আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

এশিয়ায় প্রবৃদ্ধির দৌড়ে ভারতের পরেই বাংলাদেশ: আইএমএফ

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মোট দেশ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধির দৌড়ে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। এক্ষেত্রে চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। তবে মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণের দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে। মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির দিক থেকে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের পরেই রয়েছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার প্রকাশিত আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) রিজিওনাল ইকোনমিক আউটলুক অক্টোবর ২০২৩ বা আঞ্চলিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাস অক্টোবর ২০২৩ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এদিন প্রতিবেদনটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অংশ বিশেষ প্রকাশিত হয়েছে। ১৮ অক্টোবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হবে এবং ওই দিন আইএমএফের সিঙ্গাপুর অফিস থেকে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।

এর আগে ওই প্রতিবেদনের বিভিন্ন অঞ্চলের অংশ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে প্রকাশিত আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের উদ্ধৃতি দিয়ে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

শুক্রবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি গত দুই বছর ধরে কমছে। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছরেও বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমে ৩ শতাংশ হতে পারে। ২০২৪ সালে তা আরও কমে ২ দশমিক ৯ শতাংশের পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। এর ধারাবাহিকতায় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চলতি বছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। আগামী বছরে তা কমে ৪ দশমিক ২ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। ভারতের প্রবৃদ্ধির হার অপরিবর্তিত রাখা হলেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কমানো হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, এশিয়ার দেশগুলোতে প্রবৃদ্ধির দৌড়ে ভারতের পরেই রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ শতাংশ। ভারতে হবে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। এর আগে আইএমএফ বলেছিল বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৬ শতাংশ। ওই প্রাক্কলন থেকে দশমিক ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। ২০২৩ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ শতাংশ। ২০২৪ সালে তা আরও কমে হবে ৪ দশমিক ২ শতাংশ। এছাড়া এশিয়ার অন্য দেশগুলোর প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের নিচে থাকবে।

এতে বলা হয়, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রবণতা বেড়েছে। এর মধ্যে চীন, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলহানির প্রবণতা বেড়েছে। এসব দেশে জলবায়ুর প্রভাব প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে বড় ঝুঁকি হিসাবে দেখা দিয়েছে।

আগামী বছরে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে ভুটানের ৩ শতাংশ, মালদ্বীপের ৫ শতাংশ, নেপালের ৫ শতাংশ, পকিস্তানে ২.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। শ্রীলংকার প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে আইএমএফ কোনো পূর্বাভাস দেয়নি। তবে ৩ অক্টোবর প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের রিজিওনাল ইকোনমিক আপডেট প্রতিবেশনে বলা হয়েছে, শ্রীলংকার ১ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।

আইএমএফের প্রতিবেদনে এশিয়ার অন্য দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে বলা হয়েছে- ইন্দোনেশিয়ার ৫ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ৪ দশমিক ৩ শতাংশ, মিয়ানমারের ২ দশমিক ৬ শতাংশ, থাইল্যান্ডের ৩ দশমিক ২ শতাংশ, ভিয়েতনামের ৫ দশমিক ৮ শতাংশ, লাউসের ৪ শতাংশ, ফিলিপাইনে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ইরানে ২ দশমিক ৫ শতাংশ, ইরাকে ২ দশমিক ৯ শতাংশ, কুয়েতে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, ওমানে ২ দশমিক ৭ শতাংশ, কাতারে ২ দশমিক ২ শতাংশ, সৌদি আরবে ৪ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। এছাড়া ফুটবলের দেশ বলে পরিচিতি আর্জেন্টিনার প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২ দশমিক ৮ শতাংশ, ব্রাজিল ১ দশমিক ৫ শতাংশ।

প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে রয়েছে। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। বর্তমানে এ হার প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি। অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া শ্রীলংকা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। তাদের মূল্যস্ফীতির হারও কমছে। এ হার সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশে ওঠেছিল। চলতি বছর তা কমে ৪৫ দশমিক ২ শতাংশ নেমেছে। এটি আগামী বছর আরও কমতে পারে। পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতির হারও কমে ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। এর আগে তা ৪৬ শতাংশে ওঠেছিল।

এছাড়া ভুটানের মূল্যস্ফীতির হার ৪ দশমিক ৪ শতাংশ, চীনের ১ দশমিক ৭ শতাংশ, ভারতের ৪ দশমিক ৬ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ২ দশমিক ৫ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ২ দশমিক ৭ শতাংশ, মালদ্বীপের ২ দশমিক ৮ শতাংশ, মিয়ানমারের ৭ দশমিক ৮ শতাংশ, নেপালের ৬ দশমিক ৭ শতাংশ, ফিলিপাইনের ৩ দশমিক ২ শতাংশ, থাইল্যান্ডের ১ দশমিক ৬ শতাংশ, ভিয়েতনামের ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, আর্জেন্টিনার ৯৩ দশমিক ৭ শতাংশ, ব্রাজিলের ৪ দশমিক ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হতে পারে।


আরও খবর



উত্তপ্ত বান্দরবান: পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রাণ প্রকৃতির নিসর্গ পার্বত্য জেলা বান্দরবানে সশস্ত্র হামলা ও ব্যাংকে লুটপাটের পর বর্তমানে সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আগামীকাল শনিবার ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বান্দরবানে যাবেন তিনি। আজ শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপু এ তথ্য জানান।

নতুন করে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের পাহাড়ি অঞ্চল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। যাদের সন্ত্রাস আর লুটপাটের কারণে আতঙ্কে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী। এমন পরিস্থিতিতে মন্ত্রী বান্দরবানের রুমাসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন।

এলাকা পরিদর্শনের সময় তিনি বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। আগামীকাল শনিবার দুপুরে বান্দরবান সার্কিট হাউসে মতবিনিময় শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন তিনি। ঢাকা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

এ দিকে, অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা পর সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব জানায়, ব্যাংক ম্যানেজারকে নিরাপদে উদ্ধারে কোনো ঝুঁকি নেননি সদস্যরা। গোয়েন্দা কার্যক্রমের বিভিন্ন কৌশলের মধ্যে একটি কৌশল অবলম্বন করে তাকে উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বান্দরবান জেলায় বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতা, উত্তরসূরিদের অনুপ্রেরণা ও বিশ্বে তাদের সহযোগীদের সক্ষমতা জানান দিতেই এ ঘটনাটি কেএনএপের সশস্ত্র সদস্যরা ঘটিয়েছে। তবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’


আরও খবর



৯ মাসে মুনাফা বেড়েছে ৫১২ কোটি টাকা

দৃঢ় নেতৃত্বে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে বিগত বছরগুলোর প্রতিকূলতা কাটিয়ে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। চলতি বছর ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যার প্রেক্ষিতে চলতি হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ওয়ালটন হাই-টেকের মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা বা ২০৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ব্যাপক বৃদ্ধিসহ আর্থিক প্রায় সব সূচকেই উন্নতি হয়েছে।  

ওয়ালটন হাই-টেকের চলতি হিসাববছরের জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৮তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ হিসাববছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬২.৩৪ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৪৯.৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০৫ শতাংশ।

এদিকে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৪) ওয়ালটনের মুনাফা হয়েছে ৪২১.৯৮ কোটি টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৩৫.৫৫ কোটি টাকা।

বিক্রয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কস্ট অব গুড্স সোল্ড উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির মোট মুনাফার শতকরা হার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সূচকেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেকের। তাছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাপক হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.১৭ টাকা; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮.২৫ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির এনএভিপিএস পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত দাঁড়িয়েছে ২৫৮.২২ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৫৯.৬৮ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২২.৮৮ টাকা।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। প্রথম নয় মাসে বিক্রয়ের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে ৬.১৪ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪.৭৯ শতাংশ।

এ ছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি ৩৯২.৭৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। সেই ক্ষতি চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়ে মাত্র ৪১.৬০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এদিকে জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৩.০৭ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬০৪.৭৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া, শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন ২০২৪) কোম্পানির মুনাফা আরো দৃঢ় অবস্থানে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওয়ালটন ম্যানেজমেন্ট। 


আরও খবর



তীব্র গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার ১০ উপায়

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। আবহাওয়া অফিস থেকেও জানানো হয়েছে আগামী দুই দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

পূর্বাভাস বলছে, চলমান দাবদাহ আরও চার দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি। তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে যা করবেন

১. পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন

২. বাড়ির বাইরে থাকার সময় সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন

৩. শরীরে পানিশূন্যতা এড়াতে অতিরিক্ত পানি ও শরবত পান করতে হবে

৪. স্যালাইন পানিতে থাকা সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও চিনি শরীর সজীব রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর। দীর্ঘ সময় গরমে থাকলে স্যালাইন পান করুন।

৫. গ্রীষ্মকালীন ফল দিয়ে তৈরি তাজা জুস পান করুন

৬. মাংস এড়িয়ে বেশি করে ফল ও সবজী খান

৭. প্রস্রাবের রঙ খেয়াল করুন। প্রস্রাবের গাঢ় রঙ পানি স্বল্পতার লক্ষণ।

৮. সব সময় ছাতা বা টুপি সাথে রাখুন

৯. ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন

১০. চেষ্টা করুন যেন দিনে কম বাইরে যেতে হয়


আরও খবর



বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজনীতি ডেস্ক

Image

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সারাদেশে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির ৭৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে এসব নেতাদের নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতদের মধ্যে ২৮ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং ২১ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আসন্ন প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।


আরও খবর



রিজার্ভ বেড়ে ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের উপরে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

আমদানির চাহিদা অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রা না থাকায় বাজারে ডলার বিক্রির ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমে আসছিল। তবে ঈদের আগে কিছুটা চাঙা ছিল রেমিট্যান্স প্রবাহ। তাই ফের কিছুটা বেড়েছে রিজার্ভ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী- রিজার্ভ এখন ২ হাজার ১০ কোটি ডলারে (২০ দশমকি ১০  বিলিয়ন) পৌঁছেছে। যেখানে গত মাসের ২৭ মার্চেও ছিল ১ হাজার ৯৪৫ কোটি ডলার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ঈদের আগে প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এছাড়া রপ্তানি প্রবাহও বেড়েছে। এসব কারণেই মূলত রিজার্ভ কিছুটা চাঙ্গা।

তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। এটি প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন অনেকটা শেষ প্রান্তে রয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রোস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল, ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সংকটের কারণে রিজার্ভ থেকে বাজারে প্রচুর ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া গত মাসে আকুর বিলও পরিশোধ হয়েছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম। এসব কারণেই মূলত রিজার্ভ কমছে।


আরও খবর