ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে নওগাঁয় সংহতি সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এই সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনের হামাস বাহিনী ও নিপীড়িত জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়।
নওগাঁ সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম শামীমের সভাপতিত্বে শহরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সমাবেশে উপস্থিত হয়ে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। শিক্ষার্থীদের হাতে "ফ্রি প্যালেস্টাইন", "আই লাভ আকসা" সহ ফিলিস্তিনের প্রতি ভালোবাসাসূচক বিভিন্ন ফেস্টুন ছিলো। তাদের মুখে ছিলো "ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ, ইসরায়েল নিপাত যাক" স্লোগান।
নওগাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম শামীম বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মুজিবনগর সরকার ইসরায়েলের সহযোগীতাকে প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামকে সমর্থন দেয়। আমরা জাতিগত ভাবে পৃথিবীর নিপীড়িত মজলুম মানুষের পক্ষে। কোনো দখলদার হানাদার বাহিনীকে আমরা সমর্থন করি না। ফিলিস্তিনের ভূমিতে আশ্রয় নিয়ে দখলদার ইসরায়েলিদের আগ্রাসন কখনোই মেনে নেওয়ার মতো নয়। গত ৭০ বছর ধরে দখলদার বাহিনী ফিলিস্তিনীদের ঘর-বাড়ি, নারী ও শিশুদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। চলমান সংঘর্ষে আমরা নওগাঁর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের হামাস ও নিপীড়িত জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি।
সমাবেশে মাদ্রাসা শিক্ষক মুফতি শামীম আহমেদ নূরী বলেন, “আমরা বড়ই অবাক হচ্ছি, যারা সন্ত্রাস দমনের ঠিকাদারি নিয়ে সারা বিশ্বে নিজেদেরকে সুপার পাওয়ার দাবি করছে, তারা সন্ত্রাসী ইহুদীদের কোন ভাবেই এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে বিরত রাখছে না৷ তাই আমরা ধরে নিতেই পারি, যারা সন্ত্রাস দমনের নাম করে সারা বিশ্বে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তারা মূলত সন্ত্রাস দমন নয় বরং বিশ্বে সন্ত্রাস প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ইহুদীবাদী ইসরায়েলসহ এসব সন্ত্রাসী দেশগুলোকে প্রতিহত করা প্রতিটি নীতিবান দেশের অবশ্য কর্তব্য।”
সমাবেশটি শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী জনগণ ও বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নতির জন্য দোয়ার মাধ্যমে শেষ করেন।