আদালত তাদের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। তবে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য ১০ দিন সময় দিয়েছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও টাকা পাচারের অভিযোগের মামলায় কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামকে ১০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তাদের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, আদালত তাদের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। তবে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য ১০ দিন সময় দিয়েছেন। এছাড়া আসামিদের এফডিআর এবং ঋণের টাকার ক্ষেত্রে মানিলন্ডারিং প্রতীয়মান হয়নি বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালকের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি নজরে আসে। তখন আদালত কোন কর্তৃত্ব বলে উপপরিচালক মো. আরেফিন আহসান মিঞা ওই চিঠি দিয়েছেন, তা জানতে চেয়েছেন। আগামী ৪ জানুয়ারি তাকে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জন ও টাকা পাচারের অভিযোগের মামলায় কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
গত ১১ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার অর্থ পাচারের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী সংরক্ষতি আসনের এমপি সেলিনাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন-পাপুল, তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও সেলিনার বোন জেসমিন প্রধান৷
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচারসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত উপায়ে শতশত কোটি টাকা অর্জন করে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতের কারাগারে আছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুল৷