আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

ফিচার ফোনের বাজার বড় হচ্ছে, ছোট হচ্ছে স্মার্টফোনের

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২০২১ সালের এপ্রিল মাসে জিএসএমএ (গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশন) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন দেখা গেছে, বাংলাদেশে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ৪১ শতাংশ। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসি প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দেশে স্মার্টফোনের ব্যবহার কমতে শুরু করেছে। বেড়ে যাচ্ছে ফিচারফোনের (বাটনওয়ালা বা বার ফোন) বাজার।

চিত্রটা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে বিটিআরসির প্রতিবেদনের দিকে তাকানো যাক। বিটিআরসি বলছে, গত আগস্ট মাসে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মোবাইল হ্যান্ডসেটের সংখ্যা ফিচার ফোন ৭২ দশমিক ৭০ এবং স্মার্টফোন ২৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ। যা গত জানুয়ারিতে ছিল ফিচার ফোন ৬৬ দশমিক ৪৫ এবং স্মার্টফোন ৩৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

প্রতিবেদনের অপর অংশে দেখা গেছে, দেশে ফিচার ও স্মার্টফোনের আমদানিও কমেছে। গত আগস্ট মাসে দেশে ফিচার ফোন আমদানি হয়েছে ৯৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ।  স্মার্ট ফোন আমদানি করা হয়েছে ০ দশমিক ৫২ শতাংশ (সব মিলিয়ে ৩৪ হাজার ১৭৯টি সেট), যা চলতি বছরের জানুয়ারিতে ছিল ফিচার ফোন ৮৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ, আর স্মার্টফোন ছিল ১১ দশমিক ১৩ শতাংশ। সব মিলিয়ে সেটের সংখ্যা ৬১ হাজার ৮৯১টি।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে ফিচার ও স্মার্টফোন মিলিয়ে উৎপাদন হয়েছে ৪১ লাখ ৪৫ হাজার পিস। এরমধ্যে টুজি ফোন ২৭ লাখ ৫৪ হাজার, অপরদিকে ফোরজি ছিল ১৩ লাখ লাখ ৬৮ হাজার এবং ফাইভজি ২৩ হাজার।  এই বছরের আগস্ট মাসে মোট উৎপাদিত ফোনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯ লাখ ৭০ হাজার। এরমধ্যে টুজি ফোন ২১ লাখ ৪৩ হাজার, ফোরজি ৮ লাখ ২৩ হাজার এবং ফাইভজি ৩ হাজার ফোন। এই হিসাবে দেখা যায়, গত জানুয়ারি মাসের তুলনায় আগস্টে এসে মোবাইল ফোনের উৎপাদন কমেছে।

ফিচার ফোনের বাজার বড় হওয়া, স্মার্টফোনের উৎপাদন ও আমদানি কমে যাওয়া এবং গ্রে মার্কেটের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, মানুষের  বিহেভিয়ারের পরিবর্তন অন্যতম একটা কারণ হতে পারে।

তিনি জানান, বাজারে এখন এক হাজার টাকায় ফিচার ফোন কিনতে পাওয়া যায়। এর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকা লাগে স্মার্ট ফোন কিনতে। অর্থনৈতিক বিষয়টাও একটা কারণ। হয়তো এই সময়ে মানুষ এসবের পেছনে বেশি টাকা খরচ করতে চায় না। তিনি বলেন, বিটিআরসির প্রতিবেদনের চিত্রই প্রকৃত চিত্র নয়। দেশের সাড়ে ৫ কোটি মানুষ এখন ফেসবুক ব্যবহার করে। ফেসবুক তো ফিচার ফোনে ব্যবহার করা যায় না। ফলে প্রতিবেদনের চিত্র প্রকৃত চিত্র নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি আবারও বলেন, আগামীতে টুজি ও ফোরজিই থাকবে।

বাজারে গ্রে মার্কেট (অবৈধ পথে আসা মোবাইল ফোনের বাজার) বড় হওয়ার বিষয়টি জানালে মন্ত্রী বলেন, আমরা তো এটার দায়-দায়িত্ব নিতে পারি না। স্মাগলিং ঠেকানো তো আমাদের কাজ না। এটার দায়িত্ব এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড)। এনবিআর এসব ধরবে। তারা ধরতে না পারলে তো আমাদের কিছু করার নেই। আমরা মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করি। লোকবল কম থাকার কারণে সেটাও পর্যাপ্ত নয়।  তিনি মনে করেন, এই বাজার (গ্রে মার্কেট) বড় হওয়ার পেছনে স্মাগলিংও একটা কারণ। যারা এই পথে ফোন আনে তারা আইফোন, ফোল্ডেবল ফোন নিয়ে আসে। ফলে আমদানি কম হওয়া, দেশীয় উৎপাদকদের উৎপাদন কমে গেলেও এই পথে আসা ফোনের কারণে বাজার ঠিকই থাকছে।  প্রসঙ্গত, দেশে গত জানুয়ারি থেকে থ্রিজি মোবাইল ফোনের উৎপাদন ও আমদানি বন্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশে এনইআইআর  (ন্যাশনাল ইকুইমপেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার) সিস্টেম চালুর পরে গ্রে মার্কেটের আকার কমে ৫ শতাংশর নিচে নেমে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এই নিয়ম শিথিল করা হলে এই মার্কেট আবারও বড় হতে থাকে। বর্তমানে গ্রে মার্কেট ৩০ শতাংশ ছাড়িয়েছে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মোবাইলফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া শহিদ বলেছেন, স্থানীয় উৎপাদকেরা মোবাইল ফোনের উৎপাদন কমিয়েছে। এই হার বর্তমানে ২০-৩০ শতাংশ। বাজারে চাহিদাও কমেছে বলে তিনি জানান। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে স্থানীয়ভাবে মোবাইলের উৎপাদন আরও কমবে। জাকারিয়া শহিদ আরও জানান, তার নিজের প্রতিষ্ঠানেও (সিম্ফনি মোবাইল) উৎপাদন কমিয়েছেন।

দেশে টেকনো, আইটেল ও ইনফিনিক্স মোবাইলফোনের উৎপাদক ট্রানশান বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী রেজওয়ানুল হক জানান, এখন শুধু টুজি আর ফোরজি ফোন সেট তৈরি করা হচ্ছে।  আগামীতে এই দুটো ফোনসেটই থাকবে।  নতুন যুক্ত হবে ফাইভজি ফোন।  তিনিও জানান, বাজারে টুজি সেটের চাহিদা বাড়ায় উৎপাদনও বাড়াতে হয়েছে। 


আরও খবর
ফের ফেসবুকে বিভ্রাট

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




ফরিদপুরে বাস-পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ১১

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ফরিদপুর সদরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই পিকআপ ভ্যানের আরোহী বলে জানা গেছে। এ দুর্ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নামপরিচয় জানা যায়নি।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরে অ্যাবলুম ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইউনিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা থেকে মাগুরা যাচ্ছিল। সকাল ৮টার দিকে কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় পৌঁছালে ঢাকাগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। ওই পিকআপ ভ্যানটি ভাড়া করে কয়েকজন ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এতে পিকআপ ভ্যানে থাকা ১১ জন যাত্রী ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আরও চারজন আহত হয়েছেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এই ঘটনায় জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের তিন লাখ টাকা দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: ফরিদপুর

আরও খবর



ফের খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি, রাতেই নেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের হঠাৎ গুরুতর অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে তাকে ফের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে।

খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়ে নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সহযোগিতা চেয়ে এরই মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছেন তার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বুধবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যেতে পারেন।

এর আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে গত ১৩ মার্চ খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে পরদিন ১৪ মার্চ বাসায় ফেরেন তিনি।


আরও খবর



উদ্ধার হয়েছে লাইনচ্যুত যমুনা এক্সপ্রেস

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনগামী যমুনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুতের ঘটনায় ৩ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনটির উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সকাল ৮টা ৫ মিনিটে ঢাকার কারওয়ান বাজারে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। ফলে ঢাকার কমলাপুরের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল আপাতত এক লাইনে সামলাতে হচ্ছিল।

মাসুদ সারওয়ার বলেন, লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনটির উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: যমুনা এক্সপ্রেস

আরও খবর



রাশিয়ায় কনসার্ট হলে হামলায় নিহত বেড়ে ১৪৩

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মস্কোর কানসার্ট হলে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৪৩ ছুঁয়েছে। এর মধ্যে গুলি চালানোর ঘটনায় চার সন্দেহভাজন বন্দুকধারীসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২০ বছরের মধ্যে এটি রাশিয়ার সবচেয়ে মারাত্মক হামলা। খবর রয়টার্সের।

মস্কোতে শুক্রবারের হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট। কিন্তু ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, হামলাকারীদের সঙ্গে ইউক্রেনের যোগসাজেশ আছে। তবে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জোরালোভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বন্দুকধারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। রুশ সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হামলাকারীরা গুলির পাশাপাশি বিস্ফোরকও ব্যবহার করেছে। এতে ক্রোকাস সিটি হলে আগুন ধরে যায়। ধসে পড়েছে হলের ছাদ।

এ ঘটনাকে রক্তাক্ত সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের গোয়েন্দারা আইএসের দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মার্চ রাশিয়ায় মার্কিন দূতাবাস একটি নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করে। সতর্কবার্তায় বলা হয়, মস্কোয় বড় জমায়েতে উগ্রপন্থীদের হামলার পরিকল্পনার খবর জানা গেছে। এ সতর্কবার্তায় বড় জমায়েতের মধ্যে কনসার্টের কথাও বলা হয়েছিল। সতর্কবার্তায় মস্কোয় অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার জন্য বড় জমায়েত এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর



ফের ২০ বিলিয়নের নিচে নামল রিজার্ভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দীর্ঘদিন ধরেই দেশে ডলার সংকট চলছে। ঈদের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণে কিছুটা বাড়লেও আবারো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দিন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। গত সপ্তাহ শেষে রিজার্ভ ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার ছিল। হুন্ডি প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমাসহ বিভিন্ন কারণে রিজার্ভ কমেছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল। বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ওই সময় রিজার্ভ বাড়ানো হয়। এরপর থেকে ডলার সংকট কাটাতে গিয়ে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে কমতে কমতে গত নভেম্বর শেষে রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। এরপর আবার বেড়ে ডিসেম্বরে ২১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন হয়। তারপর আবার কমতে কমতে গত মার্চ শেষে ১৯ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। এরপর গত সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল।

সাধারণত প্রতি বছর রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে রেমিট্যান্স বাড়ে। তবে এবার তার উলটো চিত্র দেখা গেছে। গত মার্চে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই মাস বা আগের মাস ফেব্রুয়ারির তুলনায় কম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ছিল ২৫ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫-১৬ তে  ৩০ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন। ২০২০-২১ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৪৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং সব শেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ৩১ বিলিয়ন ডলার।


আরও খবর
হজ প্যাকেজের খরচ কমল

শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24