আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

ঘড়ির সাহায্যেই প্রাণ ফিরে পেলেন বৃদ্ধা

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অ্যাপল সংস্থার মোবাইল অনেকেই ব্যবহার করেন। আইফোন ছাড়াও অনেকের কব্জিতে শোভা পায় এই সংস্থার হাতঘড়িও। যা অ্যাপল ওয়াচ নামে পরিচিত। এই ঘড়ির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য আছে যেগুলি আমাদের শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখে। সম্প্রতি এই ঘড়ির সাহায্যেই প্রাণ ফিরে পেলেন এক বৃদ্ধা। তবে এই প্রথম বার নয়। এর আগেও অ্যাপল ওয়াচ প্রাণ বাঁচিয়েছে গ্রাহকের। তবে এই ঘটনা যেন সব সাফল্যকে ছাপিয়ে যায়।

আমেরিকার বাসিন্দা কিম ডুরকি নামক ৬৫ বছরের ওই বৃদ্ধা জানতেনই না যে তাঁর হৃৎপিণ্ডে বাসা বেঁধেছে টিউমার। শরীরের অন্দরে কী চলছে তার উপর নজর রাখতেই ওই হাতঘড়িটি কিনেছিলেন তিনি। শখ করে কেনা হাতঘড়িই যে তাঁর জীবন বাঁচাবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি বৃদ্ধা।

প্রথম দিন ঘড়ির কাছ থেকে নিজের অসুস্থতার সঙ্কেত পেয়ে গুরুত্ব দেননি কিম। দ্বিতীয় দিনও ঘড়ি থেকে একই সঙ্কেত পান। বিষয়টি জানতে চিকিৎসকের কাছে পৌঁছন বৃদ্ধা। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, হৃৎপিণ্ডে এক জটিল টিউমার বাসা বেঁধেছে। সেই টিউমারের কারণেই তাঁর হৃদ্‌স্পন্দন ধীরগতিতে চলছিল। এই টিউমারের কারণে স্ট্রোকও হতে পারত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

তবে কিমের শরীরের আলাদা কোনও উপসর্গ ফুটে ওঠেনি। হৃৎপিণ্ডে টিউমারের উপস্থিতি টের পাওয়ার পরেই অস্ত্রোপচার করা হয়। প্রায় ৪ সেন্টিমিটার দীর্ঘ একটি টিউমার বেরোয় শরীর থেকে। টিউমারের কথা সময়ে জানতে না পারা গেলে অকালমৃত্যু ঠেকানো মুশকিল হয়ে যেত।


আরও খবর
বিশ্বের সব থেকে বিষধর দশটি সাপ

মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ক্রমশ ভূমিকম্পপ্রবণ হয়ে উঠেছে। মাঝেমধ্যেই ছোট ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে দেশ। এসব ভূমিকম্পে তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বড় মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সাম্প্রতিককালে বড় মাত্রার ভূমিকম্প না হলেও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ।

কিন্তু ভূমিকম্পের তেমন কোনো পূর্বাভাসের ব্যবস্থা নেই। গত ৯ দিনে তিন বার আর পাঁচ মাসে সাত বার ছোট থেকে মাঝারি আকারের যে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় প্রতিটিরই উৎপত্তিস্থল ছিল দেশের সীমানার ভেতর বা আশপাশে। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বার্মিজ প্লেট ও ইন্ডিয়ান প্লেটের পরস্পরমুখী গতির কারণেই ঘন ঘন এ ধরনের ভূমিকম্প হচ্ছে। এ দুটি প্লেটের সংযোগস্থলে প্রচুর পরিমাণে শক্তি জমে রয়েছে, যেগুলো বের হয়ে আসার পথ খুঁজছে। আগে হোক বা পরে, এই শক্তি বেরিয়ে আসবেই। আর সেটাই জানান দিচ্ছে এই ছোট ভূমিকম্পগুলো। এ ধরনের ছোট ছোট ভূমিকম্প বড় আকারের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস।  

ভূমিকম্পের এমন ঝুঁকি থাকলেও মোকাবিলার প্রস্তুতি অনেকটাই কম। বহু পুরোনো ভবন, অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ, ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড অনুসরণ না করা ভূমিকম্প ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সঠিক সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দেশকে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ছোট ও মাঝারি ভূকম্পনে বড় শক্তি বের হওয়ার একটা প্রবণতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তার মানে, যে কোনো সময় একটি বড় ভূমিকম্প সংঘটিত হতে পারে। তবে এই বড় ভূমিকম্প কবে হবে, সেটা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। 

আরও পড়ুন>> আজ থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলবে বাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ছোট ছোট ভূমিকম্প হওয়া একটি বড় ভূমিকম্প সৃষ্টির লক্ষণ। আমাদের জরুরি ভিত্তিতে সিলেটসহ দেশের প্রধান শহরগুলোতে ভূমিকম্পের সময়ে কী করতে হবে, তার মহড়া দেওয়া শুরু করতে হবে। ভূমিকম্প মোকাবিলার প্রস্তুতি ও মহড়াকে নিয়মিত চর্চার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।

উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ঢাকা ও এর উত্তরের কয়েকটি জেলায় হালকা ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২, যা মাত্রা অনুযায়ী হালকা ভূমিকম্প হিসেবে ধরা হয়। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৫৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে টাঙ্গাইলে। এ নিয়ে গত ৯ দিনে তিন বার দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হলো। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর সিলেট এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যার উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত। তার আগে ৯ সেপ্টেম্বর আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তার উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসামের কাছাড় এলাকা। গত আগস্ট মাসে দুই দফায় বাংলাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মধ্যে একটি হয় ২৯ আগস্ট। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট। এর আগে ১৪ আগস্ট আরেক বার ভূমিকম্প হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সিলেটের কানাইঘাট এলাকায়। তার আগে গত ১৪ আগস্ট রাত ৮টা ৪৯ মিনিটের দিকে একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ঐ ভূমিকম্পে রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকা কেঁপে ওঠে। মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল ৫ দশমিক ৫, যা মাঝারি মাত্রার একটি ভূমিকম্প। আর এর উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের সিলেটের কানাইঘাট এলাকায়। গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার। গত ১৬ জুন রাজধানীসহ সারা দেশে ৪ দশমিক ৫ মাত্রার মৃদু ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের গোলাপগঞ্জ। চলতি বছরের ৫ মে আরেকটি ভূমিকম্প হয়েছে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায়। এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার কাছে বিক্রমপুরের দোহার থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। এটিরও গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার। জাতিসংঘ বলছে, পৃথিবীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের মধ্যে ঢাকা একটি। এছাড়া বাংলাদেশ পৃথিবীর ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত বিধায় প্রাচীনকাল থেকে এ দেশে মাঝে মধ্যে ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। উপরন্তু হিমালয় রেঞ্জ হচ্ছে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। যদিও সৌভাগ্যক্রমে বাংলাদেশের জনগণ শক্তিশালী ভূমিকম্পের মুখোমুখি হয়নি। গবেষকরা বলছেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। ইন্ডিয়ান, ইউরোপিয়ান এবং বার্মিজএ তিনটি গতিশীল প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান। আর এগুলোর মধ্যে সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রাম সীমান্তের ভূঅভ্যন্তরে যে শক্তি সঞ্চিত হয়েছে তা বড় মাত্রার ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশে ভূমিকম্পের সাম্প্রতিক আচরণ পর্যবেক্ষণ করে গবেষকরা দেখেছেন, দেশে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প বেশি হচ্ছে। গত কয়েক বছরে মানিকগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, চট্টগ্রাম, মহেশখালী, রাঙ্গামাটিসহ বেশ কয়েকটি স্থানে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এসব লক্ষণ দেখে ভবিষ্যতে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনায় (২০২১-২০২৫) বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যদি বড় মাত্রার ভূমিকম্প হয়, তাহলে সারা দেশে ৬ কোটি ১২ লাখ মানুষ ক্ষতির মুখে পড়বে। ১১ লাখ ৯ হাজার পাকা ভবন, ২১ লাখ ১৪ হাজার সেমিপাকা স্থাপনা, ৪০২টি খাদ্যগুদাম, ১৪টি গ্যাস ফিল্ড, ১৯৫টি হাসপাতাল। ১ হাজার আটটি কল্যাণকেন্দ্র, ২ হাজার ৮০০ উচ্চবিদ্যালয়, ১ হাজার ৯০০ মাদ্রাসা, ১৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬ হাজার ৮০০ পুলিশ স্টেশন, ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক, ৭ হাজার ৪০০ কিলোমিটার স্থানীয় সড়ক, ২০ হাজার ব্রিজ, ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশে যে ভূমিকম্প মোকাবিলায় প্রস্তুতির অভাব রয়েছে তা-ও স্বীকার করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন>> ১৪ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, পার্বত্য সীমান্ত আর সিলেট অঞ্চলের ভূ-অভ্যন্তরে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টির মতো শক্তি সঞ্চিত হয়ে আছে। যেখানে ভূমিকম্প হলে সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহসহ জনবহুল শহরগুলোতে বড় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। বাংলাদেশ ৮ দশমিক ৩ থেকে ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি রোধে গৃহনির্মাণের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে বিল্ডিং কোড অনুসরণ করতে হবে। ভূমিকম্পের সম্ভাব্য ঝুঁকি প্রশমনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে ৭ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প হলে ৭২ হাজার ভবন তাত্ক্ষণিকভাবে ধসে পড়বে। এতে ব্যাপক প্রাণহানি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেন্ট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিল্লর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ভূমিকম্পের ঝুঁকিপ্রবণ অঞ্চলে রয়েছে। অতীতে বড় ধরনের ভূমিকম্প বাংলাদেশ ও আশপাশে হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে। এটা কিন্তু হবে। বাংলাদেশের আশপাশে ভূমিকম্পের ইপি সেন্টার বা কেন্দ্র আছে। এ কারণে ৭ মাত্রার বেশি ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। তবে এটা কবে হবে, সেটা বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৭ মাত্রার মতো বড় ভূমিকম্প হয়েছে মানিকগঞ্জে ১৮৮৫ সালে। এটার নাম ছিল বেঙ্গল আর্থকোয়াক। আরেকটা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ১৯১৮ সালে, এটার নাম শ্রীমঙ্গল আর্থকোয়াক। শ্রীমঙ্গল আর্থকোয়াকের উৎপত্তিস্থলের আশপাশে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১৮৮৫ সালের ভূমিকম্পে টাঙ্গাইল, শেরপুর, সিরাজগঞ্জ, ময়মনসিংহ শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। তবে ঐ ভূমিকম্পে ঢাকা শহরের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।


আরও খবর



অপরাজিতা ফুলের চায়ের নানা উপকারিতা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অপরাজিতা ফুলের ''চা'' নামটা শুনেই ভ্রু কুচকে গেল তাইনা? এটা আবার পান করে? আসলে এই চা সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই বললেই চলে। এর রয়েছে অনেকগুলো ঔষধি গুন। তাইতো এই চা সম্বন্ধে সম্যক ধারণা দিতেই আমার এই লেখা।

অপরাজিতা ফুলের চা সর্বাধিক পরিচিত ''নীল চা'' বা ''ব্লু টি'' নামে । এটি ক্যাফেইন মুক্ত হারবাল চা। এটি উদ্ভিদ থেকে তৈরী করা হয় বিধায় এটিকে হারবাল চা বলা হয়। এই পানীয়টি তৈরী করা হয় ইনফিউশন বা ডিকোটেশন পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতিতে অপরাজিতা ফুলের পাপড়ি বা সম্পুর্ণ গাছ কে পানিতে ভিজিয়ে নির্জাস বের করে নেয়া হয়।

এই চায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো অম্লত্ব বা ক্ষারত্বের (পিএইচ) উপর ভিত্তি করে রং বদলায় যেমন আপনি যদি এতে লেবুর রস যোগ করেন তাহলে এটি বেগুনী রং ধারন করবে। এই চা সাধারনত ঠান্ডা অথবা গরম অবস্থায় পরিবেশন করা হয়।

এই চা তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোকেমিক্যালস তন্মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো- পলিফেনল, ফ্লাভোনোয়িডস, স্যাপোনিন, ট্যানিন, অ্যান্থোসায়ানিন, অ্যালকালোয়িডস, টারনাটিনস, ইনোসিটল, পেন্টান্যাল ইত্যাদি।

যেহেতু এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস রয়েছে সুতরাং এর ঔষধি গুনাগুনও অনেক বেশি। আসুন এবার জেনে নেয়া যাক এর ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে-

ক্যান্সার প্রতিরোধে: এতে রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন যা আমাদের দেহে ফ্রি রেডিক্যাল (মুক্ত মূলক) তৈরীতে বাধা প্রদান করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: গবেষণায় দেখা গেছে এটি রক্তে গ্লুকোজ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম অর্থাৎ এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

লিভার সুরক্ষায়: গবেষণা বলছে, নীল চা এর পলিফেনল ও ফ্লাভোনোয়েড যৌগ লিভার এনজাইমের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং লিভার এর সুরক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে।

অ্যাজমা প্রতিরোধে: মালয়েশিয়ার একদল গবেষকের মতে, এতে উপস্থিত স্যাপোনিন ও ফ্লাভোনোয়িড যৌগ অ্যাজমা প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

স্মৃতিশক্তির্ধক হিসেবে: এটি স্মৃতিশক্তিবর্ধক হিসেবে অ্যালঝেইমার রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

হৃদরোগের ঝুকি কমাতে: এটি রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইডস, কোলেস্টেরল ও এলডিএল এর মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে।

সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে অপরাজিতা ফুলের চা কতটা উপকারী আমাদের শরীরের জন্য। আমাদের উচিত কোমল পানীয় এর পরিবর্তে নীল চা পান করা।

নিউজ ট্যাগ: অপরাজিতা ফুল

আরও খবর
খালি পেটে যে চার খাবার খেলে অ্যাসিডিটি হয়

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নতুন আইফোন আনছে অ্যাপল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের জন্য অপেক্ষায় থাকেন অ্যাপলপ্রেমীরা। কারণ, এ মাসেই নতুন আইফোনসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ও পণ্যের ঘোষণা দিয়ে থাকে অ্যাপল। এ বছরও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। আজ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারটিনোর অ্যাপল পার্কে নতুন পণ্য ও প্রযুক্তি উন্মোচন অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানটি। ওয়ান্ডারলাস্ট নামের এ অনুষ্ঠান আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরু হবে।

আজকের অনুষ্ঠানে আসতে যাওয়া নতুন প্রযুক্তি ও পণ্য নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে নানা জল্পনাকল্পনা। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা না গেলেও অনুষ্ঠানে আইফোন ১৫, আইফোন ১৫ প্লাস, আইফোন ১৫ প্রোআইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স মডেল উন্মুক্ত করবে অ্যাপল। অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুকের নেতৃত্বে শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা নতুন প্রযুক্তি ও পণ্যের ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

অনলাইনে যেভাবে দেখা যাবে

ওয়ান্ডারলাস্ট অনুষ্ঠানে শুধু আমন্ত্রিত অতিথিরা সরাসরি অংশ নেবেন। তবে বিশ্বজুড়ে অ্যাপলপ্রেমীদের জন্য অনুষ্ঠানটি অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছে অ্যাপল। তাদের ওয়েবসাইটে অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখার সুযোগ মিলবে। ওয়েবসাইটের পাশাপাশি অ্যাপলের ইউটিউবচ্যানেল ও অ্যাপল টিভি অ্যাপের মাধ্যমেও অনুষ্ঠান সরাসরি দেখা যাবে।

সূত্র: গ্যাজেটস নাউ

 


আরও খবর



চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে দুই যুবক নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে অজ্ঞাতনামা দুই যুবক নিহত হয়েছেন। মরদেহ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রেডিসন ব্লু হোটেলের পেছনে স্টাফ কোয়ার্টার রেলগেটে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুনীল চন্দ্র সূত্র ধর।

তিনি বলেন, সকালের দিকে কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী বলাকা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে পড়ে অজ্ঞাতনামা ওই দুই যুবক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ওই দুই যুবকের পরিচয় জানতে পারিনি। তবে, প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



আজকের দর্পণে সংবাদ প্রকাশ

কেরানীহাট-বান্দরবান মহাসড়কের সংস্কার কাজ শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জাহেদুল ইসলাম, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম)

Image

অবশেষে কেরানীহাটবান্দরবান জাতীয় মহাসড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। সাম্প্রতিক বন্যায় ২৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পর্যটন জেলা বান্দরবানে যাতায়াতের দৃষ্টিনন্দন এ মহাসড়কের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ায় গত একমাস ধরে ঝুঁকি নিয়ে ওই পথে যান চলাচল করছে। এ নিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর আজকের দর্পণে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার থেকে সংস্কার কাজ শুরু করে সেনাবাহিনী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বন্যায় কেরানীহাটবান্দরবান মহাসড়কের সাতকানিয়ার সত্যপীরের মাজার গেট এলাকায় সড়কের বিশাল অংশ ধসে পড়ে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হওয়া অংশে মাটি ভরাটের কাজ চলছে।

এ বিষয়ে বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, বৃষ্টিতে সাম্প্রতিক বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে সড়ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্মিত সড়কগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কেরানীহাট-বান্দরবান জাতীয় মহাসড়কটির উন্নয়ন কাজ করছে সেনাবাহিনী। তারা সড়কটি আগামী জুনে বুঝিয়ে দেবে। আমরা সড়কটির সংস্কার বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা ইতোমধ্যে সংস্কার কাজ শুরু করেছে। কম সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি মেরামত করে দেবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

বান্দরবানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম কেরানীহাট-বান্দরবান সড়ক। পর্যটন শহর হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার দেশি বিদেশি পর্যটকসহ স্থানীয়রা যাতায়াতের জন্য সড়কটি ব্যবহার করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে জেলার একমাত্র সড়কটি আঁকা বাঁকা ঢালু ও সরু হওয়ায় প্রায়ই ঘটতো নানা ধরনের দুর্ঘটনা। শুধু তাই নয়, সড়কের বিভিন্ন স্থানে নিচু হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে কয়েকদিন বৃষ্টি হলে রাস্তার বিভিন্ন অংশ তলিয়ে যেত। আর এর ফলে সারাদেশের সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তেন পর্যটকসহ স্থানীয়রা।

এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সড়কটির যথাযথ মান, প্রশস্তকরণ ও উন্নতীকরণ করে জাতীয় মহাসড়কে রুপান্তর করতে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের অধীনে ২০ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন। প্রকল্পের আওতায় দীর্ঘ ২৩ কিলোমিটার কেরানীহাট- বান্দরবান সড়কটি জাতীয় মহাসড়কে উন্নীত করায় এখন লাঘব হবে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি। সেই সঙ্গে উন্নত হবে স্থানীয়দের জীবনমান ও হ্রাস পাবে সড়ক দুর্ঘটনা এমনটাই প্রত্যাশা করছেন স্থানীয়রা।

তবে গত আগস্ট মাসের শুরুতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে সাতকানিয়াবাসী। ব্যাপক ক্ষতি হয় জান-মালের। এখনো সেই ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে তারা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এতটাই ছিল যে অনেকে তা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। বিশেষ করে বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে কেরানীহাটবান্দরবান মহাসড়ক। নির্মাণের আট মাস না পেরুতেই এ মহাসড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়। সাতকনিয়ার সত্যপীরের মাজার গেট এলাকায় সড়কের বিশাল অংশ ধসে পড়ে।

সড়ক বিভাগের তথ্যমতে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে কেরানীহাটবান্দরবান জাতীয় মহাসড়কটি যথাযথ মান, প্রশস্ততা ও উচ্চতায় উন্নীতকরণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ২০১৯ সালে মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ের আগেই ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। দীর্ঘ ২৩ কিলোমিটার সড়কটি প্রশস্তকরণ, বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া সড়কের স্থানগুলো উঁচুকরণ, ২১টি ব্রিজ, ১৫টি কালভার্ট, ২১ কিলোমিটার ড্রেনেজ নিষ্কাশন অবকাঠামোসহ নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ২৬৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।


আরও খবর