যত্রতত্র বাসা ভাড়া নিয়ে কোন ধরনের অনুমোদন ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বোতলজাত করা হচ্ছে সয়াবিন তেল। বোতলের গায়ে লাগানো হচ্ছে বিএসটিআই এর সীলও। বাজার থেকে নিন্মমানের পাম তেল কিনে বাসায় বসে বোতলজাত করে বাজারে পাঠানো হচ্ছে সয়াবিন তেল। উপজেলার আমতলা এলাকায় এভাবেই তৈরি হচ্ছে প্রজাপতি সয়াবিন তেল।
বৃহস্পতিবার
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ৭/৮টি নামে তৈরি হচ্ছে বোতলজাত সয়াবিন তেল।
রজনী, সাধনা, এনার্জিসহ চমকপ্রদ নাম দিয়ে বাজারে ছাড়া হচ্ছে এসব তেল। ঢাকা থেকে বিভিন্ন
সাইজের প্লাস্টিকের বোতল কিনে সেগুলোতে তেল ভরে বোতলের গায়ে সাটানো হয় নিজেদের নাম
খচিত স্টিকার।
অবৈধ এসব কারখানায়
সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়ে মালিক। পরে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান,
বিভিন্ন কোম্পানি থেকে কম দামে অত্যন্ত নিন্মমানের পামওয়েল কিনে এনে সেটা নিজেদের বোতলে
ভরে উচ্চমুল্যে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব নকল তেল ১৪৫টাকা লিটার বিক্রি করা হয়
খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পরে খুচরা বিক্রেতারা সেটা ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করে ১৮০/১৯০টাকা।
এলার্জি সয়াবিন
তেল এর স্বত্বাধিকারী উজ্জ্বল মিয়া টেলিফোনে বলেন, আমরা ১৪৫ টাকা লিটার পাইকারি বিক্রি
করি। এই তেল মুন্সিগঞ্জ সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ড্রাম হিসাবে কিনে আনি। তিনি গড়গড়িয়া
মাস্টারবাড়ীর লিচু বাগান এলাকায় তেল বোতলজাত করে আসপাডা এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া নিয়ে
বাজারজাত করেন এসব নকল তেল।
গফরগাঁও এর
বাসিন্দা ওমর ভাংনাহাটি এলাকায় কারখানা করে রজনী এবং সাধনা নামে দুটি সয়াবিন তেল বাজারজাত
করছেন। কোন ধরনের অনুমোদন না নিয়ে বিএসটিআইয় সহ বিভিন্ন নিরাপত্তা স্টিকার কেনো ব্যবহার
করছেন জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
শহীদ তাজ উদ্দিন
আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (মেডিসিন) শেখ কামরুল করিম বলেন, নিন্ম মানের অস্বাস্থ্যকর
সয়াবিন তেল খেলে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জাতীয় ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গাজীপুরের সহকারী পরিচালক মো: দিদার হোসেন বলেন, ভেজাল খাদ্য
সামগ্রী উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আমাদের এই অভিযান
অব্যাহত থাকবে।