আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ঘুরে আসুন ঢাকা থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকা থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত কুমিল্লা জেলা চট্রগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। কুমিল্লার আয়তন ৩০৮৫.১৭ বর্গ কিলোমিটার। এর উত্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নারায়ণগঞ্জ, দক্ষিণে নোয়াখালী ও ফেনী, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা, পশ্চিমে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর। কুমিল্লার প্রধান ৩টি নদী হচ্ছে মেঘনা, গোমতী ও ডাকাতিয়া নদী।

কুমিল্লা শহর গোমতী নদীর তীরে অবস্থিত। এই জেলাটি ১৭৯০ সালে ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে কুমিল্লা নামকরণ করা হয়। কুমিল্লা জেলায় উপজেলা ১৬ টি ও পৌরসভা আছে ২৭ টি। ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ট্র্যাঙ্ক রোড কুমিল্লায় অবস্থিত। কুমিল্লা কোর্ট রোড ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ট্র্যাঙ্ক রোডের বর্ধিতাংশ যা চট্রগ্রাম বন্দরের সাথে যোগাযোগ রক্ষার কাজে ব্যবহৃত হয়। কুমিল্লা ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের জন্য বিখ্যাত। আসুন আজ জেনে নিই কুমিল্লার দর্শনীয় স্থান গুলো সম্পর্কে।

লালমাই, ময়নামতি এবং শালবন বিহার: কুমিল্লার ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হচ্ছে লালমাই ময়নামতি এবং শালবন বিহার । এখানে অনেক টিলা আছে, এর উত্তরের অংশকে ময়নামতি এবং দক্ষিণের অংশকে লালমাই বলা হয় এবং শালবন বিহার হচ্ছে লালমাই ও ময়নামতির মধ্যস্থলে অবস্থিত। রাজা বুদ্ধদেব অষ্টম শতাব্দীতে এটি নির্মাণ করেন। এতে ১১৫ টি কক্ষ, প্রশস্ত চত্বর এবং মধ্যখানে ক্রুশাকারের মন্দির অবস্থিত। মন্দিরের একটাই মাত্র প্রবেশ পথ যা উত্তর দিকে মুখ করা অনেকটা পাহাড়পুর মঠের মত। এই কক্ষ গুলোতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা থাকতেন এবং জ্ঞানার্জন ও ধর্মচর্চা করতেন। শালবন বিহার থেকে ৫ কিলোমিটার উত্তরে ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে কুটিলা মুড়া অবস্থিত যা বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠার নিদর্শন বহন করছে। এখানে পর পর ৩টি বৌদ্ধস্তূপ আছে যা বুদ্ধ, ধর্ম্যা ও সংঘ এই ত্রি রত্নের প্রতিনিধিত্ব করছে। কুটিলা মুড়ার উত্তর-পশ্চিম অংশে ২.৫ কিলোমিটার  দূরে ছোট আয়তকার মঠ চারপত্র মুড়া অবস্থিত। এই মঠের শুধু পূর্ব দিকেই দরজা আছে যা একটি প্রশস্থ হল রুমের দিকে গেছে। এছাড়াও আছে ইটখোলা মুড়া, রুপবান মুড়া, লটিকত মুড়া ও ভুজ বিহার আছে। ময়নামতি যাদুঘরে সপ্তম ও অষ্টম শতাব্দীর অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন যেমন- তাম্রফলক, স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, ব্রোঞ্জের তৈরি মূর্তি, পাথরের ভাস্কর্য ও পোড়ামাটির ফলক সংরক্ষিত আছে।    

যেভাবে যাওয়া যায়: কুমিল্লা শহর হতে ট্যাক্সি যোগে যাওয়া যায়। কুমিল্লা সেনানিবাস বাসস্ট্যান্ড হতে ট্যাক্সি, বাস বা রিক্সা করেও যাওয়া যায়।

ওয়ার সিমেট্রি: ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত ওয়ার সিমেট্রিতে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় নিহত সৈনিকদের সমাধিস্থল। বাংলাদেশ, আসাম ও মিয়ানমারে ৯টি সমাধিক্ষেত্র তৈরি করা হয় এর মধ্যে বাংলাদেশে ২টি নির্মাণ করা হয়, একটি কুমিল্লাতে এবং অন্যটি চট্রগ্রামে। এই সমাধি ক্ষেত্রটিতে ১৯৩৯-১৯৪৫সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় নিহত বিভিন্ন দেশের ৭৩৬টি কবর আছে। সমাধিক্ষেত্রটিতে প্রচুর গাছ রয়েছে।

যেভাবে যাওয়া যায়: কুমিল্লা শহর হতে ট্যাক্সি যোগে যাওয়া যায়।

বার্ড: বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বার্ড নামে পরিচিত। এটি মূলত গ্রামীণ  জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ ও গবেষণার কাজ করে। এটি কুমিল্লা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে কোটবাড়িতে ময়নামতি-লালমাই এলাকায় অবস্থিত। ১৫৬ একর জমি নিয়ে বার্ড গঠিত। এতে ট্রেনিং ক্যাম্পাস, মসজিদ, রেস্ট হাউজ, লাইব্রেরী, রেস্টুরেন্ট, অডিটরিয়াম, খেলার জায়গা, ছোট ছোট পাহাড় ও খোলা জায়গা আছে। বার্ড এর মূল পরিকল্পনাকারী ডা. আক্তার হামিদ খান। এটি চমৎকার একটি পর্যটন এলাকা।

ধর্ম সাগর: বড় পুকুরকে দীঘি বা সাগর বলা হয়। ধর্ম সাগর সেই রকম একটি দীঘি। এটি কুমিল্লা শহরের মধ্যস্থলে অবস্থিত। দীঘির পাশেই একটি পার্ক আছে। ত্রিপুরার রাজা ধর্ম মাণিক্য এই দীঘিটি খনন করিয়েছিলেন। এই দীঘির বাম পাশে প্রতিবছর এই দীঘির পাশে মেলা বসে এবং পহেলা বৈশাখে নৌকা বাইচ হয়।

কুমিল্লা শহরের মধ্যস্থলে রানী কুটিরের পাশে নজরুল ইন্সটিটিউট অবস্থিত। এছাড়াও আছে রুপ সাগর, শাহ্‌ সুজার মসজিদ, পাঁচ পীরের মাজার, চান্দিমুড়া মন্দির, রাজ্যেশ্বরী কালী বাড়ি, বীরচন্দ্র গণ পাঠাগার ও মিলনায়তন, নবাব ফয়জুন্নেসার বাড়ী, সংগীতজ্ঞ শচিন দেব বর্মণের বাড়ী, রাজেশপুর বন বিভাগের পিকনিক স্পট, কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী নার্গিসের বাড়ী, জোড়কানন দীঘি, জগন্নাথ দীঘি। কুমিল্লার মাত্রিভান্ডারের রসমলাই অনেক জনপ্রিয়। কুমিল্লার খাদি কাপড় ও বাটিকের কাপড়ের সুনাম ও আছে প্রচুর।

পরিবহন ও যোগাযোগ : গাড়ী, বাস বা ট্রেনে ঢাকা থেকে কুমিল্লা যাওয়া যায়। ঢাকার সায়েদাবাদ ও কমলাপুর বি আর টি সি বাস কাউন্টার থেকে বাস ছাড়ে। কুমিল্লায় শাসনগাছা বা জাঙ্গালিয়া এবং ষ্টেশন রোড বি আর টি সি বাস কাউন্টার প্রধান বাস টার্মিনাল। ঢাকা থেকে কুমিল্লায় পৌঁছাতে আড়াই থেকে সাড়ে তিন ঘন্টা সময় লাগে।

হোটেল :  কুমিল্লা জেলা স্কুলের সামনেই আছে বাংলা রেস্তোরা, পদুয়ার বাজার বিশ্ব রোডে আছে নুরজাহান হোটেল, চন্দুমিয়ার হোটেল, বাদশা মিয়ার বাজারে আছে ময়নামতি হোটেল, মেলোডি, কান্দিরপারে দিনা হোটেল, মনোহরপুরে ইয়াম ইয়াম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।


আরও খবর
সময় এখন ক্যাম্পিংয়ের

বুধবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩




বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড

পুড়ে মারা গেলেন এডিশনাল ডিআইজির বুয়েট পড়ুয়া মেয়ে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছেন দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্রী লামিশা ইসলাম। তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি মো. নাসিরুল ইসলাম বিপিএমের মেয়ে লামিশা।

২০১৮ সালে অসুস্থতাজনিত কারণে লামিশার মারা যান মা। এরপর ছোট বোন আর বাবাকে আগলে রাখতেন লামিশা। দুই কন্যা সন্তানের কথা চিন্তা করে পুলিশ কর্মকর্তা বাবা ডিআইজি মো. নাসিরুল ইসলাম আর বিয়ে করেননি। স্কুল-কলেজ পেরিয়ে লামিশা ভর্তি হয়েছিলেন দেশসেরা বিদ্যাপীঠে। কিন্তু মেধাবী এই শিক্ষার্থীর জীবন প্রদীপ নিভে গেল রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনে।

এ নিয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ছোট বেলায় মা হারা পরিবারে লামিশারা ছিল দুই বোন। হঠাৎ আগুনে আবারও বিধ্বস্ত হলো এ পরিবারটি। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও বলেছিলেন, আমাদের একজন সহকর্মীর মেয়ে মারা গেছেন। পরে জানা যায়, সেই মেয়েটিই নিহত লামিশা ইসলাম।

লামিশাকে হারিয়ে বাবা পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি (রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ক্যারিয়ার প্ল্যানিং-১) নাসিরুল ইসলাম হয়ে পড়েছেন বাকরুদ্ধ। তার সহকর্মীরাও শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার সংবাদ আসে ফায়ার সার্ভিসের কাছে। এরপর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ ঘটনায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়া, গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। আহত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে ৩৫ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।

পরিস্থিতিকে ভয়াবহ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন, তাদের বেশিরভাগের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাইকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনার নেপথ্যের কারণ, ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণসহ হতাহত বেশি হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।


আরও খবর



কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১০ মার্চ) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবাষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রসীমা আইন জাতির পিতাই প্রথম করেছিলেন। ৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের পর দায়িত্বে আসা কোনো সরকারই কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয়নি। সমুদ্রে বাংলাদেশ নিজস্ব সীমানার মালিক হয়েছে। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে এটি সম্ভব করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

তিনি বলেন, নতুন দুটি জাহাজ ও হেলিকপ্টার যুক্ত হচ্ছে কোস্ট গার্ডে। যুক্ত হবে আধুনিক মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স সিস্টেম। অচিরেই ত্রিমাত্রিক বাহিনী হতে চলেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চেয়েছিলেন শোষিত, বঞ্চিত, ক্ষুধার্ত, নিপীড়িত বাঙালির জীবন উন্নত করতে। সে লক্ষ্য নিয়ে তিনি দেশ স্বাধীন করেন। আমাদের দেশে বিশাল সমুদ্রসীমা তিনি নিশ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশে যেন নৌকাঘাটি হয় ৬ দফা তিনিই দাবি করেছিলেন। সমুদ্র সীমানা আইন জাতিসংঘ করেছিল ১৯৮২ সালে, আর জাতির পিতা করে ১৯৭৪ সালে, এটা বিশ্বের দৃষ্টান্ত ছিল। 

সরকারপ্রধান বলেন, ১৫ আগস্টে জাতির পিতা হত্যা করার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, জিয়া সরকার, এরশাদ সরকার বা খালেদা জিয়ার সরকার কেউ কিন্তু সমুদ্র সীমায় আমাদের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। ৯৬ সালে সরকার গঠন করার পরই আমরা উদ্যোগ নেই। সমুদ্র সীমায় আমাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করি। পাঁচ বছর পরে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারি নাই। ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত কেউ আর উদ্যোগ নেয়নি। ২০০৯ সালের সরকার গঠন করেই সমুদ্রসীমা আমাদের যে অধিকার তার নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করি। আল্লাহ রহমতে আমরা সেটা করতে পেরেছি।

তিনি আরো বলেন, দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। প্রত্যেকেই একটি ঠিকানা পাবে, উন্নত জীবন পাবে। সে লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে। সমুদ্রসীমায় যে সম্পদ রয়েছে, তা দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ জন্য ইতোমধ্যে সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনোমি ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সংযোগস্থল হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে কোস্টগার্ডকে নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বানও জানান তিনি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিস্যাট নেট কমিউনিকেশন সিস্টেমসহ ৫টি স্টেশন ও একটি আউটপোস্টের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী।


আরও খবর



এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা

পিরোজপুরে কেন্দ্র পরিবর্তন হওয়ায় অংশ নেয়নি দুইতৃতীয়াংশ পরীক্ষার্থী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর আদেশে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সদ্য সমাপ্ত এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি দুইতৃতীয়াংশ পরীক্ষার্থী। নতুন কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ৩০ কিলোমিটার দুরত্ব ও যাতায়াত ব্যাবস্থা ভালো না থাকায় এমনটি হয়েছে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, এবারের এসএসসি ভোকেশনাল  পরীক্ষায় জেলার নাজিরপুরের মালিখালী ইউনিয়নের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র (কোড-৩৭০৩৬) ভেন্যু বাতিল করা হয়। এতে ওই এলাকার আশেপাশের তিনটি স্কুল লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর কারিগরি পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পরে । এই তিন স্কুল থেকে প্রতি বছর ৫০ থেকে ৬০ জন কারিগড়ি পরীক্ষা দিতো লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে । পরীক্ষা কেন্দ্র ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ার আদেশ আসায় ওই স্কুল গুলোর দশম শ্রেণির (কারিগরি) ২৫ থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশন করেনি। এ কারনে এবার এস এস সি ভোকেশনাল পরীক্ষার জন্য ফর্মফিলাপ করে মাত্র ৩১ জন শিক্ষার্থী।

নির্ধারিত নতুন পরীক্ষা কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, বাতিল হওয়া কেন্দ্র থেকে ৩০ থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় ভোগান্তিতে পরে ৩১ পরীক্ষার্থী। স্কুল গুলোর শিক্ষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার প্রথমদিনে পরীক্ষার্থীরা মধুমতি নদী পারি দিয়ে চড়াই উৎরাই পার হয়ে পরীক্ষা দিতে আসলেও দ্বিতীয় দিনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে অনুপস্থিত হয় ৩জন। এভাবে শেষ পরীক্ষায় অনুপস্থিতির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮ জনে।  শেষ পর্যন্ত ১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এতে করে ১৮ জন পরীক্ষার্থী শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়ে। এ নিয়ে বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (অনুপস্থিত) পরীক্ষার্থী অশোক কির্তনিয়া বলেন, নতুন কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ  ৩০ থেকে ৩২ কিলোমিটার দুরত্বের কারনে এবার পরীক্ষা দিতে যেতে পারিনি। তাছাড়া আমি ওখানে থেকে যে পরীক্ষা দিবো তার ব্যায় আমার বাবা বহন করতে পারবে না। যদি আবারও লরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা হয় তাহলে আগামী বছর পরীক্ষা দিবো।

লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী লাবন্য মল্লিক বলেন, আমি পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে কেন্দ্র পরিবর্তন হয়ে নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ হওয়ায় আমি আর পরীক্ষা দিতে পারলাম না। ৩৪/৩৫ কিলো মিটার দূরে গিয়ে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব না। এখানে যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ। তাছাড়া বড় একটি নদী খেয়া পার হয়ে যেতে হয়। আমরা সকালে রওয়ানা দিয়ে পরীক্ষার হলে যেতে ৩ ঘন্টা লেগে যেতো। এভাবে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব না। যদি  কখনও লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ,তাহলে আবার পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবো। না হলে আর পরীক্ষা দেয় হবে না।

এ বিষয়ে মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থী রনজিত বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানতে পারছি এতো দূরে গিয়ে পরীক্ষা দেয়ার খরচ মেটাতে না পারায় পরীক্ষা দেয় নাই। এবার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি ভোকেশনাল ১৮ জন পরীক্ষার্থী ছিলো। শেষ পর্যন্ত আমাদের মাত্র ৭ জন পরীক্ষা দিয়েছে।

এ বিষয়ে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  ট্রেড ইন্সট্রাক্টর (ইলেকট্রিক্যাল) দিপঙ্কর সমাদ্দর বলেন, এভাবে কেন্দ্র কেটে নেয়ায় পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। তিনটি স্কুল দিয়ে এবার সব কটি পরীক্ষা দিয়েছে মাত্র ১৩ জন। আর গত দশ বছর লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থাকায় প্রতি বছর প্রায় ৫০/৬০ পরীক্ষা দিতো। ফলাফলও ভালো করতো।

এ বিষয়ে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাষ কান্তি বিশ্বাস বলেন, আমার বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন করেছিলো ৩৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্র নাজিরপুর সদরে চলে যাওয়ায় মাত্র ১৭ জন শিক্ষার্থী ফর্মফিলাপ করে। ১৩ শিক্ষার্থী আর ফর্মফিলাপ করে নাই। এ থেকে শেষ পর্যন্ত মাত্র ৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।

এ বিষয়ে পিরোজপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.ইদ্রিস আলী আযিযী বলেন, আমার এই বিষয়টা জানা ছিলো না। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিবো। আমি খোঁজ খবর নিয়ে এ ব্যাপারে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।

উল্লেখ্য , ২০১৩ সালে লরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র অনুমোদন দেয়া হয়। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ কেন্দ্রে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর কারিগরি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতো।


আরও খবর



হঠাৎ অবসরে রোমান সানা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আর আর্চারি খেলবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রোমান সানা। অবসরের সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে আর্চারি ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন টোকিও  অলিম্পিকে খেলা এই আর্চার। চিঠিপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজি রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল, রোমান কিছুদিন আগে আমাদের কাছে লিখিতভাবে অবসরের কথা জানিয়েছেন। এটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, এখানে আমাদের কিছু করার নেই। সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা এটার প্রতি সম্মান দেখিয়েছি।’

আচমকা কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন রোমান সানা? এ ব্যাপারে তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। ভবিষ্যতে আবার ফিরতে চাইলে রোমান ফিরতে পারবেন।

তবে ফেডারেশন নিজেদের তাগিদে তাকে জাতীয় দলে ফেরানোর কোনো উদ্যোগ নেবে না বলে জানিয়েছেন রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল, সে চাইলে আবার ফিরতে পারবে। তবে সে যেহেতু আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত চিঠি দিয়ে অবসরে গেছে, সেভাবেই আবার লিখিতভাবে আবেদন করে ফিরে আসতে হবে।’

সময়টা ভালো যাচ্ছিল না রোমান সানার। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা না থাকায় বাদ পড়েছিলেন জাতীয় দল থেকে। ভুগছিলেন চোটেও। সর্বশেষ ইরাকে অনুষ্ঠিত হয়েছে এশিয়া কাপ আর্চারির স্টেজ ওয়ান প্রতিযোগিতা। সেই দল থেকে বাদ পড়েছিলেন রোমান। এখন টঙ্গীতে জাতীয় দলের ক্যাম্প ছেড়েও চলে গেছেন তিনি। প্যারিস অলিম্পিকের কোয়ালিফাই টুর্নামেন্টেও গত বছর থাইল্যান্ডে ভালো কিছু করতে পারেননি।

এর আগে টঙ্গীতে সতীর্থ আর্চারের সঙ্গে অসদাচরণের দায়ে ২০২২ সালে রোমানকে দুই বছরের জন্য ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সব রকমের প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করেছিল ফেডারেশন। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমিয়ে আনায় আর্চারিতে ফিরলেও আগের সেই ছন্দ ফিরে পাননি রোমান সানা।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




আমি নির্বাচনে হারলে মার্কিন গণতন্ত্রের অবসান ঘটবে : ট্রাম্প

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সময় যতই এগিয়ে চলেছে, বৈশ্বিক পরাশক্তি এই দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তাপও বাড়ছে সমানতালে। চার বছর আগের মতো এবারের নির্বাচনেও দেখা মিলবে বাইডেন ও ট্রাম্পের দ্বৈরথ।

আর তাই গত নির্বাচনের পরাজয়ের ক্ষত থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়াচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, সামনের নির্বাচনে তিনি হারলে মার্কিন গণতন্ত্রের অবসান ঘটবে।

এমনকি তিনি না জিতলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাওয়ার বিষয়েও সতর্ক করেছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রোববার (১৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার বলেছেন, তিনি যদি আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী না হন তবে এর অর্থ হবে আমেরিকান গণতন্ত্রের সম্ভাব্য সমাপ্তি বা অবসান। রিপাবলিকান পার্টির এই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ওহিওতে সমর্থকদের সাথে কথা বলার সময় ২০২০ সালের নির্বাচন নিয়ে তার ভিত্তিহীন দাবিরও পুনরাবৃত্তি করেন।

তিনি দাবি করেন, ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে ২০২০ সালের নির্বাচনে তার পরাজয় ছিল নির্বাচনী জালিয়াতির ফলাফল।

রয়টার্স বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার আউটডোরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প ভবিষ্যদ্বাণী করেন, তিনি যদি আগামী ৫ নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী না হন তবে আমেরিকান গণতন্ত্রের অবসান ঘটবে। ট্রাম্প বলেন, আমরা যদি এই নির্বাচনে না জিততে পারি, আমি মনে করি না যে আপনারা এই দেশে আর কোনও নির্বাচন পাবেন।

জর্জিয়ায় ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করার দায়ে ট্রাম্প বর্তমানে ফৌজদারি অভিযোগের অধীনে রয়েছেন। আর এর মধ্যেই চলতি সপ্তাহে রিপাবলিকান মনোনয়ন পাওয়ার জন্য যথেষ্ট সমর্থন পেয়ে গেছেন তিনি।

ট্রাম্প এদিন ডেটনে তার সমর্থকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই মন্তব্যটি করেন যারা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটলে দাঙ্গা ও হামলার জন্য কারাগারে রয়েছেন। সেদিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তুতি চলছিল।

একপর্যায়ে ক্যাপিটল ভবনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ও মূল ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন ট্রাম্প সমর্থকরা। হামলাকারীদের অনেকেই ছিল সশস্ত্র। ভেতরে ঢুকে সিনেট হলে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় তারা। শুধু তা-ই নয়, তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিসহ বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতার কার্যালয়ও তছনছ করে তারা। হামলা-সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ নিহত হন পাঁচজন। সেই ঘটনায়ই ট্রাম্পের অনেক সমর্থক কারাগারে রয়েছেন। তবে ট্রাম্প তাদেরকে স্যালুট জানান এবং তাদের দেশপ্রেমিক এবং জিম্মি বলেও আখ্যায়িত করেন।

রয়টার্স বলছে, সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট দেশের অবস্থা সম্পর্কে তার বক্তৃতায় ক্রমবর্ধমানভাবে ডাইস্টোপিয়ান (এমন কল্পিত রাষ্ট্র বা সমাজ যেখানে ব্যাপক যন্ত্রণা ও কষ্ট বা অবিচার আছে) ব্যবহার করছেন।

আমদানি করা গাড়ির ওপর শুল্ক বসানো এবং মার্কিন অটো শিল্পের জন্য বিদেশি প্রতিযোগিতার বিষয়ে নিজের বক্তৃতার একটি অংশের মাঝখানে ট্রাম্প ঘোষণা করেন: আমি যদি নির্বাচিত না হই, তবে এটি পুরো দেশের জন্য রক্তগঙ্গা হতে চলেছে।

এদিকে মার্কিন অটো শিল্প এবং অর্থনীতি সম্পর্কে আলোচনার মধ্যে ট্রাম্পের রক্তগঙ্গা মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রচারণার মুখপাত্র জেমস সিঙ্গার ট্রাম্পের চরমপন্থা, প্রতিশোধের প্রতি তার তৃষ্ণা এবং তার রাজনৈতিক সহিংসতার হুমকির নিন্দা করেন।

ট্রাম্প কৃষ্ণাঙ্গ এবং হিস্পানিকদের (লাতিন আমেরিকান বংশোদ্ভূত এবং বিশেষ করে কিউবান, মেক্সিকান বা পুয়ের্তোরিকান বংশোদ্ভূত ব্যক্তি যারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন) কাছেও আবেদন করেছেন।

তার মতে, এই ভোটাররা নভেম্বরের নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করবে।

নিউজ ট্যাগ: ডোনাল্ড ট্রাম্প

আরও খবর