গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরে চাকুরির সন্ধান করতে আসা এক কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে জঙ্গলে নিয়ে ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে গণধর্ষণ করেছে কয়েক বখাটে যুবক। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে হাতে নাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসি। শুক্রবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানাধীন দক্ষিণ সালনার বাতানিয়া টেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলো
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানাধীন বাড়িয়ালী এলাকার মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে হৃদয়
(২২) ও বারবৈকা এলাকার তোফায়েল আহমেদের ছেলে মনির (২৮)।
গাজীপুর সিটি
কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: তানভীর আহমেদ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার
দুপুরে ৪/৫ যুবক গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টেকনগপাড়া এলাকার রাস্তা থেকে এক কিশোরী ও তার (প্রতিবেশী) ছোট ভাইকে তুলে পার্শ্ববর্তী
দক্ষিণ সালনার বাতানিয়া টেক এলাকার জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে
ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে তারা। পরে কিশোরীকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে পালাক্রমে
ধর্ষণ করে যুবকরা। দুপুরে যুবকদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তির একপর্যায়ে কিশোরীটি কৌশলে
সেখান থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ ঘটনার পর যুবকরা
পালিয়ে যাওয়ার সময় হৃদয় ও মনির নামের দুইজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর
ও এলাকাবাসী। এসময় নাসিম ও জাহেদুলসহ অপর ৩ জন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় আটককৃতদের দেয়া তথ্যের
ভিত্তিতে তাদের ব্যবহৃত চাপাতি ও হাতুড়ি এবং বেঁধে রাখা শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা
ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারী দলের সদস্য।
এ ব্যাপারে ভিকটিম
জানায়, তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুর থানা এলাকায়। সে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের
টেকনগপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে পোশাক কারখানায় চাকুরি করে। শুক্রবার সকালে পোশাক
কারখানায় চাকরির সন্ধানে ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে টেকনগপাড়া এলাকার এক বান্ধবীর বাসায়
যায়। বেলা ১২টার দিকে সেখান থেকে বাসায় ফেরার পথে ৪/৫ যুবক রাস্তা থেকে টেনে দক্ষিণ
সালনার বাতানিয়া টেকের জঙ্গলে নিয়ে ভাইকে বেঁধে রেখে আমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ ব্যাপারে গাজীপুর
মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মহিউদ্দিন আহমেদ জানান,
ভিকটিম ও আটককৃতরা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, তবে ভিকটিমের পক্ষ থেকে
এখনো মামলা দায়ের করা হয়নি।