বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি
শনিবার বিকেলে ৩টায় বিপদসীমার ২২ সেঃমিঃ উপর
দিয়ে প্রবাহিত হয়। যমুনা নদীর প্রবল স্রোতে ঘূর্নাবর্তের সৃষ্টি হয়ে কামালপুর ইউনিয়নের
ইছামার গ্রামে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত আছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে ইছামারা এলাকায়
যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে মূহুর্তের মধ্যেই ৮০টি বসতবাড়ীর জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে
যায়। বেশ কিছু ঘরবাড়ী ও মালামাল নদীতে ভেসে গেছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদারের মাধ্যমে
জরুরী ভিত্তিতে বালি ভর্তি জিও টিউব ও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করছে। শনিবার
সরেজমিনে গিয়ে ইছামারা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, একদিকে নদী ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে
কাজ চলছে। অপরদিকে নতুন করে আরোও ২ শতাধিক পরিবারের লোকজন নদী ভাঙ্গন আতঙ্কে ঘরবাড়ী
ও মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে। ইছামারা থেকে গোদাখালি পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার পরিত্যক্ত
বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দু’পাশে বসবাস করা এসব পরবিারের লোকজন তাদের
বসতঘর, মালামাল, গবাদিপশু নিয়ে অন্যত্রে সরিয়ে যেতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হওয়া ক্ষতিগ্রস্থ
পরিবার এবং নদী ভাঙ্গনে আতংকে লোকজনগুলো পাশেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছে
। বেশ কিছু পরিবার এলাকা ছেড়ে অন্য উপজেলায় চলে যাচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক জানান, শনিবার ৯টা পর্যন্ত যমুনা নদীর
পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপর থেকে অপরিবর্তিত থেকে যমুনার পানি বিপদসীমার ২২ সেঃমিঃ উপর
দিয়ে প্রবাহিত হয়। উজানে পানি কমেছে। নদী ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে।
আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। রবিবার থেকে পানি কমবে
এবং নদী ভাঙ্গন রোধ হবে বলে আসা করছি।
এদিকে বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম
শনিবার দুপুুরে ভাঙ্গন কবলিত ইছামারা এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি নদী ভঙ্গন ও বন্যায়
ক্ষতিগ্রস্ত ২’শ পরিবারের মাঝে
শুকনো খাবার বিতরণ করেন।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা
রেজাউল করিম মন্টু মন্ডল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সবুজ কুমার বসাক, পৌর
মেয়র মতিউর রহমান মতি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সাইফুল ইসলাম, কামালপুর ইউপি
চেয়ারম্যান রাছেদুউজ্জামান রাছেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।