আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ফেনীতে ৪ কেজি গাজাঁসহ আটক ১

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদরের ধর্মপুর ইউনিয়নের বিকন কলেজ রাস্তার মাথা থেকে ৪ কেজি গাজাঁসহ ছাদেক মিয়া (৫০) নামে একজনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মহাসড়কের বিকন মডেল কলেজ-এর সামনে অভিযান চালিয়েকে আটক করা হয়।

আটক ছাদেক মিয়া কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার কোটেশ্বর এলাকার মৃত রেনু মিয়ার ছেলে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মহাসড়কের বিকন মডেল কলেজ-এর সামনে অভিযান চালিয়ে ছাদেক মিয়াকে আটক করা হয়। এসময় তাকে তল্লাশি করে তার কাছ থেকে টেপ মোড়ানো দু’টি পলিথিন থেকে চার কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে ফেনী মডেল থানায় পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ইসরায়েলের কোনও দূতাবাস নিরাপদ নয়: ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার একজন উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানীতে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্য নিহত হওয়ার পর কোনো ইসরায়েলি দূতাবাস আর নিরাপদ নয়’।

খবর অনুসারে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেন, ইহুদিবাদী সরকারের দূতাবাসগুলো এখন আর নিরাপদ নয়।

ইরানের বার্তা সংস্থাটি একটি গ্রাফিকসও প্রকাশ করেছে যাতে দাবি করা হয়েছে, নয় ধরণের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম।

গত সোমবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এই হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ছাড়াও ছয়জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের আরেক জেনারেল আছেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, কূটনৈতিক মিশনে দিবালোকের এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অনুশোচনা’ করিয়ে ছাড়বে তেহরান।


আরও খবর



চট্টগ্রামে তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা, ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

আপন তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যার দায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামাল হোসেন সিকদার এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আবুল কাশেম প্রকাশ ওরফে জামাই কাশেম ও মো. ইউসুফ ওরফে বাইট্যা কাশেম।

২০ বছর আগে নগরের বালুছড়া এলাকায় সম্পত্তির জন্য আপন তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা করেন দণ্ডিতরা। রায়ের বিষয়টি বৃহস্পতিবার বিকালে দেশ রূপান্তরকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী আল আমিন।

জানা গেছে, ২০০৪ সালের ৩০ জুন আসামিরা বালুছড়ার বাসায় গিয়ে আপন তিন ভাইবোন সাইফুল ইসলাম, আলমগীর ও মিনু বেগমকে গুলি করে হত্যা করে দণ্ডিতরা। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিল্পী বাদী হয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি এম এ ফয়েজ বলেন, এই মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আবুল কাশেম ও  মো. ইউসুফকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে তাদের দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

একই মামলার অপর দুই আসামি গিট্টু নাসির ও ফয়েজ মুন্না র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।


আরও খবর



রেকর্ডের দুই দিনের মাথায় কমল সোনার দাম

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বাজারে ফের কমেছে সোনার দাম। দুদিন আগেই সোনার রেকর্ড দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে বাড়ার চেয়ে কমানোর পরিমাণে তফাৎ অনেক। সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের সোনার ভরিতে ৮৪০ টাকা কমানো হয়েছে।

শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। আজ (শনিবার) বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

এর আগে ১৮ এপ্রিল ২২ ক্যারেটের সোনার ভরিতে ২ হাজার ২৭৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়।

নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

২১ ক্যারেটের সোনার ভরিতে ৮০৫ টাকা কমানো হয়েছে। এতে এই মানের এক ভরি সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা। ১৮ ক্যারেটের সোনার ভরিতে দাম কমানো হয়েছে ৬৮৮ টাকা। এতে এই মানের এক ভরি সোনা কিনতে দাম পড়বে ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা।

আর সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরিতে ৫৬০ টাকা কমিয়ে ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



আজ পহেলা বৈশাখ, বর্ণিল উৎসবে মাতোয়ারা সারাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ পহেলা বৈশাখ। পুরোনোকে বিদায় দিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। সব সঙ্কীর্ণতা, কুপমণ্ডকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে পহেলা বৈশাখ। মনের ভেতরের সব ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে নতুন উদ্যমে বাঁচার অনুপ্রেরণা জোগায়।

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সার্বজনীন লোকজ উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেয়া হয় বাংলা নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ।

দিবসটিকে ঘিরে আজ বর্ণিল উৎসবে মাতবে সারাদেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানী ও দেশজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। ছায়ানট রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।

এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত এবং এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য, মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস ও ইউনেস্কো একে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

এদিকে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে। বাংলা নববর্ষে সব কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজন করা হবে। একসময় নববর্ষ উদযাপিত হতো আর্তব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির। কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই সন।

অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে পুরোনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এই অনুষ্ঠান আজও উদযাপিত হয়।

মূলত, ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি নামে। পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলা বর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। তবে এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে। পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। আর ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায় রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনের মাধ্যমে। এসময় ঢাকায় নাগরিক পর্যায়ে ছায়ানটের উদ্যোগে সীমিত আকারে বর্ষবরণ শুরু হয়।


আরও খবর



ঈদুল ফিতরে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতরে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারা দেশ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ, র‌্যাব ছাড়াও আনসার সদস্যরা এ সময় মাঠে থাকবে। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জেলার পুলিশ সুপারসহ (এসপি) সব অপারেশনাল ইউনিটকে ৩৪ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ সতর্ক ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এবার ঈদকেন্দ্রিক নিরাপত্তায় সর্বোচ্চসংখ্যক পুলিশ সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। এজন্য পুলিশ সদস্যদের ছুটিও সীমিত করা হয়েছে।

এছাড়া র‌্যাব দেশের অপরাধপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে রেড ও ইয়েলো জোনে ভাগ করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছে। র‌্যাবের অন্তত ৮ হাজার সদস্য ঈদকেন্দ্রিক নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে। এছাড়া বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রায় ৬৫ হাজার সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তায় মাঠে থাকবে। রাজধানীকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলাদা নিরাপত্তা ছক এঁকেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

পুলিশ সদর দপ্তরের দেওয়া ৩৪ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঈদ ও বাংলা নববর্ষসহ টানা পাঁচ দিনের সরকারি ছুটিতে বিপুল সংখ্যক মানুষ রাজধানী ছেড়ে গ্রামমুখী হবেন। এ সময়ে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অজ্ঞান ও মলম পার্টির তৎপরতা, চাঁদাবাজি ও জাল টাকার ব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশনস; অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঈদের ছুটির সময় সার্বিক নিরাপত্তায় বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ সময় মানুষ গ্রামে চলে যাওয়ায় বাসাবাড়ি ফাঁকা হয়ে যাবে। এই সুযোগে চোর ও ছিনতাইকারীরা সক্রিয় হয়। এ বিষয়েও বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঈদের পরই পহেলা বৈশাখ। এদিন মঙ্গল শোভাযাত্রাগুলো যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে সে লক্ষ্যে পুলিশ কাজ করছে। ঢাকার রমনা বটমূল, বিআইসিসিসহ যেখানে যেখানে বর্ষবরণকেন্দ্রিক অনুষ্ঠান হবে প্রত্যেকটা জায়গাতে স্যুইপিং করা, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেকটর দিয়ে চেক করাসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

র‌্যাবের পক্ষ থেকেও ছয় স্তরের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ঈদে মানুষের নিরাপত্তায় এলাকাভিত্তিক গোয়েন্দা কার্যক্রম ও টহল জোরদার করা হয়েছে। এ সময় ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকে র‌্যাবের মোট আট হাজার সদস্য তৎপর থাকবে। কিছু কিছু এলাকাকে আমরা রেড জোন ও ইয়েলো জোনে ভাগ করেছি। নির্জন এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রাজধানীর রেড জোনের মধ্যে রয়েছে-রামপুরা, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁওসহ বেশ কিছু এলাকা। র‌্যাবের ৬ স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। সেগুলো হলো-গোয়েন্দা, ফুট প্যাট্রোল, মোবাইল প্যাট্রোল (মোটরসাইকেল বা পিকআপ নিয়ে), সাইবার ওয়ার্ল্ডের নজরদারি, স্পেশাল ফোর্স ও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় হেলিকপ্টার প্রস্তুত থাকবে। ফাঁকা ঢাকায় অনেকে উৎসব করতে গিয়ে মাদক সেবন করে। এগুলো ঠেকাতে র‌্যাবের মোবাইল টিম কাজ করবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঈদের নিরাপত্তায় ৬০ থেকে ৬৫ হাজার সাধারণ ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য সারা দেশে মোতায়েন থাকবে। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অপারেশনে আমরা ব্যস্ত আছি। এরপরও ঈদের নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসকের কাছে আমাদের যে সাধারণ আনসার ও ব্যাটালিয়ন আনসার আছে তারা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত আছে।

রাজধানীতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ছক তৈরি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির অপারেশন্স বিভাগ প্রণীত এ ছকে প্রাধান্য পাচ্ছে ঈদগাহ, বিপণিবিতান, মার্কেট, ব্যাংক এবং এটিএম বুথ। এছাড়া গোয়েন্দা বিভাগের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছে আলাদা নিরাপত্তা ছক। নিরাপত্তা পরিকল্পনার অংশ হিসাবে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের দেহ ও অন্যান্য বস্তু তল্লাশি করবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ঈদগাহ প্রাঙ্গণ এবং আশপাশের এলাকায় যাতে ভিক্ষুক বা হকার ঢুকতে না পারে, সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে পুলিশ কন্ট্রোলরুম বা হাইকোর্ট অভ্যন্তরে স্থাপিত সাব-কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন থেকে বিপণিবিতান এবং স্বর্ণের দোকানে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। ব্যাংক এবং এটিএম বুথের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে। আবাসিক এলাকায় পুলিশের মোবাইল প্যাট্রোল লোকজনের গমনাগমনে দৃষ্টি রাখাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে ফুট প্যাট্রোলের আওতায় আনবে। মোটরসাইকেলবিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে। চেকপোস্ট, তল্লাশি ও গাড়ি চেকিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে ট্রাফিক বিভাগ। এছাড়া ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের পক্ষ থেকে রাজধানীবাসীকে ১৪ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-গ্যাস সিলিন্ডার অথবা গ্যাসের লাইন, পানির লাইনসহ সব ধরনের লাইট, ফ্যানের সুইচ, বৈদ্যুতিক প্লাগ বন্ধ করে বাসা থেকে বের হওয়া। বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসাতে এবং পূর্বে বসানো সিসি ক্যামেরা সচল আছে কিনা পরীক্ষা করা। রাতে কিংবা দিনে একসঙ্গে মুখে মাস্ক এবং মাথায় ক্যাপ পরিহিত অপরিচিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধি নজরদারি করা এবং প্রয়োজনে ৯৯৯ ফোন দেওয়া।


আরও খবর