সিটি নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে কর্মী ও সমর্থকদের হয়রানি ও তাদের ওপর নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক আমাকে ঘুঘুর ফাঁদ দেখাবেন বলে ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিএনপির নেতাকর্মী ও আমার সমর্থকদের গ্রেফতার করা শুরু হয়। তার বক্তব্যের পর থেকে ঘুঘু ও ঘুঘুর ফাঁদ দেখা শুরু করেছি।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান। এ সময় মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, গত রাতেও আমার ৩৭ জন কর্মী ও সমর্থকের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রতি রাতে পোশাকে-সাদা পোশাকে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে।
তৈমুর আলম আরও বলেন, ঘুঘুর ফাঁদ দেখানোর যে কথা বলা হয়েছে, এটির যদি প্রতিফলন ঘটে, তাহলে সবচেয়ে বেশি ভাবমূর্তির ক্ষতি হবে প্রধানমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রী হয়তো বিষয়টি জানেন না, অতি উৎসাহী হয়ে কেউ আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-অত্যাচার চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে রেশমী আক্তার তার স্বামীকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেন। পরে তৈমুর বন্দরে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করতে বের হন।
সংবাদ সম্মেলনে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, মনিরুল ইসলাম রবি সিদ্ধিরগঞ্জের নির্বাচনি সমন্বয়ক। তার কাছে নির্বাচনের সব এজন্টে নিয়োগসহ কাগজপত্র ছিল। তাকে আগে গ্রেফতার করা হলো না। আমি যেদিন মনোনয়ন কিনেছিলাম সেদিন তিনি পাশে ছিলেন, যেদিন জমা দেই সেদিনও ছিল। যেদিন বাছাই হয় সেদিনও রবি পাশে ছিল। মার্কার দিনও আমার সঙ্গে ছিল। তখন তাকে গ্রেফতার করা হয়নি।