ফরিদপুরের বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় জামিন না পাওয়ায় বিএনপির ১৬ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। তবে একই মামলায় আদালত অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় মধুখালী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, মিজানুর রহমান মিজান, জাহিদুল ইসলাম মুকুল, আরেফিন সাদ্দাম ও ইলিয়াস বিশ্বাস জাপানকে জামিন দেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর আলী এ আদেশ দেন। গত ৩১ জুলাই মধুখালী থানার এসআই অজয় বালা বিস্ফোরক আইনের মামলা করেন।
এ মামলায় এজাহারভুক্ত বিএনপির ২৪ নেতাকর্মী গত ৮ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন লাভ করেন। মঙ্গলবার হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের ২১জন ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ঘটনার দিন সোমবার ভোরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয় বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভকালে পুলিশের ওপর হামলা করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ছয় রাউন্ড শটগানের গুলি বর্ষণ করে। এ ঘটনায় মধুখালী বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৬০ থেকে ৭০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
শুনানি শেষে আদালত মধুখালী পৌর বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ সতেজ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য জয়দেব রায়, মধুখালী পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক এস এম মোক্তার হোসেন, সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুব হোসেন তালুকদার, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন ও ইয়াসিন বিশ্বাস, লিয়াকত আলী, কনক হাসান মাসুদ, বাবুল কুমার রায়, জি এস শরৎ, পিযুষ মিত্র, সোহেল আহমেদ, মো: রেদোয়ান, মো: কামরুল, টারজান মিয়া ও মো: কামাল উদ্দিনসহ ১৬ জনের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন বলেন, এ মামলায় দু'জন আসামিকে এর আগে আটক করা হয়। মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনে থাকা নেতাকর্মীরা জামিনের আবেদন করলে পাঁচজনের জামিন এবং ১৬ জনকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল ও জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েলসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি নেতারা এটিকে একটি গায়েবি মামলা বলে উল্লেখ করে আটকদের মুক্তি দাবি করেন।