কিংবদন্তি অভিনেতা
এটিএম শামসুজ্জামান না ফেরার দেশে চলে গেছেন গত শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে। ওই দিন
বাদ আসর জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাকে। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে
শোবিজ অঙ্গনে। গুণী এ অভিনেতার মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই।
মৃত্যুর এক মাস
আগে এটিএম শামসুজ্জামান তার বিভিন্ন পদক, সনদ, সম্মাননা, ক্রেস্টসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র
বস্তাবন্দি করে ফেলতে বলেছিলেন’ তার ভাই রতন
জামানের বরাত দিয়ে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে দেশের একটি জাতীয় গণমাধ্যম। এ বিষয়ে এটিএম
শামসুজ্জামানের দুই মেয়ে এবং স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তীব্র প্রতিবাদ করেন তারা।
মোবাইল ফোনে তার
মেয়ে কোয়েল আহমেদ বলেন, ‘এগুলো উনার অর্জন।
এগুলো কেনো ফেলে দিতে বলবে? আপনারা দয়া করে আমার কথা ছাড়া এ ধরনের কোনো নিউজ করবেন
না। এগুলো সব উনার অর্জন। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নেওয়া অর্জন, উনি প্রধানমন্ত্রীকে
অনেক ভালোবাসতেন। উনি এগুলো বলবে আপনার মনে হয়?
এটিএম শামসুজ্জামানকে
নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে তার ছোট মেয়ে কেতোকি আহমেদ বলেন, ‘এটি আমার আব্বার
জন্য অনেক দুঃখজনক একটা ব্যাপার হবে। উনি অনেক কষ্ট পাবেন, এটা তো হতেই পারে না। আমার
আব্বা শিল্পকে অনেক ভালোবাসতেন। এ ধরনের কোনো কিছু আমরা কখনোই নিতে পারব না। আব্বা
সারাজীবন শিল্পকে ভালোবেসে কাজ করেছেন, টাকা জন্য করেননি। উনার মৃত্যুর পর এ ধরনের
কথা আমরা মেনে নিতে পারব না।
গুণী এ অভিনেতার
স্ত্রী রুনি জামান ২১ ফেব্রুয়ারি বলেন, ‘এ ধরনের কোনো
কথা বলেননি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য যা করেছেন তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। এত দিনের সম্মান,
তার এত পুরস্কার, জাতীয় পুরস্কার, একুশে পদক এগুলো আমি আলমারি করে রেখে দিব।
এটিএম শামসুজ্জামানকে
নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধ বারবার করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। গণমাধ্যমের
কাছে অভিনেতার স্ত্রীর অনুরোধ করে বলেন, ‘আমি, আমার মেয়ে-ছেলেদের
সঙ্গে কথা না বলে আপনারা কোনো নিউজ করবেন না। যা জানতে চান আমার কাছে জানবেন, মানুষের
কাছ থেকে নয়। যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে সে রকম কোনো কথা উনি বলেননি। দয়া করে আর কোনো বিভ্রান্তি
ছড়াবেন না।