আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের তফসিল হতে পারে সোমবার

প্রকাশিত:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

গাজীপুর সিটি ভোটের তফসিল আগামী সোমবার (৩ এপ্রিল) ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। কারণ গত ১১ মার্চ থেকে এ সিটি নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। অর্থাৎ গত ১১ মার্চ থেকে পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে এই সিটির ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির।

এছাড়া সোমবারের কমিশন সভায় গাজীপুরের পাশাপাশি অন্য চার সিটি করপোরেশন (রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল) নির্বাচন নিয়ে আগামী সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ইসির সভাকক্ষে বেলা ১১টায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, পাঁচ সিটি নির্বাচন নিয়ে পরবর্তী কমিশন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। তবে এর মধ্যে গাজীপুর সিটি নির্বাচন প্রথমে অনুষ্ঠিত হবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভার পরবর্তী পাঁচ বছর। আর পরবর্তী নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে।

ইসি জানায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ ভোট হয়েছে ২০১৮ সালের ২৭ জুন। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের ১১ মার্চ থেকে। অর্থাৎ আগামী গাজীপুর সিটির ভোটগ্রহণ করতে হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ২৭ জুন। আর খুলনা সিটির সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। এই দুই সিটিতেই নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই বছর ১১ অক্টোবর। এজন্য পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হবে আগামী ১১ এপ্রিল। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে আসছে ১০ অক্টোবরের মধ্যে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে একই বছর ৭ নভেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হবে আগামী ৬ মে। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে চলতি বছর ৫ নভেম্বরের মধ্যে।

এছাড়া, বরিশাল সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই বছর ১৪ নভেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হবে আগামী ১৪ মে। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এ বছর ১৩ নভেম্বরের মধ্যে।


আরও খবর



দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

৪৫৫ রানের লিড নিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বোলাররা দ্বিতীয় ইনিংসে ১০২ রানে লঙ্কানদের ৬ উইকেট তুলে নিলেও লিড সাড়ে চারশ ছাড়িয়ে যাওয়ায় স্বস্তিতে নেই স্বাগতিকরা। বাংলাদেশকে দুইশর আগে অলআউট করে প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানের লিড নেয় সফরকারীরা।

বাংলাদেশকে ফলো-অন না করিয়ে চা-বিরতির পর দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান করলেও লঙ্কানরা ধুঁকছে এবার। হাসান মাহমুদ চারটি ও খালেদ আহমেদ দুটি উইকেট তুলে নিয়ে ধস নামান। ৮৯ রানে ৯ উইকেট হারায় তারা। ৭ রানে জীবন পাওয়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ৩৯ রানে অপরাজিত আছেন। ৫০ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি চারের মার।

হাসানের বলে শাহাদাত হোসেন দীপুর হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন ম্যাথুস। জীবন পেয়ে রয়েছেন ফিফটির পথে। সিলেট টেস্টের মতোই প্রথম ইনিংসই ম্যাচে গড়ে দিয়েছে ব্যবধান।

১৮০, ১৩৯, ১৮৮, ১৮২, ১৭৮ টেস্টে টানা পাঁচ ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের চিত্র। সবগুলোই ঘরের মাটিতে। শেষের তিনটি স্কোর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। লঙ্কানদের ৫৩১ রানের জবাবে চট্টগ্রাম টেস্টে স্বাগতিকরা গুটিয়ে গেছে ১৭৮ রানে। জাকির হাসান সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিলেটে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ ১৮৮ ও ১৮২ তে অলআউট হয়ে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

চট্টগ্রামের ব্যাটিং উইকেটেও ভাগ্য ফেরেনি বাংলাদেশের। থামতে হয় দুইশর আগে। তার আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে ১৮০ ও ১৩৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় উইকেটে প্রতিরোধ ভাঙার পর দ্রুত আরও দুই ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি। সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, শাহাদাত হোসেন দীপু দ্রুত ফিরলে অল্পতেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

আসিথা ফার্নান্ডো নেন চারটি উইকেট। দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন লাহিরু কুমারা, প্রবথ জয়াসুরিয়া ও বিশ্ব ফার্নান্ডো।

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের পড়ন্ত বিকেলে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমেছিলেন। তৃতীয় দিন প্রথম ঘণ্টায় নিজের উইকেট অক্ষত রাখেন টাইগার বাঁহাতি স্পিনার।

দলীয় ৯৬ রানে বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে আউট হন জাকির। ১ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর তাইজুলও আউট হন। ৯৬/১ থেকে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ১০৫/৪।

শ্রীলঙ্কাকে ৫৩১ রানে থামিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার খানিকটা সময় আগে ভুল করে বসেন মাহমুদুল হাসান জয়। লাহিরু কুমারার বলে লাইন মিস করে বোল্ড হন শেষবেলায়।

৪২ বলে তিন চারে ২১ রান করে সাজঘরে ফেরেন জয়। ওপেনিংয়ে জাকিরের সঙ্গে জমে যাওয়া জুটি ভাঙে ৪৭ রানে। ৮২ রানে শেষ ৯ উইকেট হারিয়ে ফলো-অনে পড়ে বাংলাদেশ।


আরও খবর



১৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪০৯৬ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে বৈধ পথে দেশে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার (প্রতি এক ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে) পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৯৬ কোটি টাকার বেশি। এ হিসাবে গত ১৯ দিনে দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার বা ৭৪১ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। প্রবাসী আয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকলে পুরো মাস শেষে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি এপ্রিল মাসের ১৯ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে। তার মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৩২ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা রয়েছে ৯টি। যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

এর আগে বিদায়ী মার্চ মাসের পুরো সময়ে বৈধ পথে প্রায় দুই বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স আসে। ওই মাসটির পুরো সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল এবং দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর মাসে এসেছিল ১৯৩ কোটি ডলার এবং শেষ মাস ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে।


আরও খবর



জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার, জাসদ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস (৭৮) মারা গেছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে, তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।

১৯৭০ সালের ছয় জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১-এর দুই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়।

১৯৭০ সালের সাত জুন ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এই জন্য ছাত্রদের নিয়ে একটি জয়বাংলা বাহিনী, মতান্তরে ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী’ গঠন করা হয়। ছাত্র নেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিবনারায়ন দাশের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিবনারায়ন দাসের নকশা করা পতাকার মধ্যে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ, রঙ, ও তার ব্যাখ্যা সংবলিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলে পটূয়া কামরুল হাসানকে। কামরুল হাসান দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।


আরও খবর



সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি, সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (সিমিউই-৫) সংযোগ সরবরাহ বন্ধের কারণে সারাদেশে ইন্টারনেট সেবায় ধীরগতি দেখা দিয়েছি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে এ সমস্যা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যান্ডউইথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরে ফাইবার ক্যাবল ব্রেক করায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ বলেন, সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ হয়। এর পুরোটাই এখন বন্ধ আছে। আমরা চেষ্টা করছি সিমিউই-৪ (প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল) দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করতে। সিঙ্গাপুরে ফাইবার ক্যাবল ব্রেক করায় বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। আজ শনিবার বিকালের মধ্যে জানা যাবে, এটা কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে।

দেশের মোট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হয় এখন ৫ হাজার জিবিপিএস। দুই সাবমেরিন ক্যাবলের বাইরে প্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) মাধ্যমে স্থল সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয়। ২০২৫ সালের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই ৬ থেকে আরও ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ যুক্ত হবে।


আরও খবর



যেভাবে অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা কেটেছে ব্যাংক ম্যানেজারের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বান্দরবানের রুমা থেকে অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন রাসেলকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও নিরাপত্তা বাহিনী বিশেষ অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে। নেজামকে এরইমধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যা‌বের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন।

র‌্যাব এবং অপহৃত ম্যানেজার নেজামের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ম্যানেজার নেজাম চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে, সন্ত্রাসীরা ভোল্ট ভাঙতে চেষ্টা করে। ম্যানেজার তাদের জানায়, ভল্টে আঘাত করলে সেন্সরের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক বিষয়টি সোনালী ব্যাংকের হেড অফিস জেনে যাবে। তখন তারা ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছানোর পর তার চোখ বেঁধে ফেলে।

দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা তাকে পাহাড়ের ঝিরিপথে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার সঙ্গে ১০-১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ছিল বলে র‍্যাবকে জানান নেজাম উদ্দীন। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তার চোখের বাঁধন খুলে দেয় এবং অন্ধকারে চলার জন্য তার হাতে একটি বাটন মোবাইল সেট ধরিয়ে দেয়। এভাবে প্রথম রাত কেটে যায়।

অপহরণের দ্বিতীয় দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ম্যানেজারকে নাস্তা খেতে দেওয়া হয় এবং পায়ে হাঁটিয়ে পাহাড়ি ঝিরিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অপেক্ষমান ৩০-৩৫ জনের একটি দল ম্যানেজারকে কলা পাতায় করে গরম ভাত, ডাল ও ডিম ভাজি দিয়ে খেতে দেয়। সেখান থেকে হাঁটিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। নতুন অবস্থানে ম্যানেজারকে ১৫-২০ মিনিট বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত সেখানেই তাকে রাখা হয়। রাতে ম্যানেজারকে ডাল ও ডিম ভাজি দিয়ে সদ্য রান্না করা ভাত খেতে দেয়।

অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন সূত্রে জানা গেছে, অপহরণকারীরা নিজেদের মধ্যে বম ভাষায় কথা বললেও ম্যানেজারের সাথে কথা বলার সময় তারা শুদ্ধ বাংলা ভাষা ব্যবহার করতো।

সূত্র জানায়, ২-৩ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নেজামকে সবসময় ঘিরে রাখতো। এছাড়া ১২-১৩ জনের একটি গ্রুপ তার আশেপাশে অবস্থান করতো। দ্বিতীয় দিন বুধবার রাত ৮ টার দিকে একটি মাচাং ঘরে (টং ঘর) কড়া সশস্ত্র প্রহরায় ম্যানেজারের রাতে ঘুমানোর ব্যবস্থা করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ম্যানেজার নেজামকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ দেয় এবং তিনি যেন প্রশাসনিক বা আইনি সহায়তা না নেন, সে বিষয়ে পরিবারকে সতর্ক করা হয়।

পরিবারের সাথে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারের ফোন কলের সূত্র ধরে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে র‌্যাব তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। এরপর শুরু হয় সন্ত্রাসীদের সাথে র‌্যাবের যোগাযোগ।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে ব্যাংক ম্যানেজারের স্ত্রী মাইসুরা ইসফাত এবং তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রুমা উপজেলায় অবস্থান করছিলেন। ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারের পর ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে তাদেরকেও র‌্যাবের একটি গাড়িতে চড়িয়ে রাত সোয়া ৯টার দিকে আসা হয় বান্দরবান জেলা সদরের মেঘলা এলাকায় অবস্থিত র‌্যাব ১৫ কার্যালয়ে।


আরও খবর