চলতি বছরের এসএসসি
পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিলম্ব ফি দিয়ে আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত
এ কার্যক্রম চলবে। ফি জামা দেওয়ার শেষ সময় ১৭ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার
(১০ জানুয়ারি) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবুল বাসারের সই করা
এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা
হয়েছে, ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত
বৃদ্ধি করা হলো। ফি জামা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। এ সময়ের পর আর এ বছরের এসএসসির
ফরম পূরণ করা যাবে না।
এদিকে গত ১৮ ডিসেম্বর
থেকে শুরু হয় চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ। গত ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বিলম্ব ফি
ছাড়া এ কার্যক্রম চলে। অনলাইনে ফি জমা দেওয়া হয় ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর বিলম্ব ফিসহ
অনলাইনে ফরম পূরণ চলে ৭ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের ফি জমা ১০
জানুয়ারি পর্যন্ত।
রেজিস্ট্রেশন
ফি
বিজ্ঞান বিভাগের
পরীক্ষার্থীদের জন্য ফরম পূরণের ফি দুই হাজার ১৪০ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের
ফি দুই হাজার ২০ টাকা। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর
পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে। কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির সর্বমোট ২৪ মাসের বেশি
বেতন নেওয়া যাবে না।
জিপিএ উন্নয়ন
২০২২ সালের এসএসসি
পরীক্ষায় সব বিষয়ে অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে এবং জিপিএ ৫ এর কম পেয়েছে এমন পরীক্ষার্থীরা
রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকলে ২০২৩ সালের পরীক্ষায় জিপিএ উন্নয়নের জন্য অংশ নিতে পারবে।
তাদের সব বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এ পরীক্ষায় জিপিএ উন্নয়ন হলে তা যোগ (বাড়ানো)
করা হবে, অন্যথায় আগের ফল বহাল থাকবে।
বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীর
জন্য করণীয়
বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের
শাস্তির মেয়াদ শেষ হয়ে থাকলে এবং রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকলে তারা ২০২৩ সালের এসএসসি
পরীক্ষায় অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশ নিতে পারবে। তাদের সব বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ
নিতে হবে।
অন্যান্য তথ্য
২০২৩ সালের এসএসসি
পরীক্ষার পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাস অনুযায়ী প্রণীত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষার্থীরা (নিয়মিত
ও অনিয়মিত) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। সব শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে শারীরিক
শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার এডুকেশন বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম
ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র
ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে
অনলাইনে পাঠাবে। ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষা এপ্রিলে আয়োজন হওয়ার কথা রয়েছে।