বলিউড সিনেমা
গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি ছবিটি এখনও রিলিজ হয়নি। তবে এর মধ্যেই যথেষ্ট উত্তেজনা সৃষ্টি
করেছে আলিয়া ভাট অভিনীত এ ছবির ট্রেলার। এর মধ্যেই আবার প্রকাশ্যে এসেছে ছবির একটি
গান, নাম ধোলিদা। আলিয়া ভাটের ডায়ালগ মন কেড়ে নিয়েছে অনেকেরই। সঞ্জয় লীলা বানসালির
পরিচালনায় এই ছবিতে আলিয়াকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে।
প্রতিবেদনে বলা
হয়, আলিয়াকে গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি আগে কখনও দেখা যায়নি এমন অবতারে দেখা যাবে এবং তার ভক্তরা
সিনেমাটি পর্দায় আসার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। মজার বিষয় হলো টিম যখন সিনেমার প্রচারে ব্যস্ত, আলিয়া
ভাট তখন তার প্রথম প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন।
সংবাদমাধ্যম মিড
ডেকে আলিয়া বলেছিলেন, গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি যখন তাকে অফার করা হয় তখন তিনি অভিনয়
নিয়ে ভীতু ছিলেন।
এটি নিয়ে ভয়
ছিল। এমন একটি চলচ্চিত্র আমি চিন্তাই করতে পারিনি। আমি ভীতু ছিলাম। আমি স্যারের সঙ্গে
প্রেমের গল্প করতে চেয়েছিলাম। তখন পর্যন্ত আমি বইটি পড়িনি বা গাঙ্গুবাঈয়ের গল্প
জানা ছিল না। আমি মোটেও এই প্রকৃতির ছবি আশা করিনি।
আলিয়া বলেন, যখন
আমি বর্ণনাটি শুনেছিলাম, আমি স্যারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনি কি মনে করেন আমি এটি করতে পারি?
বানসালি তখন বলেন,
‘আমি তোমাকে এটা
করাব।
তখন আমি নিজেকে
বলেছিলাম, এই ধরনের চলচ্চিত্র আমার সামনে এলে আমার মাথায় সন্দেহের কোনো সুযোগ থাকবে
না। আমার নিজের সন্দেহ ছিল। তাই আমি যতটা পারতাম অতিরিক্ত চেষ্টা করেছি। কিন্তু এই
ক্ষেত্রে, সন্দেহ ছিল জ্ঞানের চাবিকাঠি, যা আমাকে এই অংশটি নিয়ে আমি কী করতে পারি
তার চরম অন্বেষণ করতে বাধ্য করে।
তদুপরি আলিয়া
গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়িকে আজীবনের সুযোগ বলে অভিহিত করেছেন। গাঙ্গুর দুনিয়ায় আমি
দুই বছর বেঁচে আছি। আমরা শুটিং শেষ করার পরও আমি ছবিটির দৃশ্য দেখতে স্যারের অফিসে
অবতরণ করতাম। আমার কখনও একটি চরিত্র দ্বারা গ্রাস করা হয়নি।
এসএলবি হলেন একজন পরিচালক, যার সঙ্গে আমি কাজ করতে চেয়েছিলাম বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।