সম্প্রতি কলকাতায়
বেশ কয়েকজন মডেল-অভিনেত্রী আত্মহত্যা করেছেন। তার মধ্যে পল্লবী দে, বিদিশা মজুমদার
ও মঞ্জুষা নিয়োগী অন্যতম। তাদের আত্মহত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই খবর এল কলকাতার এক
উঠতি মডেলের আত্মহননের চেষ্টার।
এই মডেলের নাম
দেবলীনা দে। ২৭ বছর বয়সী এই তরুণী বিভিন্ন সিরিয়াল ও মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেন। শুক্রবার
রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বেশ কয়েকটি ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন তিনি। তবে পূর্ব যাদবপুর
থানার পুলিশের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন ওই তরুণী। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
শুক্রবার রাতে
একটি ফেসবুক পোস্টে দেবলীনা লেখেন, ‘আমি বেঁচে থাকার
জন্য অনেক লড়াই করেছি। আমার পরিবার সব কিছুর জন্য দায়ী, এখন আমি শান্তি চাই। বিদায়।’
মুহূর্তেই সোশ্যাল
মিডিয়ার পোস্টটি নজরে আসে তার বন্ধু-বান্ধবদের। নজরে আসে পুলিশেরও। তড়িঘড়ি করে পূর্ব
যাদবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ গিয়ে দেখে, ঘরে অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন
তিনি। তাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি পাশের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, অতিরিক্ত
ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, দেবলীনা
দে আদতে কালনার বাসিন্দা। তবে কর্মসূত্রে যাদবপুরের আবাসনে থাকতেন। শুক্রবার কালনার
বাড়িতে গিয়েছিলেন উঠতি মডেল। সেই সময় পরিবারের লোকজনের সঙ্গে একপ্রকার তর্কাতর্কিও
হয় তার। ফিরে আসেন যাদবপুরের আবাসনে। ফিরে রাতেই চূড়ান্ত অবসাদে ভরা ফেসবুক পোস্ট
করেন ওই উঠতি মডেল। তবে কী কারণে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তর্কাতর্কি হলো তার, সে বিষয়ে
এখনো কিছু জানা যায়নি।
জানা যায়, আত্মহত্যার
চেষ্টা করার আগে নিজের ডায়েরির পাতায় একটি নোট লিখেছিলেন দেবলীনা। যেটি অভিনেত্রী ফেসবুকে
পোস্টও করেছিলেন। পরে অবশ্য সেই পোস্টটি মুছে দেন তিনি। পরে তদন্তে নেমে চিরকুটটি অভিনেত্রীর
ঘর থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। যেখানে অভিনেত্রী নিজের পরিবারকে দায়ী করার পাশাপাশি ফিল্ম
ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত বেশকিছু ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন।