২৪ ঘণ্টা আগেই
এই পাকিস্তানকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু মরুর বুকে মেগা ফাইনালে লঙ্কানরা
শুরুতে দেখল মুদ্রার উল্টো পিঠ। আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি বোলারদের সামনে রীতিমতো
মুখ থুবড়ে পড়ে শ্রীলঙ্কার টপঅর্ডার। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে শক্ত চ্যালেঞ্জ
ছুঁড়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। রাজাপাকসের দৃঢ়তায় পাকিস্তানকে ১৭১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে দাসুন
শানাকার দল।
আজ রোববার এশিয়া
কাপের ফাইনালে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭০ রান সংগ্রহ
করেছে শ্রীলঙ্কা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রানের ইনিংস খেলেছেন রাজাপাকসে। ৪৫ বলে তাঁর
ইনিংসে ছিল ৬ বাউন্ডারি আর তিনটি ছক্কা।
দুবাই আন্তর্জাতিক
স্টেডিয়ামে টসের ভাগ্য জেতা হলো বড় ট্রাম্প কার্ড। এই টুর্নামেন্টের পরিসংখান অন্তত
সেটাই বলে। আজ ফাইনাল মহারণে সেই ট্রাম্প কার্ড জিতে যথারীতি বোলিংই বেছে নেয় পাকিস্তান।
আগে বোলিং নেওয়া
পাকিস্তান শুরুতেই পায় সাফল্য। প্রথম ওভারেই কুশল মেন্ডিসের উইকেট তুলে নেন নাসিম শাহ।
তরুণ এই পেসারের গতিতে পরাস্থ হয়ে গোল্ডেন ডাকে ফেরেন লঙ্কান ওপেনার।
আরেক ওপেনার পাথুম
নিশানকাকে থামান হারিস রউফ। পাকিস্তানি পেসারের করা দ্বিতীয় বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড
অফে অধিনায়ক বাবরের হাতে ধরা পড়েন পাথুম। ১১ বলে ১ চারে ৮ রান করে যান তিনি।
নিজের পরের ওভারে
এসে আবারও রউফের আঘাত। এবার ফিরিয়ে দেন দানুস্কা গুনালিথাকাকে (১)। পাকিস্তানি পেসারের
গতিময় বলে এলোমেলো হয়ে যায় লঙ্কান ব্যাটাররের স্টাম্প।
পাওয়ার প্লেতে
তিনটি উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৪২ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। পাওয়ার প্লের পরপরই ইফতেখারের
বলে কাটা পড়েন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। থিতু হওয়া ডি সিলভাকে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে
বিদায় করেন ইফতেখার। ৪ বাউন্ডারিতে ২১ বলে ২৮ রান করেন তিনি।
এরপর বোলিংয়ে
এসে অধিনায়ক দাসুন শানাকার (২) স্টাম্প ভাঙেন শাদাব খান। মাত্র ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে
রীতিমতো ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু সেই চাপ সামলে লঙ্কানদের দারুণ
ইনিংস উপহার দেন রাজাপাকসে। প্রথমে হাসারাঙ্গাকে নিয়ে জুটি গড়েন, এরপর এগিয়ে নেন করুনারত্নেরকে
সঙ্গে নিয়ে। তাঁর দুর্দান্ত ইনিংসে চড়ে শেষ পর্যন্ত শক্ত পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা।