বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাস্তবায়নে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অপরদিকে সবচেয়ে পিছিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০২১-২২ অর্থ-বছরের এপিএতে প্রাপ্ত নম্বর’ প্রকাশ করেছে।
৫২টি মন্ত্রণালয়
ও বিভাগের পাওয়া নম্বরের গড় ৯২ দশমিক ০১ নম্বর, যা ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ৮৯ দশমিক ০১
নম্বর। সে হিসেবে এবার বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নের গড় হার ৩ নম্বর বেড়েছে।
তালিকা অনুযায়ী,
৯৯ দশমিক ০৮ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ২০২০-২১ অর্থ
বছরে আইসিটি বিভাগ ৯৮ দশমিক ৬৬ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছিল।
অন্যদিকে, ৭৬
দশমিক ৩২ নম্বর পেয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অবস্থান ৫২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের
মধ্যে সবার শেষে।
২০২০-২১ অর্থ
বছরে এ অবস্থানে ছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ৬৫ দশমিক ৭৬ নম্বর পেয়ে ওই অর্থ বছরে তালিকার
একেবারে নিচে স্থান হয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের।
৯৯ দশমিক ০৮
নম্বর পেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রথম, ৯৮ দশমিক ৯৩ নম্বর পেয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ দ্বিতীয়,
৯৮ দশমিক ৫৩ নম্বর পেয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় তৃতীয়, ৯৭ দশমিক ৮৮ নম্বর পেয়ে অর্থ বিভাগ
চতুর্থ, ৯৭ দশমিক ৯৬ নম্বর পেয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ পঞ্চম, ৯৭ দশমিক ৭৫
নম্বর পেয়ে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ ষষ্ঠ,
৯৭ দশমিক ৩৮
নম্বর পেয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সপ্তম, ৯৭ দশমিক ০৯ নম্বর পেয়ে পানি সম্পদ
মন্ত্রণালয় অষ্টম, ৯৫ দশমিক ৭১ নম্বর পেয়ে পরিকল্পনা বিভাগ নবম এবং ৯৫ দশমিক ৫২ নম্বর
পেয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ দশম স্থান অর্জন করেছে।
১১. মাধ্যমিক
ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, ১২. খাদ্য মন্ত্রণালয়, ১৩.মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়,
১৪. বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, ১৫. সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ১৬.সেতু বিভাগ, ১৭.ধর্ম
বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ১৮. পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ১৯. নৌ-পরিবহন
মন্ত্রণালয়, ২০. পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ২১. সুরক্ষা সেবা বিভাগ ২২.
জননিরাপত্তা বিভাগ, ২৩. স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ২৪. তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, ২৫.
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ২৬. সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, ২৭. স্থানীয় সরকার
বিভাগ, ২৮. শিল্প মন্ত্রণালয়, ২৯. অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ,৩০. আইন ও বিচার বিভাগ,
৩১. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ৩২. কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ,
৩৩. মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, ৩৪. অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, ৩৫. যুব ও ক্রীড়া
মন্ত্রণালয়, ৩৬. পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ৩৭. ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ,
৩৮. আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, ৩৯. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ৪০. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়,
৪১. স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, ৪২. রেলপথ মন্ত্রণালয়, ৪৩. পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়
৪৪. ভূমি মন্ত্রণালয়,
৪৫. বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, ৪৬. শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্ৰণালয়,
৪৭. সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, ৪৮. গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ৪৯. প্রাথমিক ও গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়, ৫০. লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, ৫১. প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান
মন্ত্ৰণালয় এবং ৫২. মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আগামী এক বছর
মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো কী কাজ করবে, সেই কাজের একটি অঙ্গীকারনামা হচ্ছে এপিএ। বার্ষিক
কর্মসম্পাদন চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব
এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সচিব
ও সচিবরা সই করেন। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো অধীন দপ্তরসংস্থাগুলোর সঙ্গে এপিএ করে থাকে।
অর্থবছর শেষ
হওয়ার পর ওই বছরের চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্যগুলো মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো কতটুকু অর্জন
করল তার মূল্যায়ন করা হয়। ১০০ নম্বরের সূচকের ভিত্তিতে এই মূল্যায়নটি করা হয়। এপিএ
বাস্তবায়নে সেরা ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সম্মাননা দেওয়া হয়ে থাকে। ২০১৪–১৫ অর্থবছর থেকে এপিএ চালু করা
হয়েছিল।