আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন যেভাবে হবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

করোনা মহামারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে আগের পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং ও অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে ফলাফল দেওয়া হবে। 

যেভাবে হবে মূল্যায়ন:

এসএসসিতে ২৪টি ও এইচএসসিতে নৈর্বচনিক বিষয়ে মোট ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট করতে হবে শিক্ষার্থীদের। বাংলা, ইংরেজি, গণিত এমন আবশ্যিক বিষয় ও চতুর্থ বিষয়গুলোর ওপর পরীক্ষার্থীদের কোনো অ্যাসাইনমেন্ট করতে হবে না।

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ১২ সপ্তাহে ২৪টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। তারা প্রতি সপ্তাহে দুটি করে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেবে। এইচএসসির পরীক্ষার্থীদের জন্য ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। প্রতিটি পত্রে ৫টি করে অ্যাসাইনমেন্ট দেবে। সপ্তাহে এসব শিক্ষার্থীরা দুটি অ্যাসাইনমেন্ট করবেন। এরফলে আগে যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস দেওয়া হয়েছিলো এর মাধ্যমে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম শেষ করা হবে। তবে অতিরিক্ত বিষয়ে কোনো অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে না।

মন্ত্রী বলেন, এবারও গতবছরের মত সাবজেক্ট ম্যাপিং করা হবে। যেসব শিক্ষার্থীর পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিত আছে তাদেরকে এসব বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। যারা এসএসসি পরীক্ষা দেবে তাদের সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের ক্ষেত্রে জেএসসি বিজ্ঞান বিষয়গুলোর সঙ্গে এসএসসির অন্যান বিষয়ভিত্তিক বিজ্ঞান বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা হবে। বাণিজ‌্য ও মানবিকের বিষয়গুলোও কীভাবে মূল্যায়ন হবে সেটার বিস্তারিত স্কুলগুলোতে নির্দেশনা পাঠানো হবে।

অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মতোই তাদেরকে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে তাদেরকে মূল্যায়ন করা হবে।


আরও খবর



জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যা, এক মাসেও শেষ হয়নি তদন্ত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার এক মাস পার হলেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত কমিটি।

তবে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে না পারার কারণ হিসেবে পুলিশের কাছে কিছু তথ্য চেয়ে পাওয়া যায়নি বলে জানান কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জাকির হোসেন।

গত ১৫ মার্চ রাত ১০টার দিকে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অভিযুক্ত করে ফেসবুকে পোস্ট দেন জবি ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এরপরই কুমিল্লার বাগিচাগাঁও নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি। অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী বর্তমানে কুমিল্লা কারাগারে আটক আছেন।

আত্মহত্যার পরদিনই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আবুল হোসেন, আইন অনুষদের ডিন মাসুম বিল্লাহ, সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ঝুমুর আহমেদ এবং সদস্যসচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার (আইন) রঞ্জন কুমার।

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, কমিটির সদস্যরা কুমিল্লায় গিয়ে অবন্তিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের মতামত জানার চেষ্টা করেছেন। পরে কারাগারে আটক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর সঙ্গেও কথা বলেন তারা।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন আমরা গুছিয়ে আনছি। কিছু তথ্য আমরা কুমিল্লার স্থানীয় থানা পুলিশের কাছে চেয়েছি। সেগুলো দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো পাইনি। তদন্তের স্বার্থে আমাদের কিছু ডিজিটাল এভিডেন্স যেমন- অবন্তিকার মোবাইলের কল লিস্ট, সর্বশেষ কল রেকর্ড, ফেসবুক- ম্যাসেঞ্জারের চ্যাটিং স্ক্রিনশট প্রয়োজন। এছাড়াও মোবাইলে আরও গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য থাকলে সেটা এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করেছি। এগুলো পেলে কাজের সুবিধা হবে।

কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির পাঠানো চিঠি আমরা পেয়েছি। আইনানুযায়ী যতটুকু তথ্য আমরা দিতে পারি, তা অবশ্যই দিব। তাছাড়া আমাদের গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম এখনো চলমান আছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিবেন বিশ্বাস বলেন, তদন্ত কার্যক্রম চলছে। তদন্তে যদি অন্য কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তবে তাকে আমরা গ্রেফতার করব। মোবাইল ফরেনসিক ও পোস্টমর্টেম প্রতিবেদন পেলে আমরা পরবর্তী কাজ করতে পারব। আমাদের তদন্ত কার্যক্রম কবে শেষ করতে পারব- তা পুরোপুরি নির্ভর করছে ফরেনসিক প্রতিবেদন এবং পোস্টমর্টেম প্রতিবেদন পাওয়ার ওপর।

উল্লেখ্য, আত্মহত্যার আগে দেওয়া ফেসবুক পোস্টে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অনলাইন ও অফলাইনে হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ করেন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। প্রতিকার চেয়ে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে বারবার অভিযোগ দিলেও প্রতিকার পাননি। উল্টো সহকারী প্রক্টর তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন বলেও উল্লেখ করেন সেই ফেসবুক পোস্টে।


আরও খবর



ঈদের রেসিপি: মজাদার দুধ সেমাই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ঈদের সকালে কয়েক ধরনের সেমাই থাকে টেবিলে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দুধ সেমাই।

ঈদের খাদ্যতালিকায় যে রেসিপিটি না থাকলেই নয়, সেটি দুধ সেমাই। কীভাবে পারফেক্ট স্বাদের দুধ সেমাই রান্না করবেন? জেনে নিন সেটা।

উপকরণ: দুধ এক লিটার, চিনি এক কাপ, সেমাই এক কাপ, ঘি এক টেবিল চামচ, বাদামকুচি এক টেবিল চামচ, কিশমিশ এক টেবিল চামচ, এলাচ দুইটি ও দারুচিনি দুই টুকরা।

প্রণালি: একটি পাত্রে ঘি দিয়ে অল্প আঁচে সেমাই হালকা ভেজে নিন। তারপর আরেকটি পাত্রে দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন। দুধে চিনি মেশান। তারপর সেমাই দিন। এবার একে একে এলাচ, দারুচিনি, বাদামকুচি ও কিশমিশ দিয়ে দিন। একটি পাত্রে ঢেলে নিন। ঠান্ডা হয়ে এলে পরিবেশন করুন।


আরও খবর
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




বেনজীরের সম্পদের খোঁজে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ ৮ প্রতিষ্ঠানে দুদকের চিঠি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সম্পদের খোঁজে বিএফই ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ ৮টি প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দুদককে দুই মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের শুনানি শেষে এ নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এর আগে সকালে হাইকোর্টে মামলা লড়তে আইনজীবী নিয়োগ দেন বেনজীর আহমেদ।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় তা অনুসন্ধান করবে বলে জানায় দুদক। এ ঘটনায় সংস্থার উপপরিচালক হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

একইদিন তার দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। রিটে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটে দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়।

এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চেয়ে দুদকে আবেদন করেন সংসদ সদস্য (এমপি) ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন। লিখিত ওই আবেদনে সাবেক আইজিপির দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চান তিনি। পাশাপাশি দুদক কোনো ব্যবস্থা না নিলে, উচ্চ আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

২১ এপ্রিল সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চেয়ে দুদকে আবেদন করেন সংসদ সদস্য (এমপি) ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন।

প্রকাশিত সংবাদে যে সব অভিযোগ উঠেছে বেনজীরের বিরুদ্ধে-

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের অস্বাভাবিক সম্পত্তির বিষয়টি গত ১ মাস ধরে আলোচনায়। তার বিপুল অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে বলে সংবাদ প্রকাশ করে কালের কণ্ঠ। জাতীয় ওই দৈনিকে বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ শিরোনামের প্রতিবেদনে নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার কাছের এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।

এর আগে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, ব্যারিস্টার সুমনের আবেদন ও সাবেক আইজিপির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যাচাই করেই সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। এক্ষেত্রে ব্যক্তি কোনো মুখ্য বিষয় না। তবে গত ৮ এপ্রিল এ বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, পত্রপত্রিকায় যে তথ্য-উপাত্ত রয়েছে সেগুলো বিশ্লেষণ করে সত্যতা যাচাই করতে হবে। দুদক জিন-পরী নয়, আসলো আর ফুঁ দিয়ে দিলাম। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

মূলত বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ শিরোনামে গত ৩১ মার্চ প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক কালের কণ্ঠ। দুদিন পর বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট শিরোনামে আরেকটি খবর প্রকাশিত হয় ওই দৈনিকে। সাবেক আইজিপির এমন খবর নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হলেও, নিশ্চুপ ছিল দুদক।


আরও খবর



ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে ঝরল ৪০৭ প্রাণ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদ এলেই সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সদ্য বিদায়ী ঈদে মানুষের যাতায়াতে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৪০৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছেন।

এ সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৫ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরীর এসব তথ্য জানান। সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। গত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত। ৬৫৮ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৬০৮ জন আহত রোগীর তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়ক, রেল ও নৌ-পথে গত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে অবকাঠামো ভালো হওয়ায় যানবাহনের গতি বেড়েছে। গতিকে নিরাপদ করার মতো আইনি কাঠামো, দক্ষ চালক, মানসম্মত যানবাহনের অভাব রয়েছে। আইন প্রয়োগে দুর্নীতির কারণে জাতীয় মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নিষিদ্ধ ত্রি-হুইলার, ইজিবাইকের মতো যানবাহন অবাধে চলছে। এছাড়াও ছোট ছোট যানবাহন মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ইজিবাইকের অস্বাভাবিকহারে বেড়ে যাওয়ার কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। তিনি মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের আমদানি বন্ধ করে দেশব্যাপী উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। ফিটনেস বিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ করা, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন ঠেকানো, আইন প্রয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনির্দিষ্ট করা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে গণপরিবহনগুলোতে নগন অর্থ বন্ধ করে ডিজিটাল লেনদেন চালুর দাবি জানাচ্ছি।

সংগঠনটি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ঈদে যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকদের রাতে এসব জাতীয় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালানো; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্র্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুরদ্রোচ্ছা খান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ আব্দুল হক, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, মো. মহসিন প্রমুখ।


আরও খবর



আশুলিয়ায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শরবত বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলামের দিক নির্দেশনায় এবং উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি, মোজাফফর হোসেন জয়ের সার্বিক সহযোগিতায়, তীব্র গরম ও তাপপ্রবাহে আশুলিয়ায় পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করেছে সামাজিক ব্লাড ডোনার টিমের স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা।

গতকাল সোমবার দুপুরে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থানরত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে, সামাজিক ব্লাড ডোনার টিমের শেরআলী মার্কেট শাখা এই শরবত বিতরণ করেছে।

শেরআলী মার্কেট শাখা টিম লিডার ইমাম হুসাইন বলেন, আমরা পানীয় লেবুর শরবতের পাশাপাশি খাবার সেলাইন ও পানির বোতল বিতরণ করছি। সামনের দিনগুলোতেও আমাদের অন্যান্য শাখা টিম এই কাজ চলমান রাখবে যতদিন তাবদাহ থাকবে। এছাড়াও দেশের এই বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে, আমাদের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি চলমান রয়েছে, যা বাস্তবায়নে আমাদের সকল শাখা টিম একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।

সংগঠনটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ মোজাফফর হোসেন জয় এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও আজকের দর্পণের আশুলিয়া প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান খাইরুল, দৈনিক নয়া দিগন্তের আশুলিয়া প্রতিনিধি এবং আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য মোঃ মশিউর রহমানসহ আরও অনেকে এসময় এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

সাংবাদিক মোজাফফর হোসেন জয় জানান, কয়েকদিন ধরে বাড়ছে তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনসাধারণ। বিশেষ করে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়ছে চরম বিপাকে। রাস্তায় বেড় হলে প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণার্ত হচ্ছেন তারা। এতে করে হিটস্ট্রোকের সম্ভবনা রয়েছে। তাদের কথা ভেবেই শরীর শীতল রাখার জন্য সামাজিক ব্লাড ডোনার টিম এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তিনি সর্বসাধারণের প্রতি অনুরোধ করে  আরও জানান, রাস্তায় বেড় হলে রোদ থেকে কিছুটা রক্ষার জন্য ছাতা ও একটি পানির বোতল সঙ্গে নিতে। যাতে হিটস্ট্রোকের মতো ঝুঁকি থেকে আমরা সকলে রেহাই পেতে পারি।

উল্লেখ্য এই সংগঠনটির উদ্যোগে এর আগেও ফ্রী ব্লাড গ্রুপিং ও রক্ত দেওয়াসহ নানা রকম সামাজিক কাজ করে আসছে।


আরও খবর