মুক্তির পঞ্চম সপ্তাহে এসেও ‘পরাণে’র জয়যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। ১১ টি হল নিয়ে পথচলা শুরু করা এই সিনেমাটি বর্তমানে চলছে ৪৭ টি হলে। এই অভাবনীয় সাফল্যে সবাই আপ্লুত হলেও বিদ্যা সিনহা মিমের জন্য তা সুখকর ছিল না। শুরুতে দর্শকের সঙ্গে ‘পরাণ’ দেখতে বসে দুঃখে মন ভেঙে যেত তার। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
মিম ‘পরাণে’র কেন্দ্রীয় চরিত্র তিনটির একটিতে অভিনয় করেছেন। ‘অনন্যা’ নামের এই চরিত্রে বেশকিছু নেতিবাচক দিক রয়েছে। পর্দায় নিখুঁত অভিনয়ের মাধ্যমে অনন্যাকে জীবন্ত করে তুলছেন মিম। ফলে নেতিবাচক দিকগুলো বাস্তব হয়ে ধরা দিয়েছে দর্শকের কাছে। হলে বসে প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে তারা গালমন্দ করতেন তাকে। শুরুর দিকে মিম সিনেমা হলে গিয়ে অন্ধকারে দর্শক সারিতে চুপিচুপি বসে থাকতেন। সেকারণে দর্শকের প্রতিক্রিয়া নিজ কানে শুনতে হতো তাকে। এটা তার কৃতিত্ব হলেও শুরুতে এসব নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করতে পারতেন না তিনি। সহকর্মীরা বাহবা দিলেও মন তার ঠিকই খারাপ থাকত। বাসায় ফিরেও রেশ থেকে যেত।
তবে এখন আর মন খারাপ হয় না মিমের। তিনি বুঝতে পেরেছেন এটা তার সুনিপুণ অভিনয়ের পুরস্কার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্ধকারে এক কোনে দাঁড়িয়ে শো দেখতাম। দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখতাম। দর্শক গালমন্দ করতেন। খুব খারাপ লাগত। বাসায় ফিরেও মন খারাপ থাকত। টিমের সবাই বোঝাতেন, একজন অভিনেতার এটাই সার্থকতা। পরে বুঝলাম, চরিত্রটিই তো এমন। তার মানে আমি চরিত্রটিতে অভিনয়ের ক্ষেত্রে শতভাগ নিংড়ে দিতে পেরেছি বলেই দর্শক এমন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।
সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘পরাণ’। রায়হান রাফি নির্মিত ত্রিভুজ প্রেমের গল্পের এই সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন বিদ্যা সিনহা মিম, শরিফুল রাজ ও ইয়াশ রোহান। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে লাইভ টেকনোলজিস।