ঘরের কোথায় কোন আসবাব থাকবে, দেয়াল কীভাবে সাজানো হবে সেই প্ল্যান করা হয় খুব যত্ন সহকারে। কিন্তু ঘরের কোণ সাজাবার ব্যাপারে নজর দেওয়া হয় না একেবারেই। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঘরের কোণ থেকে যায় ফাঁকা। আজ থাকছে অন্দরের কোনা কীভাবে সাজাবেন সেই পরামর্শ।
অন্দরের আসবাব, আলো, সরঞ্জাম সবকিছু যেখানে যত্ন সহকারে হবে তখন কোনার দিকে কেন হবে অবহেলা। তাই ছোট স্থান হলেও বাড়ির কোনার দিকে দিতে হবে সমান গুরুত্ব। ঘরের বাকি আসবাবপত্র কেমন তার ওপর নির্ভর করবে কোনার সাজ কেমন হবে। এতে পুরো অন্দর সজ্জায় সামঞ্জস্য থাকবে। মাথায় রাখতে হবে ঘরের সৌন্দর্যের ব্যাপারটা। অনেক জিনিস দিয়ে জায়গা ভরে রাখলে চলবে না।
চাইলে ছোট এই স্পেসটি নিয়ে করতে পারেন নানা রকম এক্সপেরিমেন্ট। প্রয়োজনীয় আসবাব দিয়ে সাজাতে পারেন। আবার রাখতে পারেন বড় ফ্লাওয়ার ভাস। ফ্লোর ল্যাম্প রাখার আদর্শ জায়গা হতে পারে ঘরের কোণ। যদি সেই রুমে ডিভাইজার থাকে তবে সেটিও কোণে সেট করতে পারেন। ঘর সাজাতে গিয়ে মনে হতে পারে কোন ঘরে কী রাখবেন।
এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে ঘরের আকার, আয়তন। এছাড়া কর্নার ঘরের কোন অংশে তার ওপরও নির্ভর করবে কী ধরনের জিনিস রাখলে ভালো হবে। হতে পারে বসার ঘরের কোনা সাজাবেন। হয়তো তার পাশেই আছে রড় খোলা জানালা। সেক্ষেত্রে ফ্লোর ল্যাম্প না রেখে রাখতে পারেন কৃত্রিম বা আসল গাছ। যদি বন্ধ জায়গা হয় তবে রাখতে পারেন ফ্লোর বা হ্যাংগিং ল্যাম্প। অথবা কোনো কর্নার র্যাক রেখে তাতে সাজাতে পারেন শোপিস। বেডরুমের কোণ হলে বসার ব্যবস্থা করতে পারেন। ছোট জায়গা হলে একটি আরাম কেদারা যথেষ্ট।
কিংবা দিতে পারেন ছোট ছোট দুটি বেতের চেয়ার বা মোড়া। যেখানে বিকালে চায়ের মগ হাতে পছন্দের বই নিয়ে কাটবে সুন্দর সময়। যদি খাবার ঘর হয় তবে কোণে ক্রোকারি ইউনিট কিংবা তিনকোনা সরু শেল্ফ রাখতে পারেন। এতে ডাইনিং রুমে ব্যবহৃত বা রান্নার টুকিটাকি জিনিস রাখতে পারেন। যা প্রয়োজন তাই বেছে নিন। অযথা যা দরকার নয় বা বেশি ডেকর জিনিস দিয়ে স্পেস ভরিয়ে তোলার দরকার নেই।
শুধু সাজালেই হবে না। ঘর সজ্জায় নান্দনিকতাও থাকতে হবে। বাচ্চাদের ঘর হলে কোনায় রাখতে পারেন বুক শেল্ফ। যদি একটু বড় জায়গা হয় তবে স্টাডি কর্নার করতে পারেন। কোনা জুড়ে রাখতে পারেন কোণ ড্রয়ার বা টেবিল। তার আশপাশে রাখতে পারেন বসার জায়গা।
আবার কোনো আসবাব না রেখে দেয়ালে সুন্দর কিছু পেইন্টিং বা কারুকার্য করা মুখোশ, ওয়াল হ্যাঙ্গিং ঝুলিয়ে দিতে পারেন। দেয়ালের রঙ সাদা বা লাইট হলে গ্যালারি লাইটস রাখতে পারেন। খুব গাঢ় রঙের দেয়াল হলে ঘরে বেশি জিনিসপত্র রাখা যাবেনা। উজ্জ্বল রঙের ঘরে যত কম জিনিস থাকবে দেখতে তত ছিমছাম লাগবে।