আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গোপসাগরে পরীক্ষামূলক টুনা মাছ ধরার উদ্যোগ মৎস্য অধিদপ্তরের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২০ ডিসেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বঙ্গোপসাগরের এক্সক্লুইভ ইকনোমিক জোন (একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল) ও আন্তর্জাতিক জলসীমায় টুনাসহ অনুরূপ পেলাজিক মাছ ধরা শুরু করার পরিকল্পনা করছে মৎস্য অধিদপ্তর।

বঙ্গোপসাগরের ১.১৯ লাখ বর্গকিলোমিটার এক্সক্লুসিভ ইকনোমিক জোন থাকলেও বাংলাদেশ ১০০ মিটার গভীরতায় মাত্র ২৪ হাজার বর্গ কিলোমিটারের চারটি অঞ্চল থেকে মৎস সম্পদ আহরণ করে। ফলে ২০০ মিটার গভীরতায় টুনা এবং সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণ থেকে গেছে অধরা।

এই সামুদ্রিক অঞ্চলে কোনো জরিপ না থাকায় টুনা ফিশ আহরণে অন্তত ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েও এই মাছ আহরণ কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। দেশীয় বিনিয়োগকারীদের উৎসাহী করতে এবার মৎস অধিদপ্তর একটি প্রকল্পের মাধ্যমে টুনা ফিশ আহরণ এবং জরিপের উদ্যোগ নিয়েছে।

টুনা ফিশ আহরণের পরীক্ষামূলক এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বিনিয়োগকারীরা টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে এগিয়ে আসবে এমনটি আশা করছে মৎস অধিদপ্তর। সামনের বছরের ফেব্রুয়ারিতে চীন থেকে ২৪ কোটি টাকায় দুটি জাহাজ আমদানি করে গভীর সাগরে টুনা ফিশ আহরণ কার্যক্রম শুরু হবে।

প্রাথমিকভাবে ৩০ জন ক্রু নিয়োগ দেওয়া ও প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানিকতা শেষে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাহাজ দুটির অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক বলেন, "বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টুনার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশে ক্যানজাত টুনা আমদানি করা হয়। টুনা ফিশ আহরণের এই প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে সামুদ্রিক মৎস আহরণ খাত তথা ব্লু ইকোনোমিতে নতুন দ্বার উম্মোচিত হবে। জাপানসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে টুনা ফিশ রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।"

মৎস অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, প্রথমে জুলাই ২০২০ হতে ডিসেম্বর ২০২৩ সময়ে গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে পাইলট প্রকল্প নেওয়া হয়। ৬১ কোটি ৬ লাখ টাকার এই প্রকল্পের আওতায় তিনটি জাহাজ কেনার কথা থাকলেও ডলারের মূল্য বৃদ্ধিসহ নানান সংকটের কারণে এখন দুটি জাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, প্রকল্পের মেয়াদ ১৮ মাস বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। ব্যয় প্রথমে ৬১ কোটি ৬ লাখ টাকা ধরা হলেও একটি জাহাজ কম কেনায় প্রকল্পের ব্যয় নেমে আসে ৫৫ কোটি ২১ লাখ টাকায়।

প্রকল্পের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাহাজ না কেনার বিষয়ে গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে পাইলট প্রকল্পের পরিচালক জোবাইদুল আলম বলেন, "ডলার সংকটের কারণে ২০২২ সালের জুলাই থেকে জলযান এবং আকাশযান কেনার বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা এখনো চলমান। তবে সরকারের বিশেষ অনুমোদনক্রমে এই প্রকল্পের অধীনে দুটি জাহাজ কেনা হচ্ছে।"

জাহাজ দুটি চীনের ইউনি মেরিন সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে কেনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সামুদ্রিক মৎস দপ্তরের তথ্য মতে, ইন্ডিয়ান ওশান অধ্যুষিত অঞ্চলে টুনা ফিশ আহরণ নিয়ন্ত্রিত হয় ইন্ডিয়ান ওশান টুনা কমিশনের অধীনে। এই কমিশনের অধীনে রয়েছে ৩০টি দেশ। বাংলাদেশ ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল এই কমিশন এর সদস্যভুক্ত হয়। নিজেদের এবং আন্তর্জাতিক জলসীমায় নিয়মিত টুনা ফিশ আহরণ করে বাংলাদেশের কাছাকাছি অঞ্চলের ভারত, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ। 

সামুদ্রিক মৎস দপ্তরের সহকারী পরিচালক ও ইন্ডিয়ান ওশান টুনা ফিশ কমিশন বাংলাদেশের ফোকাল পার্সন মো. শওকত কবির চেীধুরী বলেন, টুনা ফিশ আহরণ করতে দেশের জলসীমার ২০০ মিটার গভীরতায় জরিপ চালানো হবে। এছাড়া ইন্ডিয়ান ওশানের আন্তর্জাতিক জলসীমায়ও টুনা ফিশ আহরণ করা হবে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, "ইন্ডিয়ান ওশান টুনা কমিশনের সাথে টুনা ফিশ আহরণের বাংলাদেশের হিস্যা কী পরিমাণ হবে, সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে নেগোসিয়েশন চলছে। টুনা ফিশ আহরণে বাংলাদেশকেও উৎসাহ দিচ্ছে কমিশন।"

৮ প্রজাতির টুনা রয়েছে বঙ্গোপসাগরে

মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের সামুদ্রিক অঞ্চলে আট প্রজাতির টুনা এবং ১০টিরও বেশি প্রজাতির পেলাজিক মাছ রয়েছে। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা ও চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে এই খাতের উদ্যোক্তারা টুনা মাছ ধরায় নিয়োজিত হতে পারেননি না।

২০১৯ সালে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ১৯টি কোম্পানিকে টুনা মাছ ধরার অনুমতি দেয়। তবে কোনো কোম্পানিই এ খাতে বিনিয়োগ করেনি। নতুন প্রকল্পটি সাগরের ২০০ মিটার গভীরতা থেকে টুনা মাছ ধরার জন্য লংলাইন ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে।

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক জোবাইদুল আলম বলেন, " কী পরিমাণ মাছ ধরা যাবে, তা কেবল কার্যক্রম শুরু হলেই বলা যাবে। যেহেতু ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ অন্যান্য দেশগুলো আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে টুনা এবং পেলাজিক মাছ ধরে, তাই আমরাও এই উদ্যোগকে সফল করার পরিকল্পনা নিয়েছি।"

বর্তমানে গভীর সাগরের চারটি অঞ্চল সাউথ প্যাচেস, সাউথ অফ সাউথ প্যাচেস, মিডল গ্রাউন্ড এবং সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ডে মৎস আহরণ করা হয়। সমুদ্র উপকুল থেকে এসব অঞ্চলের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার। সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ১৮ ঘণ্টা।

দূরত্ব অন্যতম চ্যালেঞ্জ

টুনা ফিশ আহরণ করতে বাংলাদেশের স্থলভাগ থেকে প্রায় ৩৮০ নটিক্যাল মাইল দূরে এক্সক্লুসিভ ইকনোমিক জোন এবং আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভারত ও শ্রীলঙ্কার কাছাকাছি এলাকায় যাওয়া লাগবে। এ অঞ্চলে যেতে সময় লাগবে কমপক্ষে তিন দিন। তবে নিকটবর্তী হওয়ার কারণে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের জেলেরা এ অঞ্চলে ৩ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছাতে পারে।

মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক বলেন, "সাগরে টুনা ফিশ আহরণে সরকার আমাদের প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু দেশের জলসীমায় কী পরিমাণ টুনা ফিশ আছে, কোন অঞ্চলে আছে এ সংক্রান্ত কোনো জরিপ নেই। তাই আমরা আশাবাদী হতে পারিনি। তাছাড়া, টুনা ফিশ আহরণে প্রতিটি জাহাজে ৮০ কোটি থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া বিনিয়োগকারীরা এই খাতে এগিয়ে আসতে পারেনি।"

তিনি জানান, "এ সংক্রান্ত একাধিক সভা হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে এই খাতে সহজশর্তে ঋণ সুবিধা চেয়েছি। এটি করা গেলে টুনা ফিশ খাতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের সম্ভবনা তৈরি হবে।"

বেসরকারি খাতের অনিহা

বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএফএ) প্রেসিডেন্ট নূরুল কাইয়্যুম খান বলেন, সরকার টুনা ফিশ আহরণে দুই দফায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুমতি দিলেও এ বিষয়ে কোনো তথ্য না থাকায় কোনো প্রতিষ্ঠানই এগিয়ে আসেনি।

"সেখানে কী পরিমাণ টুনা ফিশের মজুদ আছে, তা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। কারণ এই খাতের একটি জাহাজ আমদানি করতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা লাগবে। সরকারের এই পাইলট প্রকল্পটি সফল হলে অবশ্যই বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসবে," বলেন তিনি।

মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানায়, বর্তমানে ২৬৩টি নিবন্ধিত ফিশিং জাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে ২৩০টি জাহাজ বঙ্গোপসাগরে মৎস আহরণ করে। এছাড়া গভীর সমুদ্রে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলিয়ে প্রায় ৬৭ হাজার নৌকা মৎস আহরণ করে।

মাত্র ২৪ হাজার বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত তিনটি অঞ্চল থেকে মৎস্য সম্পদ আহরণ করে বাংলাদেশ। বার্ষিক মাছ ধরার পরিমাণ ৬.৫ লাখ টন।

মালয়েশিয়া থেকে আনা গবেষণা জাহাজ 'আরভি মীন সন্ধ্যানি' বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক সম্পদের অনুসন্ধান পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ইতোমধ্যেই ২৫ প্রজাতির মাছের প্রজননের সময় সম্পর্কে জানতে পেরেছে। তবে উপসাগরে অন্যান্য ৪৭৬ প্রজাতির মাছ ও ৩৯ প্রজাতির চিংড়ির প্রজনন সময় এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর রমনায় পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রমনা পার্কে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এতথ্য জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির অসম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। সেজন্য এটার ওপর বারবার আঘাত এসেছে। সহিংস হামলা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। সেজন্য সবকিছু মাথায় রেখেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা পরিকল্পনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট হামলার শঙ্কা আমার কাছে নেই।

তিনি বলেন, রমনা বটমূলে আগামীকাল বিকেল ৫টার পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। এরপর আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়াও সন্ধ্যার আগে সবাইকে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হবে।

হাবিবুর রহমান বলেন, রমনায় টুরিস্টদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য টুরিস্ট পুলিশ বুথ রয়েছে। লেক এলাকা নিরাপত্তা দিতে নৌপুলিশের টহল রয়েছে। এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সাময়িক মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। রক্তদানের ব্যবস্থার পাশাপাশি বিনামূল্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে সুপেয় পানি বিতরণের ব্যবস্থা রয়েছে।

দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।


আরও খবর



ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ নিহত ৮

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ময়মনসিংহ সদর, ত্রিশাল ও তারাকান্দা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় এসব প্রাণহানি ঘটে।

দুপুরে সদর উপজেলার ল্যাংড়াবাজার এলাকায় টাঙ্গাইলগামী বাসের ধাক্কায় মাহেন্দ্র থ্রি হুইলারের তিন যাত্রী নিহত হয়। তারা তিনজনই একই পরিবারের। নিহতরা হলেন, লুৎফর রহমান (৩০) তার স্ত্রী শাহনাজ (২৫) এবং শিশু সন্তান মাহিত (২)। ঘটনাস্থলে শিশু মাহিত এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাকি দুইজন মারা যান। আহত অবস্থায় আরও একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন জানান, নিহতরা শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় এলাকার বাসিন্দা। স্বামী-স্ত্রী ভালুকার মাস্টার বাড়ি এলাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে সন্তানসহ তারা বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে।

এছাড়াও ত্রিশালের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মাদানি সিএনজি পাম্পের সামনে একটি যাত্রীবাহী পিকআপ ইউটার্ন নেওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে মারুফের (১৮) বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ এবং আপেল মিয়ার (৩০) বাড়ি নান্দাইল উপজেলায়।

এছাড়া ত্রিশালের বালিপাড়ায় ত্রিশাল-নান্দাইল সড়কে আরেকটি দুর্ঘটনায় বাসের ধাক্কায় ২ অটোরিকশাযাত্রীর মৃত্যু হয়। এদের একজন নাসিমা (৩৫), তার বাড়ি একই উপজেলার কাজিরকান্দা গ্রামে এবং অপর আরেকজনের পরিচয় সনাক্তকরণে কাজ চলছে বলে জানান, ত্রিশাল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. চাঁদ মিয়া।

অপরদিকে, একই দিন সকালে তারাকান্দা উপজেলায় বাসের ধাক্কায় আবুল বাশার (৬০) নামে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তারাকান্দা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াজেদ আলী।


আরও খবর



ইসরায়েলজুড়ে ইরানের নজিরবিহীন হামলা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করেছে ইরান। সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে সরাসরি ইসরায়েলের ওপর এই হামলা শুরু করে তেহরান।

ইরানের নজিরবিহীন এই হামলায় ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। জেরুজালেম ও তেল আবিবসহ পুরো ইসরায়েলজুড়ে বাজছে বিমান হামলার সাইরেন। এমন অবস্থায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের বোমা হামলার শেল্টারের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দিয়েছে। রোববার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান নজিরবিহীন হামলা চালানো শুরু করেছে এবং তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলজুড়ে শহরগুলোতে বিমান হামলার সাইরেন এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

এদিকে ইরান থেকে উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলোকে গুলি করে ধ্বংস করার কাজে ইসরায়েলি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে জর্ডানের বাহিনীও কাজ করছে।

তেহরান বলেছে, তারা সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালিয়েছে। দেশটি আরও বলেছে, বিষয়টি এখন সমাপ্ত বলে মনে করা যেতে পারে

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের বোমা শেল্টারের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সতর্কতা জারি করে বলেছে, অধিকৃত গোলান মালভূমি, নেভাটিম, ডিমোনা এবং ইলাতের বাসিন্দাদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিরক্ষামূলক স্থানের কাছাকাছি অবস্থান করতে হবে।

নেভাটিম এমন একটি স্থান যেখানে ইসরায়েলি বিমানঘাঁটির অবস্থান রয়েছে। দিমোনার উপকণ্ঠে ইসরায়েলের একটি পারমাণবিক চুল্লি রয়েছে। ইলাত হলো ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় লোহিত সাগর তীরবর্তী বন্দরনগরী। গাজায় চলমান যুদ্ধের সময় ইয়েমেনের হুথিদের বারবার আক্রমণের শিকার হয়েছে এই শহরটি।

অন্যদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকের অনুরোধ করেছেন। আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলের জাতিসংঘ রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের ড্রোন হামলার বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখেছেন।

চিঠিতে এরদান বলেছেন, ইরানের হামলা বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি এবং আমি আশা করি কাউন্সিল ইরানের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে সব উপায় ব্যবহার করবে।

এমন অবস্থায় রোববার বিকেলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি মাল্টা বলেছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) রোববার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় একটি জরুরি বৈঠকে বসবে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের ড্রোন হামলার বিষয়ে জরুরি বৈঠকের জন্য জাতিসংঘে ইসরায়েলি দূতের আনুষ্ঠানিক অনুরোধের পরপরই বৈঠকটি ডাকা হয়।

উল্লেখ্য, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ককে ইরানি কনস্যুলেটে চালানো হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে শতাধিক ড্রোন ছুড়েছে ইরান। রোববার রাতে দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একের পর এক ড্রোন ছুড়তে থাকে ইরানের চৌকস বাহিনী ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) সেনারা। এসব ড্রোন একে একে ইসরায়েলের দিকে ছুটে যায়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের বিমানবাহিনী শতাধিক ড্রোন শনাক্ত করেছে। যেগুলোর ওপর নজর রাখা হচ্ছে। ড্রোনের পর ইরান ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে বলেও জানা গেছে।


আরও খবর



সুন্দরবনে আগুন, নেভানোর চেষ্টায় বনকর্মীরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পূর্ব সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৪ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া ও গুলশাখালীর মাঝামাঝি এলাকায় এ আগুনের ঘটনা ঘটে। বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ বনরক্ষীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বনের ভিতর মধু সংগ্রহে মৌওয়ালের আগুনে এ আগুনের সূত্রপাত বলেও জানান তিনি।

আনিসুর রহমান বলেন, এরই মধ্যে বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ বনবিভাগের চারটি ফাঁড়ির বনরক্ষীরা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়া পূর্ব সুন্দরবনের বন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে তদারকির কাজ করছেন।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আবু তাহের মিয়া জানান, আমুরবুনিয়া ফাঁড়ির কাছেই আগুন লেগেছে। বেশ বড় এলাকা। অন্তত দুই কিলোমিটারজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। যেভাবে আগুন ছড়িয়েছে সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিনই হবে।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুল আলম চৌধুরী জানান, আগুনের খবর পেয়ে এরই মধ্যে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। আগুনের এ ঘটনায় বনের পশু এবং কী পরিমাণ বনাঞ্চল পুড়ে গেছে, তা আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।

এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হবে বলেও জানান তিনি। 

নিউজ ট্যাগ: সুন্দরবনে আগুন

আরও খবর



আফগানিস্তানে মসজিদে বন্দুকধারীর হামলা, ৬ মুসল্লির মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে একটি মসজিদে ঢুকে নামাজরতদের ওপর হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আফগান সরকারের এক মুখপাত্রের বরাতে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) খবরটি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা এএফপি।

সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশের গুজারা জেলায় নৃশংস এই হামলার ঘটনাটি ঘটে।

আব্দুল মতিন কানি নামে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র জানান, রাতে নামাজ চলাকালে ওই মসজিদটিতে প্রবেশ করে ইবাদতরত ব্যক্তিদের ওপর গুলি চালায় অজ্ঞাত একজন সশস্ত্র ব্যক্তি। এতে মসজিদেই প্রাণ হারান ৬ জন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মতিন কানি লিখেছেন, এই বন্দুক হামলায় ইবাদতরত ছয় বেসামরিক নাগরিক শহীদ হয়েছেন ও একজন আহত হয়েছেন।’

আফগানিস্তানের রাষ্ট্র পরিচালিত বাখতার নিউজ এজেন্সিও একই তথ্য জানিয়েছে।


আরও খবর