অশ্লীল ভিডিও ধারণ এবং ব্ল্যাকমেইলের ফাঁদে
ফেলে অর্থ আদায়ের অভিযোগে অনামিকা খানম (২৪) এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ
তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার (২১ জুন) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার
করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ে ব্যবহৃত
মোবাইল ও ভিডিও কন্টেন্ট জব্দ করা হয়।
সিআইডি জানায়, অনামিকা খানম ঢাকার একটি
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে পড়েন। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই বিভিন্ন নেশায়
জড়িয়ে পড়েন। একসময় ড্যান্স ক্লাবের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন ডিজে পার্টিতেও অংশ নিতেন।
আরও পড়ুন: পলাশে পানিতে ডুবে শিশু আরিয়ানের মৃত্যু
অনামিকা বিভিন্ন ভুয়া পরিচয়ে ফেসবুক আইডি
খুলে বিভিন্নভাবে বুঝাতো সে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। বিশেষ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ
রাজনীতিবিদদের টার্গেট করে বন্ধুত্ব করতেন। সেখানে নিজেকে সুন্দর ও আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন
করতেন।
মুহূর্তেই পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব এবং অনলাইনে
ঘনিষ্ঠ করে তুলতেন নিজেকে। পরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভিডিও কলে নিয়মিত কথাও বলতেন। এক
পর্যায়ে সুকৌশলে একান্ত মুহূর্তের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও গোপনে ধারণ করে নিতেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার
এরপর সেই ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট
ব্যক্তিকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করতেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা
দিতে না পারলে ধারণকরা ছবি-ভিডিও ওই ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
ভাইরাল করার হুমকি দিতেন।
গত কয়েক বছর ধরে অনেকের কাছ থেকে এভাবে
অনৈতিক পন্থায় বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন, তবে শেষরক্ষা হয়নি অনামিকার। এক ভুক্তভোগীর
করা মামলার ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্সের একটি টিম।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান
জানান, অনামিকার মোবাইল ফোনে অসংখ্য লোকজনকে ব্ল্যাকমেইল করার তথ্য পাওয়া গেছে। বিকাশ-নগদের
মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার আলামতও পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে
বিভিন্ন প্রতারণাসহস সব অপকর্মের কথা স্বীকার করেছেন অনামিকা। মূলত নেশার টাকা যোগাড়
করতেই এই অনৈতিক পথ বেছে নিয়েছিল সে। তাকে পল্টন থানায় দায়ের করা একটি মামলায় (মামরা
নং-৫১) গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।