আজঃ বুধবার ০১ মে ২০২৪
শিরোনাম

এতো প্রাণহানি আগে কখনো দেখেনি করতোয়াবাসী

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মো: রেদওয়ানুল হক মিলন, পঞ্চগড় থেকে ফিরে:

প্রতিবছর পূজা শুরুর প্রাক্কালে চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে আমন্ত্রণ জানাতে মহালয়ার দিন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বোদেশ্বরী মন্দিরে দুর্গার আবাহন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় বিশাল অনুষ্ঠান। এতে যোগ দিতে কয়েক উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জড়ো হন আউলিয়ার ঘাটে। নতুন পোশাক আর রঙিন সাজ নিয়ে দেড় শতাধিক মানুষ ওঠেন নৌকায়। কিন্তু মাঝনদীতে গিয়ে গভীর পানিতে তলিয়ে যায় নৌকাটি।

নৌকাডুবিতে ৭১ জনের প্রাণহানি হয় আর এখনো নিখোঁজ রয়েছেন একজন। এ দুর্ঘটনায় শোকে স্তব্ধ করতোয়ারবাসী। ইতিহাসের ভয়াবহ এমন দুর্ঘটনার সাক্ষী উত্তরের এই জনপদ। হঠাৎ শান্ত স্রোতের নদীটি হয়ে উঠবে বিষাদের কারণ তা কেউ জানতো না। মুহূর্তেই স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে আউলিয়া ঘাটের বাতাস।

ভাসমান মরদেহ দেখে সেদিন স্তব্ধ হয়ে ছিলেন নদী তীরের মানুষ। যেন মহালয়াতেই ম্নান পূজার সব আনন্দ। সেদিন যাদের আল্পনা আঁকার কথা ছিল মণ্ডপের আঙিনায়,তারা চন্দনের ফোঁটা একেছে মৃত স্বজনের কপালে। আপনজনের শেষ যাত্রায় অশ্রুর নীবর বহতা। যেখানে ঢাকের বাড়িতে নেচে উঠার কথা, সেখানে অবনত মস্তকে স্বজনের মরদেহের সৎকারে ব্যস্ত ছিলেন পূজারিরা। সেদিন মণ্ডপগুলোতে ঢাকের বাড়ি, শাঁখের আওয়াজ আর গৃহীনির উলুধ্বনির বদলে ছিল শোকস্তব্ধ স্বজনের গুঁমরে উঠা আর ফোঁপানো কান্নার শব্দ।

গত বছরের (২৫ সেপ্টেম্বর) বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাটে দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে এ নৌকাডুবির আজ এক বছর তারই আদ্যোপ্রান্ত তুলে ধরা হলো:

প্রতিবছর মহালয়ার দিনে কমপক্ষে ২০ হাজারের বেশি মানুষ আউলিয়া ঘাট থেকে নৌকায় করতোয়া পাড়ি দিয়ে বোদেশ্বরী মন্দিরে যান। ৩০ জন ধারণ ক্ষমতার একটি নৌকা শতাধিক যাত্রী নিয়ে মহালয়ার অনুষ্ঠানের উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় নৌকাটি কিছু দূর যাওয়ার পর দুলতে শুরু করলে মাঝি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। অতিরিক্ত যাত্রীচাপে ডুবে যায় নৌকাটি। মুহূর্তেই উৎসব শোকে পরিণত হয়। অনেকেই সাঁতরে তীরে উঠলেও শিশুসহ বাকিরা গভীর পানিতে তলিয়ে যায়।

এদিকে ডুবে যাওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে হ্যান্ডমাইকে নৌকার মাঝিকে সাবধানও করেছিল পুলিশ। তবে, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সামনেই নৌকাটি অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছাড়ার ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতি আছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলো। জেলা প্রশাসনের তদন্ত  প্রতিবেদনে ইজারাদার আব্দুল জব্বারের গাফিলতিসহ নৌকার মাঝি বাচ্চু মিয়া এবং রবিউল ইসলামকে দায়ী করা হয়। পরে পুলিশ তাদের আটক করেন।

যারা বেঁচে ফিরল: নৌকাডুবির ঘটনায় নির্বাক বেঁচে ফিরে আলো (২৫) ও অর্পিতা (১৭) দুই বোন। বাড়ির ৫ সদস্যকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তারা। কোনো সান্তনাই যেন তাদের বিলাপ থামাতে পারছে না। অন্যদিকে, মৃত্যুর থেকে বেঁচে আসা বিনয় বলেন, আমি আমার বউসহ পরিবারের ৭ সদস্যকে নিয়ে সেদিন নৌকায় চড়ে বোদেশ্বরীর মন্দিরে যাচ্ছিলাম হঠাৎ চোখের পলকে নৌকাটি ডুবে যায়। পরিবারের সবাই মারা গেলেও আমি শুধু বেঁচে আছি। 

রেলমন্ত্রী: নৌকাডুবির খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি সেদিন স্থানীয় প্রশাসনকে দোষারোপ করে বলেছিলেন, এ দুর্ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতি ছিল। এ ঘটনায় যেমন ঘাটে দায়িত্বরতদের অবহেলা ও গাফিলতি রয়েছে, তেমনি  যাত্রীদেরও রয়েছে। এর ফলেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেনি এটাই চিরন্তন সত্য।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে যান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। নিহতদের প্রত্যেককে জেলা প্রশাসক এর পক্ষে ২০ হাজার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার, ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ হাজার ও রেলমন্ত্রীর পক্ষে থেকে ৫ হাজার টাকা নিহত স্বজনদের হাতে তুলে দেন তিনি।

পঞ্চগড়ের মাড়িয়াগঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জ দুটি ইউনিয়নকে পৃথক করেছে করতোয়া নদী। এ অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিল স্থানীয়রা।

এত প্রাণহানির পরেও কি আউলিয়া ঘাটে ব্রিজ হবে না?: স্বাধীনতার ৫০ বছরেও পঞ্চগড়ের আউলিয়ার ঘাটে নির্মাণ হয়নি একটি ব্রিজ। এর আগে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটলেও এবার নৌকাডুবিতে প্রাণ গেল ৭১ জনের। তবে দ্রুত সময়ে ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন। করতোয়া নদী পারাপারের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে ইংরেজি বর্ণ ওয়াই আকৃতির ব্রিজের কাজ দ্রুত শুরু  হবে বলে সেদিন বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে আয়োজিত শোকসভায় আশ্বাস দিয়েছিলেন মন্ত্রী। ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাবনা একনেকে পাস হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এক বছর গত হয়ে গেলেও বাস্তবে কোন কাজ শুরু হয়নি।

এত প্রাণহানির কারণ কী?: ৭১ জনের প্রাণহানির কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, ঘটনার দিন হিন্দু সস্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব মহালয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশ, দমকল বাহিনী, আনসার, গ্রাম পুলিশ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের করতোয়া নদীর দুই পাড়ে মোতায়েন করা হয়েছিল।

মানুষের হুড়োাহুড়ি এবং অসচেতনতা: করতোয়া নদীতে ১২ মাস পানি থাকে এবং এই নদীর ওপর কোনো সেতু নেই। ফলে নদী পারাপারের জন্য নৌকা এবং ট্রলারই ভরসা। নৌকা ডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া দমকল বাহিনীর কর্মকর্তা শাজাহান আলী বলেছেন, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে তারা নদীর পাড়ে কাজ শুরু করেন। উৎসবের দিন হওয়ায় সেদিন ঘাটে প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল। এছাড়া নৌকা দিয়ে পার হতে আসা মানুষকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে, এমনকি হ্যান্ডমাইক নিয়েও কিছুক্ষণ পরপর সতর্ক করা হলেও তা কেউ আমলে নেয়নি।

ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহন: নদী পারাপারে প্রতিদিন সাধারণত কেবল একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলার চলে আউলিয়া ঘাট থেকে। কিন্তু মহালয়ায় হাজারো লোকের সমাগম হবে, তার প্রস্তুতি হিসেবে তাদের পারাপারে ৬টি নৌকা দেয়ার আবেদন করা হয়েছিল সনাতন সস্প্রদায়ের পক্ষ থেকে। কিন্তু সেদিন বরাদ্দ ছিল ৩টি নৌকা, যে নৌকাগুলো বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, একেকটির দৈর্ঘ্য ১৮ থেকে ২০ ফুটের মতো। এই আকৃতির একটি নৌযানে সেদিন ১০০ বেশি মানুষ উঠে পড়েছিল, স্থানীয়দের কেউ কেউ মনে করেন নৌকাতে দেড়শোর বেশি মানুষ ছিল।

ওই নৌকাডুবি থেকে বেঁচে ফিরেছেন এমন একজন বলেছেন, ট্রলারে কোনো মানুষের বসার জায়গা ছিল না, তারা সবাই দাঁড়িয়ে ছিলেন।

নদীর গভীরতা কম, কিন্তু স্রোত ছিল বেশি: করতোয়া নদীতে ১২ মাস পানি থাকে ঠিকই, কিন্তু নদীটি খুব বেশি গভীর নয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, ঘটনার আগের কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হয়েছিল, তার ফলে উজান থেকে পানি নেমে নদীতে পানির প্রবাহ অনেক বেড়েছিল।

ট্রলারে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি: দুর্ঘটনায় এত প্রাণহানির আরেকটি কারণ হিসেবে স্থানীয়রা মনে করেন, ট্রলারে যাত্রীদের বড় অংশটি ছিলেন নারী ও শিশু।

ঘটনার দিন সকাল থেকেই ওই নদীতে মাছ শিকার করছিলেন গৌতম দাস। ক্লান্ত শরীরে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ চিৎকারে পেছন ফিরতেই দেখেন নৌকাটি ডুবে যাচ্ছে। নিমিষেই নৌকার যাত্রীরা নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। এ দৃশ্য যেন তিনি এখনো ভুলতে পারছেন না। ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে কয়েকজন পাথর উত্তোলনের শ্রমিক ছিলেন। তার মতে, তারা খুব ভালো সাঁতার জানতেন। কিন্তু তার পরও কীভাবে এসব শ্রমিক পানিতে ডুবে মারা গেলেন সেই হিসাব মেলাতে পারছেন না তিনি।


আরও খবর



নাবিকদের মুক্তি : প্রধানমন্ত্রীর শুকরিয়া আদায়

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও জিম্মি ২৩ নাবিকের মুক্তির খবরে শুকরিয়া আদায় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ কথা জানান। এ সময় অন্যদের মধ্যে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর এম মাকসুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, নাবিকদের মুক্তির সংবাদটি যখন প্রধানমন্ত্রীকে দেই, তিনি শুকরিয়া আদায় করেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা (জিম্মি থেকে উদ্ধার) ফায়সালা করা নজিরবিহীন। নববর্ষের প্রথম দিনে হয়েছে, আমরা আনন্দিত। শুধু তাদের আত্মীয়স্বজন নয়, পুরো দেশবাসী খুবই আনন্দিত। আমরা আমাদের নাবিকদের মুক্ত করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, বিশ্ব মেরিটাইম সেক্টরে যারা যারা আছেন, সবাই যোগাযোগ রেখেছেন বিষয়টি ফায়সালা করার জন্য। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর ও আন্তর্জাতিক মেরিটাইম উইং তৎপর ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা নাবিকদের মুক্ত করতে তৎপর ছিলাম।

দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে তৎপরতার মধ্য দিয়ে জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করতে পেরেছি। এখন তারা আরব আমিরাতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।


আরও খবর
মহান মে দিবস আজ

বুধবার ০১ মে ২০২৪




ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ময়মনসিংহ-তারাকান্দা সড়কের কোদালধর বাজারের রামচন্দ্রপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তারাকান্দা থানার ওসি ওয়াজেদ আলী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তারাকান্দায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে অন্তত ১০-১২ জনকে আনা হয়েছে। এদের মাঝে ছয়জনকে ভর্তি করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ময়মনসিংহ

আরও খবর



ঈদের আনন্দ থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয়: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদেরকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপ্রধান বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে দেশবাসীকে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ মিলেমিশে উপভোগের অনুরোধ জানান।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিনি দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান। এই ঈদের মধ্যেও ফিলিস্তিনসহ বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষ অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছেন উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি ফিলিস্তিনের নির্মমতার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, একজন মানুষ হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করা।

মনে রাখতে হবে দুঃখ একলা ভোগ করা যায়, কিন্তু আনন্দ একলা ভোগ করা যায় না-সকলকে নিয়ে আনন্দ করতে হয়, বলেন রাষ্ট্রপতি।

মো. সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তুলুক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম উল্লেখ করে রাষ্ট্র প্রধান বলেন, মানবিক মূল্যবোধ, সাম্য, পারস্পরিক সহাবস্থান ও সহযোগিতা- ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ঈদের আনন্দ থেকে পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার ও তাগিদ দেন।

তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্মাট বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। এর আগে রাষ্ট্রপতি এবং তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

রাষ্ট্রপতি রাজনীতিবিদ, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, কূটনৈতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিচারক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
মহান মে দিবস আজ

বুধবার ০১ মে ২০২৪




সমালোচনার মুখে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন পলকের শ্যালক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবীব রুবেল। আজ রোববার এক ভিডিও বার্তায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।

ভিডিও বার্তায় লুৎফুল হাবিব রুবেল বলেন, আমি ২০০২ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে রয়েছি। ২০০৫ সালে সিংড়া গোল-ই আফরোজ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছি। গত ৩ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পদত্যাগ করি। ইউনিয়ন পরিষদের পর পর তিন বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।

গত ৮ই এপ্রিল উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র সাবমিট করি। তারপর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার সাথে আমি জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন মহল সক্রিয় আছে। লুৎফুল বলেন, উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে, কোন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যের আত্মীয়-স্বজন নির্বাচন করতে পারবে না। তার-ই আলোকে এই ঘোষণার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনা অনুযায়ী মনোনয়ন পত্রটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। অফিসিয়াল যে প্রক্রিয়াগুলো রয়েছে সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করব।

গত সোমবার সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আরেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেন, তার ভাই ও এক আত্মীয়কে অপহরণ করেন লুৎফুল হাবিবের সমর্থকরা। গাড়িতে মারধরের পর ওইদিন দেলোয়ারকে তার বাড়ির সামনে আহত অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উদ্ধারের পর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনো তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনার দুটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়, যেখানে দেখা যায় দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করে যে গাড়িতে তোলা হয় সেটি তার প্রতিদ্বন্দ্বী লুৎফুল হাবীবের। এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনের ভাই থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের স্বীকারোক্তি ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে মূল ঘটনা সামনে এলে গত শুক্রবার লুৎফুল হাবীবকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী পলক।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

অব্যাহত অতি তীব্র তাপদাহে স্বস্তি নেই চুয়াডাঙ্গায়। সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এখানকার জনপদ। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। এরই মাঝে আজ মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান।

তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দুই দিন এমন অবস্থা বিরাজ করতে পারে।

এ দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দুপুর থেকেই মরুভূমির মতো তাপ অনুভূত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। অস্বস্তি বাড়ছে জনজীবনে।

চলমান তাপদাহে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন শ্রমজীবীরা। তীব্র তাপদাহে নষ্ট হচ্ছে ধান, ভূট্টা, কলা, আম, লিচুসহ মৌসুমি ফসল।


আরও খবর