বিশ্বকাপের ফাইনালের
আগে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় পড়েছে ফ্রান্স। দলের একাধিক খেলোয়াড় ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত
হয়েছে। চলছে তাদের সেবা শশ্রুষা। অসুস্থ ফুটবলারের সংখ্যা নাকি বেড়েই চলেছে।
প্রতিবেদনে আরও
বলা হয়, প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে থেকেই চোটের জন্য ফ্রান্সের দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন
করিম বেনজেমাসহ একাধিক তারকা। আর ফাইনালের আগে দু'বারের বিশ্বকাপজয়ী মধ্যপ্রাচ্যের
এক ভাইরাসের হানায় আক্রান্ত। 'ক্যামেল' নামক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথমে জ্বর আসবে,
এরপর কাশি শুরু হবে, থাকবে ডায়রিয়া আর বমি বমি ভাবও। এমন ভাইরাস নিয়ে মাঠে খেলা যাওয়া
অসম্ভব। ঠাণ্ডাজনিত কারণে এমন জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে ভাইরাসে
আক্রান্ত হয়ে মরক্কোর বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের খেলতে পারেননি ডিফেন্ডার দায়োত উপামেকানো
ও আদ্রিয়েঁ হাবিয়েঁ। এবার নীল-সাদা ব্রিগেডের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে একই ভাইরাসে
আক্রান্ত হলেন স্ট্রাইকার ফরোয়ার্ড কিংসলি কোমান।
ফ্রান্সের লে'কিপ
নামক সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে ফ্রান্স শিবিরে আতঙ্ক
ছড়ানো ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিয়েছে রাফায়েল ভারানে এবং ইব্রাহিম কোনাতের শরীরেও।
ফরাসিদের ডিফেন্সের
প্রাণ হলেন রাফায়েল ভারানে। তিনি মাঠে থাকলে নিশ্চিন্ত আক্রমণে ওঠেন আন্তোনি গ্রিজমান-এমবাপেরা।
তাই এমন ম্যাচ উইনার শেষ পর্যন্ত খেলতে না পারলে সেটা যে দলের জন্য ক্ষতি করবে, সেটা
বেশ ভালোই জানেন দিদিয়ের দেশ। দায়োত উপামেকানোর পরিবর্তে মরক্কোর বিরুদ্ধে ডিফেন্স
সামলেছিলেন কোনাতে। কিন্তু দুজনই আক্রান্ত হওয়ায় তাদের বিকল্প নিয়ে বেশ ভুগতে হবে ফরাসি
কোচকে। এরমধ্যে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার আন্দ্রে রাবিওত যদি সময় মতো ফিরতে না পারেন তাহলে
আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকে থাকাটাই কঠিন হয়ে পড়বে ফ্রান্সের জন্য।
১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ
সময় রাত ৯টায় লুসেল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে নামবে
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। লিওনেল মেসিদের বিরুদ্ধে নামার আগে বেশ চিন্তায় গতবারের
বিশ্বজয়ী কোচ দিদিয়ের দেশ।
ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের
দেশম বলেন, এই মওসুমে ফ্লু হয়। সেটাই হচ্ছে অনেকের। আমরা সবাই সাবধানে থাকার চেষ্টা
করছি। ফুটবলারদের অনেকের সমস্যা হচ্ছে। অনেকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু কমে গিয়েছে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র থেকে সংক্রমণ হতে পারে। কারণ কাতারের স্টেডিয়ামগুলিতে তাপমাত্রা
সহনশীল রাখার জন্য শীতাতপ যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। খেলা দেখতে বিভিন্ন দেশের হাজার
মানুষ আসছেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের মাধ্যমে এ ধরনের ফ্লু সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তবে আমরা সবার দিকে নজর রাখছি। আশাকরি পূর্ণশক্তির দল মাঠে নামাতে পারব।