আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

গাইবান্ধায় বাজারের টাকা চাওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গাইবান্ধায় বাজারের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ডলি বেগম (৩৬) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মাদকাসক্ত স্বামী ছকু মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে ছকু পলাতক রয়েছেন।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ডলির শাশুড়ি জরিনা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকেল ৫টার দিকে গাইবান্ধা রেলস্টেশনের পূর্ব-প্রান্তের বস্তি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে রেলবস্তির একটি টিনের ঝুপড়ি ঘরে স্ত্রী ডলি ও মা জরিনা বেগমকে নিয়ে বসবাস করতেন ছকু। বিয়ের পর থেকে ছকুর সঙ্গে স্ত্রী ডলির ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। এছাড়া মাদকের টাকার জন্য প্রায়ই ডলিকে মারধর করতেন ছকু। আজ বিকেলে ডলি স্বামী ছকুর কাছে বাজারের টাকা চাইতে গেলে দুইজনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে ছকু তার স্ত্রী ডলিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। নিহত ডলির পায়ে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। এ খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। একইসঙ্গে পুলিশ নিহতের শাশুড়িকে আটক করে। 

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত ছকু মিয়া পালিয়েছেন। তবে, জড়িত সন্দেহে স্বামী ছকুর মা জরিনাকে আটক করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: কুপিয়ে হত্যা

আরও খবর



ক্যানসারের ইঙ্গিত দেয় যেসব লক্ষণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

বিশ্বজুড়ে ২০৫০ সালের মধ্যে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭৫ শতাংশের বেশি বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির ক্যানসারবিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইএআরসি) জানিয়েছে, ২০১২ সালে বিশ্বজুড়ে ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১ কোটি ৪১ লাখ এবং ৮২ লাখ। এক দশক পর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২ কোটি ও ৯৭ লাখে।

সংস্থাটির পূর্বাভাস বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে আরও সাড়ে তিন কোটি, যা ২০২২ সালের চেয়ে অন্তত ৭৭ শতাংশ বেশি।

তবে ৭০ এর দশকের পর থেকে ক্যানসারে আক্রান্তদের বেঁচে থাকার হার তিনগুণ বেড়েছে। মূলত সঠিক সময়ে ক্যানসারের চিকিৎসা করালেই ভালো হওয়ার সম্ভবনা থাকে।

যুক্তরাজ্যের ক্যানসার গবেষণা সংস্থার এক গবেষণা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের অর্ধেকের বেশি বাসিন্দা জীবনের কোন না কোন সময়ে এমন কোন উপসর্গে ভুগেছেন যেটি আসলে ক্যানসারের উপস্থিতির জানান দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু মাত্র ২ শতাংশ মনে করেছেন যে এর কারণে তাদের ভুগতে হতে পারে এবং এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ একে কোন ধরণের পাত্তাই দেননি এবং এর ফলে চিকিৎসকের কাছেও যাননি। এমন কিছু লক্ষর সম্পর্কে চলুন জেনে নিই-

হুট করে ওজন কমে যাওয়া : ক্যানসার আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষই কোন না কোন সময় ওজন হারাতে শুরু করে। যখন আপনি কোন ধরনের কারণ ছাড়াই ওজন হারাতে শুরু করেন, এটাকে বলা হয় ব্যাখ্যাহীন ওজন হারানো। আর এই ব্যাখ্যাহীন ওজনহীনতা ক্যানসারের প্রথম লক্ষণ হতে পারে। অগ্ন্যাশয়, পাকস্থলী, খাদ্যনালী বা ফুসফুসের ক্যানসারের ক্ষেত্রে ওজন কমে যাওয়ার এই লক্ষণ বেশি দেখা যায়।

জ্বর : ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের সবচেয়ে সাধারণ একটি উপসর্গ হচ্ছে জ্বর। এছাড়া ক্যানসার শরীরে ছড়িয়ে পড়লে প্রায়ই জ্বর দেখা দেয়।

ক্লান্তি : এখানে ক্লান্তি বলতে বোঝায় চরম ক্লান্তিভাব যা বিশ্রাম নেয়ার পরও দূর হয় না। ক্যানসার বাড়ার সাথে সাথে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। কিছু কিছু ক্যানসার যেমন লিউকেমিয়ার ক্ষেত্রে শুরুর দিকেই ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। কিছু কোলন বা মলাশয় ও পাকস্থলীর ক্যান্সারের ক্ষেত্রে রক্তপাত হতে পারে তবে এটা সবক্ষেত্রে হয় না। এর কারণেও ক্যান্সারের সময় ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।

ত্বকে পরিবর্তন : ত্বকের ক্যানসার ছাড়াও আরো কিছু ক্যানসার রয়েছে যাতে আক্রান্ত হলে আপনার ত্বকে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। যেমন- ত্বক কালো হয়ে যাওয়া বা হাইপারপিগমেনটেশন, ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া বা জন্ডিস, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি, মাত্রাতিরিক্ত চুলের বৃদ্ধি, অন্ত্রের ক্রিয়া বা মূত্রাশয়ের কার্যক্রমে পরিবর্তন কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ইত্যাদি। অন্যদিকে প্রস্রাব করার সময় ব্যথা, প্রস্রাবে রক্তপাত বা মূত্রাশয়ের কার্যক্রমে পরিবর্তন যেমন আগের তুলনায় কম বা বেশি প্রস্রাব করা ইত্যাদি মূত্রাশয় বা প্রোস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

রক্তপাত : ক্যানসারের ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় কিংবা তা ছড়িয়ে পড়ার পর অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে। কাশির সাথে রক্ত বের হওয়া ফুসফুস ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। এছাড়া আপনার যদি মলের সাথে রক্ত বের হয়, তাহলে মলদ্বারে ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

শরীরের যে কোন স্থান শক্ত হয়ে যাওয়া : অনেক ক্যানসার ত্বকের মাধ্যমে শনাক্ত করা যেতে পারে। এ ধরনের ক্যানসার সাধারণত স্তন, অণ্ডকোষ, গ্রন্থি এবং শরীরের নরম টিস্যুতে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে দেহে শক্তভাব বা মাংস জমে আছে- এ ধরনের অনুভূতি হয়। এটা এসব ক্যানসারের প্রাথমিক বা বিলম্বিত উপসর্গ হতে পারে।


আরও খবর



পাকিস্তানে আজ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন, ৯ মার্চ প্রেসিডেন্ট

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের পার্লামেন্টে আজ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন। শনিবার পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতি শাহবাজ শরিফ এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) মহাসচিব ওমর আইয়ুব প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

শনিবার দুপুর ২টায় মনোনয়নপত্র গ্রহণের সময় শেষ হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের সময় শেষ হয়েছে বিকাল ৩টায়। রোববার প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনের পর ৯ মার্চ নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন দুই কক্ষের নবনির্বাচত সংসদ-সদস্যরা।

পিএমএল-এন এবং তাদের মিত্ররা জাতীয় পরিষদের সচিবের কাছে আটটি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিপরীতে এসআইসি তার নামে চারটি মনোনয়নপত্র দাখিল করে। যাচাই-বাছাই শেষে উভয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।

পিএমএল-এন নেতা ইসহাক দার, হানিফ আব্বাসি এবং পিপিপি নেতা খুরশিদ শাহ শাহবাজের পক্ষে নথি জমা দিয়েছেন।  ওমর আইয়ুবের মনোনয়নপত্র নিম্নকক্ষের সচিবের কাছে জমা দিয়েছে পিটিআই সমর্থক সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল (এসআইসি)।

মুতাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), ইন্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সবাই পিএমএল-এন-এর প্রার্থীকে সমর্থনে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য বিজয়ীকে কমপক্ষে ১৬৯ ভোট পেতে হবে।

এরই মধ্যে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) আনুষ্ঠানিকভাবে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেছে। প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা আগামী ৯ মার্চ। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পাকিস্তানের পার্লামেন্ট হাউজ এবং ৪টি প্রাদেশিক অ্যাসেম্বলিতে এই ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগ্রহী প্রার্থীদের নির্বাচনের আগে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করে ২ মার্চের মধ্যে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। যেগুলো ৪ মার্চ পর্যন্ত একটি সূক্ষ্ণভাবে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে।

ইসলামাবাদের সংসদ ভবন এবং ৪টি প্রাদেশিক পরিষদ এই গণতান্ত্রিক অনুশীলনের মূল ক্ষেত্র হিসাবে কাজ করবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মিত্ররা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে পশতুন-খোয়া মিলি আওয়ামী পার্টি (পিকেএমএপি) প্রধান মাহমুদ খান আচাকজাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

অন্যদিকে পিপিপির ফরুক এইচ নায়েক এবং সেলিম মান্ডভিওয়ালা প্রেসিডেন্ট পদের জন্য জোট সরকারের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে দলের কো-চেয়ারপারসন আসিফ জারদারির মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার হিসাবে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করবেন বিচারপতি আমির ফারুক।

এদিকে শনিবার যাচাই-বাছাই পর্বের মধ্য দিয়েই দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছে পিটিআই। লাহোরে পিটিআই নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ও করেছে পুলিশ। নির্বাচনি কারচুপির বিরুদ্ধে সারা দেশে বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে তারা।

নিউজ ট্যাগ: পাকিস্তান

আরও খবর



দেশব্যাপী ইন্টারনেটের ধীর গতি থাকবে আজ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আংশিকভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় আজ (০২ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সারাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা আংশিক ব্যাহত হবে।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) জানিয়েছে, বাংলাদেশকে কক্সবাজার থেকে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সংযুক্তকারী সাবমেরিন কমিউনিকেশন ক্যাবল সিস্টেম সি-মি-উই-৪ সিঙ্গাপুর অংশের সার্কিট এসময়ের মধ্যে আংশিকভাবে বন্ধ থাকবে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের সময়কালে বিএসসিপিএলসির ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িক মন্থরতা বা বাধার সম্মুখীন হতে পারে। রক্ষণাবেক্ষণের কাজের সময় গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবে কুয়াকাটায় স্থাপিত দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৫ চালু থাকবে।

দেশে বর্তমানে মোট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ হাজার জিবিপিএসে। এর অর্ধেকেরও বেশিপ্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএসআসে আন্তর্জাতিক টেরিস্ট্রিয়াল কেবল লাইসেন্সধারীদের মাধ্যমে। বাকি প্রায় ২ হাজার ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সরবরাহ করে বিএসসিপিএলসি।

২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হয়। এর মাধ্যমে প্রায় ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। ২০১৭ সালে সি-মি-উই-৫ চালুর পর থেকে এর মাধ্যমে আরও ১ হাজার ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়।

বিএসসিপিএলসি ২০২৫ সালের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৬ স্থাপনের মাধ্যমে আরও ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ করছে। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের সক্ষমতা প্রায় ছয় গুণ বাড়িয়ে ৪ হাজার ৬০০ জিবিপিএসে উন্নীত করতে তিন দশমিক দুই মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে যাচ্ছে।

দেশের প্রথম বেসরকারি সাবমেরিন কেবল স্থাপনের জন্য কনসোর্টিয়াম গঠন করেছে সামিট কমিউনিকেশনস, সিডিনেট কমিউনিকেশনস এবং মেটাকোর সাবকম লিমিটেড। ২০২৫ সালের মধ্যে এই কনসোর্টিয়াম ৪৫ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ করছে।


আরও খবর



রাজধানীতে মশার ঘনত্ব বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে মশার ঘনত্ব গত ৪ মাসে বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তরা আর দক্ষিণখানে। এখানকার প্রতিটি ড্রেনে ভাসছে লার্ভা, পচা আর নোংরা পানির প্রতিটি জলাধার যেন একেকটি মশার খামার। স্থানীয়রা জানান, অগণিত মশা। কয়েল জ্বালালেও যায় না। সারাদিন বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে মশারির ভেতর বসে থাকো এমন একটা অবস্থা।

গত নভেম্বর থেকে চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজধানী ও আশপাশের ৬টি স্থানে ফাঁদ পেতে মশা ধরে চালানো হয়, গবেষণা। যাতে দেখা যায়, ফাঁদপ্রতি নভেম্বরে ২শ', জানুয়ারিতে ৩শ', ফেব্রুয়ারিতে ৩৮৮, আর মার্চের মাত্র এক সপ্তাহে ৪২০টি মশা ধরা পড়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তরা আর দক্ষিণখানে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ ও অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার জানান, মার্চে মশার বংশবিস্তার চরম পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে, এ বিষয়টি আগেই সতর্ক করেছিলেন তিনি। আমরা জানুয়ারি মাসেই সতর্ক করে বলেছিলাম মার্চ মাসে মশার ঘনত্ব চরমে পৌঁছাবে। এই মশাগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই কিউলেক্স মশা। তবে এরা কোন রোগ ছড়ায় না। তবে দেশের কিছু কিছু জায়গায় এই মশার কামড়ে ফাইলেরিয়া রোগ হতে পারে।

সতর্কবার্তা যে সিটি করপোরেশন আমলে নেয়নি, সেটি স্পষ্ট স্থানীয়দের কথাতেও। তারা জানায়, জায়গায় জায়গায় শুনি মশা মারে, কিন্তু একটা মেশিনও এখনে বসা না। সিটি করপোরেশনেরও দেখা পাই না। মশার অত্যাচারে আমরা ঘরে বসতেও পারি না। আপনারা আসলে ওদের একটু খোজ পরে, তখন পয়ঃপরিষ্কার করে, তারপরে তাদের আর কোন খবর থাকে না।

এ জন্য সংস্থাগুলোর মাঝে সমন্বয়হীনতার ওপর দায় চাপালেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা কাউকে দোষ দিচ্ছি না। দয়া করে আসুন একসঙ্গে কাজ করি। চেষ্টা করবো এর থেকে ভালো করার জন্যে।

ফাঁদে ধরা পড়া মশার মধ্যে ৯৯ শতাংশই কিউলেক্স। যার কামড়ে হতে পারে গোদ ও বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ। ময়লা পানিতে বংশ বিস্তার করে এটি। এই কিউলেক্স মৌসুম শেষ হলে আবার ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হবে। গত বছর সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ২১ হাজার। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার। গত বছর ডেঙ্গুতে মারা গেছেন এক হাজার ৭০৫ জন, যার মধ্যে ৯৮০ জনই ঢাকায় মারা গেছেন।


আরও খবর



নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেম্যান মারা গেছেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মনোবিজ্ঞানী ড্যানিয়েল কাহনেম্যান মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। শেষ জীবনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে অবস্থিত প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির মনোবিদ্যা এবং পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রফেসার এমেরিটাস হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বিহেভেরিয়াল ইকোনমিক্স বা আচরণগত অর্থনীতির সমার্থক হয়ে উঠেছিলেন ড্যানিয়েল কাহনেম্যান। যদিও কখনও অর্থনীতির কোর্স করেননি এই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। ইউনিভার্সিটি ড্যানিয়েল কাহনেম্যানের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করেছে।

মূলত মানুষের অভ্যাস, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ধরন কী ভাবে ব্যয় এবং তার হাত ধরে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে (বিহেভেরিয়াল ইকনমিক্স) তা নিয়ে গবেষণা করেছেন কাহনেম্যান। বিশেষত অনেক কিছুই না জেনে কীভাবে একজন সিদ্ধান্ত নেন বা নেন না, কেমন আয়ের মানুষ বেশি খুশি থাকেন এই সব ঘিরেই আবর্তিত তার কাজ। আর এটিই পাল্টে দিয়েছে অর্থনীতি সম্পর্কে বহু চিরাচরিত ধ্যান-ধারণাকে। প্রসপেক্ট থিয়োরি (অনিশ্চয়তার মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া) নিয়ে গবেষণার জন্য ২০০২ সালে নোবেল পান তিনি।

১৯৩৪ সালে কাহনেম্যান ফিলিস্তিনের (বর্তমান ইসরায়েলের) তেল আবিবে জন্মগ্রহণ করেন। নিজের প্রাথমিক জীবনের বেশিরভাগ সময় নাৎসি-অধিকৃত ফ্রান্সে কাটিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তার বাবা একটি রাসায়নিক কারখানায় গবেষণার প্রধান হিসেবে কাজ করতেন। তবে ইসরায়েল রাষ্ট্র সৃষ্টির ঠিক আগে ১৯৪৮ সালে কাহনেম্যানের পরিবার ব্রিটিশ শাসিত ফিলিস্তিনে ফিরে আসে।

১৯৫৪ সালে ইসরায়েলের জেরুজালেমে হিব্রু ইউনিভার্সিটি থেকে মনস্তত্ত্ববিদ্যা নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন কাহনেম্যান। পরে তিনি যোগ দেন ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সে। সেখানে সেনা নিয়োগে মানসিকতা যাচাই করতে তৈরি করেন বিশেষ ব্যবস্থা। পরে আমেরিকার বার্কলেতে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফর্নিয়া থেকে পিএইচডি করার পরে ফের হিব্রু ইউনিভার্টিসিতে যোগ দেন অধ্যাপক হিসেবে। ২০১১ সালে প্রকাশিত হয় কাহনেম্যানের বিখ্যাত বই থিংকিং ফাস্ট অ্যান্ড স্লো


আরও খবর