আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
বলেছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে এই সরকার অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন
করতে পারবে। শেখ হাসিনা যে কথা দিয়েছেন তা পূরণ করেছেন। গাজীপুরের সিটি নির্বাচনের
মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা
সম্ভব।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটির নতুন মেয়র জায়েদা খাতুন
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টাকারী আবু সাঈদ
চাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবিতে আজ শুক্রবার (২৬ মে) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার
জোর করে নিজেদের প্রার্থীকে জেতাতে চায় না। গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচন সারা দেশে ও বিদেশে
প্রশংসিত হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশন ও গাজীপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। বিজয়ী প্রার্থীকে
অভিনন্দন জানাই।
আগামী চারটি সিটি নির্বাচন এবং জাতীয় নির্বাচন
সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে কাদের বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আজ সারা
দুনিয়া প্রশংসা করছে। দেশে দেশে তিনি যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই প্রশংসিত হচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু
দেশ দিয়ে গেছেন আর শেখ হাসিনা সেই দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ করছেন। বাংলাদেশে জ্বালানি সংকট,
সেটা সারা বিশ্বেই। আমাদের সংকট যেন দীর্ঘায়িত না হয় সে জন্য কাতারের আমিরের সঙ্গে
আলোচনা করে আরও বেশি জ্বালানি নিশ্চয়তা পেয়েছেন। ভবিষ্যতে দেশে জ্বালানির অভাব হবে
না।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, ফলাফল মেনে নিয়েছি : আজমত উল্লা খান
আজকে সাধারণ মানুষ যেন ভোগান্তিতে না থাকে,
জিনিসপত্রের দাম যেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে জন্য তিনি নিজের ঘুম হারাম
করে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দ্য ইকোনমিস্ট
বলেছে, পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ সময় নারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ক্ষমতায় দীর্ঘদিন
আছেন বলে উন্নয়ন, সমৃদ্ধি হচ্ছে। আর বিএনপি শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়। তাদের নেতারা
‘স্লিপ অফ টাং’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছে।
শেখ হাসিনা জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন চায়, নিজেদের পকেটের উন্নয়ন চায় না। বঙ্গবন্ধুর কন্যা
কখনো দুর্নীতি করেন না। এই নেত্রীকে যখন মির্জা ফখরুলরা হত্যার হুমকি দেয়, তাতে দেশের
মানুষ কষ্ট পায়। শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিলে তোমাদের ভোট আরও কমে যাবে।
দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, আপনারা
ধৈর্য ধরেন। শৃঙ্খলা মেনে কাজ করে যান। কেউ খারাপ কাজ করে তাঁকে সংশোধন করেন, তাঁকে
ভালো কাজ করতে অনুপ্রেরণা দেন। কর্মীদের ভালো আচরণ এবং আমাদের নেত্রীর উন্নয়ন এই দুটি
মিললে নির্বাচনে জয় অবশ্যম্ভাবী।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচন: প্রতীক পেলেন মেয়র প্রার্থীরা
কয়েক দিন আগে তারা আটলান্টিকের ওপারে তাকিয়ে
ছিল। নিষেধাজ্ঞার আশায় আশায় কেউ যায় লন্ডনে, কেউ যায় দুবাইয়ে উল্লেখ করে কাদের বলেন,
নিষেধাজ্ঞা কই? যা এসেছে তাতে নিষেধাজ্ঞার কিছু নাই। আমাদের নির্বাচন, গণতন্ত্র আমাদের
সিস্টেমে চলবে। আমরা কারও ভয়ে ভীত নই। আমরা আমাদের সংবিধান অনুযায়ী চলব।
কাদের বলেন, তাঁরা চেয়েছিল নিষেধাজ্ঞা,
এসেছে ভিসা পলিসি। এ দেখে বিএনপি নেতাদের মুখ শুকিয়ে গেছে। কথায় কথায় আগুন, ভাঙচুর
করে, ভূমি অফিস, বাস, রেললাইন পুড়িয়ে দেয়, মানুষ পুড়িয়ে মারে। এই হলো বিএনপি। আমরা
কাউকে বাধা দিই না, যারা বাধা দেয় তাঁদের বিরুদ্ধে এই পলিসি কার্যকর হয় কিনা আমরা তা
দেখব।