বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির চাকমা সম্প্রদায়ের প্রায় ৪০০ জন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায়। পাশাপাশি কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গাও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় সীমান্তে জড়ো হচ্ছেন।
কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারে দেশটির সরকারের জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। এতে মিয়ানমার সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে আছে। এই অবস্থায় তারা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছেন।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে চলা সংঘর্ষে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে।
এদিকে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে ঘুমধুম সীমান্তের জলপাইতলীতে এক বাংলাদেশিসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন ঘুমধুম সীমান্তের জলপাইতলীর বাসিন্দা হাসিনা বেগম এবং অপরজন মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা বৃদ্ধা। তিনি ওই বাড়িতে কাজ করছিলেন। তার পরিচয় জানা যায়নি।
সীমান্ত এলাকায় চলমান অস্থিরতার কারণে বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিদ্যালয়গুলা হলো- বাইশপারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমকুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।