আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

এমপি আজীম হত্যা: ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পুলিশের দুই সদস্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ড তদন্তে ভারতীয় পুলিশের দুই সদস্যের একটি দল বাংলাদেশে আসছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ২টা নাগাদ ভারতীয় পুলিশের দুইজন সদস্য ঢাকায় পৌঁছাবেন। তারা আনোয়ারুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন।

ভারতের পুলিশের ওই দুই সদস্য এমপি আনোয়ারুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশে গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন তিন আসামিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) খ. মহিদ উদ্দিন।

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতের কলকাতায় যান। প্রথম দুদিন যোগাযোগ থাকলেও ১৪ মে থেকে পরিবারের সদস্যরা তার খোঁজ পাচ্ছিলেন না।

পরে আনোয়ারুলের পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হয়। সেখান থেকে ভারতের দিল্লি দূতাবাস ও কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে ওই সংসদ সদস্যের খোঁজে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। সংস্থাটি জানায়, দিল্লি ও কলকাতা দূতাবাসের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পরই তার খোঁজে তৎপরতা শুরু করে পুলিশ।

জানা গেছে, কলকাতায় এমপি আনোয়ারুল আজিম তার কথিত বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে উঠেছিলেন। এরপর ১৮ মে কলকাতার বরাহনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গোপাল বিশ্বাস। গোপাল বিশ্বাস বুধবার (২২ মে) সকালে পুলিশের কাছ থেকে এমপি আজিমের হত্যার খবর পান বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছেন।

৮ দিন নিখোঁজ থাকার পর কলকাতার নিউ টাউনের বিলাসবহুল আবাসন সঞ্জিভা গার্ডেনে আনোয়ারুল হত্যার শিকার হন। এটিকে পরিকল্পিত খুন উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এমপি আনার খুনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলা যাবে না।


আরও খবর



এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: তদন্তে কলকাতায় ডিবির প্রতিনিধিদল

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ড তদন্তে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে কলকাতা গেছেন তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল।

রবিবার (২৬ মে) সকালে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- ওয়ারী বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও এডিসি শাহীদুর রহমান।

বিমানবন্দরে ডিবিপ্রধান জানান, শাহীনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের মহাপরিদর্শকের মাধ্যমে আবেদন করা হবে। সহায়তা চাওয়া হবে ইন্টারপোলের।

তিনি আরও বলেন, শাহীন এই হত্যার মাস্টারমাইন্ড বলে নিশ্চিত করেছে কলকাতা ও ঢাকার গোয়েন্দারা। আমাদের তদন্ত দল কলকাতায় প্রথমে ঘটনাস্থলে যাবে। এরপর ভারতে গ্রেপ্তার জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

এদিকে, হত্যার পরিকল্পনাকারী’ আক্তারুজ্জামান শাহীনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনার কথা ভাবছে পশ্চিমবঙ্গ ক্রাইম ইনভেস্টিগেটিভ ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেছেন, মার্কিন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই, কিন্তু ভারতের আছে। আমরা শাহীনকে ভারতে প্রত্যর্পণের পরিকল্পনা করছি, কারণ অপরাধটি আমাদের রাজ্যে ঘটেছে।

এ মামলার অন্যতম আসামি আক্তারুজ্জামান শাহীন এমপি আনোয়ারুল আজীমের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে পরিচিত। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে থাকেন। তার মার্কিন নাগরিকত্ব রয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

শাহীনকে পেতে  বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত, নেপাল, ইন্টারপোল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে বলে ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি জানান, আখতারুজ্জামান শাহীন মূল সন্দেহভাজন এবং পলাতক। তাকে বিচারের আওতায় আনতে ভারত, নেপাল ও যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য চাওয়া হয়েছে।


আরও খবর



দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে বৈঠকে তিন মন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও মজুত কার্যক্রম তদারক বিষয়ে সভায় বসেছেন তিন মন্ত্রী।

সোমবার (২৭ মে) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে সচিবালয়ে শুরু হওয়া এ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় উপস্থিত রয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। কৃষিমন্ত্রী সভায় সভাপতিত্ব করছেন।

সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন।

সভার শুরুতে কৃষিমন্ত্রী জানান, আরেকটি বড় উৎসব ঈদুল আজহা আসছে। এসময়ে মানুষ যাতে নিত্যপণ্য নিয়ে ভোগান্তিতে না পড়ে সেজন্য আজ এই সভা আহ্বান করা হয়েছে।

এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে এ সভা হয়েছিল।


আরও খবর



শেরপুরে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

শেরপুরে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। শনিবার (১ জুন) সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর মাঠে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ছানুয়ার হোসেন ছানু। জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খাইরুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হোসেন পিপিএম।

এ সময় বক্তারা বলেন, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার শিশুদের মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে। দুগ্ধজাত খাবার, যেমন পনির ও দই আদর্শগতভাবে স্বাস্থ্যকর এজিং প্রোডাক্ট হিসাবে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা (২০১৫) অনুযায়ী, স্বাস্থ্যকর এজিং হলো কার্যকর ক্ষমতার বিকাশ এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার প্রক্রিয়া, যা বার্ধক্যে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। দুগ্ধজাত দ্রব্য বয়স্কদের জন্য পুষ্টি সরবরাহ করে, পেশীর স্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং বার্ধক্যজনিত পেশি ও হাড়ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে। তাই দুগ্ধজাত খাদ্য বয়স্ক জনগোষ্ঠীর জন্য অতি প্রয়োজনীয় খাবার হিসাবে বিবেচিত।

এছাড়াও এই সময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূইয়া, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেজুয়ানুল হক ভূঁইয়া, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



গুচ্ছে ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গুচ্ছ ভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। গত ২০ মে শুরু হওয়া ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ পছন্দক্রম সহ ভর্তি আবেদনের শেষদিন ছিল আজ মঙ্গলবার। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে এই আবেদন প্রক্রিয়া একদিন বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২৮ মে) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজই আবেদনের শেষ সময় ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে অনেক জায়গায় ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা আবেদনের সময়সীমা একদিন একদিন বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে এ ইউনিট ( বিজ্ঞান) অনুষদের পরীক্ষা ২৭ এপ্রিল, বি ইউনিট ( মানবিক) অনুষদের পরীক্ষা ৩ মে ও সি ইউনিট ( বাণিজ্য) অনুষদের পরীক্ষা ১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটি জানান এবার নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হবে পহেলা আগস্ট থেকে।

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।


আরও খবর



তৃতীয় দফায় বেনজিরের ৮ ফ্ল্যাট, ৯১ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে আরও সম্পত্তি ও ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১২ জুন) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

জব্দ হওয়া সম্পদ ও ফ্ল্যাটের মধ্যে- রুপগঞ্জে ২৪ কাঠা জমি, উত্তরায় ৩ কাঠা, বাড্ডায় ৩৯ দশমিক ৩০ জমির ওপর দুটি ফ্ল্যাট, বান্দরবান জেলায় ২৫ একর জমি, স্ত্রী জিসানের নামে আদাবর থানার পিসিকালচার এলাকায় ৬টি ফ্ল্যাট, গুলশানে বাবার কাছ থেকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি মূলে সম্পত্তিতে ৬ তলা ভবন, সিটিজেন টিভির শেয়ার ও টাইগার এপারেলসের শেয়ার রয়েছে।

মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচাল হাফিজুল ইসলাম এ আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে, স্ত্রী জীশান মীর্জা ও কন্যাদের নামে দেশ-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে।

অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের মালিকানাধীন ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। যা করতে পারলে মামলার অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, চার্জশিট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজা অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সকল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।

তাই অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের, তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল, এরপর আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে তথা সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে স্থাবর সম্পত্তিসমূহ ক্রোক ও অস্থাবর সম্পত্তি ফ্রিজ করা একান্ত প্রয়োজন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।

এর আগে গত ২৩ ও ২৬ মে দুই দফায় বেনজির আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ৬২১ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমির মালিক বেনজিরের স্ত্রী জীশান মীর্জা। তার নামে প্রায় ৫২১ বিঘা জমি খুঁজে পেয়েছে দুদক। বাকি ১০০ বিঘার মতো জমি রয়েছে বেনজির, তার তিন মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজির, তাহসিন রাইশা বিনতে বেনজির ও জারা জেরিন বিনতে বেনজির এবং স্বজন আবু সাঈদ মো. খালেদের নামে।

বেনজির আহমেদের স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে মাদারীপুরের সাতপাড় ডুমুরিয়া মৌজায় ২৭৬ বিঘা জমি পাওয়া গেছে। ২০২১ ও ২০২২ সালের বিভিন্ন সময় ১১৩টি দলিলে এসব জমি কেনা হয়। দলিলমূল্য দেখানো হয় মোট ১০ কোটি ২২ লাখ টাকা। ৮৩টি দলিলে ৩৪৫ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। যার দলিলমূল্য দেখানো হয়েছিল ১৬ কোটি ১৫ টাকার কিছু বেশি।

এছাড়া বেনজির আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে গুলশানে যে চারটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন আদালত। তার মধ্যে তিনটি তার স্ত্রীর নামে এবং একটি ছোট মেয়ের নামে। দুটি ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ৩৫৩ বর্গফুট, দাম ৫৬ লাখ টাকা করে। বাকি দুই ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ২৪৩ বর্গফুট করে, দাম সাড়ে ৫৩ লাখ টাকা করে। চারটি ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে একই দিন একই ভবনে। ভবনটির নাম র‍্যানকন আইকন টাওয়ার।

নিউজ ট্যাগ: ড. বেনজির আহমেদ

আরও খবর