অনেক চেষ্টা করেও
শেষ পর্যন্ত আস্থা ভোটে পরাজিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয় ইমরান খানকে। কিন্তু
গদি বাঁচানোর জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি চেষ্টা চালিয়েছিলেন বলে দাবি, ‘পাকিস্তান মুসলিম
লিগ-নওয়াজ’ (পিএমএল-এন)-এর নেত্রী মরিয়ম নওয়াজের।
প্রাক্তন পাক
প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কন্যা তথা তথা প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের ভাইঝি মরিয়ম বুধবার
বলেন, ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে মরিয়া ইমরান অন্তিম সময়েও পাক সেনাকর্তাদের কাছে অনুনয়-বিনয়
করছিলেন। কুর্সি ভিক্ষা করেছিলেন। কিন্তু সেনাবাহিনী তাঁর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে।
পাকিস্তানের প্রাক্তন
ক্রিকেট অধিনায়ক গদি বাঁচাতে চেষ্টার খামতি রাখেননি দাবি করে মরিয়ম জানান, অন্যতম বিরোধী
দল ‘পাকিস্তান পিপলস
পার্টি’ (পিপিপি)-র নেতা আসিফ আলি জারদারির সঙ্গেও
গোপনে যোগাযোগ করে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইমরান। প্রসঙ্গত, পাকিস্তান
তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর নেতা ইমরানের বিরুদ্ধে পিএমএল(এন)-এর আনা অনাস্থা প্রস্তাব
সমর্থন করেছিল পিপিপি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি
ব্রিটেনের একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে
পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ভোটাভুটির আগের রাতে ইমরানের বাসভবনে গোপনে হেলিকপ্টারে
এসেছিলেন পাক সেনার দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক। ওই বৈঠকের এক ঘণ্টা আগে প্রধানমন্ত্রী
‘শীর্ষ ধিকারিক’কে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। যদিও এ ব্যাপারে
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কোনও নির্দেশ দেয়নি। ওই দুই সেনাকর্তা আসলে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল
কামার জাভেদ বাজওয়া এবং আইএসআই প্রধানলেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম অঞ্জুম বলে কয়েকটি
পাক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল।