আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ফরিদপুরে অগ্নিকা‌ন্ডে ক্ষ‌তিগ্রস্থ‌দের পা‌শে মেজর হা‌লি‌ম

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

ফরিদপুরের সালথা উপ‌জেলা সদ‌রের মাঠ সালথা এলাকায় শুক্রবার রাত ১০টার দি‌কে হতদরিদ্র তিনটি দিনমজুরের বসতবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজন ম‌হিলাসহ তিনজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সা‌র্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকা‌ন্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, আব্বাস আলী, মন্টু শেখ, বিল‌কিস বেগম ক্ষ‌তিগ্রস্থ‌ হয়।

এদিকে অগ্নিকা‌ন্ডের খবরে গতকাল শ‌নিবার (১৩ মে) সকা‌লে ঘটনাস্থ‌লে গিয়ে অসহায়‌ পরিবারগুলোর পা‌শে দাড়ি‌য়ে‌ছেন বি‌শিষ্ট ব‌্যবসায়ি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, ও ফ‌রিদপুর জেলা আওয়ামীলী‌গের উপ‌দেষ্টা সদস‌্য মেজর (অবঃ) আতমা হালিম দুলু।

আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ঘুরতে গিয়ে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন

এসময় মেজর (অবঃ) আতমা হালিম ক্ষ‌তিগ্রস্থ‌ ৩টি প‌রিবা‌রের মা‌ঝে নতুন ঘর নির্মা‌ণের জন‌্য ঢেউ‌টিন, তাৎক্ষনিক রান্না ক‌রে খাওয়ার জন‌্য চাল, ডাল, তেল ও নগদ অর্থ বিতরণ ক‌রেন। এসময় তার সাথে স্থানীয় আওয়ীমীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠ‌নের নেতৃবৃ‌ন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

মেজর (অবঃ) আতমা হালিম ব‌লেন, আ‌মার এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য আমার সাধ‌্যমত অ‌গ্নিকা‌ন্ডে ক্ষ‌তিগ্রস্থ‌ প‌রিবা‌রের পা‌শে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছি। সমা‌জে আপনারা যারা বিত্তবান আছেন তাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাহায্য করতে এগিয়ে আসুন। তি‌নি জা‌তির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মু‌জিবুর রহমা‌ন ও তার প‌রিবা‌রের জন‌্য দোয়া কামনা করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার নেতৃ‌ত্বে বাংলা‌দেশ আজ উন্নয়‌নের মহাসড়‌কে। আসন্ন সংসদ নির্বাচ‌নে আপনারা উন্নয়‌নের মার্কা নৌকায় ভোট দি‌য়ে উন্নয়‌নের ধারাকে অব‌্যাহত রাখ‌বেন।

আরও পড়ুন: ঈশ্বরদীতে পুকুরের পানিতে ডুবে তিন শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সালথা উপ‌জেলা প‌রিষ‌দের সা‌বেক চেয়ারম‌্যান মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, ঢাকা মহানগর উত্তরের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা হাজী শফিকুর রহমান মিলন, বল্লভদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান (লুলু), রামকান্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইশারত হোসেন, ডাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামীলী‌গের সা‌বেক সভাপ‌তি আঃ কা‌দের মাতুব্বর, নগরকান্দা পৌরসভার ওয়ার্ড ক‌মিশনার কাউসার হো‌সেন, রামকান্তপুর ইউ‌পি সদস‌্য সৈয়দ মাতুব্বর, ক‌বির হো‌সেন খান, আওয়ামীলীগ নেতা লুৎফর রহমান, যুবলীগ নেতা রাসেল খাঁন প্রমূখ। এছাড়াও আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠ‌নের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ‌্যমান‌্য ব‌্যাক্তিবর্গ উপ‌স্থিত ছি‌লেন।


আরও খবর



দগ্ধ ৮ থেকে ১০ জনের অবস্থা খুবই খারাপ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের কোনাবাড়ীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৩৬ জনের মধ্যে ৮ থেকে ১০ জনের অবস্থা খুবই খারাপ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বুধবার (১৩ মার্চ) সিলিন্ডার থেকে বের হওয়া গ্যাসে আগুন লেগে উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় ৩৬ জন দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে ৩৪ জনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধরা হলেন নাদীম (২২), নীরব (১০), সুফিয়া (৯), মিরাজ(১৩), তারেক রহমান, সোলায়মান (৯) আইসিইউতে আছেন, লালন (২৩), নাঈম (৮) আইসিইউতে ভর্তি, শিল্পী (৪০), ইয়াসিন আরাফাত (২১), সুমন (২৬), মুহিদুল (২৭) আইসিইউতে ভর্তি, মুন্নাত (১৮) পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ভর্তি, রাব্বি (১৩) পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ভর্তি, নার্গিস(২৫) সাদিয়া খাতুন (১৮), জহিরুল (৩২) পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ভর্তি,  আরিফ (৪০) আইসিইউতে ভর্তি, রত্না বেগম (৪০), তাইবা (৫), মনসুর আলী (৩০), নূরনবী (৩) ১০%, রহিমা (৩), কবীর (৩০), কুদ্দুস (৪৫), তৌহিদ (৭), সোলায়মান মোল্লা (৪৫) ৯৫%, মশিউর (২২), লাদেন (২২), কমলা খাতুন (৬৫), নিলয় (৩), বাশার (৪৫), মো. ফেরদৌস (১৯), আজিজুল (২৪), সুমি (১৯), মোতালেব (৪০)।

আহতদের দেখতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসাধীন কেউই শঙ্কামুক্ত নন। তাদের মধ্যে ৮ থেকে ১০ জনের অবস্থা খুবই খারাপ। কারো ৯০ শতাংশ, কারও ১০০ শতাংশই পুড়ে গেছে। অগ্নিদগ্ধ ৭ শিশুর কেউই শঙ্কামুক্ত নয়। সবারই শ্বাসনালি পুড়েছে। পোড়া রোগীদের জন্য সরকারের যা করার দরকার সবই করা হবে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তেলিরচালা টপস্টার কারখানার পাশে শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী জমি ভাড়া নিয়ে কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। ওই বাড়িতে থাকা সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের একটি দোকান থেকে শফিকুল নিজেই একটি গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনেন। সেই সিলিন্ডার লাগানোর সময় চাবি খুলে গিয়ে পাশের চুলা থেকে আগুন ধরে যায়। তখন ওই ব্যক্তি গ্যাস সিলিন্ডারটি ছুড়ে মারেন। এ সময় আশপাশের উৎসুক নারী, পুরুষ ও শিশুদের শরীরে আগুন লেগে যায়।

এ ঘটনায় গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ্ আল আরেফিন জানান, সংবাদ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের টিম যায়। সেখানে গিয়ে দগ্ধ কাউকে পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার আগেই দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ রমজানুল মোবারকের দ্বিতীয় জুমা; ফজিলত ও করণীয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে বিশ্বের মুসলমানদের দুয়ারে উপস্থিত হয়েছে মাহে রমজান। কুপ্রবৃত্তি দমন ও আত্মশুদ্ধির সর্বোত্তম মাস এই রমজান। দেখতে দেখতে ইতোমধ্যে আমাদের মাঝ থেকে রমজান মাসের রহমতের দশ দিন অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। আজ শুক্রবার (২২ মার্চ)। হিজরি ১৪৪৫ সালের রমজানুল মোবারকের দ্বিতীয় জুমা মোবারক।

রমজান মাসের অনন্য ইবাদত রোজা পালন। পবিত্র কোরআনে সুরা বাকারার ১৮৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারি এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে, তারা যেন এই মাসে রোজা পালন করে।

ফজিলত :

প্রত্যেক জুমার দিনই অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। পবিত্র রমজানের জুমার দিন হওয়ায় এর ফজিলত আরও অনেকগুণ বেশি। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে জুমার দিনের বহু ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।

মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং বেচাকেনা (দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম) ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে। (সুরা জুমা, আয়াত: ৯)।

হজরত মুহাম্মদ (সা.) এক হাদিসে বলেছেন, মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১০৯৮)।

পক্ষান্তরে, রমজানে ইবাদত করলে সওয়াব বেশি। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রত্যেক আদম সন্তান ভালো কাজের প্রতিদান দশ থেকে সাতশগুণ বেশি পাবে। রোজা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ নিজেই এর প্রতিদান দেবেন। (মুসলিম, হাদিস: ২৭০৭)।

এছাড়া নবী (সা.) অন্য এক হাদিসে এরশাদ করেছেন, যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়, ওই দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। ওই দিন হযরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং ওই দিনই তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়। আর ওই দিনই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। (মুসলিম শরিফ, হাদিস নম্বর ৮৫৪)।

তাই এ বর্ণনার আলোকে আমরা পাই, সাধারণত বান্দার নেক আমল দশ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বর্ধিত করে সাওয়াব লিপিবদ্ধ করা হয়, আর রমযানে এটা আরও বৃদ্ধি পায়।

করণীয় :

রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত মহান আল্লাহর অনুগ্রহে ভরপুর। আর জুমার দিন হওয়ায় এর গুরুত্ব আরও বেশি। পবিত্র কোরআনে জুমার দিন দ্রুত মসজিদে গমনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া হাদিসেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে। বলা হয়েছে, জুমার দিন একটি সময় আছে, যখন মানুষ আল্লাহর কাছে কোনো দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করেন। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, জুমার দিন কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে ভালো কিছুর দোয়া করলে আল্লাহ তাকে তা দেন। তোমরা সময়টি আসরের পর অনুসন্ধান করো। (আবু দাউদ, হাদিস নম্বর : ১০৪৮)

জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যদি কোনো মুসলিম এ সময় আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে দান করেন। এই মুহূর্তটি তোমরা আছরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮)

শুক্রবারে বিশেষ কিছু আমল ও সুন্নত রয়েছে। বিভিন্ন হাদিসে সেগুলো বর্ণিত হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ধারাবাহিক কয়েকটি হলো- গোসল করা, উত্তম পোশাক গায়ে দেওয়া, সুগন্ধি ব্যবহার করা ও মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনা।

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার নিকট থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নির্ধারিত নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তাহলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সমস্ত সগিরা গুনাহর জন্য কাফ্ফারা হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৩)

এছাড়া, জুমার দিন নবীজি (সা.)-এর ওপর বেশি বেশি দুরুদ পাঠ করা কর্তব্য। আউস বিন আবি আউস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এই দিনে শিঙায় ফুঁ দেয়া হবে এবং এই দিনে সবাইকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব, তোমরা এই দিনে আমার ওপর বেশি পরিমাণ দুরুদ পড়ো। কারণ জুমার দিনে তোমাদের দুরুদ আমার কাছে পেশ করা হয়।

সাহাবারা বললেন, আমাদের দুরুদ আপনার কাছে কিভাবে পেশ করা হবে, অথচ আপনার দেহ একসময় নিঃশেষ হয়ে যাবে? তিনি বলেন, আল্লাহ জমিনের জন্য আমার দেহের ভক্ষণ নিষিদ্ধ করেছেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)

জুমার অন্যতম আমল হচ্ছে সুরা কাহাফ পাঠ করা। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ পড়বে তা দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ে তার জন্য আলোকিত হয়ে থাকবে। আর যে ব্যক্তি এই সুরার শেষ ১০ আয়াত পাঠ করবে অতঃপর দাজ্জাল বের হলে তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। (সহিহ তারগিব, হাদিস : ১৪৭৩, আল মুসতাদরাক : ২/৩৯৯)


আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে মারামারি, তিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বরখাস্ত

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদ, জাকির হোসেন মাসুদ ও শ্যামা আক্তারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (১১ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বিভাগ থেকে তাদের বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

গত বুধ ও বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দুদিনে ভোট দেন পাঁচ হাজার ৩১৯ জন আইনজীবী। কিন্তু ভোট গণনা দিনে হবে না রাতে এ নিয়ে তুমুল হট্টগোল আর সংঘর্ষে জড়ায় দুইপক্ষ। এ সময় হারিয়ে যায় ব্যালট বাক্স। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তা উদ্ধার হয়।

এক পর্যায়ে গণনা ছাড়াই শুক্রবার সকালে নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক, নাহিদ সুলতানা যুথীকে সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা করেন। তবে বহিরাগতদের চাপে তার নাম ঘোষণার কথা জানান নির্বাচনের সাব-কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের। এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘোষণাটি লিখতে বাধ্য করা হয়।

ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মামলায় গ্রেফতার পাঁচ আইনজীবীকে তিন দিনের রিমান্ড দেন আদালত। এছাড়া বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেফতার করা হয়।


আরও খবর



বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করল ভারত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাস হওয়ার চার বছর পর বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট-সিএএ) কার্যকর করল ভারত। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ভারতজুড়ে আইনটি কার্যকর হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় আইনটি কার্যকর হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে নয়াদিল্লিতে আসীন কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

২০১৯ সালে তৎকালীন বিজেপি সরকার আইনটি পাস করেছিল। এই আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সি সম্প্রদায়ের যেসব লোকজন সাম্প্রদায়িক নির্যাতন ও নিপীড়ণের মুখে টিকতে না পেরে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

ভারতে প্রথমবার নাগরিকত্ব আইন পাস হয় ১৯৫৫ সালে। সেই আইন অনুযায়ী, বিদেশ থেকে ভারতে আসা যেসব ব্যক্তি বিগত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছেন এবং অন্তত ১ বছর টানা থেকেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে তা অনুমোদন করা হবে। নতুন এই আইনটিতে ১১ বছরের মেয়াদকালকে কমিয়ে ৫ বছরে আনা হয়েছে।

২০১৯ সালে আইনটি পাসের পর থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন ভারতীয় দল ছিল সেই বিক্ষোভের নেতৃত্বে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ব্যাপক বিরোধী।

উত্তর-পূর্ব ভারত থেকেই মূলত আপত্তি উঠেছিল সিএএ নিয়ে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, সিএএ কার্যকর হলে শরণার্থীদের ভিড় ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। তার ফলে ভাষাগত এবং সংস্কৃতিগত সমস্যা প্রকট হতে পারে। নিজেদের ভাষা এবং সংস্কৃতি রক্ষার স্বার্থেই অনেকে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন।

পাশাপাশি আইনে মুসলিমদের বাদ দেওয়া নিয়েও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শুধু তা-ই নয়, দক্ষিণ ভারতে সিএএ বিরোধিতার মূল কারণ, শ্রীলঙ্কা থেকে আগত তামিলদের উদ্বাস্তুদের বাদ দেওয়া।

বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে এই আইনের ব্যাপক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন কার্যকর করার নোটিশ জারির পরপরই এক বার্তায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন , রাজ্যে কিছুতেই সিএএ চালু হতে দেবেন না তিনি।

এই আইনের বিরোধিতাকারীদের অভিযোগ, আইনটি ভারতের সংবিধানের পরিপন্থী। কেননা, এই আইনে ধর্মীয় কারণে নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য করা হচ্ছে। তবে বিজেপির বক্তব্য, এই আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না; বরং যারা ধর্মীয় বৈষম্যের কারণে এ দেশে চলে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

২০১৯ সালে আইনটি পাস হওয়ার পর রাজধানী নয়াদিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দাঙ্গা হয়েছিল। এসব দাঙ্গায় প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ।

তবে এবার যেন কোনো প্রকার সহিংসতা না ছড়ায়, সেজন্য সব রাজ্যের পুলিশ বিভাগকে সজাগ থাকার নোটিশ আগেই দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, লোকসভা ভোটের আগেই সিএএ কার্যকর করার নোটিশ জারি হবে। সোমবার সেই কথা রাখল বিজেপি।


আরও খবর



সম্পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, ৯ ঘণ্টা পর বাবার মৃতদেহ দাফন

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
যশোর প্রতিনিধি

Image

বাবার মৃত্যুর পর সম্পদ বণ্টন নিয়ে ১০ ভাই-বোনের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং সালিশ শেষে ৯ ঘণ্টা পর মৃতদেহ দাফন করা হয়েছে। গত শুক্রবার যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ইউপি (ইউনিয়ন পরিষদ) সদস্য গোলাম রসুল জানান, বিষ্ণুপুর গ্রামের আবদুল মজিদ স্ত্রী, সাত পুত্র ও তিন কন্যা এবং ৪৫ বিঘা জমি রেখে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ইন্তেকাল করেন। তার মৃতদেহ দাফনের জন্য সবাই যখন ব্যস্ত, তখন তার চার সন্তান আবদুল মান্নান, আবদুল হাকিম, আবদুস সালাম ও আবদুল আহাদ অভিযোগ করেন, তাদের অন্য তিন ভাই আবদুর রাজ্জাক, আবদুস সামাদ ও আসাদুজ্জামান তাদের পিতা আবদুল মজিদকে ফুসলিয়ে ৫ বিঘা জমি লিখে নিয়েছে। এ ছাড়া পিতার জমি বিক্রয় করে ১৬ লাখ টাকা নিয়েছে। জমি এবং টাকার সঠিক হিসাব না হওয়া পর্যন্ত পিতার মৃতদেহ দাফন হবে না বলে তারা জানিয়ে দেন।

ছেলে আবদুল আহাদ বলেন, তার পিতা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে অসুস্থ ছিলেন। এই সুযোগে তার তিন ভাই রাজ্জাক, সামাদ ও আসাদুজ্জামান বাবার কাছ থেকে এক বিঘা করে জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে। আমরা যখন জানতে পারি, তখন থেকে তাদের জমি ফেরত দেওয়ার কথা বললেও তারা জমি ফেরত দেয়নি। সে জন্য এই বিষয়টি আজকেই সমাধান হতে হবে। তা না হলে ওরা এই জমি আর কোনোদিন ফেরত দেবে না। বিষয়টি নিয়ে বিকালে ওই বাড়িতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশ বসে। তারা সিদ্ধান্ত নেন পিতার সম্পদ সমান বণ্টন হবে। কেউ বেশি নিতে পারবে না। সবাই এ সিদ্ধান্তে সম্মতি প্রকাশ করলে মৃতদেহ দাফন করা হয়।


আরও খবর