ছাত্রাবাসে মাদকের ভাগাভাগির বিরোধের জের ধরে আছাদ নামে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষ কুপিয়ে হত্যার দায়ে সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর একটার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মো. শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় দেওয়ার সময় সাজাপ্রাপ্ত সাত আসামির মধ্যে পাঁচজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দুইজন পলাতক রয়েছে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. বাবুল মিয়া মো. সাদ্দাম শেখ, মো. সুরুজ সরদার মো. নিশান, মো. রনি, চাঁন মিয়া সরদার ও মো. রানা। চাঁন মিয়া সরদার ও মো. রানা পলাতক রয়েছেন। আসামিরা সবাই যুবক বয়সী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর সদর থানার পশ্চিম খাবাসপুরের পরিবার পরিকল্পনা অফিসের পাশের একটি ছাত্রাবাসে মাদকের ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আছাদ নামের ওই যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছাদের মৃত্যু হয়।
নিহত আছাদের ভাই আশরাফুল আলম বাদী হয়ে ১১ মার্চ ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অখিল কুমার বিশ্বাস ২০১৩ সালের ৩১শে ডিসেম্বর ঘটনার সাথে আসামিরা জড়িত ঘাকায় তাদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের পিপি মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, এ রায়ের মধ্যে দিয়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। ঘটনার ১০ বছর পর আজ সোমবার আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মামলার বাদীর পরিবার।