ফরিদপুর জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ও ভাঙ্গা উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি কাজী হেদায়েত উল্লাহ সাকলাইনের সাথে অজ্ঞাত এক মহিলার নগ্ন ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার অপরাধে ভাঙ্গা থানায় যুবলীগ নেতাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(২)/৮(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার কাজী সাকলাইন বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় আরাফাত শেখকে প্রধান আসামি করে মোট ৮জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য কাজী হেদায়েত উল্লাহ সাকলাইন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহর চাচাত ভাই।
আসামিরা হলেন ভাঙ্গা উপজেলার কাউলীবেড়া ইউনিয়নের শেখপুরা গ্রামের আরাফাত শেখ। কামরুল মাতুব্বর, কামাল মাতুব্বর, বিপ্লব মাতুব্বর, তাদের তিনজনের বাড়ি সদরপুর উপজেলার চর আড়িয়াল খাঁ গ্রামে। এছাড়া তরিকুল ইসলাম শুভ, ভাঙ্গা উপজেলার চরপাল্লা গ্রামে। সালাউদ্দিন খাঁন তানভির সদরপুর উপজেলার নেওয়াজখার কান্দি ও সানি রহমান দোপপাশা গ্রামে ও কিবরিয়া মুন্সীর বাড়ি কামারকান্দা গ্রামে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ আগস্ট জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি কাজী হেদায়েতুল্লাহ সাকলাইন তিনি আসামিদের ব্যক্তিগত আইডি থেকে সুপার এডিট করা অজ্ঞাত একজন মহিলার সাথে তার নগ্ন ছবি দেখতে পান। ব্যক্তিগত ছবি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আসামিরা ফেসবুকে পোস্ট করে। বাদীর ধারণা উল্লেখিত আসামিরা ও আরও ৪ থেকে ৫ জন নিজেদের ফেসবুক আইডি দ্বারা তার ব্যক্তিগত ছবি অজ্ঞাত মহিলার সাথে সুপার এডিট করার পর সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ফেসবুকে পোস্ট করে।
ভাঙ্গা উপজেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন বলেন, সম্মানিত কোন ব্যক্তির সম্মানহানি করা এটা নিন্দানীয় এবং আইনত অপরাধ। থানায় মামলা হয়েছে তদন্ত পূর্বক দোষীদের শাস্তির দাবি করার পাশাপাশি ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়ারুল ইসলাম জানান, ৮ জনসহ অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচ জনের নামে ভাঙ্গা থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করছে।