রাফসান সাইফ সন্ধি, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের মানব পাচারকারী চক্রের এক নারীসহ সক্রিয় তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এপিবিএন)। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার অনিক পার্ক থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানান ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ২ এপিবিএনের উপপরিদর্শক সৈয়দ আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামী করে মানব পাচার ও মাদক আইনে থানায় দু’টি মামলা করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ২ এপিবিএনের (পুলিশের বিশেষ শাখা) একটি দল মাদক উদ্ধার অভিযানে মঙ্গলবার রাতে ঘাটাইলের গারোবাজার এলাকায় অবস্থান করে। এ সময় গোপন সংবাদের মাধ্যমে তারা জানতে পারেন ঘাটাইলের অনিক নগর পার্কে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে। সংবাদের সত্যতা যাচাই করতে সেখানে গিয়ে পার্কের ভেতরে ছোট ছোট কক্ষ তল্লাশি করে আটক করা হয় ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাধাকানাই গ্রামের মো. আকাশের স্ত্রী মোছা. সোমা (২০) ও শেরপুর সদর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার স্ত্রী শান্ত ইসলামকে।
তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ফুলবাড়িয়া উপজেলার মো.শাহজাহান (অনিক নগর পার্কের ম্যানেজার) ও একই উপজেলা সদরের মিরা শাহ এর ছেলে বাবলু শাহ টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসহায় মেয়েদের কৌশলে ফুসলিয়ে এখানে এনে পতিতাবৃত্তি করান। পরে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় মো.আব্দুল হামিদ (৪০) (অনিক নগর পার্কের সুপারভাইজার), নারায়নী বর্মণ (৩৪) ও নূর মোহাম্মদ (২৮) নামে তিনজনকে। পলাতক আছেন অপর দুই আসামী মো. শাহজাহান ও বাবলু শাহ।
এদিকে পার্কের ম্যানেজার শাহজাহানের ব্যবহৃত টেবিলের ড্রয়ার তল্লাশি করলে সেখানে মেলে প্রায় এক গ্রাম পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট। আলাদা এক মাদক মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে পার্কের ম্যানেজারের চাকুরির আড়ালে মো. শাহজাহান দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার ব্যবসা করে আসছিলেন।
অনিক নগর পার্কের আশেপাশের লোকজন জানান, এটি বিনোদন কেন্দ্র নয়, মাদকসেবী, পতিতাবৃত্তি এবং অপরাধীদের যেন অভয়াশ্রম।
ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, থানায় মানব পাচার ও মাদক আইনে থানায় দু’টি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যহত রয়েছে।