ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত
রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় নিহতের
সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য
মন্ত্রণালয় আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আজ
পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ২১ হাজার ১১০ জন প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি
হামলায় নিহত হয়েছে ১৯৫ জন। আর আহত হয়েছে ৫৫ হাজার ২৪৩ জন।
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার গাজার মধ্যাঞ্চলসহ
আরও ১০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে স্থল অভিযান পরিচালনা করেছে ইসরায়েল। আর আজ ভোররাতেও
পুরো গাজা উপত্যকাজুড়ে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। রামাল্লায় মিসরীয় টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গাজা উপত্যকার যুদ্ধ ‘বিপর্যয়কর পরিস্থিতির বাইরে’ চলে গেছে। ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য এই যুদ্ধকে ‘নজিরবিহীন’ বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন>> সুখবর পেল ইমরান খানের দল পিটিআই
আব্বাস বলেন, ‘পুরো ভূখণ্ডকে
এখন আর চেনা যাচ্ছে না। অধিকৃত পশ্চিম তীরেও যেকোনো সময় বিস্ফোরণ হতে পারে।’ ফিলিস্তিনি এই
নেতা যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করার জন্য ওয়াশিংটনের সমালোচনাও করেন।
ইসরায়েল ও আরব গণমাধ্যমগুলো অবশ্য জানিয়েছে,
মিসর যুদ্ধবিরতির একটি পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তাব দিয়েছে। গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুসারে,
এই পরিকল্পনায় সব ইসরায়েলি পণবন্দিকে বিভিন্ন ধাপে মুক্তি কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি
এতে ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধসহ দেশটির কারাগারে থাকা অনির্ধারিত সংখ্যার ফিলিস্তিনি বন্দির
মুক্তির বিষয়টির ওপরও আলোকপাত করা হয়েছে।
এর আগে কাতারের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির
সময় হামাসের হাতে থাকা বেশকিছু পণবন্দিকে মুক্ত করে দেওয়া হয়, বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে
থাকা বেশকিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকেও মুক্তি দেওয়া হয়।
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে
টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। মিয়ানমারের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের
সরিয়ে নিতে ট্রাক প্রস্তুত করে। পরে পুলিশের সহায়তায় রোহিঙ্গাদের ট্রাকে উঠানো হয় এবং
পাশেই থাকা একটি সরকারি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মন্তব্য দিতে রাজি হয়নি বান্দা পুলিশ কর্তৃপক্ষ। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলেছে, ঘটনাটি শরণার্থীদের হতবাক ও মর্মাহত করেছে। এক বিবৃতিতে ইউএনএইচসিআর বলে, ‘উদ্বাস্তুদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তাদের ও মানবিক কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।’ শরণার্থীদের ওপর আক্রমণ একটি বিচ্ছিন্ন কাজ নয় জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য, বিভ্রান্তি ও ঘৃণামূলক অনলাইনে প্রচার করা হয় এবং আজকের ঘটনা সেটির ফলাফল।
এএফপি জানিয়েছে, কয়েক দশকের দীর্ঘস্থায়ী
সংঘর্ষ হয়েছে আচেহ প্রদেশে। সেখানে অনেক বাসিন্দা সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের
প্রতি সহানুভূতিশীল। তবে, অন্য একটি পক্ষ বলছে, রোহিঙ্গারা তাদের দুর্লভ সম্পদ ব্যবহার
করে এবং মাঝে মাঝে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে।
২৩ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী
খলিলুল্লাহ এএফপিকে বলেন, ‘যেসব রোহিঙ্গা এখানে এসেছে আমরা তাদের
সঙ্গে একমত নয়। যার কারণে আমরা বিক্ষোভ করছি।’