প্রায়ই নানা রকম ছবি ও স্ট্যাটাসের জন্য বিতর্কের মুখে পড়েন শ্রীলেখা মিত্র।
তবু তিনি আছেন তারই মতো।
নিজের একটি ছবি পোস্ট করে শ্রীলেখা মিত্র নতুন করে আগুন ধরিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমার চোখে হারাও, ক্লিভেজ দেখার জন্য সময় পাবে।বলার অপেক্ষা রাখে না, ছবি ও
ক্যাপশন দুটোই আলোচনায় এসেছে।
ক্যাপশনে শ্রীলেখা বলেন, নারীর শরীরের
সৌন্দর্য উপভোগ করাকে অন্যায় হিসেবে দেখেন না তিনি। তবে কোনো নোংরামি বরদাস্ত করবেন
না।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘এ ছবিতে আমার ক্লিভেজ বেরিয়ে রয়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন, ছবি তোলার জন্য ক্লিভেজ
ঢাকতে হবে কেন! আগে আমার চোখের দিকে তাকাও। তারপর আমার ক্লিভেজের দিকে তাকাবে।
নারীর সৌন্দর্যকে উপভোগ করার মধ্যে কোনো অন্যায় দেখেন না শ্রীলেখা। কিন্তু সেই
সৌন্দর্য দেখার নামে ‘নোংরামি’ বরদাস্ত করতে রাজি নন অভিনেত্রী। তিনি মনে করেন, শালীন-অশালীন নির্ভর করে নারী-পুরুষ
নির্বিশেষে মানসিকতার ওপর। তাই কোনো নারী শাড়ি পরলেও তাকে কুকথা শুনতে হতে পারে, আর
খোলামেলা পোশাক বেছে নিলেও তাকে ‘চরিত্রহীন’ বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়।
ট্রলের শিকার হওয়া প্রসঙ্গে শ্রীলেখা বলেন, ‘অনেকেই আমাকে নিয়ে অনেক আজেবাজে কথা বলেন। আমার কোন ধরনের পোশাক পরা উচিত বা
উচিত না, সে বিষয়েও পরামর্শ দেন। কিন্তু তুমি কে ভাই? আমার শরীর। ইচ্ছা হলে আমি দেখাব।
কিন্তু আমার ক্লিভেজ অবধি পৌঁছতে গেলে, আগে আমার মন ছুঁতে হবে।
যৌনতা নিয়ে বরাবরই অকপট শ্রীলেখা। তবে বাস্তবের ছবিটাও অভিনেত্রীর অজানা নয়।
সেই ছবিতে যদিও কোনোরকম পরিবর্তন আনতে চাননি তিনি। তার কথায়, ‘জানি অনেক পুরুষ আমাকে নিয়ে ফ্যান্টাসাইজ
করেন। এই বয়সেও আমি যদি কারও ফ্যান্টাসির বিষয় হই, তা হলে তা তো ভালো লাগার বিষয়।
কিন্তু ট্যুইস্ট এখানেও। অভিনেত্রীর কাছে ‘ফ্যান্টাসি’ শব্দটির অর্থ শুধু যৌনতাকে ঘিরে নয়। শরীরী
চাহিদার চেয়ে বেশি, মনের চাওয়াকেই গুরুত্ব দেন শ্রীলেখা।