আজঃ সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ২১ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এসএসসি-সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ২৮ নভেম্বর। সোমবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, প্রতি বছর প্রধানমন্ত্রী পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের কাজটি উদ্বোধন করেন। এ বছর ২৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময় দিতে পারবেন বলে ওই দিন ধার্য করা হয়।

উল্লেখ্য, এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ শিক্ষার্থীর। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ বোর্ডে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন এবং দাখিলে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন ও কারিগরিতে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৬২ জন। গত বছর পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ৪৩ হাজার ২৫৪ জন। অর্থাৎ গত বছরের চেয়ে প্রায় সোয়া দুই লাখ পরীক্ষার্থী কমেছে এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায়।


আরও খবর



নৌকার প্রার্থী হলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি-১ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউএনও অনুজা মন্ডল।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পান্থপথের নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনের ঘোষণা দেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।

এসময় শাহজাহান ওমর বলেন, জিয়ার রাজনীতি থেকে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি আরো উন্নত। তাই নৌকার হয়ে ভোট করব।

এদিকে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া নৌকা প্রতীকে শাহজাহান ওমরের মনোনয়ন পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার দুপুরে বাসে আগুন দেয়ার অভিযোগে রাজধানীর নিউমার্কেট থানার একটি মামলায় জামিন পান শাহজাহান ওমর। এরপর সন্ধ্যায় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

গত ৪ঠা নভেম্বর রাজধানীর একটি বাসা থেকে সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান ওমরকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন তাকে ৪ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। এরপর গত ৯ নভেম্বর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ সদস্য হত্যা ও অগ্নিসংযোগের নির্দেশদাতা হিসেবে করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।


আরও খবর



হুমায়ূন আহমেদের ৭৫তম জন্মদিন আজ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৫তম জন্মদিন আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর)। সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতে তার সাবলীল বিচরণ ছিল। ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধ তথা সব ক্ষেত্রেই তার লেখনি বাংলা সাহিত্যে ভিন্নমাত্রা দিয়েছিল।

এজন্যই বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাহিত্যিক বলা হয় তাকে। বাংলাদেশের শোবিজেরও একজন অগ্রগামী দিশারী ছিলেন তিনি। নাটক, চলচ্চিত্র রচনা ও পরিচালনায় তিনি দেশে আলাদা একটি ধারার প্রচলন ঘটিয়েছেন।

এই কথাসাহিত্যিক জন্মেছিলেন ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে। সে হিসেবে আজ তার ৭৫তম জন্মদিন। বাবা ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা আখতার খাতুন।

শিল্প ও সাহিত্যের সব শাখাতেই সফল এই ব্যক্তিত্বের প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরকে প্রকাশ হয় ১৯৭২ সালে। এরপর তার রচিত তিনশতাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। আগুনের পরশমণি ছবিটি পরিচালনার মধ্য দিয়ে ১৯৯৪ সালে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

এরপর একে একে তার নির্মাণে মুক্তি পায় শ্রাবণ মেঘের দিন (২০০০) ও দুই দুয়ারী (২০০১) চন্দ্রকথা (২০০৩), শ্যামল ছায়া (২০০৪), ৯ নম্বর বিপদ সংকেত (২০০৬) আমার আছে জল (২০০৮) ও ঘেটুপুত্র কমলা (২০১২)। 

আরও পড়ুন>> প্রতি স্টপেজে যাত্রীদের ছবি তুলে রাখার নির্দেশ

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ হুমায়ূন আহমেদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।

হুমায়ূন আহমেদ বিশেষ করে সাহিত্যে গভীর প্রভাব ফেলেছেন। বিশেষ করে তার সৃষ্টি হিমু ও মিসির আলী চরিত্রে আজও বুদ হয়ে আছে পাঠক ও ভক্তরা। তার হাত ধরে শোবিজেও অনেক অভিনয় ও সঙ্গীতশিল্পী প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন অভিনয়, নৃত্যের পাশাপাশি পরিচালক হিসেবেও প্রশংসিত। তার বড় ছেলে নুহাশ হুমায়ূনও সম্প্রতি নাটক নির্মাণে নাম লিখিয়েছেন।

২০১২ সালের ১৯ জুলাই ৬৪ বছর বয়সে হুমায়ূন আহমেদ ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। ২৪ জুলাই নন্দিত এই লেখকের প্রিয় জায়গা নুহাশ পল্লীতে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

এদিকে আজ (১৩ নভেম্বর) এই কিংবদন্তির জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ বিশেষ আয়োজন করা হচ্ছে তার জন্মস্থান নেত্রকোনা এবং গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে।

নিউজ ট্যাগ: হুমায়ূন আহমেদ

আরও খবর



২০ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান কোহলির

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আগের তিন সেমিফাইনালে রান না পাওয়ায় অনেকেই বলাবলি করছিল, বড় ম্যাচে বিরাট কোহলি চাপ নিতে পারেন না। নিন্দুকদের মুখে চুনকালি মাখিয়ে দিয়ে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিলেন কিং কোহলি। পূর্বসূরি শচীন টেন্ডুলকার ২০ বছর আগে যে কীর্তি গড়েছিলেন, তা ভেঙে দিলেন তিনি।

চলতি বিশ্বকাপে রেকর্ড গড়ার নেশায় পেয়েছে বিরাট কোহলিকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে শচীনের সর্বোচ্চ ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড ছুঁয়েছিলেন বিরাট। এবার এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটিও নিজের করে নিলেন ভারতীয় ব্যাটিং মায়েস্ত্রো। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮০ রান পূর্ণ করেই এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে গেলেন কোহলি।

২০০৩ বিশ্বকাপে ভারতকে ফাইনালে তোলার পথে ৬৭৩ রান করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। এক বিশ্বকাপে সেটিই ছিল কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রান। চলতি বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলেই সেই রান টপকে গেলেন তিনি।

আজকের ম্যাচের আগে ৯ ম্যাচে ৫৯৪ রান করেছিলেন কোহলি। গ্লেন ফিলিপসের করা ৩৪তম ওভারের তৃতীয় বলে একটি রান নিয়ে শচীনকে ছাড়িয়ে যান তিনি। 

২০০৩ বিশ্বকাপে ১১ ইনিংসে ৬১.১৮ গড়ে ৬৭৩ রান করেছিলেন শচীন। একটি সেঞ্চুরি ছাড়াও হাঁকিয়েছিলেন ৬টি হাফ সেঞ্চুরি। বিরাট এক ইনিংস কম খেলেই তাকে ছাড়িয়ে গেলেন। ১০ ইনিংসে ২ সেঞ্চুরি ও ৬ হাফ সেঞ্চুরিতে তিনি এই রান করলেন।

একই দিনে শচীনের আরও একটি রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন কোহলি। ২০০৩ বিশ্বকাপেই ৭ ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছিলেন শচীন। এক বিশ্বকাপে সেটিই সর্বোচ্চ পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের রেকর্ড ছিল, যা পরবর্তীতে পুনরাবৃত্তি করে দেখিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। চলতি বিশ্বকাপে এর আগের নয় ইনিংসে সাতবার পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে রেকর্ড ছুঁয়েছিলেন কোহলি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আরও একটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে সেই রেকর্ডও এককভাবে নিজের করে নিয়েছেন তিনি।

২০০৩ বিশ্বকাপে শচীনের পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসগুলো ছিল এমন - ৫২, ৮১, ১৫২, ৫০, ৯৮, ৯৭, ৮৩। সাকিব ২০১৯ সালে মাত্র ৮ ইনিংস খেলেই সাতবার পঞ্চাশ ছাড়িয়েছিলেন। তার ইনিংসগুলো ছিল এমন -  ৭৫, ৬৪, ১২১, ১২৪*, ৫১, ৬৬, ৬৪।

আজকের আগে কোহলির সেই সাতটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস হলো- ৮৫, ৫৫*, ১০৩*, ৯৫, ৮৮, ১০১*, ৫১।


আরও খবর



জাবিতে গাছ কেটে আইআইটি'র ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গাছ কেটে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা ।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ছাত্রফ্রন্টের সদস্য মোস্তাফিজুর রাহমান এর সঞ্চালনায় গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের পিছনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে ছাত্রফ্রন্টের সদস্য সোহাগী সামিয়া বলেন, এই এলাকা জুড়ে বিপুল সংখ্যক গাছ কেটে ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন।আমরা বলতে চাই , বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি বিভাগের আলাদা ভবন, ক্লাসরুম, সেমিনার থাকবে। কিন্তু আমরা কখনোই চাই না বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস করে ভবন নির্মাণ করা হোক। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে ঢাকা শহর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, এই অপরিকল্পিত নগরায়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে এখানে পড়াশোনার পরিবেশ থাকবে না।তাই আমরা চাই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে মাষ্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ হোক।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ধ্রুব বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পশুপাখির অভয়ারণ্য হিসেবে বিখ্যাত। কিন্তু উন্নয়নের নামে যেভাবে পরিবেশ ধ্বংস করে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে তা এখানের প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য হুমকিস্বরূপ। আমরা অপরিকল্পিত ভাবে ভবন নির্মাণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, প্রশাসন তাদের খায়েস মেটানোর জন্য গাছ কেটে ভবন নির্মাণ করেই যাচ্ছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি,আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে ইকোসিস্টেম ঠিক রেখে ভবন নির্মাণ করা হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনার দায়িত্বে থাকা আহসানউল্লাহ মজুমদার একজন স্থপতি, তিনি পরিকল্পনাবিদ না।তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো নির্মাণে সখ্যতার কারণে হোক আর অর্থনৈতিক প্রলোভনের কারণে হোক তিনি সেগুলো পাশ করিয়ে দেন। এখানে ৬০-৭০ এর বেশি গাছ কাটা হয়েছে। প্রশাসন তোপের মুখে পড়বে বলে পুজোর ছুটিতে লুকোচুরি করে গাছ কেটেছে।এই স্বেচ্ছাচারিতা চলতে থাকলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে আমরা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলব

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, পুজোর ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চোরের মতো করে এখানের গাছগুলো কেটেছে। আমরা জানি প্রশাসনিক কাঠামোতে অর্থনৈতিক লেনদেন থাকে, অনিক ট্রেডার্স এর মতো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রশাসনের সাথে অর্থনৈতিক ষড়যন্ত্র করে অর্থের লেনদেন করে থাকে। প্রশাসন সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে রাতের অন্ধকারের চোরের মতো গাছ কাটে।এই গাছগুলো কাটা হচ্ছে এগুলো প্রশাসনের নজরদারির বাইরে নয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রশাসনের সাথে মিলে গাছ কেটে সেগুলো লোপাট করে ভাগ বাটোয়ারা করে । অর্থনৈতিক সুবিধা যেখানে আছে সে জায়গাগুলোতে প্রশাসন ভবন নির্মাণ করছে। ভূমিদস্যু, গাছখেকো এই প্রশাসন কোন মতেই শিক্ষার্থী বান্ধব প্রশাসন হতে পারে না।


আরও খবর



মধুচন্দ্রিমায় ভ্রমণ হোক রোমাঞ্চকর

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিয়ে মানে সারা জীবনের বন্ধন। একসঙ্গে ভ্রমণও বটে। এই ভ্রমণের শুরুটা হয় মধুচন্দ্রিমা থেকে। বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে দুজনে একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে মধুচন্দ্রিমায় যায়। তারপর একে অন্যকে চিনতে শুরু করে, জানতে শুরু করে। এই চেনা-জানাই পুরো জীবনের ভিত্তি গড়ে দেয়। আর এ প্রথাটা আজকের নয়, অনেক আগের। দেশে কিংবা বিদেশে পছন্দের জায়গায় হোক মধুচন্দ্রিমা তথা হানিমুন।

দেশে কোথায় যাবেন

শুরুতেই আসবে কক্সবাজারের নাম। আমাদের দেশে সবচেয়ে স্বীকৃত এই ট্যুরিস্ট স্পটে সমুদ্র আর পাহাড় একই সঙ্গে উপভোগ করা যায়। পাশাপাশি ঘুরে দেখা যায় ইনানী ও মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন অসাধারণ সব জায়গা। সি ফুডসহ বিভিন্ন দেশীয় মুখরোচক খাবার তো আছেই। আছে দেশের সবচেয়ে বড় অ্যাকুরিয়াম। কক্সবাজার থেকে চাইলে যেতে পারেন মহেশখালী।

সেন্ট মার্টিন

সেন্ট মার্টিন হানিমুন কাটানোর জন্য অসাধারণ জায়গা। পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর এই প্রবাল দ্বীপের চমৎকার সব রিসোর্টে বসে উপভোগ

করা যাবে সমুদ্রের পরিষ্কার নীলাভ পানি ও মুখরোচক খাবার। অ্যাকটিভিটি হিসেবে পাওয়া যাবে স্কুবা ডাইভিং। চাইলে ছোট ট্রলারে বসে মাছ ধরার অভিজ্ঞতাও নেওয়া যাবে। আপনার প্রিয়জন যদি সমুদ্র পছন্দ করে থাকে, তাহলে এটাই হচ্ছে আপনার জন্য সেরা গন্তব্য।

ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত যাওয়া যায় সেন্ট মার্টিন।

সাজেক

দুজনে যদি পাহাড়প্রেমী হন, তাহলে সেরা গন্তব্য মেঘের রাজ্য সাজেক। কাপলদের জন্য হালের ক্রেজ সাজেক হচ্ছে নিজেদের মতো একান্ত সময় কাটানোর খুবই চমৎকার একটি জায়গা। সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত দুটোই উপভোগ করা যাবে কাংলাক পাহাড় থেকে। এ ছাড়া স্থানীয় আদিবাসীদের তৈরি বিভিন্ন ধরনের সবজি ও মাংস রান্না হানিমুন ট্রিপে এনে দেবে বাড়তি আনন্দ। বিজিবি ও সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এই এলাকা পর্যটকদের জন্য নিরাপদ। সারা বছর সাজেক ভ্রমণ করা যায়। এটি একেক ঋতুতে একেক রূপ ধারণ করে।

এ ছাড়া অল্প দিনের জন্য নিরিবিলি সময় কাটাতে চাইলে সিলেট-শ্রীমঙ্গল-মৌলভীবাজার এলাকার বিভিন্ন রিসোর্ট বেছে নিতে পারেন। বেশ ছিমছাম এই এলাকায় চা-বাগানসহ দেখা যাবে ঝরনা ও ঝিরির সৌন্দর্য। বছরের যেকোনো সময় যাওয়া যায় সিলেট-শ্রীমঙ্গল-মৌলভীবাজার। 

বিদেশে

দেশের বাইরে বাঙালিদের হানিমুন গন্তব্য ভারতের ভূস্বর্গ কাশ্মীর। ডাল লেকে হাউস বোট, গোলকন্ডা রাইড, টিউলিপ গার্ডেন, শিকারা রাইড, আরু ভ্যালি, বেতাব ভ্যালি ও গুলমার্গের সৌন্দর্য আপনাকে বিমোহিত করবে। এর বাইরে যদি আপনারা রোমাঞ্চপ্রিয় হয়ে থাকেন, তাহলে যেতে পারেন বিভিন্ন ট্রেইলে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে গেলে দেখতে পাবেন তুষারপাত। এ ছাড়া হিমালয়ের বিস্তীর্ণ রেঞ্জে অবস্থিত লেক ও সবুজ পাহাড়ের সৌন্দর্য সব সময়ই চোখের সামনে থাকবে কাশ্মীরে। অক্টোবর থেকে জুন মাস পর্যন্ত কাশ্মীর যাওয়ার উপযুক্ত সময়।

অন্যান্য জায়গা

ইদানীং আমাদের দেশে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে ভ্রমণ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ অঞ্চলে আছে অন্যতম দৃষ্টিনন্দন ভ্রমণ গন্তব্য তিব্বতের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা সিকিম, গ্যাংটক, লাচুং ও কাটাওয়ে। এ অঞ্চলের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের কোনো জুড়ি নেই। তবে এসব এলাকায় বরফ দেখতে চাইলে নভেম্বরের শেষ থেকে মার্চ পর্যন্ত ভালো সময়। নাথুলা পাস, এমজি রোড কিংবা ছাঙ্গু লেকের অপরূপ দৃশ্য নজর কাড়বে।

মালদ্বীপ

বাজেট বেশি থাকলে হানিমুন ট্রিপের জন্য ভালো গন্তব্য মালদ্বীপ। পরিষ্কার পানি ও সাদা বালুর বিচখ্যাত এই দ্বীপরাষ্ট্রে মধুচন্দ্রিমার অভিজ্ঞতা হবে অবিস্মরণীয়। প্রতি মুহূর্তকে উপভোগ্য করার জন্য এখানে রয়েছে প্যারাগ্লাইডিং, স্নোরকেলিং, বিকেলবেলা মাছ ধরা, তিমি মাছ দেখা, হাঙরকে খাবার দেওয়াসহ আরও বিভিন্ন ধরনের রোমাঞ্চকর অ্যাক্টিভিটি। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের স্পিডবোট নিয়েও ঘুরে বেড়াতে পারবেন সাগরের বুকজুড়ে।

শ্রীলঙ্কা

সাগরের পাশাপাশি পাহাড়ি সৌন্দর্য পছন্দ করলে হানিমুন পয়েন্ট হতে পারে শ্রীলঙ্কা। এখানে সবুজ পাহাড়ের পাশাপাশি পাওয়া যাবে জঙ্গল সাফারি, নীল পানির ভারত মহাসাগর এবং গোল্ডেন স্যান্ড বিচ। ঘুরতে পারবেন ক্যান্ডি, কলম্ব, এলা, মিরিশা, গালের মতো বিখ্যাত সব শহর। সেগুলোতে আছে সুন্দর সুন্দর চার্চ, মন্দির ও মসজিদ। তবে বিবেচনায় রাখতে হবে শ্রীলঙ্কায় হানিমুন ট্রিপের জন্য বাজেট কিছুটা বেশি রাখতে হবে। বছরজুড়ে দেশটিতে যাওয়া যায়। তবে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে যাওয়া ভালো।

থাইল্যান্ড

হানিমুনের লাক্সারি ট্রিপ হতে পারে থাইল্যান্ডে। ফি ফি আইল্যান্ড, আও নাঙ, ফুকেট, ক্রাবি, পাতায়া ঘুরতে পারবেন প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে। দ্বীপ ও সমুদ্রসৈকতসংবলিত এক অসাধারণ পর্যটকবান্ধব দেশে মধুচন্দ্রিমার অভিজ্ঞতা

হবে অসাধারণ।

পাহাড়ের দেশে

যাঁরা পাহাড়প্রেমী, তাঁদের জন্য অদ্বিতীয় গন্তব্য অবশ্যই হিমালয়কন্যা নেপাল। নাগরকোট, পোখারা, চিতওয়ান, কাঠমান্ডুসহ হিমালয়ের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা বিভিন্ন শহরের নির্জনতা ছুঁয়ে যাবে আপনাদের। স্বল্প বাজেটে রোমাঞ্চকর হানিমুনের জন্য নেপাল হতে পারে ভালো জায়গা।

নিউজ ট্যাগ: সেন্ট মার্টিন

আরও খবর
রোববার থেকে দেশে আসতে পারে বৃষ্টি

শনিবার ২১ অক্টোবর ২০২৩