আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে ইহুদিদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলা অবিলম্বে বন্ধসহ যুদ্ধবিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের  পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে বিক্ষোভ হয়েছে। এ বিক্ষোভে অনেক ইহুদি অংশ নেন। তাঁরা যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েল সরকারকে চাপ দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার হওয়া এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রায় ১০০ জন অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে কালো টি-শার্ট পরেছিলেন। টি-শার্টে ইহুদিরা এখনই যুদ্ধবিরতি চায়, আমাদের নামে (যুদ্ধ) নয় ইত্যাদি স্লোগান লেখা ছিল। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ইহুদিদের কেউ কেউ ঐতিহ্যবাহী কিপ্পাহ টুপি পরে এসেছিলেন।

রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ব্র্যান্ডন উইলিয়ামস ইসরায়েলের পতাকা উড়িয়ে বিক্ষোভকারী ব্যক্তিদের প্রতি সংহতি জানান।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল জিউশ ভয়েস ফর পিস নামে ইহুদিদের একটি সংগঠন।

ফিলাডেলফিয়া থেকে বিক্ষোভে অংশ নিতে এসেছিলেন ৭১ বছর বয়সী লিন্ডা হল্টজম্যান। বাইডেনের উদ্দেশে লিন্ডা বলেছেন, চোখ খুলে দেখুন। যুদ্ধবিরতির জন্য অবিলম্বে উদ্যোগ নিন।

৩২ বছর বয়সী হান্নাহ লরেন্সের বাড়ি ভারমন্টে। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল সরকারকে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিতে সক্ষম বর্তমান বিশ্বে এমন একমাত্র ব্যক্তি হলেন বাইডেন। এ কারণে অসহায় মানুষদের জীবন বাঁচানোর জন্য বাইডেনের শক্তি প্রয়োগ করা উচিত।

বিক্ষোভে অংশ নেন ক্যানন রোতুন্দা। তাঁর হাতে ছিল ব্যানার। দেন যুদ্ধবিরোধী স্লোগান। ক্যানন বলেছেন, বিক্ষোভ থেকে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ব্যানার খুলে ফেলছে। কয়েকজনকে হাতকড়া পরিয়েও নিয়ে যেতে দেখা যায়।

পরে ইউএস ক্যাপিটল পুলিশের পক্ষ থেকে এক্স (টুইটার) বার্তায় বলা হয়, আমরা বিক্ষোভকারী ব্যক্তিদের বিক্ষোভ থামাতে বলেছিলাম। কিন্তু তাঁরা শোনেননি। কংগ্রেস ভবনে বিক্ষোভ চালিয়ে যান তাঁরা। এরপর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এ সংঘাতে দুই পক্ষের চার হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এর মধ্যে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি জায়গায় আশ্রয়শিবিরে স্থল অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ছাড়া গাজা থেকে পালানোর সময় বেসামরিক লোকজনের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা চালানোর খবর এসেছে। হামলা হয়েছে গাজার হাসপাতালেও।

এনডিটিভি


আরও খবর



দেশে এক মাসে ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়েছে সাড়ে ৪৩ লাখ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টানা পাঁচ মাস দেশে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক কমার পর ফেব্রুয়ারি থেকে তা বাড়তে শুরু করে। বছরের দ্বিতীয় মাসে এক লাফে ১১ লাখ ৭০ হাজার গ্রাহক বাড়ে। সবশেষ মার্চে দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক ৩৭ লাখ ৯০ হাজার বৃদ্ধির তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কমিশনের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়ে হয়েছে ১২ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার। এর আগের মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে গ্রাহক ছিল ১১ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজার। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়েছে ৩৭ লাখ ৯০ হাজার।

গ্রাহক বেড়েছে আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেটেরও। ফেব্রুয়ারিতে আইএসপির গ্রাহক সংখ্যা ছিল এক কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার। মার্চে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার। এ মাসে আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেটের গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার।

এদিকে, মোবাইল এবং আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেটের গ্রাহক বাড়ায় দেশে মোট ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যাও বেড়েছে। মার্চে দেশের মোট ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৪৭ লাখ। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে মোট গ্রাহক ছিল ১৩ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজারে। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়েছে ৪৩ লাখ ৫০ হাজার।

জানা গেছে, বিটিআরসি প্রতি মাসে দেশের ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকে। এবার কিছুটা দেরিতে অর্থাৎ, মে মাসে এসে মার্চের ইন্টারনেট গ্রাহকের তথ্য প্রকাশ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

এর আগে টানা পাঁচ মাস দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক সংখ্যা কমতে দেখা গেছে। গ্রাহকদের অভিযোগ ছিল, প্যাকেজ সমন্বয়ের নামে মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম বাড়ানোর কারণে তারা ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি ইন্টারনেটের দাম আরও বেড়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছিল ফেব্রুয়ারি-মার্চে আরও গ্রাহক হারাবে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো। তবে বিটিআরসির তথ্যে দেখা গেলো উল্টোচিত্র।

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের আগস্টে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে গ্রাহক কমতে শুরু করে। সেপ্টেম্বরে ২০ হাজার গ্রাহক কমে ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজারে নেমে যায়। অক্টোবরে এক লাফে ৩ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক কমে দাঁড়ায় ১১ কোটি ৯৪ লাখ ১০ হাজার। নভেম্বর প্রায় ৫ লাখ গ্রাহক কমে যায়। ওই মাসে গ্রাহক ছিল ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার। এরপর ডিসেম্বর তা কমে ১১ লাখ ৮৪ লাখ ৯০ হাজারে নেমে যায়।

সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা কমে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৩০ হাজারে নামে। এরপর ফেব্রুয়ারি ও মার্চ টানা দুই মাস মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। একই সঙ্গে দীর্ঘদিন পর আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেট গ্রাহকও বাড়লো।

জানতে চাইলে বিটিআরসির মহাপরিচালক (এসএস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিলুর রহমান বলেন, এটা বিভিন্ন কারণে কমতে-বাড়তে পারে। খরচ বাড়া-কমা নিয়েও প্রশ্ন থাকতে পারে। অন্য বিভিন্ন কারণও থাকে। ফেব্রুয়ারিতে গ্রাহক সংখ্যা কিছুটা বেড়েছিল। মার্চে বেশ ভালো অগ্রগতি দেখছি আমরা। প্রকৃতপক্ষে আমরা যে তথ্য পাই, সেটাই প্রতি মাসে প্রকাশ করে থাকি। এখানে লুকোচুরির কিছু নেই।


আরও খবর



ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট দেয়ায় সাংবাদিক গ্রেফতার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পিরোজপুরের নেছারাবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিকৃত কার্টুন সম্বলিত ছবি পোষ্টের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে দেবাশীষ মন্ডল আশিষ নামের এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মনিন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে দেবাশীষ মন্ডল দৈনিক কালাবেলা পত্রিকার নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি।

রবিবার দুপুরে গ্রেফতার দেবাশীষকে পিরোজপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে শনিবার বিকেলে দেবাশীষকে স্বরূপকাঠি পৌরসভা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার দেবাশীষ শনিবার তার (দেবাশীষ মন্ডল-দৈনিক কালবেলা) নামক ফেসবুক আইডির মাধ্যমে বিকৃত কার্টুন সম্বলিত ছবি দিয়ে একটি স্টাটাস পোষ্ট দেয়। মুহুর্তের মধ্যে ওই পোস্টের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ এলাকায় ব্যপক নিন্দা শুরু হয়। এক পর্যায়ে এলাকার আলেম সমাজ ওই পোস্টের প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে জাতীয় ইমাম সমিতি নেছারাবাদ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামী ফাউন্ডেশন নেছারাবাদ শাখার তত্ত্বাবধায়ক মোঃ মাসুম বিল্লাহ জানান, ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গকরে ফেসবুকে এমন কটুক্তি ও উসকানি মূলক স্টাটাসের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আইনের মাধ্যমে দোষীর শাস্তি দাবী করছি।

নেছারাবাদ থানার ওসি মো. গোলাম সরোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতার দেবাশীষকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে রবিবার দুপুরে পিরোজপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভাগীয় সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।


আরও খবর



তীব্র গরমে বিএনপির সমাবেশ স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপদাহের কারণে আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠেয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।

মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু সোমবার (২২ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।

উল্লেখ, গত ২৫ মার্চ রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করে বিএনপি। তবে দলীয় কর্মসূচি হিসেবে নির্বাচনের আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর সর্বশেষ রাজধানীতে সমাবেশ করেছিল বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে চলে জ্বালাও-পোড়াও এবং সংঘর্ষ। এতে পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান।

এর পরদিন উত্তরার বাসায় গ্রেপ্তার হন ফখরুল। এরপর থেকে কয়েক মাস কারাবন্দি ছিলেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় জেলেই ছিলেন তিনি। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।


আরও খবর



তীব্র তাপের মধ্যেও উন্নয়নের নামে বৃক্ষশূন্য করা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈশাখী প্রখর রোদের তেজে তীব্র গা-জ্বলা খরতাপে পুড়ছে জনপদ। ঠাকুরগাঁওয়ে আজকে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। ভয়ংকর  দাবদাহে মানুষ যখন এক প্রকার মরতে বসেছে, সেই সময় আবার বিক্রির জন্য গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে বন বিভাগ। তীব্র তাপপ্রবাহ ও কম বৃষ্টিপাতের কারণে গ্রীষ্মকাল দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। এসবের পরও উন্নয়নের নামে প্রায় বৃক্ষশূন্য করে ফেলা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে।

গেল বছরে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী, আমজানখোর ও চাড়োল ইউনিয়নের প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তার ৫ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ওই রাস্তাগুলোর মধ্যে ৮ কিলোমিটার রাস্তায় নতুন গাছ লাগালেও বাকি রাস্তাগুলোতে গাছ লাগানোর কোন অগ্রগতি চোখে পড়েনি।

এর মধ্যেই দরপত্রের মাধ্যমে আবারও একই উপজেলার ধনতলা ও পাড়িয়া ইউনিয়নের ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার ৪ হাজার গাছ কাটা শুরু হয়েছে। তাপদহের এই দুঃসময়ে গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

বন বিভাগের ভাষ্য, নিয়ম অনুযায়ী আয়তনের তুলনায় ২৫ ভাগ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও ঠাকুরগাঁও জেলা রয়েছে ২ ভাগের কম বনভূমি রয়েছে। এসব গাছপালা কেটে ফেলা হলে শূন্যের কোঠায় পৌছাবে বনভূমি। সবকিছু জানার পরেও গেল মাসে ৮ ইউনিয়নে রাস্তায় থাকা অবশিষ্ট গাছগুলো কেটে ফেলার জন্য দরপত্র দিয়েছে বন বিভাগ। এর মধ্যে দুটো ইউনিয়নে শুরু হয়েছে গাছ কাটা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দরপত্র পাওয়া দিনাজপুরের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ করা শ্রমিকরা রাস্তার গাছ কাটছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে এ কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা। দরপত্রের কার্যাদেশ অনুযায়ী ৪ হাজার গাছ কাটবেন তারা। এক সপ্তাহে ৩ শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে বলে জানান শ্রমিকরা।

বন বিভাগের আহবান করা দরপত্র অনুযায়ী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের লোহাগাড়া হইতে তিলকরা সরাকন্দি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও ধনতলা ইউনিয়নের পাঁচপীর থেকে ফুটানী হাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার, তিলময় বাবুর বাড়ী হতে এনামুল চেয়ারম্যানের বাড়ী হয়ে বাহার জিলা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও সিন্দুরপিন্ডি হইতে খোঁচাবাড়ী হয়ে তীরনই নদীর শেষ সীমানা ও দলুয়া হয়ে পান্তা ভিটা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারসহ ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার পাশের বিশাল আকৃতির গাছগুলোর গায়ে সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হয়েছে কাটার জন্য।

মশালডাঙ্গী গ্রামের সমারু মাঠে কাজ করে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তিনি জানান, রাস্তার ধারে থাকা গাছগুলোর ছায়ায় কৃষক ও শ্রমজীবি শ্রেণির মানুষেরা মাঠে কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রাম নেয়। এ তীব্র তাপদাহের মধ্যে এখন রাস্তার দু'পাশের বিশালাকৃতির গাছগুলো কাটা হলে মরুভুমিতে পরিনত হবে এলাকাটি। তাই এলাকাবাসীর দাবি প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে এই মুহূর্তে গাছগুলো না কেটে কিছুদিন পরে কাটলে এলাকাবাসী উপকৃত হতো।

ঠাকুরগাঁওয়ে আবহাওয়া অফিস না থাকলেও রংপুর আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, শুক্রবার ঠাকুরগাঁও জেলায় দুপুরে তাপের প্রখরতা ছিল ৩৭ ডিগ্রী, শনিবার ৩৪ ডিগ্রী ও আজ রবিবার ৩৯ ডিগ্রী ছুইছুই। গরমের তীব্রতায় মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য ইশতেশকার নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা। এ অবস্থায় গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার লোকজন।

শিক্ষক আমানুল্লাহ জানান, রাস্তার পাশের গাছগুলো এই এই মুহূর্তে যেমন মানুষের জন্য প্রয়োজন, তেমনী পশু-পাখিদের জন্যও প্রয়োজন। অনেক পাখি এখন গাছগুলোতে বাসা বানিয়ে ডিম দিয়েছে। প্রচন্ড তাপদাহের সময়ে পাখিগুলোর জন্য হলেও কিছুদিন পরে গাছগুলো কাটা উচিত।

পাড়িয়া ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী জানান, দরপত্র হয়েছে গাছ কাটবে ঠিকাদার। এতে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে গ্রামবাসীর দাবি গরমের দিনগুলো পার করে গাছ কাটা হউক। এটা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগকে প্রয়োজনে লিখিত আকারে জানানো হবে।

ঠাকুরগাঁও বনবিভাগের বন কর্মকর্তা শফিউল আলম মন্ডল জানান, গাছগুলো কাটার উপযোগী এবং যারা লাগিয়েছেন তাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে দরপত্র আহবান করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় গাছগুলো কাটা বন্ধ রাখার জন্য ঠিকাদার ও বন বিভাগকে জানিয়েছি। তাপদাহ কমে গেলে দরপত্র অনুযায়ী ঠিকাদার কাটবেন।


আরও খবর



৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদনের রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এবার লবণের উৎপাদন ৬৩ বছরের আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। মৌসুম শেষ হওয়ার সপ্তাহ দুয়েক বাকি থাকতেই এখন পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভুঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছিল।

বিসিক সূত্র জানায়, রোববার ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, পটিয়া, কক্সবাজার, খুলনা, ঝালকাঠি ও চাঁদপুর এই আটটি জোনে উৎপাদন হয় ৩৮ হাজার ৯৭০ টন লবণ। গত বছরের একই দিনে উৎপাদন ছিল ৩০ হাজার ৮৯৫ টন। এবার এক লাখ টন লবণ উৎপাদন হওয়ার আশা করছে সংস্থাটি। মে মাসের মাঝামাঝি সময়কে চলতি মৌসুমের শেষ ধরে এই হিসাব করা হয়েছে।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা লবণ চাষি কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শফিক মিয়া বলেন, জানুয়ারির অর্ধেক পর্যন্ত লবণ উৎপাদন তেমন হয়নি; কিন্তু এখন বেশি হচ্ছে। কারণ খরা খুব বেশি। আরও ১০ থেকে ১৫ দিন এমন খরা থাকলে লবণ উৎপাদন বাড়বে।

বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভুঁইয়া বলেন, মৌসুমজুড়ে দাবদাহ, ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমির শতভাগে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তিতে চাষাবাদ এবং অতিরিক্ত ১ হাজার ৯৩৩ একরের বেশি জমিতে লবণ চাষের কারণে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে।

জানা যায়, দেশের আটটি লবণ জোনে এবার চাষ করেছেন ৪০ হাজার ৬৯৫ জন, যা গত বছরের ৩৯ হাজার ৪৬৭ জনের চেয়ে ১ হাজার ২২৮ জন বেশি। একই সঙ্গে বেড়েছে লবণের আবাদি জমির পরিমাণও। এবার চাষ হয়েছে ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমিতে, যা গতবারের ৬৬ হাজার ৪২৪ একরের তুলনায় ১ হাজার ৯৩৩ একর বেশি।


আরও খবর