মেহেরপুরের গাংনী
উপজেলার আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারীসহ ৭ জন আহত হয়েছে। রোববার (ফেবু্রয়ারি ১২) বেলা আড়াইটার
দিকে গাংনী উপজেলার আমতৈল গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- গাংনী
উপজেলার আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মি মাসুদ রানা (২৮), তার বাবা নাজিম
উদ্দীন (৬৫), মা সখিনা খাতুন (৫৫), মতিয়ার রহমানের স্ত্রী তাজমিনা খাতুন (৪৫), ছেলে
ইভটিজিংকারি নাহিদ (২৩), তৌফিকুর রহমান (১৫) ও আব্দুল হান্নানের ছেলে রফিকুল ইসলাম
(৩৬)। এদের মধ্যে নিরাপত্তা কর্মী মাসুদ রানার মা সখিনা খাতুন ও বাবা নাজিম উদ্দীন
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি
ফিরেছেন।
আমতৈল মাধ্যমিক
বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী মাসুদ রানা বলেন, বিদ্যালয়ের টিফিন ও ছুটির সময় আমতৈল
গ্রামের মতিয়ার ছেলে তৌফিকুর রহমান, সোহেল রানা, রাহিদ হোসেনের ছেলে রাব্বী হোসেন,
ওয়াজেদ আলীর ছেলে আশিকুর রহমান ও মনিরুল ইসলামের ছেলে শিমুল হোসেন ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে
ইভটিজিং করে। রোববার দুপুরের দিকে বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে চকলেট দিয়ে
ইভটিজিং করছিল তারা। প্রধান শিক্ষক বিষয়টি আমাকে দেখতে বলেন। পরে আমি নিষেধ করায়
তৌফিক আমাকে গালিগালাজ করে। তার প্রতিবাদ করায় উপস্থিত আমার বাবা নাজিম উদ্দীনকে বাঁশের
লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে আমার মা ঠেকাতে আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে
তারা। এসময় আমার চাচাত ভাই আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়।
এ ঘটনায় আমতৈল
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকাদ্দেস হোসেন বাদি হয়ে ৫ ইভটিজারের বিরুদ্ধে
গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এদিকে ইভটিজিংকারীরা
বাদী হয়ে বিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী মাসুদ রানা ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে
একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গাংনী থানার তদন্ত
অফিসার মনোজিৎ কুমার নন্দী বলেন, উভয় পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজ খবর
নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।