আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

এসএসসি পাসে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে চাকরি

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৯৮ তম ব্যাচে সিপাহী (জিডি) পদে লোকবল নেবে। আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম- বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ

পদের নাম- সিপাহী

পদের সংখ্যা- নির্ধারিত না

কাজের ধরন- পূর্ণকালীন

কর্মস্থল- নির্ধারিত স্থানে

আবেদন যোগ্যতা

কমপক্ষে এসএসসি বা সমমান পাস।

বয়সসীমা ১৮-২৩ বছর।

উচ্চতা : পুরুষের ক্ষেত্রে ১.৬৭৬ মিটার বা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি আর উপজাতীয় হলে ১.৬২৫ মিটার। মহিলাদের ক্ষেত্রে ১.৭৪ মিটার বা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি এবং উপজাতীয় হলে ১.৫২৪ মিটার।

ওজন : পুরুষের ক্ষেত্রে ৪৯.৮৯৫ কেজি (১১০ পাউন্ড), উপজাতীয় হলে ৪৭.১৭৩ কেজি বা ১০৪ পাউন্ড। মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৪৭.১৭৩ কেজি (১০৪ পাউন্ড) হতে হবে। আর প্রার্থী যদি মহিলা ও উপজাতি হন, তাহলে ওজন ৪৩.৫৪৪ কেজি (৯৬ পাউন্ড) হতে হবে।

বুকের মাপ : পুরুষের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক বুকের মাপ ৮১.২৮ সেমি, স্ফীত ৮৬.৩৪ সেমি এবং উপজাতীয় হলে স্বাভাবিক ৭৬.২০ সেমি, স্ফীত ৮১.২৮ সেমি। মহিলাদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ৭১.১২ সেমি এবং স্ফীত ৭৬.২০ সেমি। পুরুষ ও মহিলা উভয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তি ৬/৬।

আবেদন যেভাবে

১। আবেদনের  জন্য মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে BGBHSC BOARD KEYWORDHSC ROLLPASS YEARSSC BOARD KEYWORDSSC ROLLPASS YEAR HOME DISTRICT CODEUPAZILLA NAME টাইপ করে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।

২। প্রার্থীরা এসএমএস পাঠানোর পর তাত্ক্ষণিকভাবে তাদের তথ্য যাচাইয়ের পর যোগ্য প্রার্থীদের এসএমএসের মাধ্যমে একটি পিন নম্বর দেওয়া হবে। প্রার্থী অযোগ্য হলে এর কারণও এসএমএস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।

৩। যোগ্য প্রার্থীরা পিন নম্বর পাওয়ার পর ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা দিতে হবে এসএমএসের মাধ্যমে। এর জন্য টেলিটক মোবাইল নম্বরে অন্তত ১৬০ টাকা ব্যালান্স রেখে BGB YESPIN NUMBERCONTACT MOBILE NUMBER (any mobile operator) টাইপ করে এসএমএস পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। এরপর প্রার্থীকে রেজিস্ট্রেশন নম্বরসহ একটি কনফার্মেশন প্রার্থীর মোবাইল নম্বরে পাঠানো হবে।

৪। প্রার্থী রেজিস্ট্রেশন নম্বর হারিয়ে ফেললে কিংবা ভুলে গেলে আবার পেতে BGBHELPSSC BOARD KEYWORDSSC ROLLPASS YEAR HOME DISTRICT CODEUPAZILLA NAME লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে।

৫। কনফার্মেশন এসএমএস পাওয়া প্রার্থীদের পরবর্তী সময়ে বিজিবির ০১৭২৯০২৪৮৪৮, ০১৮৪৭১৬৯৭৭৭ কিংবা ০১৫৫২১৪৬১৫০ নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার তারিখ, স্থান ও অন্যান্য তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে। এই মেসেজটি মুছে বা হারিয়ে গেলে যেকোনো টেলিটক নম্বর থেকে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে BGB HELPROLL 95GD-301015 এবং পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে।



আরও খবর



আসছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আগামী অর্থবছরে মূল বাজেটের সম্ভাব্য আকার হতে যাচ্ছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের তুলনায় বাজেটের আকার ৪.৬২ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

একই সঙ্গে প্রবৃদ্ধির সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রাও ধরা হচ্ছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্ব কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ৪ এপ্রিল আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল এবং বাজেট মনিটরিং, বাজেট ব্যবস্থাপনা ও সম্পদ কমিটির বৈঠকে আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওই দুটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সেখান থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, আগামী অর্থবছরে মূল বাজেটের আকার দাঁড় করিয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। যেখানে চলতি অর্থবছরে মূল বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরে মূল বাজেটের আকার আগের বছরের তুলনায় বেড়েছিল ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। তার তুলনায় আগামী অর্থ বছরের বাজেটের তুলনামূলক কম বৃদ্ধি পাবে।

বাজেটে এ মুহূর্তে প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্ব কমিয়ে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে। মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। আইএমএফের শর্তের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই প্রবৃদ্ধি কমিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

যেমনটা হতে পারে বাজেটের সম্ভাব্য আকার

মোট ব্যয় ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আয় ৫ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা এবং ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা। চলতি বাজেটের চেয়ে আকার বাড়ছে ৩৫ হাজার ২১৫ কোটি টাকা। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়বে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। বিদেশি সহায়তা আর ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ কোটি টাকা। বাকিটা অভ্যন্তরীণ সম্পদ এবং ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পূরণ করা হবে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ। ওই বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ফের ২০ বিলিয়নের নিচে নামল রিজার্ভ

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




শিল্প-সংস্কৃতির উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব দ্বাদশ লিবারেশন ডকফেস্ট বাংলাদেশ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মেন্টর এক্সপোজিশন অব ইয়াং ফিল্ম ট্যালেন্ট নীলোৎপল মজুমদার এবং ভারতের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা হাওবাম পবন কুমার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর এমপি এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও উৎসব পরিচালক মফিদুল হক। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা যাকের।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ যে চিন্তা-চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে সেটি হলো একটি অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ তৈরি হবে, যেখানে উগ্রবাদ-মৌলবাদের কোনো জায়গা থাকবে না। এ রকম একটি সমাজ তৈরি করতে গেলে আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিনিয়োগ দরকার।

তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ হওয়ার জন্য কতগুলো ভিত্তি দরকার। এ ভিত্তিগুলো তৈরি করার জন্য আমাদের অনেক অর্জন ইতোমধ্যে হয়েছে। গত পনেরো বছরে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেক হয়েছে, আরও উন্নয়ন করতে হবে। তবে আগামী পাঁচ বছর শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কারণ আমরা যদি উগ্রবাদ, মৌলবাদ ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাই, তাহলে শিল্প ও সাংস্কৃতির চেয়ে বড় কোন অস্ত্র হতে পারে না। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন এখন আমাদের দরকার। একইসাথে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গণে উদ্ভাবনী মেধা খুবই দরকার।

প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, রাষ্ট্রের কাজ অর্থনৈতিকভাবে শিল্পকে সহযোগিতা দেওয়া এবং এগিয়ে নেয়া যাতে যে মেধার জন্ম হয় সমাজে সেটা বিকশিত হতে পারে, শিল্পের মাধ্যমে আরো মানবতা ও মানবিকতা ছড়িয়ে যেতে পারে। দিন শেষে আমরা মানবিক বিশ্ব গড়তে চাই ও বিশ্ব নাগরিক হতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা সুস্থ শিল্প বিকাশের পরিবেশ দেশে নিশ্চিত করতে চাই। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা এই কাজটি করার চেষ্টা করবো।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪

থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংকট নেই: কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংকট নেই। রাজনীতির বিরোধীতার জন্যই অনেকে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সারারাত ধরে ঈদের শপিং চলছে- শপিং করতে গিয়ে কোথাও কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেনি। তারপরও রাজনীতির বিরোধিতার জন্য কথা বলে নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে। কারও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির সব নেতা একে একে জেল থেকে বের হয়েছে। তারপরও বলে তাদের ৮০ ভাগ নেতাকর্মী নাকি নির্যাতনের শিকার। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল কে বলেছি, নির্যাতিত ৮০ ভাগ নেতাকর্মীর তালিকাটা প্রকাশ করেন। কেউ অপরাধ করলে, আগুন সন্ত্রাসের মামলা, মানুষ খুনের মামলার আসামি যারা জেলে রয়েছে তাদের জন্য বিএনপির এত মায়া কান্না কেন?

দ্রব্যমূল্য নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বাজারে তেলের দাম বাড়লেও বাংলাদেশে তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। জিনিসপত্রের দামও কমে যাচ্ছে। আজকে বিএনপি নেতারা বড় বড় কথা বলে, গরিবের জন্য মায়া কান্না করে। তাদের আমলে জিয়াউর রহমানের সময়ে অভাবের তাড়নায় রংপুর কোর্টে গিয়ে পতিতাবৃত্তিতে নাম লিখিয়েছিল অনেক নারী। সে ইতিহাস কি ভুলে যান!

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে বাংলাদেশে যারা ঢাকা সিটিতে, এত ভিক্ষুক কেন এমন প্রশ্ন করেন তাদের লজ্জা করে না তারা একজন গরিব মানুষকেও এই কষ্টের দিনে রোজার মাসে কোন প্রকার সাহায্য করেনি। ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেনি। বড়লোকদের নিয়ে বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টি করেছে। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নির্দেশে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা সারাদেশে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঈদের সময় ঢাকাসহ বড় বড় শহরে দান খয়রাতের আশায় কিছু গরিব মানুষ আসে। কিন্তু এ পর্যন্ত না খেয়ে মানুষ রাস্তায় পড়ে মরে আছে এমন কেউ নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির উদ্ভট কথায় আওয়ামী লীগ কান দেবে না। বিপদে অসহায় মানুষের পাশে থাকা আওয়ামী লীগের রাজনীতি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ। পরে সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর
বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




সোয়া ৮ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে ডেমরার আগুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ডেমরায় একটি ভবনে কাপড়ের গুদামে লাগা আগুন সোয়া আট ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল ৮টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার (মিডিয়া) রায়হানুল আশরাফ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। নতুন করে ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই। আগুন পুরোপুরি নেভানোর কাজ চলছে এখন। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের মোট ১১টি ইউনিট রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪৫মিনিটের দিকে ভবনের তিনতলায় গোডাউনে আগুন লাগে। চারতলা ভবনের তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। খবর পেয়ে ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে আরও পাঁচটি ইউনিটসহ মোট ১০ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেয়।

এদিকে, আগুন লাগা ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। ভবনটি যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

সকালে ঘটনাস্থলে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, চারতলা ভবনের পুরোটাতেই খেলাধুলার সামগ্রী রয়েছে। ভবনটিতে স্টোরেজ (গুদাম) নীতিমালা মানা হয়নি। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের চেষ্টায় আগুন আর নতুন করে ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।

ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই ভবনে পানির রিজার্ভ ট্যাংক নেই, সিঁড়িও বেশ সংকীর্ণ। আশপাশে পানি না থাকায় ড্রেনের পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। ঢাকা ওয়াসাও পানি দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কোনো ব্যর্থতা নেই। এ ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনের কাঠামোগত শক্তি কমে গেছে। কয়েক জায়গায় ছাদ ফেটে গেছে। যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। আগুন পুরোপুর নেভাতে সময় লাগতে পারে। পুরো ভবনে দাহ্য পদার্থ আছে, খেলাধুলার সামগ্রী বেশি। প্লাস্টিকের পরিমাণও অনেক। সব ফ্লোরেই আগুন ছড়িয়েছে।

আগুন লাগার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ভবন বা গুদামের মালিকপক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি বলে জানিয়ে রেজাউল করিম বলেন, আমরা মালিকদের খোঁজার চেষ্টা করছি।

নিউজ ট্যাগ: ডেমরা

আরও খবর
ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ঘূর্ণিঝড়ে আলফাডাঙ্গার ২২ গ্রাম লণ্ডভণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

ঘূর্ণিঝড়ে আলফাডাঙ্গার দুইটি ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০-২২টি গ্রাম বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার পাচুড়িয়া ও বানা ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে পড়ে। অনেক জায়গায় সড়কের ওপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। সেই সঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে তার ছিঁড়ে অন্ধকারে ঢেকে যায় ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম।

বানা ইউনিয়নের শিরগ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য খোকন শেখ বলেন, বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, পাকুড়িয়া, টাবনী, টোনাপাড়া, শিয়ালদি চরপাড়া, জয়দেবপুর, আউশির হাট, কঠুরাকান্দি, মাজপাড়া, আড়পাড়াসহ কমপক্ষে ১৪টি গ্রামে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।

ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে কাঁচা-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, পেঁয়াজ, রসুন, মসুরি, ধনিয়া, ধান, গমসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আমিনুর রহমান বলেন, ঝড়ে আমার ঘরবাড়ি, ফসলি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া যুগীবরাট, ভাটপাড়া, চাদড়া, পাচুড়িয়া, দেউলি, চরনারানদিয়া, ধুলজুড়ি, চরভাটপাড়াসহ ১০ গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমার পাচুড়িয়া ইউনিয়ন ও পাশের বানা ইউনিয়নে ঝড়ে বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে, কয়েকটি খুঁটি ভেঙে আঁকাবাঁকা হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎসংযোগ চালু করতে কাজ চলমান রয়েছে।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, বুধবার রাত ১টার পর ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের কমপক্ষে ২২টি গ্রামের শতাধিক কাঁচাপাকা বাড়িঘর ও কয়েকশ গাছপালা উপড়ে পড়ে। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে।


আরও খবর