আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

গাজীপুরে ট্রেন-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশিত:শনিবার ২১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২১ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলায় ট্রেনের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আড়িখোলা রেল স্টেশনের অদূরে নলছাটা এলাকায় এ দুর্ঘটনায় ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপে থাকা তিনজন আরোহী মারা যান। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। আড়িখোলা রেল স্টেশনের মাস্টার কামরুল ইসলাম এ দুর্ঘটনা ও হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আড়িখোলা রেল স্টেশনের অদূরে নলছাটায় একটি অরক্ষিত গেটে তালভর্তি পিকআপের সঙ্গে কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এগারো সিন্ধুর ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় ট্রেনের ধাক্কায় পিকআপটি দূরে ছিটকে গিয়ে পড়ে এবং ওই পিকআপে থাকা তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।

কামরুল ইসলাম আরও বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।


আরও খবর



১০ তলা ভবন নিলামে ৬০ হাজারে বিক্রি!

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবৈধভাবে গড়ে তোলা নির্মাণাধীন ১০তলা এবকটি ভবন ভেঙে সরিয়ে নিতে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকায় (ভ্যাট, আইটি ব্যতীত) ভবনটি বিক্রয় করেছে ডিএনসিসি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মোহাম্মদপুর বছিলাস্থ রামচন্দ্রপুর খালের জায়গায় ভবনটি নির্মাণাধীন।

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে অঞ্চল-০৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ ভবনটির উন্মুক্ত নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি'র প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম।

নিলামে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ দরদাতাকে ১৩ মার্চ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নির্মাণাধীন ভবনটি ভাঙার কাজ সমাপ্ত করে অবশিষ্ট মালামাল সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পরদিন থেকে প্রতিদিন ভবন ভাঙার কাজ চলছে।

আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, ম্যাপ অনুযায়ী নির্মাণাধীন ১০তলা ভবনের প্রায় ৮০ শতাংশ রামচন্দ্রপুর খালের সীমানায় পড়েছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে মেয়রের উপস্থিতিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ভবনটি ভাঙা হয়। ভবনের মালিক ম্যাপ ও কাগজপত্র খতিয়ে দেখে খালের সীমানায় ভবনের ৮০ শতাংশ পড়ার বিষয়টি মেনে নেয় এবং ভবনের মালিক ভবনটি ভেঙে নেওয়ার জন্য সাতদিন সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভবনটি সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হওয়ায় পরবর্তীতে ভবন মালিকের সাথে কথা বলে বিধি মোতাবেক উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে এটি বিক্রি করা হয়েছে।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি লাউতলা রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ময়লা পরিস্কার কার্যক্রম শুরু করে ডিএনসিসি। সারাদিন পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএনসিসিকে সহায়তা করেছিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের দেড় হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী। সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম নিজে সেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে পরিষ্কার অভিযানে ছিলেন। টানা কয়েকদিনের অভিযানে খালের সীমানায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা একটি নির্মাণাধীন ১০তলা ভবনসহ এ পযর্ন্ত ছয়টি স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



সাতশত শিক্ষার্থীর মাঝে রাজশাহী জেলা পরিষদের চেক বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহী জেলা পরিষদের আয়োজনে প্রায় ৭ শত শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর সিএন্ডবি মনিবাজার চত্বরের শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান করা হয়।

রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। রাজশাহী বেতারের উপস্থাপক আব্দুর রোকন মাসুমের সঞ্চলনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা হাসান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য শিউলী রানী সাহা, সুলতানা পারভীন রিনা ও সাজেদা বেগম, সদস্য আব্দুর রশিদ, মাইনুল ইসলাম, তফিকুল ইসলাম, দীলিপ কুমার সরকার, আবুল কালাম আজাদ, আবু জাফর প্রাং, আসাদুজ্জামান মাসুদ, জনাব আলী ও মহিদুল ইসলাম।

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারী, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষকগণ, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীরা  উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, কৃতি শিক্ষার্থীদের এসএসসি পর্যায়ে ৪ হাজার ও এইচএসসি পর্যায়ে ৫ হাজার টাকার চেক হাতে তুলে দেয়া হয়।


আরও খবর



ঈদে ভাড়া বেশি নিলে বাস বন্ধের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদযাত্রায় আন্তঃজেলা বা দূরপাল্লার কোনো গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রমাণ পেলে সেই গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে মহাসড়ক/সড়কে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। হাইওয়ে পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এ মতবিনিময় সভা হয়।

সভায় মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, এবারের ঈদে সম্ভাব্য কোন কোন এলাকায় জট, যানজট বা ব্লক তৈরি হতে পারে, সেটি চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা এবার ঈদযাত্রায় হাইওয়েতে ড্রোনের সহায়তা নিচ্ছি। ড্রোনের সহায়তায় চিত্র দেখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারব। হাইওয়ের অনেক রাস্তা চার লেন হচ্ছে। কোথাও কোথাও হয়ে গেছে। এখন রাস্তায় যদি কোনো যানবাহন তাৎক্ষণিক অকেজো হয়ে পড়ে, তাহলে সেটি সরানো সহজ হবে। ক্রুটিপূর্ণ কোনো যানবাহন যাতে ঈদে সড়কে না নামে, সেটি নিশ্চিত করতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।

প্রতি বছরই বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ ওঠে এবং প্রমাণও মেলে, কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রাঙ্গা বলেন, অনেক পরিবহনই ঈদের সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। যেসব বাস কোম্পানি সুনামের সঙ্গে কাজ করছে, তাদের কোনো বাস যদি ভাড়া বেশি নেয়, তাহলে আমাদের জানাবেন, আমাকে জানাবেন... ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে স্পটে উপস্থিত হব। অভিযোগ পেলেই আমরা সেখানে যাব। কোন কোন জায়গায় কারা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে, সেটি আমরা শনাক্ত করব।

বাড়তি ভাড়া নেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে কী ব্যবস্থা নেবেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ পেলে সেই গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ করে দেব। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে সড়কের তিনটি লেনই অবৈধ পার্কিংয়ের দখলে। যার বড় প্রভাব পড়ে সড়কে যান চলাচলে। সেটি সমাধান না হলে ঈদযাত্রার বড় অংশ সময় যাবে ঢাকাতেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, রাস্তা লক বা ব্লক করে রাস্তায় দাঁড়ানোর কোনো অধিকার আমাদের নেই। যারা অবৈধভাবে পার্কিং করবে সড়কে, আর যানচলাচল বিঘ্নিত করবে, তাদের বিরুদ্ধে ট্র্যাফিক পুলিশ আইনানুগ পদক্ষেপ নিক, আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে তো সড়কই নেই, সড়ককেও টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এখান থেকে বের হয়েই আগে মহাখালী যাব। দেখি ওখানে কী সমস্যা। আবারও বলছি, যারাই অবৈধ পার্কিং করবেন, অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।


আরও খবর



প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার তারিখ জানাল মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষা আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত  ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (পার্বত্য জেলা বাদে) ২১ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ছয় হাজার ২০২টি আসনের বিপরীতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।

এ পরীক্ষায় মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪১৪টি। মৌখিক পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ৫ থেকে ২০ মে, চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে ১০ জুন।

বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

তিনি জানান, এই দুটি বিভাগে অন্যান্য বিভাগের চেয়ে পরীক্ষার্থী বেশি। তাই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে একটু বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে। পরীক্ষার দিন প্রতিটি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। প্রশ্নপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্রাদি সম্বলিত ট্রাংক ঢাকা হতে গ্রহণ, জেলার ট্রেজারিতে সংরক্ষণ এবং উত্তরপত্র ঢাকায় পাঠানোসহ জেলা প্রশাসকরা প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কোনো জেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট না থাকলে বিভাগীয় কমিশনাররা প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে পারেন। ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল ক্ষমতা সম্পন্ন কর্মকর্তাদের ক্ষমতা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছে।

তিনি জানান, পরীক্ষার্থীরা ওয়েবসাইট থেকে ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অথবা এসএসসি পরীক্ষার রোল, বোর্ড ও পাসের সাল দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদেরকে অবশ্যই ডাউনলোড করা প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষাসংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রবেশপত্রে পাওয়া যাবে।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য গত ১৮ জুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদন শুরু হয়েছিল ২৪ জুন, আবেদনের শেষ সময় ৮ জুলাই।

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে এবারই প্রথম আবেদন ও নিয়োগ পরীক্ষা ধাপে ধাপে নেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



অর্ধেকের বেশি শিশুর জন্ম অস্ত্রোপচারে, পল্লীর তুলনায় এগিয়ে শহর

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

পল্লী এলাকার তুলনায় শহরে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের হার বেশি। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্ম হয় বেশি। এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারো (বিবিএস)। সম্প্রতি বিবিএসসের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে বেড়েছে সন্তান জন্মদানের হার। দেশে স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম হয় ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিলো ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ। আর অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয় ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিলো ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ।

পরিসংখ্যানে অনুযায়ী, পল্লী এলাকার চেয়ে শহর এলাকায় অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয় বেশি। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে পল্লী এলাকায় স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্মদানের হার কমেছে। ২০২২ সালে ছিলো ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ আর ২০২৩ সালে এই হার কমে হয়েছে ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ। পক্ষান্তরে ২০২২ সালের তুলনায় বেড়েছে অস্ত্রপচারের হার। পল্লী এলাকায় ২০২২ সালে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ।

পল্লী এলাকার চেয়ে শহর এলাকার চিত্র ঠিক বিপরীত। শহর এলাকায় ২০২২ সালে স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম হয়েছে ৪৭ শতাংশ। ২০২৩ সালে এই হার কমে হয়েছে ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ। শহর এলাকায় ২০২২ সালে যেখানে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয়েছে ৫৩ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে এই হার হয়েছে ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ।

পরিসংখ্যান বলছে, দেশে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্মদানের হার বেশি। ২০২২ সালে ছিলো ৩২ দশমিক ৯৩ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে এই হার হয়েছে ৩৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এর বিপরীতে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্ম হয় ২৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ২০২২ সালে এই হার ছিলো ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। আর বাসাবাড়িতে সন্তান জন্মদানের হার ২০২২ সালের চেয়ে কমে হয়েছে ৩২ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

পল্লী এবং শহর এলাকাতেও বেড়েছে বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্মদানের হার। পল্লী এলাকায় এই হার ৩৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ আর শহর এলাকায় এই হার ৪৩ দশমিক ২৭ শতাংশ। এছাড়া এই পরিসংখ্যান অনুযায়ি দেশে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বেড়েছে জীবিত সন্তান জন্মদানের হার। ২০২২ সালে এই হার ছিলো ৮৭ দশমিক ০৫ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৮৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ।


আরও খবর