আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ফটিকছড়িতে চুরির অপবাদে বিষপানে যুবকের আত্মহত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়নে রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামে এক যুবক বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। রফিকুল দুই মেয়ের বাবা।

সোমবার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন ফারুকী।

তিনি বলেন, অপবাদ সইতে না পেরে রবিবার উক্ত যুবক বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। এরপর সেমাবার চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে দাফন করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মরদেহ দাফন করে পরিবারের সদস্যরা থানায় আসবেন বলে জানান তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে নকশা মিস্ত্রি রফিককে মোবাইল চুরির জন্য সন্দেহ করে। গত রবিবার সকালে কয়েকজন মিলে রফিককে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে মারধর করে। পরে আত্মীয়-স্বজনরা নগদ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে রফিককে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বিকেলে রফিক নিজ বাড়িতে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সেখান থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।


আরও খবর



ভৈরবে ট্রলারডুবি : ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো। এ ঘটনায় একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। সোমবার (২৫ মার্চ) ফায়ার সার্ভিস এ তথ্য জানিয়েছে।

গত ২২ মার্চ সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেঘনা নদীতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে বালুভর্তি বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। ঘটনার পর সুবর্ণা আক্তার (২০) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। পরদিন ২৩ মার্চ উদ্ধার তৎপরতা চালানোর সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মৌসুমি বেগম (২৫) ও আরাধ্য (১২) নামে আরও দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ট্রলারটিতে কনস্টেবল সোহেল রানার পরিবারের পাঁচজন, ভৈরবের আমলাপাড়ার ফল ব্যবসায়ী ঝন্টু দে-র পরিবারের সাতজন এবং কলেজপড়ুয়া দুই বান্ধবী সুবর্ণা ও আনিকাসহ মোট ২১ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ঘটনার পরপর মোট ১২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বাকি ৯ জনের মধ্যে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং একজন নিখোঁজ রয়েছে।


আরও খবর



মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মানিকগঞ্জে কাঁচামাল ব্যবসায়ী মাজম আলী বেপারী হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মথুর নাথ সরকার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ চর মকিমপুর গ্রামের মো. সোহাগ, একই গ্রামের হাবিয়া বেগম, শাহিনুর ইসলাম ওরফে নেরন, নাধন ও মত্ত ঢাকুয়াপাড়া গ্রামের মো. আলমগীর। এদিকে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন মো. খলিল, আলী আকবর ও টুটুল।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট রাত ১০টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামি সোহাগ কাঁচামাল ব্যবসায়ী মাজমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অন্য আসামিদের সহযোগিতায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে ৪ আগস্ট সকাল ৬টার দিকে মাজমের লাশ সোহাগের চৌচালা টিনের ঘরের উত্তর-পশ্চিম পাশে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জেলেকা বেগম ৮ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৯ জুন মানিকগঞ্জ সদর থানার তৎকালীন ওসি মো. আমিনুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে আদালত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া শেষে এই রায় দেন। হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ায় সন্তোষ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মথুর নাথ সরকার।

তবে রায়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বাদশা, খলিলুর রহমান খলিল ও মো. শাহজাহান। তারা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।


আরও খবর



টিয়া পাখি উদ্ধারে গিয়ে মৃত্যু : ক্ষতিপূরণের রিটে আদেশ আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

তারে আটকে থাকা টিয়া পাখি উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্বেচ্ছাসেবী আতিফ ইসলামের (৩০) মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে মায়ের দায়ের করা রিট আবেদনের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ আজ।

রিটকারীর আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের বিষয়ে বুধবার (১৩মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও মোহাম্মদ আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আদেশ দেবেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ এ বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। তারপর আদেশ দেওয়ার জন্য আজ বুধবার (১৩ মার্চ) দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।

আদালতে ওইদিন শুনানিতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। এসময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়া আতিফ ইসলামের মা তানজিনা রহমান টুম্পা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করা হয়। রিট আবেদনে বলা হয়, কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধন ছাড়াই রবিনহুড-দ্য অ্যানিমেল রেসকিউয়ার এবং ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘‘টিয়া পাখি উদ্ধারে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রবিনহুডের স্বেচ্ছাসেবীর মৃত্যু শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়।

এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আতিফ ইসলাম। তার মায়ের দাবি, কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ না থাকার পরও জোর করে আতিফকে সেদিন পাখি উদ্ধার করতে বলা হয়েছিল সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, বিদ্যুতের তারে আটকে পড়েছিল টিয়া পাখি। সেই টিয়া পাখি উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রবিনহুড-দ্য অ্যানিমেল রেসকিউয়ার এর তিন স্বেচ্ছাসেবী। পরে তাদের একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় ২১ ডিসেম্বর বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত রবিনহুডের স্বেচ্ছাসেবী আতিফ ইসলাম (৩০) ওই রাত ২টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শরীরের ৮৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তার বাসা লালবাগ এলাকায়। তার বাবার নাম বাবলা ইসলাম। এ ঘটনায় শফিকুর রহমানের (৪৫) শরীরের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়। আরেক স্বেচ্ছাসেবক রুপ (২৫) সামান্য আহত হন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টিয়া পাখিটি বিদ্যুতের তারে আটকে থাকার খবর পেয়ে রবিনহুডের স্বেচ্ছাসেবীরা উদ্ধার করতে যান। পাখিটি তারের সঙ্গে লেগে থাকা ঘুড়ির সুতায় জড়িয়ে ছিল। যেখানে টিয়া পাখিটি আটকে ছিল, সেখানে গিয়ে একটি তিনতলা ভবনের ছাদে যান স্বেচ্ছাসেবীরা। ছাদ থেকে একটি পাইপ দিয়ে সুতা ছিঁড়ে টিয়া পাখিটি ছাড়ানোর চেষ্টা করেন আতিফ। তখন আতিফ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। সঙ্গে থাকা গাড়িচালক শফিকুরও দগ্ধ হন। তারা দুজন রুপকের ওপর পড়লে তিনি সামান্য আহত হন।


আরও খবর



চট্টগ্রামে উদ্বোধন হল নান্দনিক 'বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ' স্মৃতি স্মারক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

নগরীর বহদ্দারহাট চত্বরে নান্দনিক 'বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ' স্মৃতি স্মারক উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার সকালে উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করা হয়েছে। তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে এই স্মৃতিফলক নির্মাণ করেছি। এই স্মৃতিফলক তরুণ প্রজন্মকে মনে করিয়ে দিবে স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রামের ভূমিকার কথা।

কাঁচ দিয়ে নির্মাণ করা স্মৃতিস্মারকটি পিরামিড আকৃতির। কাচের ফ্রেমের ভেতর রয়েছে মাইক্রোফোন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠের সময় যে মাইক্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছে এটি তার প্রতীক। পিরামিডটি মুক্তিযুদ্ধকালীন ৭ কোটি বাঙালির ঐক্যবদ্ধতার প্রতীক।

উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ, কাউন্সিলর মো. এসরারুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমর, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, হেলাল আহমেদ, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন জয়, জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, কাবেদুর রহমান কচি, আশরাফুল গনি, সাইফুল ইসলাম লিটন, নেছার আহমেদ, পলাশ খাস্তগীর, শওকত হোসেন, ভাস্কর মান্না পাল, সুকান্ত প্রয়াস, স্থপতি আজমুল হক।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



ফেনীতে র‍্যাবের হাতে ধরা পড়লো ৯ চাঁদাবাজ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজিব মাসুদ, ফেনী

Image

ফেনীতে চাঁদাবাজি করার সময় পৃথক অভিযানে র‍্যাবের হাতে ৯ চাঁদাবাজ ধরা পড়েছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে জেলার বিভিন্ন সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন পরিবহন চালকদের কাছ থেকে তারা অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করছিল।

চাঁদাবাজি করার সময় র‍্যাবের হাতে আটক ব্যক্তিরা হলেন - ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর যশপুর গ্রামের ওবায়দুল হকের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৪১), বাঁশপাড়া গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে মো. ছলিম (৩৪), আবুল কালামের ছেলে মো. আরাফাত, মাখু মিয়ার ছেলে আলম (৪৫), দক্ষিণ মটুয়া গ্রামের মো. মিয়ার ছেলে মো. আরাফাত (২৩), পশ্চিম ছাগলনাইয়ার আবুল কাশেমের ছেলে মো. আজিম উদ্দিন (২৬), বাঁশপাড়া গ্রামের জাফর আহমেদের ছেলে মো. রেজাউল করিম (৪২), ইব্রাহিম দিপ্তির ছেলে মো. আবুল হাশেম খোকন (৪২), আধাঁর মানিক গ্রামের রহিম উল্লাহর ছেলে মো. শফিক (৪৫) ও আবুল হাশেমের ছেলে মো. আনোয়ার (৪২)।

র‍্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্প জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে যে কতিপয় ব্যক্তি ফেনীর বিভিন্ন সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন পরিবহন চালকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করছে। এরপর র‍্যাবের একটি দল শুক্রবার বিকেলে পৃথক অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজির সময় ৯জনকে আটক করে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করে বিভিন্ন গাড়ি থেকে আদায়কৃত চাঁদার নগদ ২২ হাজার ৬০০ টাকা এবং চাঁদা আদায়ের বিপুল পরিমাণ ভুয়া রশিদ বই উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘ দিন ধরে ফেনীর ছাগলনাইয়া পৌরসভার বিভিন্ন পরিবহন চালকদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক চাঁদাবাজি করে আসছিল।

ফেনীস্থ র‍্যাবের কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ছাগলনাইয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর