আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ফরিদপুরে সরিষার হলুদ ফুলে কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশিত:সোমবার ১২ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ফরিদপুরের চরাঞ্চলের সরিষার ক্ষেতগুলো হলুদ ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে। জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ মৌসুমে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। আমন ধান চাষের পর কৃষকরা ওই জমিতে সরিষা চাষ করেন। এরই মধ্যে সরিষার আবাদ শেষ হয়েছে। বিশেষ করে চরের কৃষকরা অগ্রীম সরিষা আবাদ করেন। যে কারণে অন্য এলাকার চেয়ে এখানে পুরোদমে সরিষা গাছে ফুল ফুটেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, সদর উপজেলার চরাঞ্চল নর্থ চ্যানেল ও মুনসুরাবাদে ধান ও বিভিন্ন ডালের চেয়ে সরিষা চাষে বেশি লাভ হওয়ায় সরিষার প্রতি উৎসাহী হয়েছেন কৃষকরা। গতবারের ভালো ফলনে এবার বেড়েছে সরিষার চাষ। এবারও সরিষার ভালো ফলনের সম্ভাবনা জানান দিচ্ছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা। ফলে চাষিদের মুখে হাসি লক্ষ্য করা গেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলায়ই সরিষা উৎপন্ন হয়। সবচেয়ে বেশি সরিষা উৎপন্ন হয় বোয়ালমারী উপজেলায়। গত মৌসুমে ফরিদপুরে ৮ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়। জেলার চাষিরা বারি-১৪, বিনা-১৬, বিনা-৪, বিনা-৯ জাতের সরিষা চাষ করেন। বীজ বপন থেকে শুরু করে এ ফসলে সময় লাগে ৮০-৯০ দিন। চলতি অর্থবছরে পুরো জেলায় ১২ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে।

সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের মিলন পালের ডাঙ্গির কৃষক ফাখের মিয়া, শহিদুল ইসলাম, আলেফ কারী, ছুরমান বেপারী  জানান, প্রতি বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে সরিষা উৎপন্ন হয় কমপক্ষে ৮-৯ মণ। হালচাষের পর বীজ বপন, নিড়ানি, সার ও সেচ দিতে হয়। প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় গড়ে ৬-৭ হাজার টাকা। কম হলেও প্রতি মণ সরিষা বিক্রি হয় ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা। উৎপাদন খরচ বাদে প্রতি বিঘা জমিতে ৭-৮ হাজার টাকার বেশি লাভ করা সম্ভব। কিন্তু সমপরিমাণ জমিতে ধান হয় গড়ে ১৫-২০ মণ। ধান চাষে খরচ বেশি। সে হিসেবে সরিষা চাষে লাভ বেশি। তাই এলাকার কৃষকরা সরিষা চাষে ঝুঁকেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা পলাশ খান  বলেন, গতবারের মতো এবারও চর এলাকাজুড়ে আগাম সরিষা আবাদ হয়েছে। সরিষা ক্ষেতগুলো হলুদ রঙের ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে। গত বছরের চেয়ে এবার বেশি জমিতে সরিষা আবাদ হচ্ছে। কৃষক সেকেন মাতুব্বর জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর বেশি জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। জমির পরিমাণ প্রায় ৪ বিঘা। সরিষা চাষে ঝুঁকি ও খাটুনি কম। তবে লাভ বেশি। এ জন্য তিনি সরিষা চাষে উৎসাহিত হয়েছেন। তিনি সরিষা চাষ থেকে ২০-৩০ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন।

নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান মোস্তাক  বলেন, একসময় এলাকায় মুসুরি, মুগসহ বিভিন্ন জাতের ডাল চাষ হলেও এখন তেমন হয় না। সরিষা চাষে লাভবান হওয়ায় এলাকার কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। ইউনিয়নে প্রায় ৩০০-৪০০ হেক্টরের বেশি জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। এর সঙ্গে প্রায় ২ সহস্রাধিক কৃষক যুক্ত আছেন।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জিয়াউল হক  বলেন, এলাকার চাষিদের কাছে সরিষার কদর বাড়ছে। গত অর্থবছরের তুলনায় ৩,৪৫৭ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও বাম্পার ফলন হবে।


আরও খবর
টানা ছয় দফা কমলো সোনার দাম

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




বান্দরবানের ছয় উপজেলায় বন্ধ সোনালী ব্যাংক

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে গত দুদিনে তিনটি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সদর উপজেলা বাদে জেলার ছয়টি উপজেলার সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) বান্দরবান সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ওসমান গণি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সোনালী ব্যাংকের চট্টগ্রাম উত্তর বিভাগীয় কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার মো. মোসা খান  জানান, মঙ্গলবার ও বুধবারের ঘটনায় নিরাপত্তাজনিত কারণে সাময়িক সময়ের জন্য বান্দরবানের সদর শাখা ছাড়া সব উপজেলার সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

এর আগে বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালায় অস্ত্রধারীরা। এ সময় সোনালী ব্যাংকে থেকে ১৫ লাখ ও কৃষি ব্যাংক থেকে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে দুর্বৃত্তরা।


আরও খবর



সৌদির সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে উদযাপিত হচ্ছে ঈদ

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। এই ঈদ উদযাপনে শরিক হয়েছেন ইসলাম ধর্মের হানাফি মাজহাবের অনুসারীরা। তারা বলছেন, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে চাঁদের অবস্থান জেনে এবং সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি দেশে চাঁদ দেখার খবর পেয়ে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন তারা। সে অনুযায়ী, আজ ঈদ উদযাপনের খবর পাওয়া গেছে চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, দিনাজপুর, ঝিনাইদহ, পটুয়াখালী, মুন্সীগঞ্জ, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, সাতক্ষীরা শেরপুর, বরিশাল, মৌলভীবাজার, পিরোজপুর, জামালপুর, বরগুনাসহ অনেক জেলার বিভিন্ন জায়গায়।

চাঁদপুর : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা জাকারিয়া চৌধুরী। অন্যদিকে সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা আরিফুল্লাহ চৌধুরী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার আরও কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা এ ধর্মীয় উৎসবে সামিল হোন।

চাঁদপুরে হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা পীর ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, এ দেশে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মরহুম মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন। তারপর থেকে সেই ধারা দেশের বিভিন্ন দরবার শরীফের পীরের অনুসারি এবং সচেতন মুসল্লিরা পালন করছেন।

নোয়াখালী : সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার চার গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদ উদযাপন করেন। প্রায় ১০০ বছর ধরে বাংলাদেশের একদিন আগেই তারাবির নামাজ পড়ে রোজা শুরু করেন তারা। এ বছরও এসব গ্রামের মানুষ একদিন আগেই পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বলে জানিয়েছেন।

বুধবার (১০ এপ্রিল) দুই উপজেলার ৯টি মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন তারা।

গ্রামগুলো হলো-নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর ও হরিণারায়নপুর গ্রাম, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রাম।

চট্টগ্রাম : সৌদি আরবের আকাশে দেখা গেছে শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ৩০ রোজা পালন শেষে আগামীকাল বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে।

জানা গেছে, সাতকানিয়ার মির্জারখীল, এওচিয়ার গাটিয়া ডেঙ্গা, মাদার্শা, খাগরিয়ার মৈশামুড়া, পুরানগড়, চরতির সুইপুরা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমছড়াসহ তৈলারদ্বীপের ৬০ গ্রামের বাসিন্দারা মঙ্গলবার রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেননি। বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদ উদযাপন করবেন তারা।

দিনাজপুর : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুর সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার কিছু স্থানে বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।

দিনাজপুরসহ চিরিরবন্দর, কাহারোল, বিরামপুর, বীরগঞ্জসহ জেলার আরও কিছু এলাকায় আজ ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হচ্ছে।

জামালপুর : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বুধবার (১০ এপ্রিল) জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষ ঈদ উদ্‌যাপন করছেন।

সরিষাবাড়ী উপজেলার বলারদিয়ার, মূলবাড়ি, সাতপোয়া, সাঞ্চারপাড়, পঞ্চপীর, পাখাডুবি, বালিয়া, বনগ্রাম, হোসনাবাদ, বাউসী, পুঠিয়ারপাড়, বগারপাড়, পাটাবুগা ও দক্ষিণ বলারদিয়ার গ্রামের ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।

ঝিনাইদহ : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতেও বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিরত উদ্‌যাপন করছেন কয়েকটি গ্রামের মুসল্লিরা। এ ছাড়া উপজেলার পায়রাডাঙ্গা, ভালকি ও নিত্যানন্দপুরেও ঈদের ছোট ছোট জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পটুয়াখালী : পটুয়াখালী বদরপুর দরবার শরীফসহ জেলার ২৭ গ্রামে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হচ্ছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সদর উপজেলার বদরপুর দরগাহ শরীফ জামে মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলার বদরপুর ছাড়াও জেলার কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, দশমিনা ও দুমকি উপজেলার অন্তত ২৭ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের নয় গ্রামে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। গ্রামগুলো হচ্ছে- সদর উপজেলার আনন্দপুর, শিলই, নায়েবকান্দি, আধারা, মিজিকান্দি, কালিরচর, বাংলাবাজার, বাঘাইকান্দির ও কংসপুরা একাংশ।

লালমনিরহাট : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি গ্রামে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন পাঁচ শতাধিক মুসল্লি।

কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী ও রাজিবপুর উপজেলায় তিনটি ইউনিয়নের কয়েকশ মানুষ বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। এ ছাড়া রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ এবং কোদালকাটি ইউনিয়নে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

সাতক্ষীরা : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বুধবার (১০ এপ্রিল) সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সদর উপজেলার বাউকোলা, ভাড়ুখালী, আখড়াখোলা, তলুইগাছা, তালা উপজেলার ইসলামকাটি, কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া, পাইকগাছা, খলিলনগর এলাকার অনেকেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।


আরও খবর



৮ ঘণ্টা পর নিভল খুলনার জুট মিলে লাগা আগুন, চলছে ডাম্পিং

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

প্রায় ৮ ঘণ্টা পর খুলনার রূপসা উপজেলার জাবুসায় সালাম জুট মিলে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ও নৌবাহিনীর দুইটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত ২টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন চলছে ডার্মিংয়ের কাজ চলছে। এ ঘটনায় জুট মিলের চারটি গোডাউনে থাকা কাঁচা পাট ছাড়াও প্রক্রিয়াজাত করা সব পাটই পুড়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুন লাগা জুট মিলে কোনো ধরনের অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। বারবার এ বিষয়ে নোটিশ দেয়া হলেও মালিকপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অন্যদিকে, পাটের আগুন হওয়ায় নিয়ন্ত্রণে আসতে এত সময় লেগেছে।

ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, আমার স্টেশনের ১১টা ইউনিট কাজ করেছে। আমারও একটি গাড়ি আছে, তবে সেটি অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার গাড়ি না। সেটা না ধরলে ১০টা ইউনিট হবে। আর প্রতিটি গাড়িতে দুইটি করে পাম্প থাকে। আমরা ২০টা পাম্প সেট করেছি, কমপক্ষে ২২-২৩ লাইন খুলেছি। পরে দেখলাম আমরা একটা প্রান্তে ঢুকতে পারছি না। শেষ পর্যন্ত আমার একটি ইউনিট রয়েছে, যেটা কোথাও কাটাকাটি করা লাগলে আমরা ব্যবহার করি। সেটিকে রেসকিউ ইউনিট বলা হয়। পরে ওই ইউনিট দিয়ে আমরা পেছন থেকে দুইটা দেয়াল কাটি।

তিনি বলেন, জুট মিলের দেয়ালগুলো ১২ ইঞ্চির। আর এটা একটা জেলখানার মতো জায়গা। ১২ থেকে ১৫ ফুট উঁচু করছে যেন মানুষ অপরপাশ দিয়ে না আসতে পারে। একটা করিডোরও তো রাখা যেতো। ২টা মানুষ যে এক্সিট হবে সে পথ রাখে নাই। দুইটা গেট রাখতো।

এর আগে বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খুলনার এই জুট মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে খবর পেয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। এরপর একে একে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয় ১১টি ইউনিট। সেই সঙ্গে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় নৌবাহিনীর ২টি ইউনিট।

এদিকে, জুট মিলের মালিক এম এম এ সালাম জানিয়েছেন, আগুনে প্রায় ৭৫০ টন রপ্তানি উপযোগী পাটজাত পণ্য ছাড়াও প্রায় ৩৫ হাজার মণ কাঁচা পাট এবং মিলের যন্ত্রপাতি পুড়ে গেছে। সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১২৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়া কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্সে তার ৫০ কোটি টাকার ইনস্যুরেন্স করা ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: খুলনা জুট মিল

আরও খবর



মর্গ থেকে মরদেহ বাড়িতে নেওয়ার টাকাও নেই ইকবালের পরিবারের

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে ষাটোর্ধ্ব মা সুফিয়া বেগম এখন নির্বাক। ঢাকায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া শ্রমিক ইকবাল হোসেনের মৃত্যুতে শুধু কাঁদছেন আর বুক চাপড়াচ্ছেন মা। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঘটনাটি জানার পর থেকেই কোনো দানাপানি মুখে নেননি তিনি। ছেলে যে আর ফিরবে না এটা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তিনি। কথা ছিল ঈদের ছুটিতে ছেলে বাড়িতে আসবে। সেই আসা আসবেই। কিন্তু জীবিত নয়, লাশ হয়ে।

সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ইউটার্ন নির্মাণের জন্য সড়কে রাখা সিমেন্টের পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় একটি তেলবোঝাই লরি। এ সময় তেল বোঝাই লরিটিতে আগুন জ্বলে উঠে। এ সময় পাশে এবং পেছনে থাকা একটি প্রাইভেটকারসহ আরও চারটি গাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের লেবার ইকবাল হোসেন। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ৮ জনকে উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

নিহত ইকবালের বাড়ি যশোরের চৌগাছা উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের বর্ণি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে। বর্তমানের ইকবালের নিথর দেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের হিমঘরে রাখা হয়েছে।

হতদরিদ্র পরিবারের ইকবাল বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। গ্রামে দীর্ঘদিন ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন তিনি। কিন্তু ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ায় বছর খানেক আগে বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে পাড়ি দেন রাজধানী ঢাকার সাভারে। সেখানে বিভিন্ন পরিবহনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। স্ত্রী মঞ্জুয়ারাও স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।

১০ দিন আগে পাঁচ বছর বয়সী ইকবালের ছোট মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি চৌগাছায় আসেন মা সুফিয়া বেগম। কথা ছিল ঈদের দুইদিন আগে ছুটি নিয়ে স্ত্রী ও বড় মেয়েকে নিয়ে গ্রামে আসবেন। কিন্তু ঈদের ছুটিতে নয়, জীবনের মতো ছুটি নিয়ে ফিরছে ইকবালের নিথর দেহ।

ইকবালের মা সুফিয়া বেগম আহাজারি করতে করতে বলেন, আমার ছেলেটা জন্ম থেকেই কষ্ট করেছে। অনেক দেনাদায়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। তাই বছর খানিক আগে তার উপার্জনের ভ্যানটা বিক্রি করে সবাইরে নিয়ে ঢাকায় গেছিল। সেখানে একটা বস্তিতে বাসা ভাড়া নিয়ে সবাই একসঙ্গে থাকছিলাম। আমিও সেখানে থাকি। ঈদে আমাদের সবার গ্রামে আসার কথা ছিল, কিন্তু ঈদের সময় গাড়ি পাওয়া যায় না। তাই ইকবালের ছোট মেয়েডারে নিয়ে আমি ১০ দিন আগে গ্রামে এসেছি। ঈদের দুইদিন আগে ইকবাল তার বউ মেয়েরে নিয়ে গ্রামে আসার কথা ছিল।

ইকবালের ছোট মেয়েকে কোলে নিয়ে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে তিনি বলেন, ও আল্লাহ আমরা ইকবালরে কই নিয়ে গেলা। ইকবালের বদলে আমারে নিতে পারতা। এখন আমাদের কী হবে। তার বউ বাচ্চাদের কী হবে। এই তোমার বিচার?

মঙ্গলবার বিকেলে ইকবালের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আত্মীয়-স্বজনের মাতম চলছে। তাদের কান্নায় প্রতিবেশী ও উপস্থিত কেউই কান্না ধরে রাখতে পারছিলেন না। সবাই তার ছোট মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছেন। তাকে ঘিরেই নানা সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন ইকবালের প্রতিবেশী স্বজনেরা।

ইকবালের প্রতিবেশী স্থানীয় স্কুলশিক্ষক আরিফুজ্জান বলেন, ইকবালরা দুই ভাইবোন। তার একটা বোন, বিয়ে হয়ে গেছে। হতদরিদ্র পরিবারে ইকবালই উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। দেনার কারণে সপরিবারে ঢাকায় গেছিলেন। কিন্তু তার সেই দেনা পরিশোধ হওয়ার আগেই মৃত্যু হলো। এখন তার পরিবারের কী হবে?

তিনি জানান, ইকবালের মরদেহ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রয়েছে। বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ চৌগাছায় আসবে। তার মরদেহ আসার প্রেক্ষিতে জানাজার সময় চূড়ান্ত হবে। তবে এত টাকা খরচ করে ইকবালের মরদেহ গ্রামে আনার সক্ষমতাও নেই তার পরিবারের।

স্থানীয় সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, পরিবারটি নিঃসন্দেহে অসহায়। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে ছিল ইকবাল। এখন পরিবারটি আরও অসহায় হয়ে পড়লো। পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছি। আমরা তাদের পরিবারের পাশে থাকবো। স্থানীয় বিত্তবান মানুষদের ইকবালের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।


আরও খবর



মালয়েশিয়ায় মাঝ আকাশে ২ হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ, নিহত ১০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মাঝ আকাশে মালয়েশিয়া নৌবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানের জন্য মহড়ার সময় হেলিকপ্টার দুটির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর একটি মাটিতে পড়লেও আরেকটি গিয়ে পড়ে সুইমিং পুলে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এইচওএম এম৫০৫-৩ মডেলের একটি হেলিকপ্টারের ৭ জন এবং এম৫০৩-৬ মডেলের অন্য হেলিকপ্টারে তিনজন আরোহী ছিলেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই দুটি হেলিকপ্টারে ১০ জন ক্রু ছিলেন। তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ তথ্যের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


আরও খবর