বিল পাস করেছে দেশটির কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। এখন উচ্চকক্ষ সিনেটে পাস হওয়ার অপেক্ষা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবহারকারীদের প্রতি সিনেটরদের কাছে ফোন করার আহ্বান জানিয়েছে জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, টিকটকের পক্ষ থেকে ব্যবহারকারীদের কাছে নোটিফিকেশন পাঠানো হচ্ছে। এতে কোম্পানিটি বলছে, আপনার সিনেটরকে জানান টিকটক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। টিকটক নিষেধাজ্ঞায় না ভোট দিতে বলুন।

গত বুধবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ বা প্রতিনিধি পরিষদে টিকটক নিষিদ্ধের বিল পাস হয়। প্রতিনিধি পরিষদের ভোটের আগেও কোম্পানিটি ব্যবহারকারীদের অনুরোধ করেছিল জনপ্রতিনিধিদের কল করতে।

এদিকে মার্কিন আইন প্রণেতারা আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন কোম্পানিটির বিরুদ্ধে। কারণ, প্রতিনিধি পরিষদের ভোটের আগে জনপ্রিতিনিধিদের অফিসগুলোয় ফোন কলের বন্যা বয়ে গিয়েছিল।

নোটিফিকেশনের পাশাপাশি সিনেটরদের সহজে কল দেওয়ার ব্যবস্থাও যুক্ত করে দিয়েছে টিকটক। প্ল্যাটফর্মটিতে কল নাউ বাটন যোগ করা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা এ বাটনে ট্যাপ করে জিপ কোড দিলেই অ্যাপটি নিজে থেকে ওই অঞ্চলের সিনেটরের অফিসের নম্বর খুঁজে বের করবে।

আমেরিকায় ১৭ কোটি মানুষ টিকটক ব্যবহার করছে। টিকটক নিষিদ্ধের বিলটি পাস হলে, অ্যাপটি ছয় মাসের মধ্যে সরিয়ে নিতে হবে অথবা টিকটককে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স থেকে আলাদা হয়ে যেতে হবে।


আরও খবর



গাজায় অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে : ইইউ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জার পাশাপাশি হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। এতে করে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে।

এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজায় অনাহারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে অভিযোগ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বুধবার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ইইউর পররাষ্ট্র নীতি প্রধান জোসেফ বোরেল। তিনি অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে সহায়তার অপ্রতুল প্রবেশকে মানবসৃষ্ট বিপর্যয় হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

যুদ্ধে জর্জরিত গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষের প্রান্তে থাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য ২০০ টন খাদ্যদ্রব্যবাহী একটি জাহাজ ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী দেশ সাইপ্রাস থেকে রওনা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরের দিকে সাইপ্রাসের লারনাকা বন্দর থেকে রওনা দেয় ওপেন আর্মস নামের সেই ত্রাণবাহী জাহাজটি।

কিন্তু জাতিসংঘ বলেছে, স্থলপথে সাহায্য বিতরণের বিকল্প হতে পারবে না ওই জাহাজ। এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দক্ষিণ গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

এই অঞ্চলে সাহায্য সরবরাহের দ্রুততম ও সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো রাস্তা দিয়ে সহায়তা পাঠানো। কিন্তু সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার মানে হচ্ছে- যে পরিমাণ সাহায্য প্রয়োজন, তার কেবল একটি ভগ্নাংশই সেখানে প্রবেশ করছে। আর তাই সড়ক পথে সহায়তা পাঠানোর পরিবর্তে সমুদ্র এবং আকাশ থেকে সহায়তা সরঞ্জাম নিচে ফেলার মতো বিকল্প বিভিন্ন পন্থার দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল বলেছে, গাজার খাদ্য সংকটের জন্য তারা দায়ী নয় কারণ তারা দক্ষিণে দুটি ক্রসিং দিয়ে সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে।

তবে মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দেওয়ার সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, কার্যকর স্থলপথের অভাবের কারণে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা এখন এমন জনসংখ্যার মুখোমুখি হচ্ছি যারা নিজেদের বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে। গাজায় মানবিক সহায়তার প্রয়োজন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই সহায়তা সেখানে পাঠাতে যতটা সম্ভব কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, (মানবিক সংকট) মনুষ্যসৃষ্ট এবং যখন আমরা সমুদ্র, আকাশপথে সহায়তা প্রদানের পথ খুঁজি, তখন আমাদের মনে রাখতে হবে, রাস্তার মাধ্যমে সহায়তা প্রদানের প্রাকৃতিক উপায়... কৃত্রিমভাবে বন্ধ। অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং যখন আমরা ইউক্রেনে এই ঘটনার নিন্দা করেছি, তখন গাজায় যা ঘটছে তার জন্যও আমাদের একই শব্দ ব্যবহার করতে হবে।

এর আগে গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ বা ভূখণ্ডটির মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ দুর্ভিক্ষ থেকে এক ধাপ দূরে রয়েছে বলে জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে জানিয়েছিলেন। একইসঙ্গে তিনি সেসময় সতর্ক করে বলেন, কোনও ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া না হলে গাজায় ব্যাপক দুর্ভিক্ষ প্রায় অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭০ হাজার মানুষ।

ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত দুই সপ্তাহে সেখানকার হাসপাতালে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে অন্তত ২৭ জন মারা গেছে। অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় মৃতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে।


আরও খবর